শরিফ আহমাদ
মৃত্যু অবধারিত । সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে । পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান:১৮৫)। মৃত্যুর স্মরণ মানুষের আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং পরকালীন মুক্তির পথে পরিচালিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তাই সর্বদা মৃত্যুর প্রস্তুতি রাখার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে ।
বারাআ (রা.) বলেন, একবার আমরা একটি জানাজায় রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে শরিক ছিলাম। তিনি একটি কবরের পাশে বসলেন, এরপর কাঁদতে শুরু করলেন। এমনকি তাঁর চোখের পানিতে মাটি ভিজে গেল। অতঃপর তিনি বললেন, ‘হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, (তোমাদের অবস্থা) এর মতোই হবে। সুতরাং তোমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ্: ৪১৯৫)
পৃথিবীতে আসার ধারাবাহিকতা আছে কিন্তু যাওয়ার কোনো ধারাবাহিকতা নেই। যারা আগেভাগে মৃত্যুর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে তারাই দূরদর্শী ইমানদার । ইবনে উমর (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে বসা ছিলাম। এ সময় জনৈক আনসারি তার নিকট আসে। সে রাসুল (সা.)-কে সালাম দিয়ে বলে, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সর্বাপেক্ষা উত্তম ইমানদার কে?’ তিনি বললেন, ‘যাদের চরিত্র উত্তম।’ লোকটি আবার জিজ্ঞেস করে, ‘সর্বাপেক্ষা দূরদর্শী ইমানদার কে?’ তিনি বললেন, ‘যারা মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য উত্তমরূপে প্রস্তুতি গ্রহণ করে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ্: ৪২৫৯)
মৃত্যুর স্মরণ দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সুখ ও মোহ ত্যাগ করতে সাহায্য করে। এতে আখিরাতের চিন্তা জাগ্রত হয়। ফলে মানুষ ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় ভোগবিলাস থেকে বিরত রাখে।
নবী করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা বেশি করে স্বাদ বিনাশকারী মৃত্যুকে স্মরণ কর। (জামে তিরমিজি: ২৩০৭)।
মৃত্যুকে স্মরণ করার বড় একটি উপায় কবর জিয়ারত করা। এতে হৃদয় বিগলিত হয়। চোখের কোণে জমে বিগলিত হৃদয়ের তপ্তজল।
রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এর আগে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন থেকে কবর জিয়ারত করো। কেননা, তা দুনিয়া বিমুখতা এনে দেয় এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ্: ১৫৭১)
মৃত্যু অবধারিত । সবাইকে একদিন মৃত্যুবরণ করতে হবে । পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে হবে।’ (সুরা আলে ইমরান:১৮৫)। মৃত্যুর স্মরণ মানুষের আত্মশুদ্ধি, আল্লাহর প্রতি আনুগত্য এবং পরকালীন মুক্তির পথে পরিচালিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তাই সর্বদা মৃত্যুর প্রস্তুতি রাখার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে ।
বারাআ (রা.) বলেন, একবার আমরা একটি জানাজায় রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে শরিক ছিলাম। তিনি একটি কবরের পাশে বসলেন, এরপর কাঁদতে শুরু করলেন। এমনকি তাঁর চোখের পানিতে মাটি ভিজে গেল। অতঃপর তিনি বললেন, ‘হে আমার প্রিয় ভাইয়েরা, (তোমাদের অবস্থা) এর মতোই হবে। সুতরাং তোমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ্: ৪১৯৫)
পৃথিবীতে আসার ধারাবাহিকতা আছে কিন্তু যাওয়ার কোনো ধারাবাহিকতা নেই। যারা আগেভাগে মৃত্যুর প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করে তারাই দূরদর্শী ইমানদার । ইবনে উমর (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে বসা ছিলাম। এ সময় জনৈক আনসারি তার নিকট আসে। সে রাসুল (সা.)-কে সালাম দিয়ে বলে, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সর্বাপেক্ষা উত্তম ইমানদার কে?’ তিনি বললেন, ‘যাদের চরিত্র উত্তম।’ লোকটি আবার জিজ্ঞেস করে, ‘সর্বাপেক্ষা দূরদর্শী ইমানদার কে?’ তিনি বললেন, ‘যারা মৃত্যুকে অধিক স্মরণ করে এবং মৃত্যু পরবর্তী অধ্যায়ের জন্য উত্তমরূপে প্রস্তুতি গ্রহণ করে।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ্: ৪২৫৯)
মৃত্যুর স্মরণ দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী সুখ ও মোহ ত্যাগ করতে সাহায্য করে। এতে আখিরাতের চিন্তা জাগ্রত হয়। ফলে মানুষ ক্ষণস্থায়ী দুনিয়ায় ভোগবিলাস থেকে বিরত রাখে।
নবী করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা বেশি করে স্বাদ বিনাশকারী মৃত্যুকে স্মরণ কর। (জামে তিরমিজি: ২৩০৭)।
মৃত্যুকে স্মরণ করার বড় একটি উপায় কবর জিয়ারত করা। এতে হৃদয় বিগলিত হয়। চোখের কোণে জমে বিগলিত হৃদয়ের তপ্তজল।
রাসুল (সা.) বলেন, আমি তোমাদের এর আগে কবর জিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। এখন থেকে কবর জিয়ারত করো। কেননা, তা দুনিয়া বিমুখতা এনে দেয় এবং আখিরাতের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (সুনানে ইবনে মাজাহ্: ১৫৭১)
কোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১১ ঘণ্টা আগেমানুষের প্রতি সম্মান একটি মৌলিক মানবিক গুণ, যা সমাজে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির ভিত্তি গড়ে তোলে। প্রত্যেক মানুষ তার মর্যাদা ও অধিকার নিয়ে জন্মগ্রহণ করে, এবং একে অপরকে সম্মান করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ধর্ম, বর্ণ, জাতি কিংবা পেশা ভেদে কাউকে ছোট করা মানবতার পরিপন্থী। সম্মান প্রদর্শনের মাধ্যমে পারস্পরিক...
১ দিন আগেসপ্তাহের সর্বশ্রেষ্ঠ দিন হলো জুমাবার। জুমাবারের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহর নবী (সা.) বলেন, ‘জুমার দিন সপ্তাহের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ও আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত।’ এই দিন অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ—এর অন্যতম কারণ জুমার নামাজ। জুমার নামাজ আদায় করলেই কেবল এই দিনের বরকত, ফজিলত লাভের আশা করা যায়।
১ দিন আগেএক অপূর্ব সৌন্দর্যের দেশ ইরান, যার অলিগলি থেকে গুনগুন করে ভেসে আসে ইতিহাসের প্রাচীন সুর। এখানে মিশে আছে সংস্কৃতি, ধর্ম ও জ্ঞানের এক অমলিন কোলাহল। এই ভূমির সাহসী ও বীরত্বের গল্পগুলো ইতিহাসের পাতা আলোকিত করে। রক্তবর্ণে ভেসে ওঠে সোনালি যুগের স্মৃতি।
২ দিন আগে