হুসাইন আহমদ
ইসলামে জিলহজের প্রথম দশকের আলাদা গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। কারণ আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এই দশকের রাতগুলোর শপথ করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘শপথ প্রত্যুষের এবং দশ রাতের।’ (সুরা ফাজর: ১-২) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদের চতুষ্পদ জন্তু থেকে যা রিজিক হিসেবে দান করেছেন, তার ওপর নির্দিষ্ট দিনগুলোয় আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।’ (সুরা হজ: ২৮) প্রথম আয়াতের ‘দশ রাত’ এবং দ্বিতীয় আয়াতের ‘নির্দিষ্ট দিনগুলো’ থেকে জিলহজ মাসের প্রথম দশককেই বোঝানো হয়েছে।
অন্যদিকে হাদিসে এ মাসের প্রথম ১০ দিনকে শ্রেষ্ঠতম দিন বলা হয়েছে। যেমন হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘এমন কোনো দিন নেই যার আমল জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় হবে।’ প্রশ্ন করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আল্লাহর পথে যুদ্ধ করা থেকেও কি অধিক প্রিয়?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, যুদ্ধ করা থেকেও অধিক প্রিয়। তবে যদি এমন হয় যে ব্যক্তি তার জানমাল নিয়ে আল্লাহর পথে বের হলো এবং এর কোনো কিছুই ফেরত নিয়ে এলো না।’ (বুখারি ও তিরমিজি)
অন্য হাদিসে হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আরাফাতের দিনে রোজা বিগত এক বছর ও আগত এক বছরের গুনাহের কাফফারা হবে বলে আল্লাহর কাছে আমি আশাবাদী।’ (মুসলিম) এ ছাড়া দশম দিন তথা কোরবানির দিনটি আল্লাহর কাছে অত্যন্ত মহান। নবী (সা.) এ দিনগুলোতে বেশি বেশি তাহলিল ও তাকবির পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
ইসলামে জিলহজের প্রথম দশকের আলাদা গুরুত্ব ও তাৎপর্য রয়েছে। কারণ আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এই দশকের রাতগুলোর শপথ করেছেন। এরশাদ হয়েছে, ‘শপথ প্রত্যুষের এবং দশ রাতের।’ (সুরা ফাজর: ১-২) অন্য আয়াতে এরশাদ হয়েছে, ‘যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদের চতুষ্পদ জন্তু থেকে যা রিজিক হিসেবে দান করেছেন, তার ওপর নির্দিষ্ট দিনগুলোয় আল্লাহর নাম স্মরণ করতে পারে।’ (সুরা হজ: ২৮) প্রথম আয়াতের ‘দশ রাত’ এবং দ্বিতীয় আয়াতের ‘নির্দিষ্ট দিনগুলো’ থেকে জিলহজ মাসের প্রথম দশককেই বোঝানো হয়েছে।
অন্যদিকে হাদিসে এ মাসের প্রথম ১০ দিনকে শ্রেষ্ঠতম দিন বলা হয়েছে। যেমন হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) এরশাদ করেছেন, ‘এমন কোনো দিন নেই যার আমল জিলহজ মাসের প্রথম ১০ দিনের আমল থেকে আল্লাহর কাছে অধিক প্রিয় হবে।’ প্রশ্ন করা হলো, ‘হে আল্লাহর রাসুল (সা.), আল্লাহর পথে যুদ্ধ করা থেকেও কি অধিক প্রিয়?’ রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, যুদ্ধ করা থেকেও অধিক প্রিয়। তবে যদি এমন হয় যে ব্যক্তি তার জানমাল নিয়ে আল্লাহর পথে বের হলো এবং এর কোনো কিছুই ফেরত নিয়ে এলো না।’ (বুখারি ও তিরমিজি)
অন্য হাদিসে হজরত আবু কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘আরাফাতের দিনে রোজা বিগত এক বছর ও আগত এক বছরের গুনাহের কাফফারা হবে বলে আল্লাহর কাছে আমি আশাবাদী।’ (মুসলিম) এ ছাড়া দশম দিন তথা কোরবানির দিনটি আল্লাহর কাছে অত্যন্ত মহান। নবী (সা.) এ দিনগুলোতে বেশি বেশি তাহলিল ও তাকবির পাঠ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
কোরআন ও হাদিসে জান্নাতের বিবরণে এর সৌন্দর্য ও শান্তির কথা বহুবার বর্ণিত হয়েছে। এটি প্রতিটি মোমিনের পরম কাঙ্ক্ষিত গন্তব্য। এই গন্তব্যে যেতে হলে মহানবী (সা.)-এর সুপারিশের বিকল্প নেই। তিন ধরনের ব্যক্তির জান্নাতের জিম্মাদারি নবী (সা.) নিয়েছেন।
৩ ঘণ্টা আগেহজ ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে নির্দিষ্ট সময়ে, নির্দিষ্ট কার্যাবলির মাধ্যমে পবিত্র কাবাঘর জিয়ারত করার ইচ্ছা পোষণ করাকেই হজ বলে। পবিত্র কোরআনে এসেছে, ‘মানুষের মধ্যে যারা সেখানে পৌঁছানোর সামর্থ্য রাখে, তাদের ওপর আল্লাহর জন্য এ ঘরের হজ করা ফরজ’ (সুরা আলে ইমরান ৯৭)।
৮ ঘণ্টা আগেআল্লাহর সন্তুষ্টি, প্রেম ও ভালোবাসা অর্জনের এক অনন্য প্রেমময় ও তুলনাহীন ইবাদত হজ। আজকের লেখায় আলোচনা করব হজের প্রকারভেদ, হজের প্রয়োজনীয় মাসআলা ও আহকাম বিষয়ে।
১ দিন আগেমুমিনের বহুল প্রত্যাশিত ইবাদত হজে মাবরুর। ‘হজে মাবরুর’ হজের একটি পরিভাষা। সহজে বললে, হজে মাবরুর হলো সেই হজ, যা আল্লাহর কাছে কবুল হয়। হজ পালনের সময় বিশুদ্ধ নিয়ত থাকা...
১ দিন আগে