ইজাজুল হক
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। তবে এই খুশি পার্থিব ভোগবিলাসে মত্ত হওয়ার খুশি নয়। আল্লাহর অবাধ্যতায় গা ভাসিয়ে গুনাহের সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার খুশি নয়। এই খুশি জাগতিক সব স্বার্থের ঊর্ধ্বের এক অপার্থিব খুশি; যে খুশিতে রয়েছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অকৃত্রিম আনুগত্য এবং অসামান্য ভালোবাসা। এই খুশি আসমানি। এই খুশি ঐশ্বরিক। এই খুশি সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের এক পবিত্র আনন্দমেলা।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যে আসমানি জীবনবিধান আমাদের দিয়ে গেছেন, এর মূলমন্ত্রই হলো আল্লাহর আনুগত্য ও রাসুলের অনুসরণে সমৃদ্ধ এক পরিমার্জিত ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করার মাধ্যমে পরকালের অনন্ত সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া। তাই দেখা যায়, ইসলামে সব ক্ষেত্রেই কিছু কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে, যাতে বান্দা আল্লাহর আনুগত্যের চৌহদ্দি পেরিয়ে তাঁর অসন্তুষ্টির দিকে ধাবিত না হয়। ঈদের খুশি ও আনন্দের বিষয়টিও তেমনই।
একজন বিশ্বাসী বান্দা যখন এক মাসের সিয়াম সাধনা পূর্ণ করেন, তখন আল্লাহ তাঁকে নিজের মেহমান হিসেবে নিমন্ত্রণ জানান। স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মাসজুড়ে সংযমের পুরস্কার এটি। এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা মুমিনের কর্তব্য। তাই ঈদের দিনে রোজা রাখা বা উপোস থাকার কোনো সুযোগ নেই। অতিরিক্ত নফল ইবাদতেরও তাগাদা নেই। এই দিন জরুরি কয়েকটি ইবাদত আর খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ করার দিন। মাসজুড়ে রোজাদার যে কষ্ট-মোজাহাদা-আমল করেছেন, তার প্রতিদান পাওয়ার দিন।
তাই তো ঈদের দিনে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হয়, তা হলো সাধ্যমতো সদকাতুল ফিতর আদায় করা। বান্দার রোজা পালনে কোনো ধরনের খুঁত থেকে গেলে তার যেন ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়, সে জন্যই এই আয়োজন। এ ছাড়া সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যেন এক কাতারে এসে ঈদের আনন্দে অংশ নিতে পারে, তার জন্য এই সদাকার ব্যবস্থা। এরপর সবাই মিলে মহান আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করতে করতে ঈদগাহের ময়দানে হাজির হয় এবং ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। একে অপরকে বলে—আল্লাহ আপনার-আমার নেক আমল কবুল করুন। সে এক অপূর্ব দৃশ্য! এই দৃশ্য আল্লাহর অত্যন্ত পছন্দের।
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন আল্লাহ ফেরেশতাদের সামনে রোজাদারদের নিয়ে গর্ব করে বলেন, ‘হে আমার ফেরেশতারা, যে শ্রমিক পরিপূর্ণ কাজ করেছে তার পুরস্কার কী?’ ফেরেশতারা বলেন, ‘তার পুরস্কার পরিপূর্ণভাবে প্রদান করা আবশ্যক।’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, তারা উচ্চ স্বরে তাকবির দিয়ে ঈদগাহে উপস্থিত হয়েছে। আমার সম্মান ও গাম্ভীর্যের কসম, আমি তাদের ডাকে সাড়া দেব।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম।’ (মিশকাত)
মহানবী (সা.)-এর বড়ই আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতেন। ভোরেই গোসল করে উত্তম কাপড় পরতেন, সুগন্ধি মাখতেন। ঈদগাহে যাওয়ার আগে কিছুটা মিষ্টান্ন খেতেন। ঈদগাহে
যেতেন এক পথ দিয়ে, আসতেন অন্য পথ দিয়ে। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। নামাজ শেষ করে খুতবা দিতেন। খুতবায় ঈদের করণীয় কাজ এবং গুরুত্ব বর্ণনা করতেন। সাহাবায়ে কেরাম সর্বক্ষেত্রে মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ করতেন। তাঁরা একটি বাক্যের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। তা হলো—‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ অর্থাৎ মহান আল্লাহ আমাদের ও আপনার ভালো কাজগুলো কবুল করুন।
ঈদের দিনে গরিব-দুঃখীদের খোঁজ নেওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। এক ঈদের দিনের কথা। তিনি রাস্তার পাশে একটি ছেলেকে কাঁদতে দেখেন। চিন্তিত হয়ে তাঁর কাছে যান। ছেলেটি জানাল, তার মা ও বাবা কেউই নেই। মহানবী (সা.) তাকে বাড়িতে নিয়ে এলেন। বললেন, ‘আমি তোমার বাবা আর আয়েশা তোমার মা, ফাতেমা তোমার বোন আর হাসান-হোসাইন তোমার খেলার সঙ্গী।’ তিনি এতিম ছেলেটিকে সন্তানের মর্যাদা দেন। এভাবে মহানবী (সা.) ঈদের দিনটি উদ্যাপন করতেন। আমরাও কি পারি না এভাবে ঈদের খুশি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।
ঈদের দিনে খুশির কোনো সীমানা নেই। মজার মজার সব খাবার খাওয়া, প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়া, গরিব-দুঃখী মানুষের খোঁজখবর নেওয়া এবং পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে আনন্দ করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। এই দিনে কারও প্রতি কোনো শত্রুতা, বিদ্বেষ ও হিংসা রাখা বারণ। শত্রুকে আলিঙ্গন করার চেয়ে বড় ঈদ আনন্দ আর কী হতে পারে! অমুসলিমদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেও ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ নেই। বরং ঈদের খুশিতে তাদেরও শামিল করার মাধ্যমে এই উৎসব হয়ে ওঠে সর্বজনীন।
তবে ঈদের আনন্দে যেন আল্লাহর দেওয়া ফরজ বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবেই ঈদ হয়ে উঠবে আসমানি আনন্দ উৎসব ও আধ্যাত্মিকতার মোহনা। এতে খুশি যেমন থাকবে, থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টিও। নজরুল কত চমৎকারভাবেই না ঈদের মহান বার্তা তুলে ধরেছেন নিজের কালজয়ী এই গানে—
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ,
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ...
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। তবে এই খুশি পার্থিব ভোগবিলাসে মত্ত হওয়ার খুশি নয়। আল্লাহর অবাধ্যতায় গা ভাসিয়ে গুনাহের সাগরে হাবুডুবু খাওয়ার খুশি নয়। এই খুশি জাগতিক সব স্বার্থের ঊর্ধ্বের এক অপার্থিব খুশি; যে খুশিতে রয়েছে আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অকৃত্রিম আনুগত্য এবং অসামান্য ভালোবাসা। এই খুশি আসমানি। এই খুশি ঐশ্বরিক। এই খুশি সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের এক পবিত্র আনন্দমেলা।
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) যে আসমানি জীবনবিধান আমাদের দিয়ে গেছেন, এর মূলমন্ত্রই হলো আল্লাহর আনুগত্য ও রাসুলের অনুসরণে সমৃদ্ধ এক পরিমার্জিত ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করার মাধ্যমে পরকালের অনন্ত সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়া। তাই দেখা যায়, ইসলামে সব ক্ষেত্রেই কিছু কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে, যাতে বান্দা আল্লাহর আনুগত্যের চৌহদ্দি পেরিয়ে তাঁর অসন্তুষ্টির দিকে ধাবিত না হয়। ঈদের খুশি ও আনন্দের বিষয়টিও তেমনই।
একজন বিশ্বাসী বান্দা যখন এক মাসের সিয়াম সাধনা পূর্ণ করেন, তখন আল্লাহ তাঁকে নিজের মেহমান হিসেবে নিমন্ত্রণ জানান। স্রেফ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য মাসজুড়ে সংযমের পুরস্কার এটি। এই নিমন্ত্রণ গ্রহণ করা মুমিনের কর্তব্য। তাই ঈদের দিনে রোজা রাখা বা উপোস থাকার কোনো সুযোগ নেই। অতিরিক্ত নফল ইবাদতেরও তাগাদা নেই। এই দিন জরুরি কয়েকটি ইবাদত আর খাওয়া-দাওয়া ও আনন্দ করার দিন। মাসজুড়ে রোজাদার যে কষ্ট-মোজাহাদা-আমল করেছেন, তার প্রতিদান পাওয়ার দিন।
তাই তো ঈদের দিনে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে হয়, তা হলো সাধ্যমতো সদকাতুল ফিতর আদায় করা। বান্দার রোজা পালনে কোনো ধরনের খুঁত থেকে গেলে তার যেন ক্ষতিপূরণ হয়ে যায়, সে জন্যই এই আয়োজন। এ ছাড়া সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যেন এক কাতারে এসে ঈদের আনন্দে অংশ নিতে পারে, তার জন্য এই সদাকার ব্যবস্থা। এরপর সবাই মিলে মহান আল্লাহর মহিমা ঘোষণা করতে করতে ঈদগাহের ময়দানে হাজির হয় এবং ঈদের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে তাঁর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। একে অপরকে বলে—আল্লাহ আপনার-আমার নেক আমল কবুল করুন। সে এক অপূর্ব দৃশ্য! এই দৃশ্য আল্লাহর অত্যন্ত পছন্দের।
হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন আল্লাহ ফেরেশতাদের সামনে রোজাদারদের নিয়ে গর্ব করে বলেন, ‘হে আমার ফেরেশতারা, যে শ্রমিক পরিপূর্ণ কাজ করেছে তার পুরস্কার কী?’ ফেরেশতারা বলেন, ‘তার পুরস্কার পরিপূর্ণভাবে প্রদান করা আবশ্যক।’ তখন আল্লাহ বলেন, ‘আমার বান্দারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছে, তারা উচ্চ স্বরে তাকবির দিয়ে ঈদগাহে উপস্থিত হয়েছে। আমার সম্মান ও গাম্ভীর্যের কসম, আমি তাদের ডাকে সাড়া দেব।’ এরপর তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের ক্ষমা করে দিলাম।’ (মিশকাত)
মহানবী (সা.)-এর বড়ই আনন্দের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করতেন। ভোরেই গোসল করে উত্তম কাপড় পরতেন, সুগন্ধি মাখতেন। ঈদগাহে যাওয়ার আগে কিছুটা মিষ্টান্ন খেতেন। ঈদগাহে
যেতেন এক পথ দিয়ে, আসতেন অন্য পথ দিয়ে। ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। নামাজ শেষ করে খুতবা দিতেন। খুতবায় ঈদের করণীয় কাজ এবং গুরুত্ব বর্ণনা করতেন। সাহাবায়ে কেরাম সর্বক্ষেত্রে মহানবী (সা.)-এর অনুসরণ করতেন। তাঁরা একটি বাক্যের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করতেন। তা হলো—‘তাকাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা’ অর্থাৎ মহান আল্লাহ আমাদের ও আপনার ভালো কাজগুলো কবুল করুন।
ঈদের দিনে গরিব-দুঃখীদের খোঁজ নেওয়া মহানবী (সা.)-এর সুন্নত। এক ঈদের দিনের কথা। তিনি রাস্তার পাশে একটি ছেলেকে কাঁদতে দেখেন। চিন্তিত হয়ে তাঁর কাছে যান। ছেলেটি জানাল, তার মা ও বাবা কেউই নেই। মহানবী (সা.) তাকে বাড়িতে নিয়ে এলেন। বললেন, ‘আমি তোমার বাবা আর আয়েশা তোমার মা, ফাতেমা তোমার বোন আর হাসান-হোসাইন তোমার খেলার সঙ্গী।’ তিনি এতিম ছেলেটিকে সন্তানের মর্যাদা দেন। এভাবে মহানবী (সা.) ঈদের দিনটি উদ্যাপন করতেন। আমরাও কি পারি না এভাবে ঈদের খুশি সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে।
ঈদের দিনে খুশির কোনো সীমানা নেই। মজার মজার সব খাবার খাওয়া, প্রতিবেশী ও আত্মীয়স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়া, গরিব-দুঃখী মানুষের খোঁজখবর নেওয়া এবং পরিবারের ছোট-বড় সবাইকে নিয়ে আনন্দ করা মুমিনের বৈশিষ্ট্য। এই দিনে কারও প্রতি কোনো শত্রুতা, বিদ্বেষ ও হিংসা রাখা বারণ। শত্রুকে আলিঙ্গন করার চেয়ে বড় ঈদ আনন্দ আর কী হতে পারে! অমুসলিমদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেও ইসলামে কোনো বিধিনিষেধ নেই। বরং ঈদের খুশিতে তাদেরও শামিল করার মাধ্যমে এই উৎসব হয়ে ওঠে সর্বজনীন।
তবে ঈদের আনন্দে যেন আল্লাহর দেওয়া ফরজ বিধান লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। তবেই ঈদ হয়ে উঠবে আসমানি আনন্দ উৎসব ও আধ্যাত্মিকতার মোহনা। এতে খুশি যেমন থাকবে, থাকবে আল্লাহর সন্তুষ্টিও। নজরুল কত চমৎকারভাবেই না ঈদের মহান বার্তা তুলে ধরেছেন নিজের কালজয়ী এই গানে—
ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এল খুশির ঈদ,
তুই আপনাকে আজ বিলিয়ে দে, শোন আসমানী তাগিদ...
লেখক: সহসম্পাদক, আজকের পত্রিকা
ইসলামে দান-সদকা অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ একটি আমল। পবিত্র কোরআন ও হাদিসে এর অসংখ্য ফজিলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সদকা কেবল দরিদ্রের প্রয়োজনই মেটায় না, বরং এটি বান্দা ও তার প্রতিপালকের মধ্যে সম্পর্ককে আরও মজবুত করে।
৪ ঘণ্টা আগেআত্মীয়তার বন্ধন আছে বলেই পৃথিবী এত সুন্দর। পারস্পরিক সম্পর্কের এ বন্ধন না থাকলে হয়তো পৃথিবীর রূপ ভিন্ন থাকত। মা তার সন্তানের প্রতি, ভাই তার ভাইয়ের প্রতি, স্বামী তার স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসার যে রূপ আমরা দেখতে পাই—তা হয়তো থাকত না। কোরআন ও হাদিসে আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেজুলুম আরবি শব্দ। জুলুমের অর্থ ব্যাপক এবং অনেক বিস্তৃত। সাধারণত জুলুম অর্থ নির্যাতন, নিপীড়ন। শরিয়তের পরিভাষায় জুলুম বলা হয়—কোনো উপযুক্ত জিনিসকে উপযুক্ত স্থানে না রেখে অনুপযুক্ত স্থানে রাখা। যে জুলুম করে তাকে জালিম বলা হয়। মানুষ বিভিন্ন পদ্ধতিতে একজন অন্যজনের ওপর জুলুম করে।
১৯ ঘণ্টা আগেমা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের
১ দিন আগে