গুলি করে হত্যা রোধে নিউইয়র্ক গভর্নরের জরুরি ব্যবস্থা

গুলি করে মানুষ হত্যা রোধে মঙ্গলবার জরুরি ব্যবস্থা জারি করেছেন নিউইয়র্কের গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমো। যুক্তরাষ্ট্র জুড়ে গোলাগুলি বেড়ে যাওয়াকে 'দুর্যোগকালীন জরুরি অবস্থা' উল্লেখ করে তিনি এ ঘোষণা দেন। নতুন এ ব্যবস্থায় গোলাগুলির ঘটনায় বন্দুক প্রস্তুতকারীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া সহজ করা হয়। 

ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছর করোনাভাইরাস মহামারি শুরুর পর থেকে নিউইয়র্ক সিটিকে গোলাগুলির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশটির প্রধান শহরগুলিতে ২০২০ সালে গুলি করে হত্যার ঘটনা ৩০ শতাংশ বেড়ে যায়। ২০২১ সালে করোনার তুলনায় গুলিতে বেশি লোক মারা গেছেন। 

এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল মঙ্গলবার দুটি আইন কার্যকর করে। একটি 'জনসাধারণের উপদ্রব দায়বদ্ধতা' আইন। যা দিয়ে নাগরিকদের বন্দুক প্রস্তুতকারী ও ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া সহজ করে তোলা হয়। দ্বিতীয়টি, যারা অপরাধের জন্য বন্দুক কিনতে চান তাঁদের বন্দুক কেনার পথ আটকে দেওয়া। 

গভর্নর বলেন, 'এটি একটি জাতীয় সমস্যা'। তবে কাউকে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। কারণ, আমাদের ভবিষ্যৎ এর ওপরে নির্ভর করে। তাই বন্দুক প্রতিরোধের জন্য রাজ্যের স্বাস্থ্যসেবাগুলিতে নিযুক্ত হতে একটি বিশেষ সমন্বয়কারী নিয়োগ দিচ্ছেন। অফিসকে সামাজিক পরিষেবা, কারাগার পরিষেবা, পুলিশ বাহিনী এবং অন্যদের সঙ্গে সমন্বয় করতে হবে। এই কর্মসূচিতে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগেরও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে সবচেয়ে ঝুঁকিযুক্ত বলে মনে করা তরুণদের কর্মসংস্থান তৈরিতে খরচ করা হবে ৭৬ মিলিয়ন ডলার।

এ উদ্যোগে অন্যান্য রাজ্য থেকেও আগ্নেয়াস্ত্র পাচার রোধে একটি বিশেষ পুলিশ ইউনিটও তৈরি করা হবে। এরই মধ্যে নিউইয়র্কের কয়েকটি কঠোর বন্দুক আইন রয়েছে। তবে পার্শ্ববর্তী রাজ্য পেনসিলভানিয়া এবং নিউ জার্সিতে অস্ত্র কেনা সহজ।

প্রসঙ্গত, নিউইয়র্ক এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গত গ্রীষ্মের পর থেকে গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২৩ জুন আগ্নেয়াস্ত্রের প্রবাহকে সীমাবদ্ধ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করলেও একটি বিভক্ত কংগ্রেস ডেমোক্র্যাটের জন্য আইন পাস করা কঠিন হয়ে যায়।