ফক্সের প্রতিবেদন
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কানাডা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হতে পারে। গত সপ্তাহে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বাসভবন মার-এ-লাগোতে এলে এ কথা বলেন তিনি। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জাস্টিন ট্রুডোকে বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত শুল্কও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অভিবাসন সমস্যা সমাধান না করে কানাডার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলে, তাহলে কানাডার উচিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাওয়া। ফক্স নিউজ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
সপ্তাহ খানেক আগে ট্রাম্প কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। সেই ঘোষণার পর কোনো পূর্বাভাস না দিয়েই ট্রুডো ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে বৈঠক করেন দুই নেতা। এখন ওই বৈঠক সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ট্রাম্প এই আলোচনাকে ‘খুবই ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন। শুল্ক, সীমান্ত নিরাপত্তা ও বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়গুলোই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
ট্রাম্প-ট্রুডোর আলোচনার টেবিলে উপস্থিত দুই ব্যক্তির মতে, ট্রাম্প ট্রুডোকে স্বাগত জানালেও কানাডার প্রতি তিনি খুবই কঠোর ও স্পষ্টভাষী ছিলেন। আলোচনার সময় ট্রাম্প ট্রুডোকে বলেন, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে। ৭০ টিরও বেশি দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসী এবং বিপুল পরিমাণ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে।
সূত্রমতে, যখন ট্রাম্প কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির প্রসঙ্গ তোলেন, তখন তিনি আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি দাবি করেন, এই ঘাটতি ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ট্রাম্প ট্রুডোকে বলেন, যদি কানাডা সীমান্ত সমস্যা ও বাণিজ্য ঘাটতি সমাধান করতে না পারে, তবে তিনি প্রথম দিনেই কানাডার সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবেন।
ট্রুডো ট্রাম্পকে জানান, এই শুল্ক আরোপ করলে কানাডার অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘তাহলে কি আপনি বলতে চাইছেন যে, আপনার দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে ১০০ বিলিয়ন ডলার না ঠকালে বাঁচতে পারবে না?’ এরপরই ট্রাম্প ট্রুডোকে প্রস্তাব দেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যায়, তাহলে কেমন হবে? এই মন্তব্যে ট্রুডো ও অন্যরা হাসলেও তাদের মুখভঙ্গি ছিল খুবই আড়ষ্ট।
এরপরও কিন্তু ট্রাম্প এই ইস্যুতে তাঁর কথা চালিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদটি বেশ ভালো, তবে ৫১ তম অঙ্গরাজ্যের গভর্নর হলেও সেটা মন্দ হবে না।’ এ সময় আলোচনায় উপস্থিত এক ব্যক্তি ট্রাম্পকে মনে করিয়ে দেন যে, কানাডা একটি উদারপন্থী অঙ্গরাজ্য হবে। বিষয়টি আরও হাস্যরসের সৃষ্টি করে। তখন ট্রাম্প প্রস্তাব দেন, কানাডা দুটি অঙ্গরাজ্যে বিভক্ত হতে পারে—একটি রক্ষণশীল এবং অন্যটি উদারপন্থী।
ট্রাম্প ট্রুডোকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, ‘যদি আপনি আমার শর্তগুলো পূরণ করতে না পারেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ঠকিয়ে যেতে থাকেন, তাহলে হয়তো কানাডার সত্যিই একটি বা দুটি অঙ্গরাজ্য হয়ে যাওয়া উচিত। আর ট্রুডো তখন গভর্নর হতে পারবেন।’ সূত্রের মতে, যদিও কথোপকথনে অনেক হাসি-ঠাট্টা হলেও ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন যে, তিনি জানুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যে পরিবর্তন আশা করছেন।
প্রায় তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে আরও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের শেষে কানাডীয় অতিথিরা ডিনারকে ‘খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে ৫১ তম অঙ্গরাজ্যের বিষয়ে আর কোনো কথা বলা হয়নি। ফক্স নিউজ ডিজিটাল ট্রাম্প ও ট্রুডোর দপ্তরে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছিল, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, কানাডা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হতে পারে। গত সপ্তাহে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ফ্লোরিডায় ট্রাম্পের বাসভবন মার-এ-লাগোতে এলে এ কথা বলেন তিনি। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প জাস্টিন ট্রুডোকে বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র আরোপিত শুল্কও দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অভিবাসন সমস্যা সমাধান না করে কানাডার অর্থনীতিকে ধ্বংস করে ফেলে, তাহলে কানাডার উচিত হবে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যাওয়া। ফক্স নিউজ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে।
সপ্তাহ খানেক আগে ট্রাম্প কানাডা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আমদানি করা পণ্যের ওপর ব্যাপক শুল্ক আরোপের হুমকি দেন। সেই ঘোষণার পর কোনো পূর্বাভাস না দিয়েই ট্রুডো ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে যান। সেখানে বৈঠক করেন দুই নেতা। এখন ওই বৈঠক সম্পর্কে নতুন কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে। ট্রাম্প এই আলোচনাকে ‘খুবই ফলপ্রসূ’ বলে উল্লেখ করেছেন। শুল্ক, সীমান্ত নিরাপত্তা ও বাণিজ্য ঘাটতির বিষয়গুলোই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।
ট্রাম্প-ট্রুডোর আলোচনার টেবিলে উপস্থিত দুই ব্যক্তির মতে, ট্রাম্প ট্রুডোকে স্বাগত জানালেও কানাডার প্রতি তিনি খুবই কঠোর ও স্পষ্টভাষী ছিলেন। আলোচনার সময় ট্রাম্প ট্রুডোকে বলেন, কানাডা যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সমস্যার সমাধান করতে ব্যর্থ হয়েছে। ৭০ টিরও বেশি দেশ থেকে অবৈধ অভিবাসী এবং বিপুল পরিমাণ মাদক যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করছে।
সূত্রমতে, যখন ট্রাম্প কানাডার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির প্রসঙ্গ তোলেন, তখন তিনি আরও বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি দাবি করেন, এই ঘাটতি ১০০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। ট্রাম্প ট্রুডোকে বলেন, যদি কানাডা সীমান্ত সমস্যা ও বাণিজ্য ঘাটতি সমাধান করতে না পারে, তবে তিনি প্রথম দিনেই কানাডার সব পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করবেন।
ট্রুডো ট্রাম্পকে জানান, এই শুল্ক আরোপ করলে কানাডার অর্থনীতি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘তাহলে কি আপনি বলতে চাইছেন যে, আপনার দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে ১০০ বিলিয়ন ডলার না ঠকালে বাঁচতে পারবে না?’ এরপরই ট্রাম্প ট্রুডোকে প্রস্তাব দেন, কানাডা যদি যুক্তরাষ্ট্রের ৫১ তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যায়, তাহলে কেমন হবে? এই মন্তব্যে ট্রুডো ও অন্যরা হাসলেও তাদের মুখভঙ্গি ছিল খুবই আড়ষ্ট।
এরপরও কিন্তু ট্রাম্প এই ইস্যুতে তাঁর কথা চালিয়ে যান। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পদটি বেশ ভালো, তবে ৫১ তম অঙ্গরাজ্যের গভর্নর হলেও সেটা মন্দ হবে না।’ এ সময় আলোচনায় উপস্থিত এক ব্যক্তি ট্রাম্পকে মনে করিয়ে দেন যে, কানাডা একটি উদারপন্থী অঙ্গরাজ্য হবে। বিষয়টি আরও হাস্যরসের সৃষ্টি করে। তখন ট্রাম্প প্রস্তাব দেন, কানাডা দুটি অঙ্গরাজ্যে বিভক্ত হতে পারে—একটি রক্ষণশীল এবং অন্যটি উদারপন্থী।
ট্রাম্প ট্রুডোকে উদ্দেশ্য করে আরও বলেন, ‘যদি আপনি আমার শর্তগুলো পূরণ করতে না পারেন এবং যুক্তরাষ্ট্রকে ঠকিয়ে যেতে থাকেন, তাহলে হয়তো কানাডার সত্যিই একটি বা দুটি অঙ্গরাজ্য হয়ে যাওয়া উচিত। আর ট্রুডো তখন গভর্নর হতে পারবেন।’ সূত্রের মতে, যদিও কথোপকথনে অনেক হাসি-ঠাট্টা হলেও ট্রাম্প স্পষ্ট করে দেন যে, তিনি জানুয়ারির ২০ তারিখের মধ্যে পরিবর্তন আশা করছেন।
প্রায় তিন ঘণ্টার এই বৈঠকে আরও বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকের শেষে কানাডীয় অতিথিরা ডিনারকে ‘খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ এবং ইতিবাচক’ হিসেবে বর্ণনা করেন। তবে ৫১ তম অঙ্গরাজ্যের বিষয়ে আর কোনো কথা বলা হয়নি। ফক্স নিউজ ডিজিটাল ট্রাম্প ও ট্রুডোর দপ্তরে এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য যোগাযোগ করেছিল, তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত এবং পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য বন্ধ। কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিন্দু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত, অপর দিকে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাথলিক ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি পোপ হতে চাই।’ এই পর্যন্ত ঠিক আছে। বক্তব্য দেখে ঘাবড়ে যাবেন না। ট্রাম্প আন্তরিকভাবে এই আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেননি, রসিকতার ছলেই তিনি এই আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন।
১ ঘণ্টা আগেগতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় কলকাতার বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১০টি ইউনিটের ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আনন্দবাজারের সকাল ৭টার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তখনো আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে মন্দিরে দেয়াল ধসে অন্তত ৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। স্থানীয় সময় আজ বুধবার ভোরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দেয়াল ধসে পড়ার কারণ এখনো জানা যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে