Ajker Patrika

চাকরি হারালেন মার্কিন রাজস্ব বিভাগের ৬০০০ কর্মী

যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ আইআরএসের কার্যালয়। ছবি: ইনভেস্টোপিডিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগ আইআরএসের কার্যালয়। ছবি: ইনভেস্টোপিডিয়া

যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বিভাগের (আইআরএস) প্রায় ৬ হাজারেরও বেশি কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার কর্মীদের এ কথা জানানো হয়। এক নির্বাহী কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে কর সংগ্রহের ব্যস্ত মৌসুমের মাঝেই সংস্থাটির মোট কর্মশক্তির প্রায় ৬ শতাংশ কমে যাবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নেওয়া উদ্যোগ মার্কিন প্রশাসন সংকোচন প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এই ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দেওয়া হলো। ছাঁটাইয়ের তালিকায় রয়েছেন—ব্যাংক নিয়ন্ত্রক, বনকর্মী, রকেট বিজ্ঞানীসহ কয়েক হাজার অন্যান্য সরকারি কর্মচারী। ট্রাম্প এই উদ্যোগের ভার তুলে দিয়েছিলেন তাঁর সবচেয়ে বড় নির্বাচনী দাতাদের একজন প্রযুক্তি খাতের বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কের কাঁধে।

মার্কিন শ্রমিক ইউনিয়নগুলো এই গণছাঁটাই বন্ধে বেশকিছু মামলা করলেও গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে এক ফেডারেল বিচারক রায় দিয়েছেন, এই ছাঁটাই আপাতত চালিয়ে নেওয়া যাবে।

আইআরএসের দক্ষ কর্মী নিয়োগ পরিচালক ক্রিস্টি আর্মস্ট্রং ফোন কলে কর্মীদের জানান, প্রায় ৬ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা। কলে থাকা এক কর্মী জানান, ছাঁটাইয়ের কথা জানানোর সময় আর্মস্ট্রং বেশ আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন। কর্মীদের একে-অপরকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, ছাঁটাইয়ের সংখ্যা ৬ হাজার ৭০০ ছাড়াতে পারে। যাঁরা ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে আয়কর সংস্থার সম্প্রসারণ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন, মূলত এবারের ছাঁটাইয়ের লক্ষ্য হয়েছেন তাঁরা। বাইডেন মূলত সম্পদশালী করদাতাদের বিরুদ্ধে কর আইন প্রয়োগের প্রচেষ্টা জোরদার করতে চেয়েছিলেন। এটি সাধারণ মার্কিনদের হয়রানির কারণ হতে পারে এই দাবিতে রিপাবলিকানরা এই সম্প্রসারণের বিরোধিতা করেছেন।

বর্তমানে আয়কর সংস্থাটিতে আনুমানিক ১ লাখ কর্মী রয়েছে। ২০২১ সালে বাইডেনের দায়িত্ব গ্রহণের আগে এই সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার। বাইডেনের অধীনে কর্মী সম্প্রসারণ সরকারের রাজস্ব বাড়াতে এবং ট্রিলিয়ন ডলারের বাজেট ঘাটতি সংকীর্ণ করতে সহায়তা করবে বলে আশা করছিলেন স্বাধীন বাজেট বিশ্লেষকেরা।

আর বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মতে, ফেডারেল সরকারের আমলাতন্ত্রের আকার অস্বাভাবিক বেড়েছে। এতে অপচয় ও প্রতারণার মাধ্যমে প্রচুর অর্থ অপচয় হচ্ছে। সরকারের প্রায় ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণ রয়েছে এবং গত বছর ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার বাজেট ঘাটতি ছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি বাসভবনে একাই থাকতেন শরীয়তপুরের ডিসি, পরিবার থাকত ঢাকায়

কারাগারে ১০৫ মন্ত্রী-এমপি

‘তোরা তো পুলিশ মারছিস, ফাঁড়ি জ্বালাইছিস’ বলেই জুলাই যোদ্ধাকে মারধর

বুশেহরে হামলা হলে মধ্যপ্রাচ্যে ‘ফুকুশিমা’ ঘটতে পারে, বিশ্লেষকদের হুঁশিয়ারি

ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ও পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত