Ajker Patrika

পাকিস্তানে সরকার গঠন নয়, বিরোধী দলেই বসবে ইমরান খানের দল 

আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৯: ৫৬
পাকিস্তানে সরকার গঠন নয়, বিরোধী দলেই বসবে ইমরান খানের দল 

পাকিস্তানের জাতীয় নির্বাচনে কেন্দ্র, পাঞ্জাব প্রদেশ ও খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে ব্যাপক সফলতা পেয়েছে ইমরান খানের দল। তবে কেন্দ্রে ইমরান খানের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টির (পিটিআই) সমর্থিত প্রার্থীরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও সরকার গঠনের মতো অবস্থানে নেই। পাঞ্জাব প্রদেশে নওয়াজ শরিফের দলের চেয়ে মাত্র একটি আসন কম পেয়েও একটু পিছিয়ে আছেন দলটির প্রার্থীরা। এই অবস্থায় সরকার গঠন নয়, বিরোধী দলেই বসবে পিটিআই। 

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পিটিআই নেতা ব্যারিস্টার আলী সাইফ বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইমরান খানের নির্দেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অর্থাৎ পিটিআই কেন্দ্র ও পাঞ্জাবে সরকার গঠন নয়, বিরোধী দলে বসবে। 

ইসলামাবাদে কওমি ওয়াতান পার্টির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যান ব্যারিস্টার আলী সাইফ। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা বিরোধী দলে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা যদি ভোট অনুযায়ী আসন পেতাম এবং ফল পরিবর্তন না করা হতো, তাহলে হয়তো আজ আমরা ১৮০টি আসন নিয়ে কেন্দ্রে সরকার গঠন করতাম। ফরম-৪৫ প্রমাণ করে যে, আমাদের প্রার্থীরা জিতেছে।’ 

এদিকে, রাজনৈতিক ঐক্য গড়ে তোলার অংশ হিসেবে ইমরান খানের দল পিটিআইয়ে প্রতিনিধিরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা করছেন। গতকাল শুক্রবার তাঁরা জামায়াত-ই-ইসলামির (জেআই) নেতাদের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই বৈঠকে ভোট ডাকাতির অভিযোগে দুই দলই একসঙ্গে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। আগামীকাল শনিবার দেশজুড়ে পিটিআইয়ের বিক্ষোভ কর্মসূচিতেও থাকবে জামায়াত। 

জামায়াত নেতাদের সঙ্গে দেখা করা পিটিআই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন জাতীয় পরিষদের সাবেক স্পিকার আসাদ কায়সার। বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে তিনি জানান, উদ্ভূত পরিস্থিতির মধ্যে দুই দলের একটাই এজেন্ডা। আর তা হলো ‘ভোট ডাকাতির’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা। কায়সার দাবি করেন, গত ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে যে মাত্রার কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, তা নজিরবিহীন। এ অবস্থায় যে দলগুলো এই কারচুপির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছে, তাদের সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন। 

পিটিআই নেতা বলেন, ‘এই কারচুপির বিরুদ্ধে যারা আওয়াজ তুলেছে, আমরা তাদের সঙ্গে দেখা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমরা একসঙ্গে বসে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবব। সিদ্ধান্ত বন্ধ ঘরে হবে না। দেশ অস্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে এবং আমরা আইনি লড়াইও করব।’ 

এ সময় শনিবারের দেশব্যাপী বিক্ষোভে জনগণকে শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান আসাদ কায়সার। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার অঙ্গীকারের ওপর জোর দিয়ে তিনি আশ্বাস দেন, কথিত কারচুপির বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। 

বৈঠকের পর জামায়াত নেতা লিয়াকত বালুচ বক্তব্য দেন। পিটিআই প্রতিনিধি দলকে স্বাগত জানিয়ে নির্বাচনী ফলাফলের বিরুদ্ধে নিজেদের অবস্থানকে তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন। এর আগে দলটি নির্বাচনের পরদিনই ভোট ডাকাতির অভিযোগ তুলেছিল। পিটিআইয়ের সঙ্গে বৈঠকের পর পাকিস্তানের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের পদত্যাগও দাবি করেছেন বালুচ। 

জামায়াত নেতা বলেন, ‘আমরা সব দিক নিয়ে আলোচনা করেছি এবং পাকিস্তানের নির্বাচন যাতে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত হয়, তা নিশ্চিত করা রাজনৈতিক শক্তির দায়িত্ব। জামায়াত-ই-ইসলামী তার নীতি ও কৌশল স্পষ্ট করেছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

নতুন মেট্রো নয়, রুট বাড়ানোর চিন্তা

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত