অনলাইন ডেস্ক
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আনতে মধ্যস্থতা করেছে কাতার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনৈতিক সূত্র ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টকে এই তথ্য জানান। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তবে ইরান এই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ট্রাম্প তাঁর নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে জানান, জেরুজালেম ও তেহরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে এবং তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে। ট্রাম্প বলেন, ইরান সঙ্গে সঙ্গে হামলা বন্ধ করবে এবং চুক্তির ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েলও যুদ্ধবিরতিতে যোগ দেবে। ২৪ ঘণ্টা শেষে উভয় পক্ষ ১২ দিন ধরে চলা যুদ্ধের অবসান মেনে নেবে।
জেরুজালেম পোস্টের কাছে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, এই চুক্তি হওয়ার আগে ট্রাম্প কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে কথা বলেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানির সঙ্গে কথা বলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গতকাল সোমবার কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর কাতারের প্রধানমন্ত্রী ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং তেহরানকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করান। এক কর্মকর্তার বরাতে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
ওই ফোনালাপের আগে ট্রাম্প কাতারের আমিরকে জানান, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং ইরানকে রাজি করাতে দোহাকে সহায়তা করতে বলেন তিনি। পরে আরেক পোস্টে ট্রাম্প কাতারের আমিরকে ধন্যবাদ জানান এবং লিখেন, ‘বিশ্ববাসীকে অভিনন্দন, এবার শান্তির সময়!’
এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায়। এর মধ্যে কাতার ও ইরাকের ঘাঁটিও ছিল। পরে ট্রাম্প এই হামলাকে ‘খুব দুর্বল’ বলে উল্লেখ করেন। তবে সিএনএনের খবরে দাবি করা হয়েছে, তেহরান কখনো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবই পায়নি। ইরানি এক কর্মকর্তা বলেন, তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের বক্তব্যকে ’প্রতারণা’ হিসেবে দেখবে, যার মাধ্যমে তারা ইরানের ওপর হামলা চালানোর যুক্তি দাঁড় করাতে চায়।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ইসরায়েল ট্রাম্পের ঘোষণার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘তবে, যদি ইসরায়েলি রেজিম আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবৈধ আগ্রাসন স্থানীয় সময় ভোর ৪টার মধ্যে বন্ধ করে, তাহলে আমাদের আর পাল্টা প্রতিক্রিয়া চালানোর কোনো ইচ্ছা নেই।’
আরাঘচি আরও জানান, ‘আমাদের সামরিক অভিযান বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে।’ আরাঘচি পরে এক্সের আরেকটি বিবৃতি দেন। তিনি জানান, ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ইরানের সামরিক অভিযান শেষ মুহূর্ত, অর্থাৎ ভোর ৪টা পর্যন্ত চলেছে।
তিনি বলেন, ‘সব ইরানির সঙ্গে আমিও আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, যারা দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত প্রস্তুত ছিল এবং শত্রুর যেকোনো হামলার জবাব দিয়েছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।’
ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আনতে মধ্যস্থতা করেছে কাতার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কূটনৈতিক সূত্র ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুসালেম পোস্টকে এই তথ্য জানান। স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। তবে ইরান এই যুদ্ধবিরতির বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
ট্রাম্প তাঁর নিজ মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে জানান, জেরুজালেম ও তেহরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে এবং তা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হবে। ট্রাম্প বলেন, ইরান সঙ্গে সঙ্গে হামলা বন্ধ করবে এবং চুক্তির ১২ ঘণ্টা পর ইসরায়েলও যুদ্ধবিরতিতে যোগ দেবে। ২৪ ঘণ্টা শেষে উভয় পক্ষ ১২ দিন ধরে চলা যুদ্ধের অবসান মেনে নেবে।
জেরুজালেম পোস্টের কাছে সংশ্লিষ্ট এক সূত্র জানায়, এই চুক্তি হওয়ার আগে ট্রাম্প কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে কথা বলেন। এরপর যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানির সঙ্গে কথা বলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গতকাল সোমবার কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের হামলার পর কাতারের প্রধানমন্ত্রী ইরানি কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং তেহরানকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত করান। এক কর্মকর্তার বরাতে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থাটি।
ওই ফোনালাপের আগে ট্রাম্প কাতারের আমিরকে জানান, ইসরায়েল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে এবং ইরানকে রাজি করাতে দোহাকে সহায়তা করতে বলেন তিনি। পরে আরেক পোস্টে ট্রাম্প কাতারের আমিরকে ধন্যবাদ জানান এবং লিখেন, ‘বিশ্ববাসীকে অভিনন্দন, এবার শান্তির সময়!’
এ ঘোষণার কয়েক ঘণ্টা আগে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালায়। এর মধ্যে কাতার ও ইরাকের ঘাঁটিও ছিল। পরে ট্রাম্প এই হামলাকে ‘খুব দুর্বল’ বলে উল্লেখ করেন। তবে সিএনএনের খবরে দাবি করা হয়েছে, তেহরান কখনো যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবই পায়নি। ইরানি এক কর্মকর্তা বলেন, তারা যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের নেতাদের বক্তব্যকে ’প্রতারণা’ হিসেবে দেখবে, যার মাধ্যমে তারা ইরানের ওপর হামলা চালানোর যুক্তি দাঁড় করাতে চায়।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত ইসরায়েল ট্রাম্পের ঘোষণার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি বা সামরিক অভিযান বন্ধের বিষয়ে কোনো সমঝোতা হয়নি। তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘তবে, যদি ইসরায়েলি রেজিম আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে তাদের অবৈধ আগ্রাসন স্থানীয় সময় ভোর ৪টার মধ্যে বন্ধ করে, তাহলে আমাদের আর পাল্টা প্রতিক্রিয়া চালানোর কোনো ইচ্ছা নেই।’
আরাঘচি আরও জানান, ‘আমাদের সামরিক অভিযান বন্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরে নেওয়া হবে।’ আরাঘচি পরে এক্সের আরেকটি বিবৃতি দেন। তিনি জানান, ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার জন্য ইরানের সামরিক অভিযান শেষ মুহূর্ত, অর্থাৎ ভোর ৪টা পর্যন্ত চলেছে।
তিনি বলেন, ‘সব ইরানির সঙ্গে আমিও আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই, যারা দেশের প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত প্রস্তুত ছিল এবং শত্রুর যেকোনো হামলার জবাব দিয়েছে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।’
ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলায় ১২ দিন ধরে উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য। গতকাল সোমবার স্থানীয় সময় রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হঠাৎ সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে একটি পোস্ট দিয়ে জানান, যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বিবদমান দুপক্ষ।
১১ মিনিট আগেলন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে মুম্বাই ফিরছিল বিমানটি। মাঝ আকাশে ফ্লাইটের ১১ জন যাত্রী ও কেবিন ক্রু হঠাৎ বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরা এবং পেট ব্যথার সমস্যায় পড়েন। ক্রমেই বাড়তে থাকে অস্বস্তি। পাইলটরা দ্রুত মুম্বাই এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করে পরিস্থিতির কথা জানান।
১ ঘণ্টা আগেব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও নাটকীয়তার পর অবশেষে শেষ হয়েছে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যকার ১২ দিনের সংঘাত। অবশ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই সংঘাতকে ‘১২ দিনের যুদ্ধ’ বলেই আখ্যা দিয়েছেন। ইরান ও ইসরায়েল—দুই দেশের গণমাধ্যমই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
১ ঘণ্টা আগেযুদ্ধবিরতি নিয়ে ইরান ও ইসরায়েলের তরফ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো নিশ্চয়তা না আসলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট আবারও ট্রুথ সোশ্যালে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে তার দাবিকৃত যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রশংসা করেছেন। অথচ, এখনো দুই দেশ একে অপরের ভূখণ্ডে প্রাণঘাতী হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগে