অনলাইন ডেস্ক
ইকুয়েডরের একটি প্রত্যন্ত আমাজনীয় গ্রামে এক ব্রিটিশ নাগরিককে গণপিটুনি দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। নিহত ওই ব্যক্তি স্থানীয় একজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সানডে টাইমস জানিয়েছে, গত ২০ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটেছে ইকুয়েডরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুকুম্বিওস প্রদেশের প্লায়াস দেল কুয়ায়াবেনো নামে একটি পর্যটন এলাকায়। এটি কুয়ায়াবেনো ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় গণমাধ্যম এই ঘটনাকে ‘একটি চমকপ্রদ সামাজিক বিচারের উদাহরণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা জানিয়েছে, একদল গ্রামবাসী পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে সন্দেহভাজন ব্রিটিশ নাগরিককে টেনে রাস্তায় বের করে এনে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে।
‘এক্সট্রা’ নামে স্থানীয় একটি পত্রিকা জানায়, নিহত ব্যক্তি একজন ‘ইংরেজ নাগরিক’। তবে তাঁর পরিচয় বা নাম প্রকাশ করা হয়নি। ২০ এপ্রিল ভোর ৬টার দিকে গ্রামবাসী তাঁকে আটক করে মারধর করে এবং দাবি করে, তিনি একজন স্থানীয়কে গুলি করে হত্যা করেছেন।
পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় এবং নিরাপত্তার জন্য তাঁকে সেখানকার থানায় রাখে। পরিকল্পনা ছিল, সরকারি বিশেষ বাহিনী এসে তাঁকে ওই প্রদেশের রাজধানী লাগো আগ্রিওতে নিয়ে যাবে, যা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে।
কিন্তু পুলিশের প্রতিবেদনে জানা গেছে—প্রত্যন্ত নদীবেষ্টিত ওই অঞ্চলের ভৌগোলিক জটিলতার কারণে বিশেষ বাহিনী সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি। এ অবস্থায় প্রায় ছয় ঘণ্টা পর স্থানীয় অসংখ্য মানুষ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে থানার ভেতর থেকে টেনে বের করে। পুলিশ তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘অ্যাকুয়াভিসা’ জানিয়েছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গ্রামবাসীরা তাঁকে পুড়িয়ে দেয়। ঘটনাটি একটি কিচওয়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানের শেষে ঘটে। কিচওয়ারা ইকুয়েডরের আমাজন অঞ্চলের সবচেয়ে বড় আদিবাসী গোষ্ঠী। এদের সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার।
ইকুয়েডরের সংবিধানের ১৭১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আদিবাসী সম্প্রদায়গুলো তাদের নিজস্ব প্রথা ও আইন অনুযায়ী বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। তবে এই প্রয়োগ জাতীয় আইন বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারবে না।
স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, এই ধরনের গণপিটুনি ও হত্যা ইকুয়েডরের ফৌজদারি আইনের আওতায় ‘হত্যা’ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর তা তদন্ত করতে পারে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।
ইকুয়েডরের একটি প্রত্যন্ত আমাজনীয় গ্রামে এক ব্রিটিশ নাগরিককে গণপিটুনি দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। নিহত ওই ব্যক্তি স্থানীয় একজনকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে পুলিশের হেফাজতে ছিলেন।
মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য-ভিত্তিক সানডে টাইমস জানিয়েছে, গত ২০ এপ্রিল ঘটনাটি ঘটেছে ইকুয়েডরের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সুকুম্বিওস প্রদেশের প্লায়াস দেল কুয়ায়াবেনো নামে একটি পর্যটন এলাকায়। এটি কুয়ায়াবেনো ওয়াইল্ডলাইফ রিজার্ভের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় গণমাধ্যম এই ঘটনাকে ‘একটি চমকপ্রদ সামাজিক বিচারের উদাহরণ’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তারা জানিয়েছে, একদল গ্রামবাসী পুলিশ স্টেশনে হামলা চালিয়ে সন্দেহভাজন ব্রিটিশ নাগরিককে টেনে রাস্তায় বের করে এনে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করে।
‘এক্সট্রা’ নামে স্থানীয় একটি পত্রিকা জানায়, নিহত ব্যক্তি একজন ‘ইংরেজ নাগরিক’। তবে তাঁর পরিচয় বা নাম প্রকাশ করা হয়নি। ২০ এপ্রিল ভোর ৬টার দিকে গ্রামবাসী তাঁকে আটক করে মারধর করে এবং দাবি করে, তিনি একজন স্থানীয়কে গুলি করে হত্যা করেছেন।
পরে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় এবং নিরাপত্তার জন্য তাঁকে সেখানকার থানায় রাখে। পরিকল্পনা ছিল, সরকারি বিশেষ বাহিনী এসে তাঁকে ওই প্রদেশের রাজধানী লাগো আগ্রিওতে নিয়ে যাবে, যা ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে।
কিন্তু পুলিশের প্রতিবেদনে জানা গেছে—প্রত্যন্ত নদীবেষ্টিত ওই অঞ্চলের ভৌগোলিক জটিলতার কারণে বিশেষ বাহিনী সময়মতো পৌঁছাতে পারেনি। এ অবস্থায় প্রায় ছয় ঘণ্টা পর স্থানীয় অসংখ্য মানুষ পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে ওই ব্যক্তিকে থানার ভেতর থেকে টেনে বের করে। পুলিশ তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘অ্যাকুয়াভিসা’ জানিয়েছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গ্রামবাসীরা তাঁকে পুড়িয়ে দেয়। ঘটনাটি একটি কিচওয়া আদিবাসী সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানের শেষে ঘটে। কিচওয়ারা ইকুয়েডরের আমাজন অঞ্চলের সবচেয়ে বড় আদিবাসী গোষ্ঠী। এদের সংখ্যা প্রায় ৫৫ হাজার।
ইকুয়েডরের সংবিধানের ১৭১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, আদিবাসী সম্প্রদায়গুলো তাদের নিজস্ব প্রথা ও আইন অনুযায়ী বিচারিক ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। তবে এই প্রয়োগ জাতীয় আইন বা আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হতে পারবে না।
স্থানীয় গণমাধ্যমের মতে, এই ধরনের গণপিটুনি ও হত্যা ইকুয়েডরের ফৌজদারি আইনের আওতায় ‘হত্যা’ হিসেবে বিবেচিত হয় এবং রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর তা তদন্ত করতে পারে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে।
ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের এমপি ও দলটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধীকে আটক করেছে দিল্লি পুলিশ। নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
২৯ মিনিট আগেছিন্নমূল মানুষদের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে ছাড়তে বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শহরের অপরাধ দমন করার অঙ্গীকার পূরণে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। গতকাল রোববার এক পোস্টে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘আমরা আপনাদের থাকার জায়গা দেব, তবে রাজধানী থেকে অনেক দূরে।’
১ ঘণ্টা আগেআফগানিস্তানে জাতিসংঘের নারী কর্মীদের হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। রোববার আফগানিস্তানের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে সর্বশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ। ওই প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভয়াবহ এই তথ্য। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, জাতিসংঘের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর মে মাসে...
১ ঘণ্টা আগেভারতে রাখি বন্ধন উদ্যাপনের পর বোনকে হত্যা করেছে অরবিন্দ নামের এক যুবক। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, বোনের প্রেমের সম্পর্ক মানতে না পেরে তাকে হত্যা করেছে ২৫ বছর বয়সী ওই যুবক। উত্তর প্রদেশের ঝাঁসি জেলার গারউথা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
২ ঘণ্টা আগে