Ajker Patrika

সেবা নিশ্চিতে পশ্চিমবঙ্গে আবারও চালু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’

কলকাতা প্রতিনিধি
সেবা নিশ্চিতে পশ্চিমবঙ্গে আবারও চালু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’

নাগরিকদের দরজার সামনে সরকারি পরিষেবা পৌঁছে দিতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে আবারও শুরু হচ্ছে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। আগামী ১ নভেম্বর থেকে রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় ‘দুয়ারের সরকার’ প্রকল্পের কার্যক্রম চালিয়ে নিতে স্থাপন করা হবে অস্থায়ী প্রশাসনিক শিবির।

এসব অস্থায়ী শিবিরে—নাগরিকদের বিভিন্ন আবেদন গ্রহণ করা হবে। রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, বার্ধক্য ভাতা থেকে শুরু করে সরকারি সব পরিষেবার নাম নথিভুক্ত করা যাবে এসব শিবির থেকেই। এখন থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ ও খাস জমি ব্যবহারকারীরা জমির পাট্টার জন্যও ‘দুয়ারে সরকারে’ আবেদন করতে পারবেন।

পশ্চিমবঙ্গের গ্রামগুলোতে সামনেই স্থানীয় প্রশাসন বা পঞ্চায়েতের নির্বাচন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই নির্বাচনের কথা মাথায় রেখেই জনসংযোগ বাড়াতে তৃণমূল নেত্রী ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি নতুন করে ‘দুয়ারে সরকার’ চালু করছেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই প্রকল্পকে কটাক্ষ করে বলেছেন, ‘দুয়ারে সরকার করার পরিবর্তে শ্বেতপত্র প্রকাশ করে তৃণমূল নেতারা জানিয়ে দিক তাঁদের দলের কোন নেতা কত টাকা চুরি করেছেন।’ তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিতে নিমজ্জিত। বিজেপির নেতার এমন কটাক্ষের জবাবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘বিজেপির পশ্চিমবঙ্গে কোনো জনভিত্তি নেই। এখানকার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই তাদের কথার কোনো গুরুত্ব নেই।’

এদিকে, রাজ্য বিজেপির সহসভাপতি সায়ন্তন ঘোষের বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ্যে চলে আসায় বিজেপিতে অস্বস্তি শুরু হয়েছে। চিঠিতে সায়ন্তন অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের নেতাদের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ভয় দেখিয়ে বিজেপির কিছু নেতা দলে টানার চেষ্টা করছেন। তাঁর চিঠি ফাঁসের পরপরই এই বিষয়ে তদন্ত দাবি করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত