অনলাইন ডেস্ক
ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যে আলাদাভাবে বিনিয়োগ টানতে বিশেষ বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে দিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সময়ের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের গুরুত্ব বাড়তে থাকবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন উত্তর-পূর্ব বিনিয়োগকারী সম্মেলন-২০২৫-এর সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে জয়শঙ্কর তাঁদের এই অঞ্চলের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার এবং এর সম্ভাবনা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকার ও শিল্প উদ্যোক্তাদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার জয়শঙ্কর বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। যেমন ‘সবার আগে প্রতিবেশী নীতি’, ‘অ্যাক্ট ইস্ট নীতি’ অথবা ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন বা বিমসটেকের’ জন্য এই অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘উত্তর-পূর্বের স্থলভাগের সঙ্গে আমাদের পাঁচটি প্রতিবেশী রয়েছে। এই অঞ্চলের সীমানা ভারতীয় উপমহাদেশ এবং আসিয়ানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের নিকটতম প্রতিবেশীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক অনেক উদ্যোগ এই অঞ্চল থেকেই শুরু হয়েছে।’ এ সময় ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক ও কালাদান প্রকল্পের মতো অন্যান্য উদ্যোগও সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব দিক থেকেই এটি একটি কেন্দ্রস্থল, যার প্রাসঙ্গিকতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা চাই আপনারা এর সম্ভাবনাগুলোর সঙ্গে পরিচিত হোন এবং আপনাদের সরকার ও শিল্প উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তা শেয়ার করুন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করুন।’
পরে জয়শঙ্কর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার, পর্যটনকেন্দ্র এবং বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রে অবদানকারী হিসেবে উত্তর-পূর্বের ক্রমবর্ধমান প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেছি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী, আসন্ন উত্তর-পূর্ব বিনিয়োগকারী সম্মেলন এই অঞ্চলের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবে এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।’
এর আগে, ৩ এপ্রিল জয়শঙ্কর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক মন্তব্যের সমালোচনা করেন। এর কয়েক দিন আগে ড. ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ‘স্থলবেষ্টিত’ বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের ‘সমুদ্র প্রবেশের একমাত্র অভিভাবক’ হিসেবে আখ্যা দেন।
আরও খবর পড়ুন:
ভারতের সেভেন সিস্টার্স খ্যাত উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সাতটি রাজ্যে আলাদাভাবে বিনিয়োগ টানতে বিশেষ বিনিয়োগ সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে দিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, সময়ের সঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের গুরুত্ব বাড়তে থাকবে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
আসন্ন উত্তর-পূর্ব বিনিয়োগকারী সম্মেলন-২০২৫-এর সম্ভাব্য অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে জয়শঙ্কর তাঁদের এই অঞ্চলের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার এবং এর সম্ভাবনা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকার ও শিল্প উদ্যোক্তাদের কাছে তুলে ধরার আহ্বান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার জয়শঙ্কর বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ভারতের অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। যেমন ‘সবার আগে প্রতিবেশী নীতি’, ‘অ্যাক্ট ইস্ট নীতি’ অথবা ‘বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশন বা বিমসটেকের’ জন্য এই অঞ্চল গুরুত্বপূর্ণ।
জয়শঙ্কর বলেন, ‘উত্তর-পূর্বের স্থলভাগের সঙ্গে আমাদের পাঁচটি প্রতিবেশী রয়েছে। এই অঞ্চলের সীমানা ভারতীয় উপমহাদেশ এবং আসিয়ানের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করে।’ তিনি বলেন, ‘ভারতের নিকটতম প্রতিবেশীদের সঙ্গে সাম্প্রতিক অনেক উদ্যোগ এই অঞ্চল থেকেই শুরু হয়েছে।’ এ সময় ত্রিপক্ষীয় মহাসড়ক ও কালাদান প্রকল্পের মতো অন্যান্য উদ্যোগও সমান গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সব দিক থেকেই এটি একটি কেন্দ্রস্থল, যার প্রাসঙ্গিকতা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়বে।’ তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে অগ্রাধিকার দিয়েছে। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা চাই আপনারা এর সম্ভাবনাগুলোর সঙ্গে পরিচিত হোন এবং আপনাদের সরকার ও শিল্প উদ্যোক্তাদের সঙ্গে তা শেয়ার করুন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করুন।’
পরে জয়শঙ্কর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টে রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রবেশদ্বার, পর্যটনকেন্দ্র এবং বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রে অবদানকারী হিসেবে উত্তর-পূর্বের ক্রমবর্ধমান প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেছি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী, আসন্ন উত্তর-পূর্ব বিনিয়োগকারী সম্মেলন এই অঞ্চলের বিপুল সম্ভাবনাকে কাজে লাগাবে এবং বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করবে।’
এর আগে, ৩ এপ্রিল জয়শঙ্কর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এক মন্তব্যের সমালোচনা করেন। এর কয়েক দিন আগে ড. ইউনূস ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলকে ‘স্থলবেষ্টিত’ বলে উল্লেখ করে বাংলাদেশকে এই অঞ্চলের ‘সমুদ্র প্রবেশের একমাত্র অভিভাবক’ হিসেবে আখ্যা দেন।
আরও খবর পড়ুন:
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৫ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৬ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৬ ঘণ্টা আগে