ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে চলমান মহাকুম্ভ মেলা আলোচনায় এনেছে এক অনন্য আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বকে। ‘আইআইটি বাবা’ হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আইআইটি বোম্বে থেকে স্নাতক অভয় সিং পরবর্তীতে মহাকাশ প্রকৌশলী হিসেবেও কাজ করেছেন। কিন্তু এই সব কিছু ত্যাগ করে এখন তিনি আধ্যাত্মিক জীবন বেছে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর পরিবার এখনো আশা করছেন তিনি আবার বাড়ি ফিরবেন এবং স্বাভাবিক জীবন শুরু করবেন।
অভয়ের বাবা করণ গ্রেটওয়াল হরিয়ানার আইনজীবী। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবার চায় অভয় বাড়ি ফিরুক। তবে এত কিছু অর্জন করার পর, তার পক্ষে ফিরে আসা সহজ নয়।’
করন গ্রেওয়াল জানান, পড়াশোনায় সব সময় অসাধারণ ছিলেন অভয়। আইআইটি বোম্বে থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ডিজাইন নিয়ে মাস্টার্স করেন এবং দিল্লি ও কানাডায় কাজ করেন। পরবর্তীতে কানাডা ছেড়ে ভারতে ফিরে আসেন এবং শীতকালে শিমলা, মুসৌরি ও ধর্মশালার মতো আধ্যাত্মিক স্থানগুলোতে সময় কাটান।
করন গ্রেওয়াল বলেন, ‘এরপরই সে সন্ন্যাসী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে সব সময় আধ্যাত্মিকতায় আগ্রহী ছিল।’
ছয় মাস আগেও বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অভয়ের। করণ গ্রেটওয়াল বলেন, ‘এরপর সে আমাকে ব্লক করে দেয় এবং সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে।’
করণ আরও বলেন, ‘পরিবারকে দেখভাল করার জন্য তার মা তাকে বাড়ি ফিরতে বলেছিল। তবে সে জানায়, সন্ন্যাসী হওয়ার পর এটি আর সম্ভব নয়।’
ছেলের সিদ্ধান্ত নিয়ে করণ বলেন, ‘সে সব সময় স্বাধীনচেতা ছিল। সে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিজেই নিয়েছে। প্রত্যেকেরই তাদের জীবন বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে এবং আমি তাকে চাপ দিতে পারি না।’
সন্তানকে আরেকবার বোঝানোর চেষ্টা করবেন কিনা জানতে চাইলে করণ বলেন, ‘আমি চেষ্টা করব। তবে আমার মনে হয়, এই পর্যায়ে পৌঁছে সে আমাদের কথা শুনবে না।’
এর আগে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইআইটি বাবা অভয় সিং জানিয়েছিলেন, শৈশবে পরিবারের অশান্তি তাঁর আধ্যাত্মিক পথে আসার পেছনে বড় কারণ। তিনি নিজে সরাসরি পারিবারিক সহিংসতার শিকার না হলেও বাবা-মায়ের ঝগড়া তাঁকে মানসিকভাবে আঘাত করেছিল।
অভয় বলেন, ‘পরিবারের অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে আমি রাত জেগে পড়াশোনা করতাম।’
বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অভয় বলেন, ‘বাবা-মায়ের সম্পর্কের অশান্তি দেখে আমি একা শান্তিতে থাকার পথ বেছে নিয়েছি।’
আইআইটি বাবার জীবন এবং তাঁর সিদ্ধান্তের পেছনের গল্প তাঁকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে এবং পরিবার তাঁর আধ্যাত্মিক পথকে স্বীকার করলেও তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার আকাঙ্ক্ষা এখনো ছাড়েনি।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে চলমান মহাকুম্ভ মেলা আলোচনায় এনেছে এক অনন্য আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বকে। ‘আইআইটি বাবা’ হিসেবে তিনি ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, আইআইটি বোম্বে থেকে স্নাতক অভয় সিং পরবর্তীতে মহাকাশ প্রকৌশলী হিসেবেও কাজ করেছেন। কিন্তু এই সব কিছু ত্যাগ করে এখন তিনি আধ্যাত্মিক জীবন বেছে নিয়েছেন। কিন্তু তাঁর পরিবার এখনো আশা করছেন তিনি আবার বাড়ি ফিরবেন এবং স্বাভাবিক জীবন শুরু করবেন।
অভয়ের বাবা করণ গ্রেটওয়াল হরিয়ানার আইনজীবী। এনডিটিভিকে তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিবার চায় অভয় বাড়ি ফিরুক। তবে এত কিছু অর্জন করার পর, তার পক্ষে ফিরে আসা সহজ নয়।’
করন গ্রেওয়াল জানান, পড়াশোনায় সব সময় অসাধারণ ছিলেন অভয়। আইআইটি বোম্বে থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি ডিজাইন নিয়ে মাস্টার্স করেন এবং দিল্লি ও কানাডায় কাজ করেন। পরবর্তীতে কানাডা ছেড়ে ভারতে ফিরে আসেন এবং শীতকালে শিমলা, মুসৌরি ও ধর্মশালার মতো আধ্যাত্মিক স্থানগুলোতে সময় কাটান।
করন গ্রেওয়াল বলেন, ‘এরপরই সে সন্ন্যাসী হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সে সব সময় আধ্যাত্মিকতায় আগ্রহী ছিল।’
ছয় মাস আগেও বাবার সঙ্গে যোগাযোগ ছিল অভয়ের। করণ গ্রেটওয়াল বলেন, ‘এরপর সে আমাকে ব্লক করে দেয় এবং সমস্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে।’
করণ আরও বলেন, ‘পরিবারকে দেখভাল করার জন্য তার মা তাকে বাড়ি ফিরতে বলেছিল। তবে সে জানায়, সন্ন্যাসী হওয়ার পর এটি আর সম্ভব নয়।’
ছেলের সিদ্ধান্ত নিয়ে করণ বলেন, ‘সে সব সময় স্বাধীনচেতা ছিল। সে যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা নিজেই নিয়েছে। প্রত্যেকেরই তাদের জীবন বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে এবং আমি তাকে চাপ দিতে পারি না।’
সন্তানকে আরেকবার বোঝানোর চেষ্টা করবেন কিনা জানতে চাইলে করণ বলেন, ‘আমি চেষ্টা করব। তবে আমার মনে হয়, এই পর্যায়ে পৌঁছে সে আমাদের কথা শুনবে না।’
এর আগে এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আইআইটি বাবা অভয় সিং জানিয়েছিলেন, শৈশবে পরিবারের অশান্তি তাঁর আধ্যাত্মিক পথে আসার পেছনে বড় কারণ। তিনি নিজে সরাসরি পারিবারিক সহিংসতার শিকার না হলেও বাবা-মায়ের ঝগড়া তাঁকে মানসিকভাবে আঘাত করেছিল।
অভয় বলেন, ‘পরিবারের অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে আমি রাত জেগে পড়াশোনা করতাম।’
বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়ে অভয় বলেন, ‘বাবা-মায়ের সম্পর্কের অশান্তি দেখে আমি একা শান্তিতে থাকার পথ বেছে নিয়েছি।’
আইআইটি বাবার জীবন এবং তাঁর সিদ্ধান্তের পেছনের গল্প তাঁকে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এনেছে এবং পরিবার তাঁর আধ্যাত্মিক পথকে স্বীকার করলেও তাঁকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার আকাঙ্ক্ষা এখনো ছাড়েনি।
‘এই লোক বলেন এক কথা, করেন ঠিক আরেকটা’—মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে বাংকার বাস্টার বোমা ফেলবেন কি না, তা নিয়ে যখন ব্যাপক গুঞ্জন; তখনই এ মন্তব্য করেন এক রাজনৈতিক ভাষ্যকার। ট্রাম্পের কাজকর্মের ধরন সম্পর্কে তাঁর এ কথায় একমত লোকের অভাব হবে না, তা ভরসা নিয়েই বলা যায়। আর জনমনের সেই ধারণা সত্যি
৫ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।
৫ ঘণ্টা আগেইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহানে তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্রে গত শনিবার দিবাগত রাতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, খুব সফলভাবে অভিযানটি পরিচালিত হয়েছে। তবে ইরানের দাবি, মার্কিন বোমায় পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোর খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
৫ ঘণ্টা আগে