‘সদগুরু’ হিসেবে অধিক পরিচিত ভারতীয় আধ্যাত্মিক নেতা জগ্গি বাসুদেব নিজের কন্যাকে ভরতনট্টম নাচ শিখিয়েছিলেন। ধুমধাম করে কন্যার বিয়েও দিয়েছেন ভারতীয় এক সংগীত শিল্পীর সঙ্গে। সেই তিনিই কি-না আবার অন্য মেয়েদের মাথা ন্যাড়া করে পার্থিব জীবন ত্যাগ করার মন্ত্র দেন। সদগুরুর জীবনের এমন বৈপরীত্য নিয়ে গত সোমবার প্রশ্ন তুলেছে মাদ্রাস হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আদালতে অভিযোগ করেছেন—তাঁর দুই সুশিক্ষিত কন্যাকে সদগুরুর প্রতিষ্ঠিত ইশা যোগ আশ্রমে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য ‘মগজ ধোলাই’ করা হয়েছে। অধ্যাপকের অভিযোগের ভিত্তিতেই সদগুরুর জীবনাচার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি এস এম সুব্রামানিয়াম এবং ভি শিবগ্নানামের একটি বেঞ্চ।
তামিলনাড়ু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস কামরাজ আদালতে তাঁর কন্যাদের সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য একটি আবেদন করেছিলেন। গতকাল সোমবার কন্যারা আদালতে হাজিরও হন। কিন্তু ৪২ এবং ৩৯ বছর বয়সী তাঁর দুই কন্যা আদালতকে সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন—তারা নিজের ইচ্ছায়ই ইশা ফাউন্ডেশনে অবস্থান করছেন। তাঁদের কেউ জোর করে আটকে রাখছে না।
দুই কন্যার জন্য অধ্যাপক পিতার এই মামলাটি প্রায় এক দশকের পুরোনো। এর আগেও পিতার আবেদনে আদালতে হাজির হয়ে একই রকম বক্তব্য দিয়েছিলেন কন্যারা। অধ্যাপক এস কামরাজ এবং তাঁর স্ত্রী দাবি করে আসছেন, কন্যারা ছেড়ে যাওয়ার পর তাঁদের জীবন নরকের মতো হয়ে গেছে।
বিচারকেরা অবশ্য মামলাটি আরও তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ইশা ফাউন্ডেশন সম্পর্কিত সব মামলার একটি তালিকা তৈরি করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি শিবগ্নানাম বলেন, ‘আমরা জানতে চাই, একজন ব্যক্তি যে তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন এবং তাঁকে জীবনে ভালোভাবে স্থির করেছেন, তিনি কেন অন্যের কন্যাদের মাথা কামিয়ে এক আশ্রমবাসীর মতো জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করছেন।’
এ বিষয়ে ইশা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলে আসছে, নারীদের কাউকেই জোর করে তাদের আশ্রমে রাখা হয় না। তাঁরা নিজের ইচ্ছায়ই তাঁদের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন।
ইশা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নিজের পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা এবং ক্ষমতা আছে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের। আমরা বিবাহ কিংবা সন্ন্যাস চাপিয়ে দিই না। কারণ এগুলো ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। ইশা যোগ কেন্দ্র হাজার হাজার মানুষ আসেন। তারা সবাই সন্ন্যাসী নন। তাদের মধ্যে কিছু আছেন যারা ব্রহ্মচর্য বা সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন।’
‘সদগুরু’ হিসেবে অধিক পরিচিত ভারতীয় আধ্যাত্মিক নেতা জগ্গি বাসুদেব নিজের কন্যাকে ভরতনট্টম নাচ শিখিয়েছিলেন। ধুমধাম করে কন্যার বিয়েও দিয়েছেন ভারতীয় এক সংগীত শিল্পীর সঙ্গে। সেই তিনিই কি-না আবার অন্য মেয়েদের মাথা ন্যাড়া করে পার্থিব জীবন ত্যাগ করার মন্ত্র দেন। সদগুরুর জীবনের এমন বৈপরীত্য নিয়ে গত সোমবার প্রশ্ন তুলেছে মাদ্রাস হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার এনডিটিভি জানিয়েছে, একজন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আদালতে অভিযোগ করেছেন—তাঁর দুই সুশিক্ষিত কন্যাকে সদগুরুর প্রতিষ্ঠিত ইশা যোগ আশ্রমে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য ‘মগজ ধোলাই’ করা হয়েছে। অধ্যাপকের অভিযোগের ভিত্তিতেই সদগুরুর জীবনাচার নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি এস এম সুব্রামানিয়াম এবং ভি শিবগ্নানামের একটি বেঞ্চ।
তামিলনাড়ু কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এস কামরাজ আদালতে তাঁর কন্যাদের সশরীরে উপস্থিত হওয়ার জন্য একটি আবেদন করেছিলেন। গতকাল সোমবার কন্যারা আদালতে হাজিরও হন। কিন্তু ৪২ এবং ৩৯ বছর বয়সী তাঁর দুই কন্যা আদালতকে সোজাসাপ্টা জানিয়ে দেন—তারা নিজের ইচ্ছায়ই ইশা ফাউন্ডেশনে অবস্থান করছেন। তাঁদের কেউ জোর করে আটকে রাখছে না।
দুই কন্যার জন্য অধ্যাপক পিতার এই মামলাটি প্রায় এক দশকের পুরোনো। এর আগেও পিতার আবেদনে আদালতে হাজির হয়ে একই রকম বক্তব্য দিয়েছিলেন কন্যারা। অধ্যাপক এস কামরাজ এবং তাঁর স্ত্রী দাবি করে আসছেন, কন্যারা ছেড়ে যাওয়ার পর তাঁদের জীবন নরকের মতো হয়ে গেছে।
বিচারকেরা অবশ্য মামলাটি আরও তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং ইশা ফাউন্ডেশন সম্পর্কিত সব মামলার একটি তালিকা তৈরি করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন।
বিচারপতি শিবগ্নানাম বলেন, ‘আমরা জানতে চাই, একজন ব্যক্তি যে তার মেয়েকে বিয়ে দিয়েছিলেন এবং তাঁকে জীবনে ভালোভাবে স্থির করেছেন, তিনি কেন অন্যের কন্যাদের মাথা কামিয়ে এক আশ্রমবাসীর মতো জীবনযাপন করতে উৎসাহিত করছেন।’
এ বিষয়ে ইশা ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ জোর দিয়ে বলে আসছে, নারীদের কাউকেই জোর করে তাদের আশ্রমে রাখা হয় না। তাঁরা নিজের ইচ্ছায়ই তাঁদের সঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন।
ইশা ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নিজের পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা এবং ক্ষমতা আছে প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের। আমরা বিবাহ কিংবা সন্ন্যাস চাপিয়ে দিই না। কারণ এগুলো ব্যক্তিগত পছন্দের বিষয়। ইশা যোগ কেন্দ্র হাজার হাজার মানুষ আসেন। তারা সবাই সন্ন্যাসী নন। তাদের মধ্যে কিছু আছেন যারা ব্রহ্মচর্য বা সন্ন্যাস গ্রহণ করেছেন।’
ওয়াশিংটনে ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তুরস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে দেশটির কাছে আবারও নিজেদের তৈরি উন্নত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাঁচ বছরের শিশু টিম হ্রিশচুক কল্পনাও করেনি, তার স্কুলজীবনের প্রথম দিনটি কাটাতে হবে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে। ২ সেপ্টেম্বর সকালে যখন বিমান হামলার সাইরেন বাজল, তখন সে এবং তার সহপাঠীরা ক্লাসরুম ছেড়ে সোজা চলে যায় বাংকারে।
৯ ঘণ্টা আগেপ্রায় ৬০ বছর পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন সিরিয়ার কোনো নেতা। এ নেতা আর কেউ নন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা। তাঁর এ যাত্রা এক অপ্রত্যাশিত মাইলফলক। একসময় আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত শারা ছিলেন সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার নেতা।
৯ ঘণ্টা আগেব্যবসার সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কফি জায়ান্ট স্টারবাকস। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কয়েক শ ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সদর দপ্তরে নতুন করে ছাঁটাই করা হবে। এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে।
১০ ঘণ্টা আগে