কানাডার আবাসিক স্কুলগুলোতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্রতি রোমান ক্যাথলিক চার্চের ভূমিকায় ক্ষমা চেয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। শুক্রবার ভ্যাটিকানে কানাডার আদিবাসীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পোপ এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কানাডার আবাসিক স্কুলগুলোতে স্থানীয় আদিবাসী শিশুদের কয়েক দশক ধরে জোরপূর্বক পড়তে বাধ্য করা হয়েছিল এবং তাদের মূলধারার ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে জোরপূর্বক আত্তীকরণের লক্ষ্য ছিল।
আদিবাসী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার সময় পোপ ফ্রান্সিস বলেন, স্কুলে পড়ার সময় আদিবাসী শিশুরা যে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, তাতে ক্যাথলিক চার্চের ভূমিকার জন্য তিনি ‘দুঃখ ও লজ্জা’ অনুভব করছেন।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘ক্যাথলিক চার্চের সদস্যদের শোচনীয় আচরণের জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। আমি আপনাদের আমার হৃদয়ের সমগ্রটা দিয়ে বলতে চাই, আমি খুব দুঃখিত এবং আমি আমার ভাইদের বলতে চাই, কানাডার বিশপ, আপনিও ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’
কানাডার মেটিস, ইনুইট, ফার্স্ট ন্যাশনসসহ বেশ কয়েকটি আদিবাসী গোষ্ঠীর নেতাদের সম্মিলিত এক প্রতিনিধিদল চলতি সপ্তাহে ভ্যাটিকানে যান পোপের সঙ্গে বৈঠক করতে এবং কানাডায় আদিবাসীদের প্রতি ক্যাথলিক চার্চের করা অন্যায়ের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে।
১৮০০ সাল থেকে বিগত শতকের ৯০-এর দশক পর্যন্ত কানাডায় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ফার্স্ট ন্যাশনস, ইনুইট ও মেটিস আদিবাসী গোষ্ঠীর শিশুদের বিভিন্ন আবাসিক স্কুলে পড়তে বাধ্য করেছিল। সেখানে সেসব আদিবাসী শিশুকে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল, তাদের ভাইবোনদের থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। এমনকি মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল সেই সব শিশু।
এ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা কানাডার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন (টিআরসি) নামে পরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান ২০১৫ সালে এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে কানাডার আবাসিক স্কুলগুলোর এই ব্যবস্থা ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’র সমতুল্য। এসব স্কুলে যোগ দেওয়ার পর হাজার হাজার আদিবাসী শিক্ষার্থী মারা গেছে বলে ধারণা করা হয়।
উল্লেখ্য, এসব স্কুলের বেশির ভাগই রোমান ক্যাথলিক চার্চ দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
তবে, কানাডার অন্যান্য চার্চ আবাসিক স্কুলগুলোতে তাদের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইলেও ক্যাথলিক চার্চ এখনো ক্ষমা চায়নি।
কানাডার আবাসিক স্কুলগুলোতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের প্রতি রোমান ক্যাথলিক চার্চের ভূমিকায় ক্ষমা চেয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। শুক্রবার ভ্যাটিকানে কানাডার আদিবাসীদের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পোপ এই ক্ষমা প্রার্থনা করেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
কানাডার আবাসিক স্কুলগুলোতে স্থানীয় আদিবাসী শিশুদের কয়েক দশক ধরে জোরপূর্বক পড়তে বাধ্য করা হয়েছিল এবং তাদের মূলধারার ইউরোপীয় সংস্কৃতিতে জোরপূর্বক আত্তীকরণের লক্ষ্য ছিল।
আদিবাসী প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনার সময় পোপ ফ্রান্সিস বলেন, স্কুলে পড়ার সময় আদিবাসী শিশুরা যে নির্যাতনের শিকার হয়েছিল, তাতে ক্যাথলিক চার্চের ভূমিকার জন্য তিনি ‘দুঃখ ও লজ্জা’ অনুভব করছেন।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘ক্যাথলিক চার্চের সদস্যদের শোচনীয় আচরণের জন্য আমি ঈশ্বরের কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি। আমি আপনাদের আমার হৃদয়ের সমগ্রটা দিয়ে বলতে চাই, আমি খুব দুঃখিত এবং আমি আমার ভাইদের বলতে চাই, কানাডার বিশপ, আপনিও ক্ষমা প্রার্থনা করুন।’
কানাডার মেটিস, ইনুইট, ফার্স্ট ন্যাশনসসহ বেশ কয়েকটি আদিবাসী গোষ্ঠীর নেতাদের সম্মিলিত এক প্রতিনিধিদল চলতি সপ্তাহে ভ্যাটিকানে যান পোপের সঙ্গে বৈঠক করতে এবং কানাডায় আদিবাসীদের প্রতি ক্যাথলিক চার্চের করা অন্যায়ের ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে।
১৮০০ সাল থেকে বিগত শতকের ৯০-এর দশক পর্যন্ত কানাডায় প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি ফার্স্ট ন্যাশনস, ইনুইট ও মেটিস আদিবাসী গোষ্ঠীর শিশুদের বিভিন্ন আবাসিক স্কুলে পড়তে বাধ্য করেছিল। সেখানে সেসব আদিবাসী শিশুকে তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়েছিল, তাদের ভাইবোনদের থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছিল। এমনকি মানসিক, শারীরিক ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল সেই সব শিশু।
এ ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা কানাডার ট্রুথ অ্যান্ড রিকনসিলিয়েশন কমিশন (টিআরসি) নামে পরিচিত একটি প্রতিষ্ঠান ২০১৫ সালে এই উপসংহারে পৌঁছেছে যে কানাডার আবাসিক স্কুলগুলোর এই ব্যবস্থা ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’র সমতুল্য। এসব স্কুলে যোগ দেওয়ার পর হাজার হাজার আদিবাসী শিক্ষার্থী মারা গেছে বলে ধারণা করা হয়।
উল্লেখ্য, এসব স্কুলের বেশির ভাগই রোমান ক্যাথলিক চার্চ দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।
তবে, কানাডার অন্যান্য চার্চ আবাসিক স্কুলগুলোতে তাদের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চাইলেও ক্যাথলিক চার্চ এখনো ক্ষমা চায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৩ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৩ ঘণ্টা আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
৪ ঘণ্টা আগে