
ব্রিটেনের নির্বাচনে ভরাডুবির দায় স্বীকার করে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ চার্লস।
নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হলেও ঋষি সুনাক রিচমন্ড এবং নর্থালারটনের এমপি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি এখন কী করবেন সে সিদ্ধান্ত এখনো ঋষি সুনাকের হাতে বলেই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট।
সংবাদমাধ্যমটি এক প্রতিবেদনে জানায়, গুঞ্জন রয়েছে, নির্বাচনে হারের পর ঋষি সুনাক যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সুনাকের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড রয়েছে এমন সংবাদও এর আগে প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে তিনি জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড তিনি রাখেননি।
ক্যালিফোর্নিয়ায় ঋষি সুনাক এবং তাঁর স্ত্রীর অক্ষতা মূর্তির প্রায় ৬০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। সুনাক দম্পতি তাঁদের দুই কন্যাকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি প্রাইভেট স্কুলে ভর্তি করাতে চান। ইতিমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কলেজে উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন একটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনে এই দম্পতি ৩০ লাখ ডলারের অনুদান দিয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এমবিএ সম্পন্ন করেন সুনাক। এখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় অক্ষতা মূর্তির। দাম্পত্য জীবনের শুরুতে তাঁরা ক্যালিফোর্নিয়াতেই ছিলেন। সেখানে সুনাক হেজ ফান্ডে (বিনিয়োগ সংস্থা) কাজ করতেন।
দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার পরে রাজনীতি থেকে সরে সুনাক অনেকটা ব্যবসায়ী জীবনেই ফিরে যেতে পারেন বলে অনেকের ধারণা। ধারণা করা হচ্ছে, প্রযুক্তি আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোনো ব্যবসায় যুক্ত হতে পারেন তিনি। যদিও সুনাক জোর দিয়ে বলেছিলেন, রিচমন্ড এবং নর্থালারটনের আসনটি ধরে রাখতে পারলে তিনি আগামী পাঁচ বছর এমপি হিসেবেই থেকে যাবেন।
৬৫০ আসনবিশিষ্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ৪১২টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে লেবার পার্টি। যেখানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ৩২৬টি আসনের প্রয়োজন। ১৪ বছর পর এই দল সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। কনজারভেটিভ পার্টি গত সংসদের তুলনায় ২৪৪টি আসন হারিয়েছে এবং নতুন সংসদে তাদের আসনসংখ্যা ১২১।

ব্রিটেনের নির্বাচনে ভরাডুবির দায় স্বীকার করে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ চার্লস।
নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হলেও ঋষি সুনাক রিচমন্ড এবং নর্থালারটনের এমপি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি এখন কী করবেন সে সিদ্ধান্ত এখনো ঋষি সুনাকের হাতে বলেই জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেনডেন্ট।
সংবাদমাধ্যমটি এক প্রতিবেদনে জানায়, গুঞ্জন রয়েছে, নির্বাচনে হারের পর ঋষি সুনাক যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন। সুনাকের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড রয়েছে এমন সংবাদও এর আগে প্রকাশ্যে এসেছিল। তবে তিনি জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের গ্রিন কার্ড তিনি রাখেননি।
ক্যালিফোর্নিয়ায় ঋষি সুনাক এবং তাঁর স্ত্রীর অক্ষতা মূর্তির প্রায় ৬০ লাখ মার্কিন ডলার মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে। সুনাক দম্পতি তাঁদের দুই কন্যাকে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি প্রাইভেট স্কুলে ভর্তি করাতে চান। ইতিমধ্যে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কলেজে উচ্চপ্রযুক্তিসম্পন্ন একটি কম্পিউটার ল্যাব স্থাপনে এই দম্পতি ৩০ লাখ ডলারের অনুদান দিয়েছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই এমবিএ সম্পন্ন করেন সুনাক। এখানেই তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় অক্ষতা মূর্তির। দাম্পত্য জীবনের শুরুতে তাঁরা ক্যালিফোর্নিয়াতেই ছিলেন। সেখানে সুনাক হেজ ফান্ডে (বিনিয়োগ সংস্থা) কাজ করতেন।
দ্য ইন্ডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে আরও উঠে এসেছে, প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব ছাড়ার পরে রাজনীতি থেকে সরে সুনাক অনেকটা ব্যবসায়ী জীবনেই ফিরে যেতে পারেন বলে অনেকের ধারণা। ধারণা করা হচ্ছে, প্রযুক্তি আর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে কোনো ব্যবসায় যুক্ত হতে পারেন তিনি। যদিও সুনাক জোর দিয়ে বলেছিলেন, রিচমন্ড এবং নর্থালারটনের আসনটি ধরে রাখতে পারলে তিনি আগামী পাঁচ বছর এমপি হিসেবেই থেকে যাবেন।
৬৫০ আসনবিশিষ্ট ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ৪১২টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করেছে লেবার পার্টি। যেখানে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ৩২৬টি আসনের প্রয়োজন। ১৪ বছর পর এই দল সরকার গঠন করতে যাচ্ছে। কনজারভেটিভ পার্টি গত সংসদের তুলনায় ২৪৪টি আসন হারিয়েছে এবং নতুন সংসদে তাদের আসনসংখ্যা ১২১।

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ‘ক্যু’ বা অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ইয়েল্যান্ড। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত নকশার ফল।
১১ মিনিট আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে অন্তত দুই দফায় হত্যার চেষ্টা করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এসব হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অপর একটি দেশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএসের এই পরিকল্পনাগুলো সিরিয়ার
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইনে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ চলাকালে সেনাদের মধ্যে নিয়মকানুন, নৈতিকতা ও আইনি সীমা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার বিষয়টি অনেক সময় নির্ভর করেছে কেবল একজন মাত্র অফিসারের খেয়ালের ওপর। এই তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল আইটিভিতে সম্প্রচার
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ‘ক্যু’ বা অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ইয়েল্যান্ড। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত নকশার ফল।
আজ সোমবার বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে অনুষ্ঠানে ইয়েল্যান্ড বলেন, ‘এটা ছিল এক ধরনের অভ্যুত্থান। এর চেয়েও খারাপ বিষয় হলো, এটা ছিল ভেতর থেকে তৈরি ষড়যন্ত্র। বিবিসির ভেতরে, বোর্ডের খুব কাছের— এমনকি বোর্ডের মধ্যেই— কিছু লোক টিম ডেভি ও তাঁর সিনিয়র টিমকে দীর্ঘ সময় ধরে পদ্ধতিগতভাবে দুর্বল করে দিচ্ছিল। গতকাল যা ঘটেছে, তা এক দিনের ঘটনা নয়, এটি বহুদিন ধরে চলছিল।’
বিবিসির পডকাস্ট When It Hits the Fan-এর সহ-উপস্থাপক ইয়েল্যান্ড আরও বলেন, ‘এখানে মূল সমস্যা হলো— শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা। আমি চেয়ারম্যান সামির শাহকে ব্যক্তিগতভাবে দোষ দিচ্ছি না, তবে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হলো তাঁর প্রধান নির্বাহীকে (সিইও) দায়িত্বে রাখা বা সরানো। কিন্তু এখানে টিম ডেভিকে বরখাস্ত করা হয়নি— তিনি নিজেই চলে গেছেন। সেটিই প্রকৃতপক্ষে— এটাই সুশাসনের ব্যর্থতা।’
গতকাল রোববারের ওই পদত্যাগের পেছনে যুক্তরাজ্যের ডানপন্থী মহল ও হোয়াইট হাউসের একের পর এক সমালোচনা ভূমিকা রেখেছে। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রকাশিত একটি ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
সেখানে বলা হয়, প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভাষণের সম্পাদনা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন গত গ্রীষ্মে দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়া বিবিসির সম্পাদকীয় নীতিমালা বিষয়ক স্বতন্ত্র পরামর্শক মাইকেল প্রেসকট। তাঁর দাবি, ওই সম্পাদনা এমনভাবে করা হয়েছিল, যাতে মনে হয় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনের (ক্যাপিটল হিলে) হামলাকে উসকে দিয়েছিলেন। অথচ ওই ভাষণের দুটি অংশ আসলে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল এবং ট্রাম্প একই বক্তৃতায় তাঁর সমর্থকদের ‘শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ’ করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন, যা সম্পাদনায় বাদ পড়েছিল।
তবে স্কাই নিউজের সাবেক রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডাম বোল্টন বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যে বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার ইঙ্গিত ছিল— এই সার্বিক ধারণাটি ভুল নয়। দীর্ঘ বক্তৃতা থেকে প্রাসঙ্গিক অংশ কেটে একত্রে উপস্থাপন করাও সংবাদমাধ্যমের জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তবে ইয়েল্যান্ডের মন্তব্য বিবিসি নিউজের ভেতরে হতাশাজনক পরিবেশকে প্রতিফলিত করে। বিবিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা সত্যিই এক ধরনের অভ্যুত্থান মনে হচ্ছে। এটা বিবিসির রাজনৈতিক শত্রুদের এক পরিকল্পিত প্রচারণার ফল।’
টিম ডেভি জানান, তাঁর পদত্যাগ তাৎক্ষণিক নয়; তিনি সুশৃঙ্খলভাবে ‘দায়িত্ব হস্তান্তরের সময়সূচি’ নিয়ে আগে থেকেই কাজ করছিলেন। অপরদিকে ডেবোরা টারনেস বলেন, প্যানোরামার তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে বিতর্ক এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যা বিবিসির মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছিল। এই ক্ষতি এড়াতেই আমার পদত্যাগ, কারণ এই প্রতিষ্ঠানকে আমি গভীরভাবে ভালোবাসি।’
সোমবার বিবিসির সাংবাদিক নিক রবিনসন জানান, প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ে এক ধরনের ‘অচলাবস্থা’ তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা সম্পাদনাগত ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে চাইলেও রাজনৈতিকভাবে নিয়োজিত পরিচালকেরা এর চেয়েও বেশি কিছু বলতে চেয়েছিলেন— এ নিয়েই টানাপোড়েন তৈরি হয়।
বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহর আজ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া কমিটিতে উপস্থিত হয়ে প্যানোরামা বিতর্ক বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করার কথা রয়েছে। তিনি কমিটির কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বিবিসির শীর্ষ দুই কর্মকর্তার পদত্যাগের পর সরকারের ভেটেরান বিষয়কমন্ত্রী লুইস স্যান্ডার-জোনস বলেন, বিবিসি প্রতিষ্ঠানগতভাবে পক্ষপাতদুষ্ট— এমন অভিযোগ সঠিক নয়। স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, ‘বিবিসি যে বিপুল পরিসরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে কাজ করে, তাতে এর সংবাদ এখনো অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য। নানা মতের মানুষ এখনো তাদের তথ্যের প্রধান উৎস হিসেবে বিবিসিকে ব্যবহার করে এবং সেটিই বলে দেয় বিবিসির ওপর আস্থার মাত্রা।’

বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ‘ক্যু’ বা অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ইয়েল্যান্ড। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত নকশার ফল।
আজ সোমবার বিবিসি রেডিও ৪-এর টুডে অনুষ্ঠানে ইয়েল্যান্ড বলেন, ‘এটা ছিল এক ধরনের অভ্যুত্থান। এর চেয়েও খারাপ বিষয় হলো, এটা ছিল ভেতর থেকে তৈরি ষড়যন্ত্র। বিবিসির ভেতরে, বোর্ডের খুব কাছের— এমনকি বোর্ডের মধ্যেই— কিছু লোক টিম ডেভি ও তাঁর সিনিয়র টিমকে দীর্ঘ সময় ধরে পদ্ধতিগতভাবে দুর্বল করে দিচ্ছিল। গতকাল যা ঘটেছে, তা এক দিনের ঘটনা নয়, এটি বহুদিন ধরে চলছিল।’
বিবিসির পডকাস্ট When It Hits the Fan-এর সহ-উপস্থাপক ইয়েল্যান্ড আরও বলেন, ‘এখানে মূল সমস্যা হলো— শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা। আমি চেয়ারম্যান সামির শাহকে ব্যক্তিগতভাবে দোষ দিচ্ছি না, তবে যে কোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব হলো তাঁর প্রধান নির্বাহীকে (সিইও) দায়িত্বে রাখা বা সরানো। কিন্তু এখানে টিম ডেভিকে বরখাস্ত করা হয়নি— তিনি নিজেই চলে গেছেন। সেটিই প্রকৃতপক্ষে— এটাই সুশাসনের ব্যর্থতা।’
গতকাল রোববারের ওই পদত্যাগের পেছনে যুক্তরাজ্যের ডানপন্থী মহল ও হোয়াইট হাউসের একের পর এক সমালোচনা ভূমিকা রেখেছে। দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফের প্রকাশিত একটি ফাঁস হওয়া প্রতিবেদনে এই বিতর্কের সূত্রপাত হয়।
সেখানে বলা হয়, প্যানোরামা অনুষ্ঠানে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি ভাষণের সম্পাদনা নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন গত গ্রীষ্মে দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়া বিবিসির সম্পাদকীয় নীতিমালা বিষয়ক স্বতন্ত্র পরামর্শক মাইকেল প্রেসকট। তাঁর দাবি, ওই সম্পাদনা এমনভাবে করা হয়েছিল, যাতে মনে হয় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস ভবনের (ক্যাপিটল হিলে) হামলাকে উসকে দিয়েছিলেন। অথচ ওই ভাষণের দুটি অংশ আসলে এক ঘণ্টার ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল এবং ট্রাম্প একই বক্তৃতায় তাঁর সমর্থকদের ‘শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ’ করার আহ্বানও জানিয়েছিলেন, যা সম্পাদনায় বাদ পড়েছিল।
তবে স্কাই নিউজের সাবেক রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডাম বোল্টন বলেন, ট্রাম্পের বক্তব্যে বিদ্রোহ উসকে দেওয়ার ইঙ্গিত ছিল— এই সার্বিক ধারণাটি ভুল নয়। দীর্ঘ বক্তৃতা থেকে প্রাসঙ্গিক অংশ কেটে একত্রে উপস্থাপন করাও সংবাদমাধ্যমের জন্য অস্বাভাবিক কিছু নয়।
তবে ইয়েল্যান্ডের মন্তব্য বিবিসি নিউজের ভেতরে হতাশাজনক পরিবেশকে প্রতিফলিত করে। বিবিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘এটা সত্যিই এক ধরনের অভ্যুত্থান মনে হচ্ছে। এটা বিবিসির রাজনৈতিক শত্রুদের এক পরিকল্পিত প্রচারণার ফল।’
টিম ডেভি জানান, তাঁর পদত্যাগ তাৎক্ষণিক নয়; তিনি সুশৃঙ্খলভাবে ‘দায়িত্ব হস্তান্তরের সময়সূচি’ নিয়ে আগে থেকেই কাজ করছিলেন। অপরদিকে ডেবোরা টারনেস বলেন, প্যানোরামার তথ্যচিত্র সম্পাদনা নিয়ে বিতর্ক এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছে যা বিবিসির মতো প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠেছিল। এই ক্ষতি এড়াতেই আমার পদত্যাগ, কারণ এই প্রতিষ্ঠানকে আমি গভীরভাবে ভালোবাসি।’
সোমবার বিবিসির সাংবাদিক নিক রবিনসন জানান, প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ পর্যায়ে এক ধরনের ‘অচলাবস্থা’ তৈরি হয়েছিল। তিনি বলেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা সম্পাদনাগত ভুলের জন্য দুঃখপ্রকাশ করতে চাইলেও রাজনৈতিকভাবে নিয়োজিত পরিচালকেরা এর চেয়েও বেশি কিছু বলতে চেয়েছিলেন— এ নিয়েই টানাপোড়েন তৈরি হয়।
বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহর আজ যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া কমিটিতে উপস্থিত হয়ে প্যানোরামা বিতর্ক বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখপ্রকাশ করার কথা রয়েছে। তিনি কমিটির কাছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
বিবিসির শীর্ষ দুই কর্মকর্তার পদত্যাগের পর সরকারের ভেটেরান বিষয়কমন্ত্রী লুইস স্যান্ডার-জোনস বলেন, বিবিসি প্রতিষ্ঠানগতভাবে পক্ষপাতদুষ্ট— এমন অভিযোগ সঠিক নয়। স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, ‘বিবিসি যে বিপুল পরিসরে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যু নিয়ে কাজ করে, তাতে এর সংবাদ এখনো অত্যন্ত বিশ্বাসযোগ্য। নানা মতের মানুষ এখনো তাদের তথ্যের প্রধান উৎস হিসেবে বিবিসিকে ব্যবহার করে এবং সেটিই বলে দেয় বিবিসির ওপর আস্থার মাত্রা।’

ব্রিটেনের নির্বাচনে ভরাডুবির দায় স্বীকার করে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ চার্লস। নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হলেও ঋষি সুনাক রিচমন্ড এবং নর্থালারটনের এমপি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি এখন কী ক
০৮ জুলাই ২০২৪
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে অন্তত দুই দফায় হত্যার চেষ্টা করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এসব হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অপর একটি দেশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএসের এই পরিকল্পনাগুলো সিরিয়ার
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইনে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ চলাকালে সেনাদের মধ্যে নিয়মকানুন, নৈতিকতা ও আইনি সীমা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার বিষয়টি অনেক সময় নির্ভর করেছে কেবল একজন মাত্র অফিসারের খেয়ালের ওপর। এই তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল আইটিভিতে সম্প্রচার
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে অন্তত দুই দফায় হত্যার চেষ্টা করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এসব হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অপর একটি দেশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএসের এই পরিকল্পনাগুলো সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য সরাসরি হুমকি তৈরি করেছিল। বিশেষ করে, এই হত্যাচেষ্টা এমন এক সময়ে সামনে এল যখন তিনি দীর্ঘদিনের শত্রু এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই সূত্র দুটি জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে শারার বিরুদ্ধে দুটি পৃথক হত্যাচেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, ১৪ বছরের বিধ্বস্ত গৃহযুদ্ধের পর ক্ষমতা সুসংহত করতে গিয়ে শারা এখন কতটা ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। সূত্রগুলো বলছে, এর মধ্যে একটি পরিকল্পনা ছিল শারার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে হামলার। তবে বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
সিরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এই হত্যার ষড়যন্ত্রের খবর এমন সময়ে সামনে এল, যখন সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক আইএস-বিরোধী জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে। আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে শারার সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠক করবেন। এটি হবে কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম ঘটনা।
গত ডিসেম্বর ক্ষমতায় আসেন আহমদ আল-শারা। তাঁর নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী বাহিনী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শারা নিজেকে মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে তিনি আশা করছেন, সিরিয়ার পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক সহায়তার পথ খুলে যাবে।
আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার এই জোটে যোগ দেওয়া দেশটির দিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। রাশিয়া ও ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র থেকে সিরিয়া এখন ধীরে ধীরে পশ্চিমা ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।
১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়াকে এক করতে শারার কাজ এখন কঠিন। দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অব্যাহত, আর সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার জন্য দামেস্ক বারবার ইসলামিক স্টেটকে দায়ী করছে।
রোববার সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে আইএসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। সরকারি গণমাধ্যম জানায়, এতে ৭০ জনের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আইএস সরকার ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে নতুন হামলার পরিকল্পনা করছিল। এই অভিযান ছিল আইএসকে সতর্কবার্তা দেওয়া এবং দেখানোর যে, সিরীয় গোয়েন্দারা তাদের গভীরভাবে অনুপ্রবেশ করেছে। শারার সরকার মনে করছে, আইএসবিরোধী বৈশ্বিক জোটে যোগ দিলে এটি জঙ্গি দমনে বড় সুবিধা আনবে।
গত বছর মাত্র ১১ দিনের ঝটিকা অভিযানে ক্ষমতা দখলের আগে শারা নেতৃত্ব দিতেন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামক একটি গোষ্ঠীর, যা একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখা ছিল। ২০১৬ সালে তিনি ওই সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এরপর থেকেই তিনি আইএসবিরোধী রক্তক্ষয়ী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ইদলিবে এইচটিএসের ঘাঁটিতে আইএসের সেলগুলোকে ধ্বংস করতে তিনি বহু অভিযান চালিয়েছেন।
আসাদের পতনের পর আইএস আবার সিরিয়ায় ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তারা শারার পশ্চিমাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং ধর্মীয় সহনশীলতার প্রতিশ্রুতিকে ইসলামবিরোধী বলে প্রচার করছে। গত জুনে দামেস্কের এক গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত হন। সরকার হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করলেও গোষ্ঠীটি এর দায় স্বীকার করেনি।
কয়েকজন সিরীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আইএসবিরোধী যুদ্ধে শারার সরকার কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটে যোগ দিলে এই সমন্বয় আরও বাড়বে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের আস্থা অর্জনের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে, যাতে বছরের শেষের আগে সিরিয়ার ওপর থাকা অবশিষ্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া যায়।
গত সপ্তাহে রয়টার্স জানায়, প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা দামেস্কের এক বিমানঘাঁটিতে উপস্থিতি স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ঘাঁটির সঠিক নাম ও অবস্থান প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন।

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে অন্তত দুই দফায় হত্যার চেষ্টা করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এসব হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অপর একটি দেশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএসের এই পরিকল্পনাগুলো সিরিয়ার নতুন প্রেসিডেন্টের জন্য সরাসরি হুমকি তৈরি করেছিল। বিশেষ করে, এই হত্যাচেষ্টা এমন এক সময়ে সামনে এল যখন তিনি দীর্ঘদিনের শত্রু এই জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোটে যোগ দিতে যাচ্ছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এই সূত্র দুটি জানিয়েছে, গত কয়েক মাসে শারার বিরুদ্ধে দুটি পৃথক হত্যাচেষ্টা নস্যাৎ করা হয়েছে। এতে বোঝা যায়, ১৪ বছরের বিধ্বস্ত গৃহযুদ্ধের পর ক্ষমতা সুসংহত করতে গিয়ে শারা এখন কতটা ঝুঁকির মুখে রয়েছেন। সূত্রগুলো বলছে, এর মধ্যে একটি পরিকল্পনা ছিল শারার একটি সরকারি অনুষ্ঠানে হামলার। তবে বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে বিস্তারিত জানানো হয়নি।
সিরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।
এই হত্যার ষড়যন্ত্রের খবর এমন সময়ে সামনে এল, যখন সিরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক আইএস-বিরোধী জোটে যোগ দিতে যাচ্ছে। আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে শারার সঙ্গে ঐতিহাসিক বৈঠক করবেন। এটি হবে কোনো সিরীয় রাষ্ট্রপ্রধানের যুক্তরাষ্ট্র সফরের প্রথম ঘটনা।
গত ডিসেম্বর ক্ষমতায় আসেন আহমদ আল-শারা। তাঁর নেতৃত্বাধীন বিদ্রোহী বাহিনী তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করে। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই শারা নিজেকে মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে তুলে ধরতে চাইছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে তিনি আশা করছেন, সিরিয়ার পুনর্গঠন ও আন্তর্জাতিক সহায়তার পথ খুলে যাবে।
আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ার এই জোটে যোগ দেওয়া দেশটির দিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। রাশিয়া ও ইরানের ঘনিষ্ঠ মিত্র থেকে সিরিয়া এখন ধীরে ধীরে পশ্চিমা ও আরব দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছে।
১৪ বছরের গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়াকে এক করতে শারার কাজ এখন কঠিন। দেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা অব্যাহত, আর সরকার ও নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলার জন্য দামেস্ক বারবার ইসলামিক স্টেটকে দায়ী করছে।
রোববার সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেশজুড়ে আইএসবিরোধী অভিযান শুরু করেছে। সরকারি গণমাধ্যম জানায়, এতে ৭০ জনের বেশি সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী আইএস সরকার ও সংখ্যালঘু গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে নতুন হামলার পরিকল্পনা করছিল। এই অভিযান ছিল আইএসকে সতর্কবার্তা দেওয়া এবং দেখানোর যে, সিরীয় গোয়েন্দারা তাদের গভীরভাবে অনুপ্রবেশ করেছে। শারার সরকার মনে করছে, আইএসবিরোধী বৈশ্বিক জোটে যোগ দিলে এটি জঙ্গি দমনে বড় সুবিধা আনবে।
গত বছর মাত্র ১১ দিনের ঝটিকা অভিযানে ক্ষমতা দখলের আগে শারা নেতৃত্ব দিতেন ইসলামপন্থী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নামক একটি গোষ্ঠীর, যা একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখা ছিল। ২০১৬ সালে তিনি ওই সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। এরপর থেকেই তিনি আইএসবিরোধী রক্তক্ষয়ী লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। ইদলিবে এইচটিএসের ঘাঁটিতে আইএসের সেলগুলোকে ধ্বংস করতে তিনি বহু অভিযান চালিয়েছেন।
আসাদের পতনের পর আইএস আবার সিরিয়ায় ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তারা শারার পশ্চিমাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং ধর্মীয় সহনশীলতার প্রতিশ্রুতিকে ইসলামবিরোধী বলে প্রচার করছে। গত জুনে দামেস্কের এক গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২৫ জন নিহত হন। সরকার হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করলেও গোষ্ঠীটি এর দায় স্বীকার করেনি।
কয়েকজন সিরীয় কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, আইএসবিরোধী যুদ্ধে শারার সরকার কয়েক মাস ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে জোটে যোগ দিলে এই সমন্বয় আরও বাড়বে। এটি যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের আস্থা অর্জনের অংশ হিসেবেও দেখা হচ্ছে, যাতে বছরের শেষের আগে সিরিয়ার ওপর থাকা অবশিষ্ট নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া যায়।
গত সপ্তাহে রয়টার্স জানায়, প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা দামেস্কের এক বিমানঘাঁটিতে উপস্থিতি স্থাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে নিরাপত্তাজনিত কারণে মার্কিন প্রশাসনের এক কর্মকর্তা ঘাঁটির সঠিক নাম ও অবস্থান প্রকাশ না করার অনুরোধ করেছেন।

ব্রিটেনের নির্বাচনে ভরাডুবির দায় স্বীকার করে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ চার্লস। নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হলেও ঋষি সুনাক রিচমন্ড এবং নর্থালারটনের এমপি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি এখন কী ক
০৮ জুলাই ২০২৪
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ‘ক্যু’ বা অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ইয়েল্যান্ড। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত নকশার ফল।
১১ মিনিট আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইনে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ চলাকালে সেনাদের মধ্যে নিয়মকানুন, নৈতিকতা ও আইনি সীমা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার বিষয়টি অনেক সময় নির্ভর করেছে কেবল একজন মাত্র অফিসারের খেয়ালের ওপর। এই তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল আইটিভিতে সম্প্রচার
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইনে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
থাই সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আজ সোমবার জানিয়েছে, শ্রী সাকেত প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় সকালে টহল দেওয়ার সময় দুই সেনা স্থলমাইনের ওপর পা দেন। এতে একজন সেনার ডান পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নাভিরাকুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।’ সীমান্তে যা ঘটেছে তা পরিস্থিতি প্রশমনে সাহায্য করেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনুতিন আরও বলেন, ‘যদি কোনো পদক্ষেপ সংঘাত কমাতে না পারে, তাহলে আমরা কিছুই করতে পারব না। তাই সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।’
এর আগে, গত ২৬ অক্টোবর কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ওই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সই করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নাভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশ সীমান্ত থেকে ট্যাংক ও কামানের মতো সব ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। থাইল্যান্ড ১৮ জন কম্বোডীয় বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়। এর বিনিময়ে কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকার সব স্থলমাইন অপসারণে থাইল্যান্ডকে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করে।
থাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাত্রাপন নাকপানিচ সোমবার জানান, থাইল্যান্ড এখন ওই ১৮ জন কম্বোডীয় বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে। তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণটি এমন এলাকায় ঘটেছে যেখানে নিয়মিত থাই সেনারা টহল দেয় এবং আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি।
নাত্রাপন বলেন, থাইল্যান্ড ইতিমধ্যে আসিয়ান অন্তর্বর্তী পর্যবেক্ষক দলের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা প্রমাণ পাই যে তারা (কম্বোডিয়া) ইচ্ছাকৃতভাবে নতুন করে মাইন পুঁতেছে, তাহলে আমরা শুধু প্রতিবাদ করেই ক্ষান্ত থাক না।’
গত জুলাই থেকে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এতে সীমান্ত পারাপারের চেকপোস্টগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, পণ্য ও মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। থাইল্যান্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কম্বোডিয়া সরকার এখনো কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইনে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
থাই সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে আজ সোমবার জানিয়েছে, শ্রী সাকেত প্রদেশের সীমান্ত এলাকায় সকালে টহল দেওয়ার সময় দুই সেনা স্থলমাইনের ওপর পা দেন। এতে একজন সেনার ডান পায়ের গোড়ালি কেটে ফেলতে হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নাভিরাকুল সাংবাদিকদের বলেন, ‘সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।’ সীমান্তে যা ঘটেছে তা পরিস্থিতি প্রশমনে সাহায্য করেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি। অনুতিন আরও বলেন, ‘যদি কোনো পদক্ষেপ সংঘাত কমাতে না পারে, তাহলে আমরা কিছুই করতে পারব না। তাই সবকিছু বন্ধ রাখতে হবে।’
এর আগে, গত ২৬ অক্টোবর কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্মেলনের ফাঁকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ওই শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সই করেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অনুতিন চার্নাভিরাকুল ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত। উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
চুক্তি অনুযায়ী, দুই দেশ সীমান্ত থেকে ট্যাংক ও কামানের মতো সব ভারী অস্ত্র সরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। থাইল্যান্ড ১৮ জন কম্বোডীয় বন্দীকে মুক্তি দিতে রাজি হয়। এর বিনিময়ে কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকার সব স্থলমাইন অপসারণে থাইল্যান্ডকে সহযোগিতা করার অঙ্গীকার করে।
থাই প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল নাত্রাপন নাকপানিচ সোমবার জানান, থাইল্যান্ড এখন ওই ১৮ জন কম্বোডীয় বন্দীকে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে। তিনি আরও জানান, বিস্ফোরণটি এমন এলাকায় ঘটেছে যেখানে নিয়মিত থাই সেনারা টহল দেয় এবং আগে কখনো এমন ঘটনা ঘটেনি।
নাত্রাপন বলেন, থাইল্যান্ড ইতিমধ্যে আসিয়ান অন্তর্বর্তী পর্যবেক্ষক দলের কাছে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যদি আমরা প্রমাণ পাই যে তারা (কম্বোডিয়া) ইচ্ছাকৃতভাবে নতুন করে মাইন পুঁতেছে, তাহলে আমরা শুধু প্রতিবাদ করেই ক্ষান্ত থাক না।’
গত জুলাই থেকে সীমান্ত উত্তেজনা বাড়তে থাকে। এতে সীমান্ত পারাপারের চেকপোস্টগুলো বন্ধ হয়ে গেছে, পণ্য ও মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। থাইল্যান্ডের সিদ্ধান্তের বিষয়ে কম্বোডিয়া সরকার এখনো কোনো প্রকাশ্য প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

ব্রিটেনের নির্বাচনে ভরাডুবির দায় স্বীকার করে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ চার্লস। নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হলেও ঋষি সুনাক রিচমন্ড এবং নর্থালারটনের এমপি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি এখন কী ক
০৮ জুলাই ২০২৪
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ‘ক্যু’ বা অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ইয়েল্যান্ড। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত নকশার ফল।
১১ মিনিট আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে অন্তত দুই দফায় হত্যার চেষ্টা করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এসব হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অপর একটি দেশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএসের এই পরিকল্পনাগুলো সিরিয়ার
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ চলাকালে সেনাদের মধ্যে নিয়মকানুন, নৈতিকতা ও আইনি সীমা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার বিষয়টি অনেক সময় নির্ভর করেছে কেবল একজন মাত্র অফিসারের খেয়ালের ওপর। এই তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল আইটিভিতে সম্প্রচার
২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ চলাকালে সেনাদের মধ্যে নিয়মকানুন, নৈতিকতা ও আইনি সীমা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার বিষয়টি অনেক সময় নির্ভর করেছে কেবল একজন মাত্র অফিসারের খেয়ালের ওপর। এই তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল আইটিভিতে সম্প্রচার হতে যাওয়া প্রামাণ্যচিত্র ‘ব্রেকিং র্যাংকস: ইনসাইড ইসরায়েলস ওয়ার।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) একটি ট্যাংক ইউনিটের কমান্ডার ড্যানিয়েল বলেন, ‘যদি কেউ বিনা বাধায় গুলি চালাতে চাইত, সেটা সে পারত। কেউ আটকাত না।’
প্রামাণ্যচিত্রটিতে অংশ নেওয়া সেনাদের কেউ কেউ পরিচয় গোপন রেখেছেন, কেউ আবার খোলাখুলিই কথা বলেছেন। সবাই বলেছেন—গাজায় নাগরিকদের বিষয়ে আইডিএফের আনুষ্ঠানিক আচরণবিধি কার্যত বিলীন হয়ে গেছে। তারা নিশ্চিত করেছেন যে, আইডিএফ নিয়মিতভাবেই গাজার মানুষদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। সৈন্যরা আরও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোর কাছে বেসামরিক লোকজন বিনা উসকানিতে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
আইডিএফ আর্মার্ড ইউনিটের অফিসার ক্যাপ্টেন ইয়োতাম ভিল্ক বলেন, ‘প্রশিক্ষণে আমাদের শেখানো হয়—কেবল তখনই গুলি চালানো যাবে, যখন টার্গেট বা লক্ষ্যবস্তু ক্ষমতা, হামলার অভিপ্রায় ও সামর্থ্য দেখাবে।’ কিন্তু গাজায় সেই নীতি আর টিকে ছিল না। ভিল্ক বলেন, ‘এখানে কেউ ক্ষমতা, অভিপ্রায় ও সামর্থ্য নিয়ে ভাবে না। শুধু সন্দেহ করাই (হত্যা করার জন্য) যথেষ্ট।’
ইলি ছদ্মনামে এক সেনা বলেন, ‘জীবন-মৃত্যুর সিদ্ধান্ত কোনো নিয়মে নয়, মাঠের কমান্ডারের বিবেকেই নির্ভর করে।’ তিনি জানান, ‘এখানে (গাজায়) কে শত্রু আর কে না—তা পুরোপুরি এলোমেলো হয়ে গেছে। কেউ খুব দ্রুত হাঁটলে সে সন্দেহভাজন, খুব ধীরে হাঁটলেও সন্দেহভাজন। তিনজন হাঁটছে, একজন পেছনে—তাও সামরিক ফরমেশন!’ এমনটাই ভাবত ইসরায়েলি কমান্ডার ও সেনারা।
ইলি একটি ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এক কর্মকর্তা এমন এক ভবনে ট্যাংকের গোলা ছোড়ার নির্দেশ দেন, যেটি ‘নিরাপদ এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। তিনি বলেন, হামলা নির্দেশ দেওয়ার সময় সেই ভবনে ‘একজন মানুষ ছাদে কাপড় শুকোচ্ছিলেন। অফিসার বললেন, লোকটা নিশ্চয়ই স্পটার। অথচ, সে কেবল কাপড় শুকোচ্ছিল। কোনো দুরবিন নেই, অস্ত্রও নেই। নিকটতম সামরিক ঘাঁটি ৬০০-৭০০ মিটার দূরে। তাহলে সে কীভাবে স্পটার হবে? তবে তারপরও ট্যাংক থেকে গোলা ছোড়া হয়, ভবনের অর্ধেক ভেঙে পড়ে, অনেকেই মারা যায় ও আহত হয়।’
দ্য গার্ডিয়ানের আগস্ট মাসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গাজায় নিহতদের ৮৩ শতাংশই সাধারণ নাগরিক। আইডিএফের নিজেদের তথ্যেও দেখা গেছে এই তথ্য। এটি আধুনিক যুদ্ধের ইতিহাসে বেসামরিক মৃত্যুর সর্বোচ্চ হার। তবে আইডিএফ এই বিশ্লেষণ অস্বীকার করেছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এক মাস আগে যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। লিখিত বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, ‘আইডিএফ আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। হামাস বেসামরিক স্থাপনায় আশ্রয় নেওয়ায় ও সেগুলো সামরিক কাজে ব্যবহারের কারণে জটিলতা তৈরি হলেও আমরা নৈতিক ও আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে থেকেই কাজ করি।’
প্রামাণ্যচিত্রে কিছু সৈন্য বলেছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি রাজনীতিক ও ধর্মীয় নেতাদের কথাবার্তা তাদের মনোভাব বদলে দেয়। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। অনেক নেতা বলেছিলেন, প্রতিটি ফিলিস্তিনিই এখন বৈধ টার্গেট।
জাতিসংঘের একটি কমিশন সেপ্টেম্বরে জানায়, গাজায় ইসরায়েল ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে। কমিশন বলেছে, ইসরায়েলি নেতাদের ভাষণ থেকেই সেই ‘উদ্দেশ্য’ স্পষ্ট। যেমন, প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ ৭ অক্টোবরের হামলার পর বলেছিলেন, ‘পুরো (ফিলিস্তিনি) জাতি দায়ী। নাগরিকেরা জানত না, তারা এতে জড়িত নয়—এই গল্প মিথ্যা।’
ট্যাংক কমান্ডার ড্যানিয়েল বলেন, ‘এ ধরনের কথাবার্তা আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে। বারবার শুনে শেষে বিশ্বাস করে ফেলি যে গাজায় কোনো নিরপরাধ মানুষ নেই।’ হেরজগের মুখপাত্র অবশ্য বলেছেন, তিনি সব সময় মানবিক মূল্যবোধ ও নিরপরাধদের সুরক্ষার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
প্রামাণ্যচিত্রে দেখা গেছে, কিছু ইহুদি ধর্মগুরু বা র্যাবাইও সৈন্যদের মাঝে প্রতিশোধের মনোভাব ছড়িয়েছেন। মেজর নেতা কাসপিন বলেন, ‘একবার আমাদের ব্রিগেডের র্যাবাই এসে আধঘণ্টা ধরে বলেছিলেন, আমাদেরও ৭ অক্টোবরের মতো প্রতিশোধ নিতে হবে—সবার ওপর, এমনকি বেসামরিকদের ওপরও।’
চরমপন্থী রাব্বি আভরাহাম জারবিভ প্রামাণ্যচিত্রে বলেন, ‘ওখানকার সবকিছুই সন্ত্রাসের অবকাঠামো।’ তিনি কেবল ধর্মীয় অনুমোদনই দেননি, নিজেও ‘বুলডোজার চালিয়ে’ ফিলিস্তিনি পাড়া-মহল্লা ধ্বংস করেছেন। তিনি বলেন, ‘আইডিএফ এখন গাজা ধ্বংস করতে লাখ লাখ শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা) বিনিয়োগ করছে। আমরা পুরো সেনাবাহিনীর ধারা বদলে দিয়েছি।’
প্রামাণ্যচিত্রে সৈন্যরা নিশ্চিত করেছেন, যুদ্ধ চলাকালে ‘ফিলিস্তিনি সাধারণ মানুষকে মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি সত্য। এটি সেনাদের ভাষায় পরিচিত ‘মশা প্রোটোকল’ নামে। ড্যানিয়েল বলেন, ‘আপনি কোনো এক বেসামরিক লোককে টানেলে পাঠাও। তার জামায় আইফোন বাঁধা থাকে। সে হাঁটতে হাঁটতে টানেলের মানচিত্র সেনাদের কাছে পাঠায়। এই কৌশলটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিটি ইউনিট নিজের মশা ব্যবহার শুরু করে।’
আইডিএফ এ বিষয়ে জানায়, ‘মানবঢাল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভিযোগ পাওয়া গেলে তা গভীরভাবে তদন্ত করা হয়। কিছু ঘটনার তদন্ত সামরিক পুলিশ ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন করছে।’ প্রামাণ্যচিত্রে স্যাম নামে এক ঠিকাদার বলেন, তিনি জিএইচএফের খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে কাজ করতেন এবং দেখেছেন—ইসরায়েলি সৈন্যরা নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে।
তিনি বলেন, ‘দুই তরুণ খাদ্য নিতে দৌড়াচ্ছিল। হঠাৎ দেখি দুই সৈন্য হাঁটু গেড়ে বসে গুলি করল। দুজনের মাথা পেছনে হেলে পড়ে গেল।’ আরেক ঘটনায়, এক আইডিএফ ট্যাংক খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের পাশে দাঁড়ানো একটি সাধারণ গাড়িতে গুলি চালায়। ভেতরে ছিল চারজন সাধারণ মানুষ।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, শুধু খাদ্যসহায়তা নিতে গিয়ে অন্তত ৯৪৪ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তবে জিএইচএফ ও আইডিএফ উভয়ই দাবি করেছে, তারা কোনোভাবেই সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়নি। আইডিএফ বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে ও বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চেষ্টা করে।
তবে এ ধরনের ঘটনাগুলোর অভ্যন্তরীণ তদন্তে এখনো পর্যন্ত প্রায় কোনো শাস্তি বা জবাবদিহি হয়নি। প্রামাণ্যচিত্রে গাজায় থাকা অনেক ইসরায়েলি সৈন্যের মানসিক বিপর্যয়ের কথাও উঠে এসেছে। ড্যানিয়েল বলেন, ‘তারা (ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ) আমার মধ্যে ইসরায়েলি হিসেবে, আইডিএফ অফিসার হিসেবে যে গর্ব ছিল—সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন শুধু লজ্জাই অবশিষ্ট রয়ে গেছে।’

ইসরায়েলি সেনারা জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধ চলাকালে সেনাদের মধ্যে নিয়মকানুন, নৈতিকতা ও আইনি সীমা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিল। তাদের বক্তব্যে উঠে এসেছে, গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করার বিষয়টি অনেক সময় নির্ভর করেছে কেবল একজন মাত্র অফিসারের খেয়ালের ওপর। এই তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ টিভি চ্যানেল আইটিভিতে সম্প্রচার হতে যাওয়া প্রামাণ্যচিত্র ‘ব্রেকিং র্যাংকস: ইনসাইড ইসরায়েলস ওয়ার।’
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর (আইডিএফ) একটি ট্যাংক ইউনিটের কমান্ডার ড্যানিয়েল বলেন, ‘যদি কেউ বিনা বাধায় গুলি চালাতে চাইত, সেটা সে পারত। কেউ আটকাত না।’
প্রামাণ্যচিত্রটিতে অংশ নেওয়া সেনাদের কেউ কেউ পরিচয় গোপন রেখেছেন, কেউ আবার খোলাখুলিই কথা বলেছেন। সবাই বলেছেন—গাজায় নাগরিকদের বিষয়ে আইডিএফের আনুষ্ঠানিক আচরণবিধি কার্যত বিলীন হয়ে গেছে। তারা নিশ্চিত করেছেন যে, আইডিএফ নিয়মিতভাবেই গাজার মানুষদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে। সৈন্যরা আরও জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সহায়তায় পরিচালিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশনের (জিএইচএফ) খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রগুলোর কাছে বেসামরিক লোকজন বিনা উসকানিতে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
আইডিএফ আর্মার্ড ইউনিটের অফিসার ক্যাপ্টেন ইয়োতাম ভিল্ক বলেন, ‘প্রশিক্ষণে আমাদের শেখানো হয়—কেবল তখনই গুলি চালানো যাবে, যখন টার্গেট বা লক্ষ্যবস্তু ক্ষমতা, হামলার অভিপ্রায় ও সামর্থ্য দেখাবে।’ কিন্তু গাজায় সেই নীতি আর টিকে ছিল না। ভিল্ক বলেন, ‘এখানে কেউ ক্ষমতা, অভিপ্রায় ও সামর্থ্য নিয়ে ভাবে না। শুধু সন্দেহ করাই (হত্যা করার জন্য) যথেষ্ট।’
ইলি ছদ্মনামে এক সেনা বলেন, ‘জীবন-মৃত্যুর সিদ্ধান্ত কোনো নিয়মে নয়, মাঠের কমান্ডারের বিবেকেই নির্ভর করে।’ তিনি জানান, ‘এখানে (গাজায়) কে শত্রু আর কে না—তা পুরোপুরি এলোমেলো হয়ে গেছে। কেউ খুব দ্রুত হাঁটলে সে সন্দেহভাজন, খুব ধীরে হাঁটলেও সন্দেহভাজন। তিনজন হাঁটছে, একজন পেছনে—তাও সামরিক ফরমেশন!’ এমনটাই ভাবত ইসরায়েলি কমান্ডার ও সেনারা।
ইলি একটি ঘটনার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এক কর্মকর্তা এমন এক ভবনে ট্যাংকের গোলা ছোড়ার নির্দেশ দেন, যেটি ‘নিরাপদ এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল। তিনি বলেন, হামলা নির্দেশ দেওয়ার সময় সেই ভবনে ‘একজন মানুষ ছাদে কাপড় শুকোচ্ছিলেন। অফিসার বললেন, লোকটা নিশ্চয়ই স্পটার। অথচ, সে কেবল কাপড় শুকোচ্ছিল। কোনো দুরবিন নেই, অস্ত্রও নেই। নিকটতম সামরিক ঘাঁটি ৬০০-৭০০ মিটার দূরে। তাহলে সে কীভাবে স্পটার হবে? তবে তারপরও ট্যাংক থেকে গোলা ছোড়া হয়, ভবনের অর্ধেক ভেঙে পড়ে, অনেকেই মারা যায় ও আহত হয়।’
দ্য গার্ডিয়ানের আগস্ট মাসের বিশ্লেষণ অনুযায়ী, গাজায় নিহতদের ৮৩ শতাংশই সাধারণ নাগরিক। আইডিএফের নিজেদের তথ্যেও দেখা গেছে এই তথ্য। এটি আধুনিক যুদ্ধের ইতিহাসে বেসামরিক মৃত্যুর সর্বোচ্চ হার। তবে আইডিএফ এই বিশ্লেষণ অস্বীকার করেছে।
যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬৯ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এক মাস আগে যুদ্ধবিরতি শুরু হলেও প্রতিদিন মানুষ মারা যাচ্ছে। লিখিত বিবৃতিতে আইডিএফ বলেছে, ‘আইডিএফ আইনের শাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। হামাস বেসামরিক স্থাপনায় আশ্রয় নেওয়ায় ও সেগুলো সামরিক কাজে ব্যবহারের কারণে জটিলতা তৈরি হলেও আমরা নৈতিক ও আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে থেকেই কাজ করি।’
প্রামাণ্যচিত্রে কিছু সৈন্য বলেছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলি রাজনীতিক ও ধর্মীয় নেতাদের কথাবার্তা তাদের মনোভাব বদলে দেয়। ওই হামলায় প্রায় ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিক নিহত হয়েছিলেন। অনেক নেতা বলেছিলেন, প্রতিটি ফিলিস্তিনিই এখন বৈধ টার্গেট।
জাতিসংঘের একটি কমিশন সেপ্টেম্বরে জানায়, গাজায় ইসরায়েল ‘গণহত্যা’ চালিয়েছে। কমিশন বলেছে, ইসরায়েলি নেতাদের ভাষণ থেকেই সেই ‘উদ্দেশ্য’ স্পষ্ট। যেমন, প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগ ৭ অক্টোবরের হামলার পর বলেছিলেন, ‘পুরো (ফিলিস্তিনি) জাতি দায়ী। নাগরিকেরা জানত না, তারা এতে জড়িত নয়—এই গল্প মিথ্যা।’
ট্যাংক কমান্ডার ড্যানিয়েল বলেন, ‘এ ধরনের কথাবার্তা আমাদের মধ্যে ছড়িয়ে গেছে। বারবার শুনে শেষে বিশ্বাস করে ফেলি যে গাজায় কোনো নিরপরাধ মানুষ নেই।’ হেরজগের মুখপাত্র অবশ্য বলেছেন, তিনি সব সময় মানবিক মূল্যবোধ ও নিরপরাধদের সুরক্ষার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
প্রামাণ্যচিত্রে দেখা গেছে, কিছু ইহুদি ধর্মগুরু বা র্যাবাইও সৈন্যদের মাঝে প্রতিশোধের মনোভাব ছড়িয়েছেন। মেজর নেতা কাসপিন বলেন, ‘একবার আমাদের ব্রিগেডের র্যাবাই এসে আধঘণ্টা ধরে বলেছিলেন, আমাদেরও ৭ অক্টোবরের মতো প্রতিশোধ নিতে হবে—সবার ওপর, এমনকি বেসামরিকদের ওপরও।’
চরমপন্থী রাব্বি আভরাহাম জারবিভ প্রামাণ্যচিত্রে বলেন, ‘ওখানকার সবকিছুই সন্ত্রাসের অবকাঠামো।’ তিনি কেবল ধর্মীয় অনুমোদনই দেননি, নিজেও ‘বুলডোজার চালিয়ে’ ফিলিস্তিনি পাড়া-মহল্লা ধ্বংস করেছেন। তিনি বলেন, ‘আইডিএফ এখন গাজা ধ্বংস করতে লাখ লাখ শেকেল (ইসরায়েলি মুদ্রা) বিনিয়োগ করছে। আমরা পুরো সেনাবাহিনীর ধারা বদলে দিয়েছি।’
প্রামাণ্যচিত্রে সৈন্যরা নিশ্চিত করেছেন, যুদ্ধ চলাকালে ‘ফিলিস্তিনি সাধারণ মানুষকে মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহারের বিষয়টি সত্য। এটি সেনাদের ভাষায় পরিচিত ‘মশা প্রোটোকল’ নামে। ড্যানিয়েল বলেন, ‘আপনি কোনো এক বেসামরিক লোককে টানেলে পাঠাও। তার জামায় আইফোন বাঁধা থাকে। সে হাঁটতে হাঁটতে টানেলের মানচিত্র সেনাদের কাছে পাঠায়। এই কৌশলটা খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এক সপ্তাহের মধ্যেই প্রতিটি ইউনিট নিজের মশা ব্যবহার শুরু করে।’
আইডিএফ এ বিষয়ে জানায়, ‘মানবঢাল ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। অভিযোগ পাওয়া গেলে তা গভীরভাবে তদন্ত করা হয়। কিছু ঘটনার তদন্ত সামরিক পুলিশ ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিভিশন করছে।’ প্রামাণ্যচিত্রে স্যাম নামে এক ঠিকাদার বলেন, তিনি জিএইচএফের খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রে কাজ করতেন এবং দেখেছেন—ইসরায়েলি সৈন্যরা নিরস্ত্র সাধারণ মানুষকে হত্যা করছে।
তিনি বলেন, ‘দুই তরুণ খাদ্য নিতে দৌড়াচ্ছিল। হঠাৎ দেখি দুই সৈন্য হাঁটু গেড়ে বসে গুলি করল। দুজনের মাথা পেছনে হেলে পড়ে গেল।’ আরেক ঘটনায়, এক আইডিএফ ট্যাংক খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের পাশে দাঁড়ানো একটি সাধারণ গাড়িতে গুলি চালায়। ভেতরে ছিল চারজন সাধারণ মানুষ।
জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, শুধু খাদ্যসহায়তা নিতে গিয়ে অন্তত ৯৪৪ ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। তবে জিএইচএফ ও আইডিএফ উভয়ই দাবি করেছে, তারা কোনোভাবেই সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়নি। আইডিএফ বলেছে, তারা আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে ও বেসামরিক ক্ষয়ক্ষতি কমাতে চেষ্টা করে।
তবে এ ধরনের ঘটনাগুলোর অভ্যন্তরীণ তদন্তে এখনো পর্যন্ত প্রায় কোনো শাস্তি বা জবাবদিহি হয়নি। প্রামাণ্যচিত্রে গাজায় থাকা অনেক ইসরায়েলি সৈন্যের মানসিক বিপর্যয়ের কথাও উঠে এসেছে। ড্যানিয়েল বলেন, ‘তারা (ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ) আমার মধ্যে ইসরায়েলি হিসেবে, আইডিএফ অফিসার হিসেবে যে গর্ব ছিল—সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন শুধু লজ্জাই অবশিষ্ট রয়ে গেছে।’

ব্রিটেনের নির্বাচনে ভরাডুবির দায় স্বীকার করে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন রাজ চার্লস। নির্বাচনে দলের ভরাডুবি হলেও ঋষি সুনাক রিচমন্ড এবং নর্থালারটনের এমপি হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন। তবে তিনি এখন কী ক
০৮ জুলাই ২০২৪
বিবিসির মহাপরিচালক টিম ডেভি এবং বার্তা বিভাগের প্রধান ডেবোরা টারনেসের পদত্যাগের ঘটনাকে পরিকল্পিত ‘ক্যু’ বা অভ্যুত্থান বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ সংবাদপত্র দ্য সান-এর সাবেক সম্পাদক ডেভিড ইয়েল্যান্ড। তিনি বলেছেন, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সুপরিকল্পিত নকশার ফল।
১১ মিনিট আগে
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল–শারাকে অন্তত দুই দফায় হত্যার চেষ্টা করেছে ইসলামিক স্টেটস (আইএস)। তবে সিরীয় কর্তৃপক্ষ এসব হত্যাচেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছে। সিরিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের অপর একটি দেশের দুই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আইএসের এই পরিকল্পনাগুলো সিরিয়ার
১ ঘণ্টা আগে
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় করা শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন স্থগিত করেছে থাইল্যান্ড। কম্বোডিয়া সীমান্ত এলাকায় স্থলমাইনে দুই থাই সেনা আহত হওয়ার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটি। এতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে
১ ঘণ্টা আগে