
ইউক্রেন সংকট নিরসনে প্যারিস জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে যে বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছে তার জবাব দিয়েছে ক্রেমলিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে সম্মেলন আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে ‘তাড়াহুড়ো’ করা হয়েছে।
সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে ‘নীতিগতভাবে’ সম্মত হয়েছেন। তবে মস্কো যদি ইউক্রেন আক্রমণ থেকে বিরত থাকে।
এই বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, “এই সময়ে এ ধরনের যেকোনো সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা ‘অপরিপক্ব’ সিদ্ধান্ত। এখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বোঝাপড়া হয়েছে এবং সেই স্তরেই সংলাপ চালিয়ে যাওয়া উচিত।’
পেসকভ বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে এমন শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনে ক্রেমলিনের ‘কোনো পরিষ্কার পরিকল্পনা নেই’। ”
ক্রেমলিনের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘প্রয়োজনে অবশ্যই, রাশিয়া ও মার্কিন রাষ্ট্রপতিরা টেলিফোন কল বা অন্য কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এই বৈঠকের প্রস্তাব করা হয়। গত রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টে ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এই প্রস্তাব দেন। ওই ফোনালাপের পর মাখোঁ বাইডেনকেও ফোন দেন। প্রায় ১৫ মিনিটের ওই ফোনালাপের একপর্যায়ে মাঁখো বাইডেন কাছে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন।
মাখোঁর প্রস্তাবের সূত্র ধরেই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাইডেন পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন।
বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, এই সম্মেলন যুগ যুগ ধরে চলা ইউরোপের নিরাপত্তা সংকট কাটিয়ে উঠতে একটি কূটনৈতিক পথ খুঁজে বের করতে সমর্থ হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে তাঁদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণে প্রস্তুত। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ বারবার নাকচ করা হয়েছে।

ইউক্রেন সংকট নিরসনে প্যারিস জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে যে বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছে তার জবাব দিয়েছে ক্রেমলিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে সম্মেলন আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে ‘তাড়াহুড়ো’ করা হয়েছে।
সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রুশ নেতা ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে ‘নীতিগতভাবে’ সম্মত হয়েছেন। তবে মস্কো যদি ইউক্রেন আক্রমণ থেকে বিরত থাকে।
এই বিষয়ে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেছেন, “এই সময়ে এ ধরনের যেকোনো সম্মেলন আয়োজনের পরিকল্পনা ‘অপরিপক্ব’ সিদ্ধান্ত। এখানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি বোঝাপড়া হয়েছে এবং সেই স্তরেই সংলাপ চালিয়ে যাওয়া উচিত।’
পেসকভ বলেছেন, “প্রেসিডেন্ট পর্যায়ে এমন শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনে ক্রেমলিনের ‘কোনো পরিষ্কার পরিকল্পনা নেই’। ”
ক্রেমলিনের মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘প্রয়োজনে অবশ্যই, রাশিয়া ও মার্কিন রাষ্ট্রপতিরা টেলিফোন কল বা অন্য কোনো পদ্ধতির মাধ্যমে আলোচনার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’
ফ্রান্সের পক্ষ থেকে এই বৈঠকের প্রস্তাব করা হয়। গত রোববার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টে ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যকার প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী ফোনালাপের পর ফরাসি প্রেসিডেন্ট এই প্রস্তাব দেন। ওই ফোনালাপের পর মাখোঁ বাইডেনকেও ফোন দেন। প্রায় ১৫ মিনিটের ওই ফোনালাপের একপর্যায়ে মাঁখো বাইডেন কাছে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের প্রস্তাব দেন।
মাখোঁর প্রস্তাবের সূত্র ধরেই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়, বাইডেন পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছেন।
বিশ্লেষকেরা ধারণা করছেন, এই সম্মেলন যুগ যুগ ধরে চলা ইউরোপের নিরাপত্তা সংকট কাটিয়ে উঠতে একটি কূটনৈতিক পথ খুঁজে বের করতে সমর্থ হবে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বারবার দাবি করা হচ্ছে তাঁদের গোয়েন্দা তথ্য বলছে, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণে প্রস্তুত। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ বারবার নাকচ করা হয়েছে।

এই মামলা টিকিয়ে রাখতে হলে ট্রাম্পকে প্রথমে প্রমাণ করতে হবে—ফ্লোরিডায় ওই তথ্যচিত্র দেখে কেউ বিভ্রান্ত হয়েছেন কি না। এরপর আদালত ঠিক করবেন, বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের এখতিয়ারের আওতায় পড়ে কি না।
৯ মিনিট আগে
দুই হাতে শক্ত করে জড়িয়ে আছে একটি সাপ। সরীসৃপটির শীতল স্পর্শ যেন এক মুহূর্তের জন্য শান্তি দিল। তবে চোখ বন্ধ করলেই ফিরে আসে যুদ্ধের শব্দ। আতঙ্কে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। গাজায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে সেনাবাহিনী ছাড়ার ১৮ মাস পার হয়ে গেলেও এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশে প্রচুর পরিমাণে প্রতিভাবান মানুষ নেই। আর তাই তিনি বিদেশি প্রতিভাদের টানতে আগ্রহী। গতকাল মঙ্গলবার সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, দেশটির প্রয়োজনীয় চাকরির শূন্যতা পূরণে পর্যাপ্ত যোগ্য কর্মী নেই। তাই তিনি এইচ১–বি
৫ ঘণ্টা আগে
আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হোটেল সিয়েল দুবাই মেরিনা। আগামী ১৫ নভেম্বর ৩৭৭ মিটার উচ্চতার এই হোটেলটির উদ্বোধন হবে। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি তথ্যচিত্র সম্পাদনা করেছে, যাতে মনে হয়, তিনি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার উসকানি দিয়েছিলেন।
তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মামলা টিকিয়ে রাখতে হলে ট্রাম্পকে প্রথমে প্রমাণ করতে হবে—ফ্লোরিডায় ওই তথ্যচিত্র দেখে কেউ বিভ্রান্ত হয়েছেন কি না। এরপর আদালত ঠিক করবেন, বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের এখতিয়ারের আওতায় পড়ে কি না।
ট্রাম্প ও তাঁর আইনজীবীদের অভিযোগ, বিবিসি তাদের ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের এক ভাষণের দুটি অংশ জোড়া লাগিয়ে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে, যাতে মনে হয়, তিনি সমর্থকদের দাঙ্গায় উসকানি দিয়েছেন।
বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ ইতিমধ্যে সম্পাদনায় ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং জানিয়েছেন, আইনি নোটিশের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবিসিও সংকটে পড়েছে। এর মধ্যে বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডেভি ও নিউজ সিইও ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে বিবিসিকে পাঠানো ট্রাম্প প্রশাসনের চিঠির একটি কপি এসেছে। যাতে বলা হয়েছে, বিবিসিকে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে সম্প্রচারিত পর্বটি প্রত্যাহারের জন্য আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে, নতুবা মামলা করা হবে।
এর আগে ট্রাম্প ফক্স নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি বাধ্য হয়েছি বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করতে। তারা জনগণকে প্রতারিত করেছে আর এখন নিজেরাই সেটা স্বীকার করছে।’
তবে মার্কিন আদালতে বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমত, বিবিসি একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। এর সদর দপ্তর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে অবস্থিত ব্রডকাস্টিং হাউসে। প্রশ্ন হতে পারে, ট্রাম্প কি যুক্তরাষ্ট্রে বসে বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন?
এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের আইনজীবীরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, মামলা হবে ফ্লোরিডায়। তবে এখানেও কিছু প্রশ্ন হতে পারে। যেমন; আদালত প্রথম প্রশ্ন করতে পারেন—বিবিসি কি ফ্লোরিডায় সক্রিয়ভাবে উপস্থিত থেকে ওই ভিডিওটি প্রচার করেছে এবং সেখানে কেউ কি ওই তথ্যচিত্র দেখে বিভ্রান্ত বা প্রভাবিত হয়েছেন?
দ্বিতীয়ত, মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে টিকবে কি না, তা নির্ভর করবে আদালতের এখতিয়ারের (Jurisdiction) ওপর। যদি ফ্লোরিডার আদালত এই এখতিয়ার অস্বীকার করেন, তাহলে মামলা দ্রুত খারিজ হয়ে যাবে।
ট্রাম্পকে কী প্রমাণ করতে হবে
যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা বেশ কঠিন। এ ধরনের মামলার ক্ষেত্রে প্রমাণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রমাণ করতে হবে—বিবিসির প্রচারিত বিষয়টি ভুল ও মানহানিকর এবং বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে বা অবহেলাবশত সত্য গোপন করেছে।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা বিবিসির অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ যাচাই করতে চাইবেন, যা প্রমাণ করবে যে তারা দর্শকদের বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল বা সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছিল।
আরও একটি বিষয় হলো, বিবিসির বিরুদ্ধে বামঘেঁষা পক্ষপাতের অভিযোগ রয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা প্রমাণ হিসেবে এ ধরনের তথ্য কাজে লাগাতে পারেন।
বিবিসি কীভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করবে
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী সংবাদমাধ্যমকে সবচেয়ে শক্তিশালী আইনি সুরক্ষা দেয়। ফ্লোরিডার আদালতে বিবিসি দাবি করতে পারে—তথ্যচিত্রটি সত্য, এর প্রচার বা সম্পাদনা দর্শককে বিভ্রান্ত করেনি এবং ট্রাম্পের সুনাম বা আর্থিক ক্ষতি হয়নি।
এ ছাড়া ফ্লোরিডায় একটি রাজ্য আইন রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, ফ্লোরিডায় মানহানির মামলা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হলে তা দ্রুত খারিজ করার বিধানও রয়েছে।
ট্রাম্প যুক্তরাজ্যে মামলা করছেন না কেন
ব্রিটেনে মানহানির মামলা দাখিল করতে হয় কোনো ঘটনা ঘটার এক বছরের মধ্যে, যা ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে মানহানির মামলায় সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড (প্রায় ৪.৭ লাখ ডলার), যা ট্রাম্পের দাবির তুলনায় অনেক কম।
অন্যদিকে, এই মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক কয়েক শ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
ট্রাম্প কি সত্যিই ১ বিলিয়ন ডলার পেতে পারেন
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অঙ্ক মূলত আলোচনার চাপ সৃষ্টি ও সমঝোতার কৌশল। শেষ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ঠিক করবেন আদালত বা জুরি।
এর আগে ২০২৪ সালে ট্রাম্প মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের বিরুদ্ধে ২০ বিলিয়ন ডলারের মামলা করেছিলেন, যা পরে ১৬ মিলিয়ন ডলারে মীমাংসা হয়।
তা ছাড়া চলতি বছরের জুলাইয়ে তিনি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধেও ১০ বিলিয়ন ডলারের মামলা করেছেন, যা এখনো চলমান।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বিবিসির বিরুদ্ধে ১০০ কোটি ডলারের মানহানি মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। তাঁর দাবি, বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি তথ্যচিত্র সম্পাদনা করেছে, যাতে মনে হয়, তিনি ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে সহিংসতার উসকানি দিয়েছিলেন।
তবে আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই মামলা টিকিয়ে রাখতে হলে ট্রাম্পকে প্রথমে প্রমাণ করতে হবে—ফ্লোরিডায় ওই তথ্যচিত্র দেখে কেউ বিভ্রান্ত হয়েছেন কি না। এরপর আদালত ঠিক করবেন, বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের এখতিয়ারের আওতায় পড়ে কি না।
ট্রাম্প ও তাঁর আইনজীবীদের অভিযোগ, বিবিসি তাদের ‘প্যানোরামা’ অনুষ্ঠানে ট্রাম্পের এক ভাষণের দুটি অংশ জোড়া লাগিয়ে এমনভাবে উপস্থাপন করেছে, যাতে মনে হয়, তিনি সমর্থকদের দাঙ্গায় উসকানি দিয়েছেন।
বিবিসির চেয়ারম্যান সামির শাহ ইতিমধ্যে সম্পাদনায় ভুল স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং জানিয়েছেন, আইনি নোটিশের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হচ্ছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিবিসিও সংকটে পড়েছে। এর মধ্যে বিবিসির ডিরেক্টর জেনারেল টিম ডেভি ও নিউজ সিইও ডেবোরা টারনেস পদত্যাগ করেছেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের কাছে বিবিসিকে পাঠানো ট্রাম্প প্রশাসনের চিঠির একটি কপি এসেছে। যাতে বলা হয়েছে, বিবিসিকে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে সম্প্রচারিত পর্বটি প্রত্যাহারের জন্য আগামী শুক্রবার পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে, নতুবা মামলা করা হবে।
এর আগে ট্রাম্প ফক্স নিউজের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি বাধ্য হয়েছি বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করতে। তারা জনগণকে প্রতারিত করেছে আর এখন নিজেরাই সেটা স্বীকার করছে।’
তবে মার্কিন আদালতে বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। প্রথমত, বিবিসি একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম। এর সদর দপ্তর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে অবস্থিত ব্রডকাস্টিং হাউসে। প্রশ্ন হতে পারে, ট্রাম্প কি যুক্তরাষ্ট্রে বসে বিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারবেন?
এ ক্ষেত্রে ট্রাম্পের আইনজীবীরা ইঙ্গিত দিয়েছেন, মামলা হবে ফ্লোরিডায়। তবে এখানেও কিছু প্রশ্ন হতে পারে। যেমন; আদালত প্রথম প্রশ্ন করতে পারেন—বিবিসি কি ফ্লোরিডায় সক্রিয়ভাবে উপস্থিত থেকে ওই ভিডিওটি প্রচার করেছে এবং সেখানে কেউ কি ওই তথ্যচিত্র দেখে বিভ্রান্ত বা প্রভাবিত হয়েছেন?
দ্বিতীয়ত, মামলাটি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে টিকবে কি না, তা নির্ভর করবে আদালতের এখতিয়ারের (Jurisdiction) ওপর। যদি ফ্লোরিডার আদালত এই এখতিয়ার অস্বীকার করেন, তাহলে মামলা দ্রুত খারিজ হয়ে যাবে।
ট্রাম্পকে কী প্রমাণ করতে হবে
যুক্তরাষ্ট্রে মানহানির মামলা বেশ কঠিন। এ ধরনের মামলার ক্ষেত্রে প্রমাণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে প্রমাণ করতে হবে—বিবিসির প্রচারিত বিষয়টি ভুল ও মানহানিকর এবং বিবিসি ইচ্ছাকৃতভাবে বা অবহেলাবশত সত্য গোপন করেছে।
ট্রাম্পের আইনজীবীরা বিবিসির অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ যাচাই করতে চাইবেন, যা প্রমাণ করবে যে তারা দর্শকদের বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল বা সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছিল।
আরও একটি বিষয় হলো, বিবিসির বিরুদ্ধে বামঘেঁষা পক্ষপাতের অভিযোগ রয়েছে। ট্রাম্পের আইনজীবীরা প্রমাণ হিসেবে এ ধরনের তথ্য কাজে লাগাতে পারেন।
বিবিসি কীভাবে আত্মপক্ষ সমর্থন করবে
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের প্রথম সংশোধনী সংবাদমাধ্যমকে সবচেয়ে শক্তিশালী আইনি সুরক্ষা দেয়। ফ্লোরিডার আদালতে বিবিসি দাবি করতে পারে—তথ্যচিত্রটি সত্য, এর প্রচার বা সম্পাদনা দর্শককে বিভ্রান্ত করেনি এবং ট্রাম্পের সুনাম বা আর্থিক ক্ষতি হয়নি।
এ ছাড়া ফ্লোরিডায় একটি রাজ্য আইন রয়েছে। এই আইন অনুযায়ী, ফ্লোরিডায় মানহানির মামলা ভিত্তিহীন প্রমাণিত হলে তা দ্রুত খারিজ করার বিধানও রয়েছে।
ট্রাম্প যুক্তরাজ্যে মামলা করছেন না কেন
ব্রিটেনে মানহানির মামলা দাখিল করতে হয় কোনো ঘটনা ঘটার এক বছরের মধ্যে, যা ইতিমধ্যে পেরিয়ে গেছে। এ ছাড়া যুক্তরাজ্যে মানহানির মামলায় সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণের পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার পাউন্ড (প্রায় ৪.৭ লাখ ডলার), যা ট্রাম্পের দাবির তুলনায় অনেক কম।
অন্যদিকে, এই মামলায় যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক কয়েক শ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
ট্রাম্প কি সত্যিই ১ বিলিয়ন ডলার পেতে পারেন
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অঙ্ক মূলত আলোচনার চাপ সৃষ্টি ও সমঝোতার কৌশল। শেষ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণের পরিমাণ ঠিক করবেন আদালত বা জুরি।
এর আগে ২০২৪ সালে ট্রাম্প মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএসের বিরুদ্ধে ২০ বিলিয়ন ডলারের মামলা করেছিলেন, যা পরে ১৬ মিলিয়ন ডলারে মীমাংসা হয়।
তা ছাড়া চলতি বছরের জুলাইয়ে তিনি ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বিরুদ্ধেও ১০ বিলিয়ন ডলারের মামলা করেছেন, যা এখনো চলমান।

ইউক্রেন সংকট নিরসনে প্যারিস জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে যে বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছে তার জবাব দিয়েছে ক্রেমলিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে সম্মেলন আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে ‘তাড়াহুড়ো’ করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
দুই হাতে শক্ত করে জড়িয়ে আছে একটি সাপ। সরীসৃপটির শীতল স্পর্শ যেন এক মুহূর্তের জন্য শান্তি দিল। তবে চোখ বন্ধ করলেই ফিরে আসে যুদ্ধের শব্দ। আতঙ্কে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। গাজায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে সেনাবাহিনী ছাড়ার ১৮ মাস পার হয়ে গেলেও এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশে প্রচুর পরিমাণে প্রতিভাবান মানুষ নেই। আর তাই তিনি বিদেশি প্রতিভাদের টানতে আগ্রহী। গতকাল মঙ্গলবার সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, দেশটির প্রয়োজনীয় চাকরির শূন্যতা পূরণে পর্যাপ্ত যোগ্য কর্মী নেই। তাই তিনি এইচ১–বি
৫ ঘণ্টা আগে
আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হোটেল সিয়েল দুবাই মেরিনা। আগামী ১৫ নভেম্বর ৩৭৭ মিটার উচ্চতার এই হোটেলটির উদ্বোধন হবে। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দুই হাতে শক্ত করে জড়িয়ে আছে একটি সাপ। সরীসৃপটির শীতল স্পর্শ যেন এক মুহূর্তের জন্য শান্তি দিল। তবে চোখ বন্ধ করলেই ফিরে আসে যুদ্ধের শব্দ। আতঙ্কে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। গাজায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে সেনাবাহিনী ছাড়ার ১৮ মাস পার হয়ে গেলেও এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না। এ অবস্থা হামাসের হামলায় আহত ২৭ বছর বয়সী এক সার্জেন্ট মেজরের। যুদ্ধের ট্রমা থেকে বের হয়ে আসতে ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলের এক খামারে নিচ্ছিলেন প্রাণীর সংস্পর্শে থাকার থেরাপি।
সাবেক এক ইসরায়েলি সেনা জানান তাঁর দুই সহযোদ্ধা আত্মহত্যা করেছেন। দুজনের বয়সই ছিল কুড়ির ঘরে। থেরাপি নেওয়ার পরের অবস্থার বোঝাতে এই ইসরায়েলি সেনা বলেন, ‘এখন পাশ দিয়ে যদি কোনো বিমান বা ড্রোন উড়ে যায় কিংবা কেউ চিৎকার করতে থাকে, তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ আমি এখন এই সাপের সঙ্গে আছি।’
মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায়, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে কথা বলা এই সেনা নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চালিয়ে যাওয়া গাজাযুদ্ধে চলছে ভঙ্গুর এক বিরতি। এই বিরতির চুক্তি অনেকবারই ভঙ্গ করছে ইসরায়েল। তবে গাজা ছেড়ে যাওয়া অনেক সেনার স্মৃতিতে যুদ্ধের সময়গুলো যেন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকে। বাড়ছে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি), বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যা। পাশাপাশি আত্মহননের ঘটনাও ঘটছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে প্রায় ১১ হাজার সেনা ‘মানসিক আঘাত’ জনিত সমস্যায় ভুগছেন। এই সংখ্যা ইসরায়েলের ৮০ বছরের ইতিহাসে সব যুদ্ধ মিলিয়ে এমন আঘাতে আক্রান্ত মোট সেনার এক–তৃতীয়াংশেরও বেশি।
মন্ত্রণালয় ‘মানসিক আঘাত’ বলতে পিটিএসডি, উদ্বেগ, বিষণ্নতা ও অন্যান্য মানসিক সমস্যাকে বুঝিয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাদের আত্মহত্যার হারও বেড়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে এক দশক ধরে প্রতি বছর গড়ে ১৩ জন সেনা আত্মহত্যা করতেন। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর এই সংখ্যা বেড়ে গেছে। সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ২১ জন সেনা আত্মহত্যা করেছেন।
তবে এই হিসাবের মধ্যে দায়িত্বরত সেনা ও রিজার্ভ সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত। সেনাবাহিনী ছাড়ার পর যারা আত্মহত্যা করেছেন, তারা এই পরিসংখ্যানে নেই।
গত মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট জানায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত আরও ২৭৯ জন সেনা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে তারা বেঁচে গেছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান ও উপমহাপরিচালক লিমোর লুরিয়া বলেন, ‘মানসিক আঘাতের প্রভাব কতটা গভীর সেটা এখন সবাই উপলব্ধি করছে। এর চিকিৎসা প্রয়োজন এবং সম্ভবও।’
লুরিয়া আরও বলেন, ‘আমরা এখন প্রজন্মগত পার্থক্য দেখছি। আগের যুদ্ধের বহু আহত সেনা কখনো সাহায্য নেননি, কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের আহতরা একেবারে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।’
এই সংকট মোকাবিলায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। শত শত মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদের সহায়তার জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হচ্ছে। একই সঙ্গে সহায়তা হটলাইন চালু করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অবসরের পর যৌথ থেরাপি সেশন আয়োজন করা হচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, ইসরায়েল এখনো এত বড় পরিসরের মানসিক সংকট সামলানোর মতো প্রস্তুত নয়। বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগও স্বীকার করেছে। তাদের মতে, এই সংকট পুরো জাতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থাকেই প্রভাবিত করছে।
ট্রমা থেরাপি স্পেশালিস্ট টুলি ফ্লিন্ট বলেন, এই যুদ্ধের দীর্ঘ মেয়াদ ও তীব্রতা, পাশাপাশি বারবার মোতায়েন করা সেনাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এতে সেনারা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। এটি ভবিষ্যতে দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধের মানসিক ভুক্তভোগীদের যদি যথাযথ চিকিৎসা না দেওয়া হয়, তারা নিজেদের, পরিবারের এবং সমাজের জন্য একপ্রকার বোঝা হয়ে উঠতে পারেন।’
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে কথা বলা ইসরায়েলি সেনা ও তাঁদের চিকিৎসায় নিযুক্ত মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, যুদ্ধ শেষে অনেকেই জীবনের উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলছেন। তাদের মনোযোগ ধরে রাখা, সম্পর্ক গড়া বা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অসহায়ত্ব ও হতাশার অনুভূতি আরও গভীর হয়েছে।
ট্রমা থেরাপিস্ট টুলি ফ্লিন্ট জানান, কিছু সেনা ‘নৈতিকভাবে আহত’ হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষে অনেক সেনা নিজেদের প্রশ্ন করেন—যা দেখেছি, যা করেছি, তার পর আমি আসলে কে? আমি কী ধরনের মানুষ?’
যুদ্ধের শুরুতে প্রায় ছয় মাস রেডিও টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করা ২৭ বছর বয়সী এক সাবেক সেনা জানান, এ বছরের শুরুতে তিনি এই খামারে আসেন, কারণ তখন নিজেকে পুরোপুরি হারিয়ে ফেলা মনে হচ্ছিল।
গাজার সীমান্তে তাঁর ঘাঁটিতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, তাতে তাঁর পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। এরপর থেকে তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, শব্দে আতঙ্কিত ও সবসময় টানটান উত্তেজিত মানসিক অবস্থায় থাকতেন।
তিনি বলেন, ‘সবকিছু আরও বেড়ে যেতে থাকল। আমার রাগ, আমার চিৎকার, আমার অনুভূতি। যেন কেউ ভলিউম বাড়িয়ে দিয়েছে।’
তিনি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তবে এই খামার তাঁকে এক ভিন্নভাবে সুস্থ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। একই অভিজ্ঞতার মানুষদের সঙ্গে থাকা এবং প্রাণীদের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে তিনি মনকে শান্ত রাখতে পারছেন, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছেন।
সদোট ইয়াম কিবুতজে অবস্থিত ‘ব্যাক টু লাইফ’ খামারটি সেনাদের সহায়তার জন্য নেওয়া অনেক ছোট ছোট উদ্যোগের একটি।
২০১৪ সালে গাজায় যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন আমির ইয়ারদিনাই (দানি)। সেখান থেকে ফিরে বছরের পর বছর তীব্র পিটিএসডিতে বা মানসিক সমস্যায় ভুগে গত বছর আত্মহত্যা করেন। তাঁকে উৎসর্গ করে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আসি নাভে এই খামারটি প্রতিষ্ঠা করেন।
আসি নাভে বলেন, ‘দানির মৃত্যু আমাকে অনুভব করিয়েছিল—সে-ই শেষ নয়।’
এই খামার এখন দশকের পর দশক যুদ্ধফেরত সেনাদের জন্য এক প্রশান্ত আশ্রয়স্থল। এখানে তারা প্রচলিত কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি কুকুরসহ বিভিন্ন প্রাণীর মাধ্যমে থেরাপি নেন। চারদিকে পাখির ডাক আর মুরগির ডাকের প্রাকৃতিক পরিবেশে সাবেক সেনারা উদ্ধারকৃত প্রাণীদের সঙ্গে কাজ করেন—যেখানে মানুষ ও প্রাণী দুজনেই একে অপরকে সুস্থ হতে সাহায্য করে।
এই খামারের থেরাপি কার্যক্রমে পরামর্শদাতা মনোবিজ্ঞানী গাই ফ্লুম্যান বলেন, সেনাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নাগরিক জীবনে ফিরে খাপ খাওয়ানো। প্রাণীদের সঙ্গে থাকা তাঁদের মনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের অতীতের স্মৃতিগুলো সামলাতে সাহায্য করতে হবে, যাতে তারা যা ঘটেছে তার সঙ্গে শান্তিতে থাকতে শিখে... এবং পাশাপাশি আবার জীবনের সঙ্গে সংযোগ খুঁজে পায়।’
গাজা ও পশ্চিম তীরে এক বছর মোতায়েন থাকা ৩১ বছর বয়সী এক সেনা বাড়ি ফিরে আরেক লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছে। ভেঙে গেছে যত্নে গড়া সম্পর্কগুলো। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ ধরে রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘মনে হতো আমি এখনো সেখানেই আছি। আমার শরীর এখানে, কিন্তু মন এখনো যুদ্ধক্ষেত্রে রয়ে গেছে।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগের পরিচালক লিমোর লুরিয়া স্বীকার করেছেন, সেনাদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বিষয়টি সামাজিক কলঙ্কতে পরিণত হয়েছে। এই কলঙ্ক দূর করতে কাজ চলছে।
লুরিয়া জানান, জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান, গণমাধ্যমে প্রচার এবং তরুণ যুদ্ধফেরতদের যুক্ত করতে পুনর্বাসন খামার ও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের মতো কর্মসূচি রয়েছে।
৩২ বছর বয়সী এক রিজার্ভ সেনা বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর দক্ষিণ ইসরায়েলে নিহতদের মরদেহ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওই হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মা হন।
তিনি জানান, তার ফ্ল্যাশব্যাকগুলো মৃতদেহের দৃশ্য নয়, বরং গন্ধের সঙ্গে বেশি যুক্ত। এই সেনা বলেন, ‘আমি যেন সবসময় মৃতদেহের গন্ধ পাই। এমনকি নিজের সন্তানের ডায়াপার বদলানোর সময়ও সেই গন্ধ মনে পড়ে যায়।’
তিনি নিজেও একজন থেরাপিস্ট। তাই দ্রুতই বুঝতে পারেন, এটি পিটিএসডির (PTSD) লক্ষণ। এরপর চিকিৎসা নেন তিনি। এখন অন্য সেনাদেরও সহায়তা করছেন।
তাঁর মতে, সেনাদের চিকিৎসা নিতে উৎসাহিত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো মাঠপর্যায়ের কমান্ডারদের ভূমিকা।
ওই সেনা বলেন, ‘যখন কোনো কমান্ডার নিজেই বলেন, ‘তুমি সাহায্য নিতে পারো’। তখন বিষয়টা অনেক সহজ হয়। এতে ভয় বা সামাজিক কলঙ্ক কমে যায়।’

দুই হাতে শক্ত করে জড়িয়ে আছে একটি সাপ। সরীসৃপটির শীতল স্পর্শ যেন এক মুহূর্তের জন্য শান্তি দিল। তবে চোখ বন্ধ করলেই ফিরে আসে যুদ্ধের শব্দ। আতঙ্কে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। গাজায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে সেনাবাহিনী ছাড়ার ১৮ মাস পার হয়ে গেলেও এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না। এ অবস্থা হামাসের হামলায় আহত ২৭ বছর বয়সী এক সার্জেন্ট মেজরের। যুদ্ধের ট্রমা থেকে বের হয়ে আসতে ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলের এক খামারে নিচ্ছিলেন প্রাণীর সংস্পর্শে থাকার থেরাপি।
সাবেক এক ইসরায়েলি সেনা জানান তাঁর দুই সহযোদ্ধা আত্মহত্যা করেছেন। দুজনের বয়সই ছিল কুড়ির ঘরে। থেরাপি নেওয়ার পরের অবস্থার বোঝাতে এই ইসরায়েলি সেনা বলেন, ‘এখন পাশ দিয়ে যদি কোনো বিমান বা ড্রোন উড়ে যায় কিংবা কেউ চিৎকার করতে থাকে, তাতে কিছু যায় আসে না। কারণ আমি এখন এই সাপের সঙ্গে আছি।’
মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টি সংবেদনশীল হওয়ায়, অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে কথা বলা এই সেনা নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে চালিয়ে যাওয়া গাজাযুদ্ধে চলছে ভঙ্গুর এক বিরতি। এই বিরতির চুক্তি অনেকবারই ভঙ্গ করছে ইসরায়েল। তবে গাজা ছেড়ে যাওয়া অনেক সেনার স্মৃতিতে যুদ্ধের সময়গুলো যেন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন অনেকে। বাড়ছে পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার (পিটিএসডি), বিষণ্নতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যা। পাশাপাশি আত্মহননের ঘটনাও ঘটছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে প্রায় ১১ হাজার সেনা ‘মানসিক আঘাত’ জনিত সমস্যায় ভুগছেন। এই সংখ্যা ইসরায়েলের ৮০ বছরের ইতিহাসে সব যুদ্ধ মিলিয়ে এমন আঘাতে আক্রান্ত মোট সেনার এক–তৃতীয়াংশেরও বেশি।
মন্ত্রণালয় ‘মানসিক আঘাত’ বলতে পিটিএসডি, উদ্বেগ, বিষণ্নতা ও অন্যান্য মানসিক সমস্যাকে বুঝিয়েছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাদের আত্মহত্যার হারও বেড়েছে। যুদ্ধ শুরুর আগে এক দশক ধরে প্রতি বছর গড়ে ১৩ জন সেনা আত্মহত্যা করতেন। কিন্তু যুদ্ধ শুরুর পর এই সংখ্যা বেড়ে গেছে। সেনাবাহিনীর তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ২১ জন সেনা আত্মহত্যা করেছেন।
তবে এই হিসাবের মধ্যে দায়িত্বরত সেনা ও রিজার্ভ সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত। সেনাবাহিনী ছাড়ার পর যারা আত্মহত্যা করেছেন, তারা এই পরিসংখ্যানে নেই।
গত মাসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ইসরায়েলি পার্লামেন্ট জানায়, ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত আরও ২৭৯ জন সেনা আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন। তবে তারা বেঁচে গেছেন।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগের প্রধান ও উপমহাপরিচালক লিমোর লুরিয়া বলেন, ‘মানসিক আঘাতের প্রভাব কতটা গভীর সেটা এখন সবাই উপলব্ধি করছে। এর চিকিৎসা প্রয়োজন এবং সম্ভবও।’
লুরিয়া আরও বলেন, ‘আমরা এখন প্রজন্মগত পার্থক্য দেখছি। আগের যুদ্ধের বহু আহত সেনা কখনো সাহায্য নেননি, কিন্তু বর্তমান প্রজন্মের আহতরা একেবারে ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন।’
এই সংকট মোকাবিলায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছে। শত শত মানসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে সেনাদের সহায়তার জন্য মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের পাঠানো হচ্ছে। একই সঙ্গে সহায়তা হটলাইন চালু করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অবসরের পর যৌথ থেরাপি সেশন আয়োজন করা হচ্ছে।
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, ইসরায়েল এখনো এত বড় পরিসরের মানসিক সংকট সামলানোর মতো প্রস্তুত নয়। বিষয়টি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগও স্বীকার করেছে। তাদের মতে, এই সংকট পুরো জাতীয় স্বাস্থ্যব্যবস্থাকেই প্রভাবিত করছে।
ট্রমা থেরাপি স্পেশালিস্ট টুলি ফ্লিন্ট বলেন, এই যুদ্ধের দীর্ঘ মেয়াদ ও তীব্রতা, পাশাপাশি বারবার মোতায়েন করা সেনাদের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এতে সেনারা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। এটি ভবিষ্যতে দেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির কারণ হতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধের মানসিক ভুক্তভোগীদের যদি যথাযথ চিকিৎসা না দেওয়া হয়, তারা নিজেদের, পরিবারের এবং সমাজের জন্য একপ্রকার বোঝা হয়ে উঠতে পারেন।’
অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের সঙ্গে কথা বলা ইসরায়েলি সেনা ও তাঁদের চিকিৎসায় নিযুক্ত মনোবিজ্ঞানীরা বলেছেন, যুদ্ধ শেষে অনেকেই জীবনের উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলছেন। তাদের মনোযোগ ধরে রাখা, সম্পর্ক গড়া বা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অসহায়ত্ব ও হতাশার অনুভূতি আরও গভীর হয়েছে।
ট্রমা থেরাপিস্ট টুলি ফ্লিন্ট জানান, কিছু সেনা ‘নৈতিকভাবে আহত’ হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ শেষে অনেক সেনা নিজেদের প্রশ্ন করেন—যা দেখেছি, যা করেছি, তার পর আমি আসলে কে? আমি কী ধরনের মানুষ?’
যুদ্ধের শুরুতে প্রায় ছয় মাস রেডিও টেকনিশিয়ান হিসেবে কাজ করা ২৭ বছর বয়সী এক সাবেক সেনা জানান, এ বছরের শুরুতে তিনি এই খামারে আসেন, কারণ তখন নিজেকে পুরোপুরি হারিয়ে ফেলা মনে হচ্ছিল।
গাজার সীমান্তে তাঁর ঘাঁটিতে একটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, তাতে তাঁর পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। এরপর থেকে তিনি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন, শব্দে আতঙ্কিত ও সবসময় টানটান উত্তেজিত মানসিক অবস্থায় থাকতেন।
তিনি বলেন, ‘সবকিছু আরও বেড়ে যেতে থাকল। আমার রাগ, আমার চিৎকার, আমার অনুভূতি। যেন কেউ ভলিউম বাড়িয়ে দিয়েছে।’
তিনি সেনাবাহিনীর মাধ্যমে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তবে এই খামার তাঁকে এক ভিন্নভাবে সুস্থ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। একই অভিজ্ঞতার মানুষদের সঙ্গে থাকা এবং প্রাণীদের যত্ন নেওয়ার মাধ্যমে তিনি মনকে শান্ত রাখতে পারছেন, ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছেন।
সদোট ইয়াম কিবুতজে অবস্থিত ‘ব্যাক টু লাইফ’ খামারটি সেনাদের সহায়তার জন্য নেওয়া অনেক ছোট ছোট উদ্যোগের একটি।
২০১৪ সালে গাজায় যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন আমির ইয়ারদিনাই (দানি)। সেখান থেকে ফিরে বছরের পর বছর তীব্র পিটিএসডিতে বা মানসিক সমস্যায় ভুগে গত বছর আত্মহত্যা করেন। তাঁকে উৎসর্গ করে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু আসি নাভে এই খামারটি প্রতিষ্ঠা করেন।
আসি নাভে বলেন, ‘দানির মৃত্যু আমাকে অনুভব করিয়েছিল—সে-ই শেষ নয়।’
এই খামার এখন দশকের পর দশক যুদ্ধফেরত সেনাদের জন্য এক প্রশান্ত আশ্রয়স্থল। এখানে তারা প্রচলিত কাউন্সেলিংয়ের পাশাপাশি কুকুরসহ বিভিন্ন প্রাণীর মাধ্যমে থেরাপি নেন। চারদিকে পাখির ডাক আর মুরগির ডাকের প্রাকৃতিক পরিবেশে সাবেক সেনারা উদ্ধারকৃত প্রাণীদের সঙ্গে কাজ করেন—যেখানে মানুষ ও প্রাণী দুজনেই একে অপরকে সুস্থ হতে সাহায্য করে।
এই খামারের থেরাপি কার্যক্রমে পরামর্শদাতা মনোবিজ্ঞানী গাই ফ্লুম্যান বলেন, সেনাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নাগরিক জীবনে ফিরে খাপ খাওয়ানো। প্রাণীদের সঙ্গে থাকা তাঁদের মনকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে।
তিনি আরও বলেন, ‘তাদের অতীতের স্মৃতিগুলো সামলাতে সাহায্য করতে হবে, যাতে তারা যা ঘটেছে তার সঙ্গে শান্তিতে থাকতে শিখে... এবং পাশাপাশি আবার জীবনের সঙ্গে সংযোগ খুঁজে পায়।’
গাজা ও পশ্চিম তীরে এক বছর মোতায়েন থাকা ৩১ বছর বয়সী এক সেনা বাড়ি ফিরে আরেক লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছে। ভেঙে গেছে যত্নে গড়া সম্পর্কগুলো। পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ ধরে রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘মনে হতো আমি এখনো সেখানেই আছি। আমার শরীর এখানে, কিন্তু মন এখনো যুদ্ধক্ষেত্রে রয়ে গেছে।’
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগের পরিচালক লিমোর লুরিয়া স্বীকার করেছেন, সেনাদের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার বিষয়টি সামাজিক কলঙ্কতে পরিণত হয়েছে। এই কলঙ্ক দূর করতে কাজ চলছে।
লুরিয়া জানান, জনসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান, গণমাধ্যমে প্রচার এবং তরুণ যুদ্ধফেরতদের যুক্ত করতে পুনর্বাসন খামার ও অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের মতো কর্মসূচি রয়েছে।
৩২ বছর বয়সী এক রিজার্ভ সেনা বলেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর দক্ষিণ ইসরায়েলে নিহতদের মরদেহ সংগ্রহের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ওই হামলায় প্রায় ১২০০ জন নিহত ও ২৫১ জন জিম্মা হন।
তিনি জানান, তার ফ্ল্যাশব্যাকগুলো মৃতদেহের দৃশ্য নয়, বরং গন্ধের সঙ্গে বেশি যুক্ত। এই সেনা বলেন, ‘আমি যেন সবসময় মৃতদেহের গন্ধ পাই। এমনকি নিজের সন্তানের ডায়াপার বদলানোর সময়ও সেই গন্ধ মনে পড়ে যায়।’
তিনি নিজেও একজন থেরাপিস্ট। তাই দ্রুতই বুঝতে পারেন, এটি পিটিএসডির (PTSD) লক্ষণ। এরপর চিকিৎসা নেন তিনি। এখন অন্য সেনাদেরও সহায়তা করছেন।
তাঁর মতে, সেনাদের চিকিৎসা নিতে উৎসাহিত করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো মাঠপর্যায়ের কমান্ডারদের ভূমিকা।
ওই সেনা বলেন, ‘যখন কোনো কমান্ডার নিজেই বলেন, ‘তুমি সাহায্য নিতে পারো’। তখন বিষয়টা অনেক সহজ হয়। এতে ভয় বা সামাজিক কলঙ্ক কমে যায়।’

ইউক্রেন সংকট নিরসনে প্যারিস জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে যে বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছে তার জবাব দিয়েছে ক্রেমলিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে সম্মেলন আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে ‘তাড়াহুড়ো’ করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এই মামলা টিকিয়ে রাখতে হলে ট্রাম্পকে প্রথমে প্রমাণ করতে হবে—ফ্লোরিডায় ওই তথ্যচিত্র দেখে কেউ বিভ্রান্ত হয়েছেন কি না। এরপর আদালত ঠিক করবেন, বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের এখতিয়ারের আওতায় পড়ে কি না।
৯ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশে প্রচুর পরিমাণে প্রতিভাবান মানুষ নেই। আর তাই তিনি বিদেশি প্রতিভাদের টানতে আগ্রহী। গতকাল মঙ্গলবার সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, দেশটির প্রয়োজনীয় চাকরির শূন্যতা পূরণে পর্যাপ্ত যোগ্য কর্মী নেই। তাই তিনি এইচ১–বি
৫ ঘণ্টা আগে
আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হোটেল সিয়েল দুবাই মেরিনা। আগামী ১৫ নভেম্বর ৩৭৭ মিটার উচ্চতার এই হোটেলটির উদ্বোধন হবে। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশে প্রচুর পরিমাণে প্রতিভাবান মানুষ নেই। আর তাই তিনি বিদেশি প্রতিভাদের টানতে আগ্রহী। গতকাল মঙ্গলবার সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, দেশটির প্রয়োজনীয় চাকরির শূন্যতা পূরণে পর্যাপ্ত যোগ্য কর্মী নেই। তাই তিনি এইচ১–বি ভিসার মাধ্যমে দক্ষ কর্মী নেওয়ার পক্ষে।
ফক্স নিউজের সাংবাদিক লরা ইনগ্রাহাম ট্রাম্পের কাছে জানতে চান যে, তাঁর প্রশাসন এইচ১–বি ভিসা কমাবে কি না? কারণ, এর ফলে আমেরিকান শ্রমিকদের বেতন কমতে পারে। ট্রাম্প বলেন, বেতন কমার বিষয়ে ‘আমি একমত, তবে প্রতিভাও আনতে হবে।’
এ সময় ইনগ্রাহাম বলেন, ‘এখানে প্রচুর প্রতিভাবান মানুষ আছে।’ ট্রাম্প জবাব দেন, ‘না, নেই, নেই…কিছু নির্দিষ্ট প্রতিভা নেই, মানুষকে শেখাতে হয়। আপনি কাউকে বেকার লাইন থেকে নিয়ে এসে বলতে পারেন না যে, আমি তোমাকে এমন একটি কারখানায় রাখব যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হবে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেপ্টেম্বরে জর্জিয়ায় হুন্দাই কারখানায় আইসিই-এর রেইডের উদাহরণ দেন। সেখানে কর্তৃপক্ষ শত শত দক্ষিণ কোরিয়ান ঠিকাদারকে তাদের অভিবাসন পরিস্থিতি নিয়ে গ্রেপ্তার ও দেশত্যাগ করেছিল। ট্রাম্প বলেন, ‘জর্জিয়ায় তারা রেইড করেছিল কারণ তারা অবৈধ অভিবাসীদের বের করতে চেয়েছিল—সেখানে এমন মানুষ ছিল যারা সারা জীবন ব্যাটারি তৈরি করেছে। ব্যাটারি তৈরি করা খুব জটিল। সহজ কাজ নয়। বিপজ্জনক, বিস্ফোরণ অনেক। তারা প্রায় ৫০০-৬০০ জন মানুষ নিয়ে ব্যাটারি বানাচ্ছিল এবং অন্যদের শেখাচ্ছিল। তাদের দেশ থেকে বের করতে চেয়েছিল। লরা, তোমার এ ধরনের দক্ষতা লাগবে।’
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরেই ট্রাম্প এইচ-১বি ভিসার জন্য ১ লাখ ডলারের আবেদন ফি আরোপের নির্বাহী নির্দেশে স্বাক্ষর করেন। এটি ছিল অভিবাসী দমন এবং বিদেশিদের দেশে প্রবেশে নতুন সীমাবদ্ধতা আরোপের একটি ধারাবাহিক পদক্ষেপ। এইচ১–বি ভিসা একটি কাজের ভিসা, যা তিন বছর বৈধ থাকে এবং আরও তিন বছর নবায়ন করা যায়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই প্রোগ্রামটি মার্কিন কোম্পানিগুলোকে প্রতিযোগিতায় রাখে এবং ব্যবসা বাড়ায়, ফলে দেশে আরও চাকরি তৈরি হয়।
সাক্ষাৎকারের প্রথম অংশে, ট্রাম্প ফ্রান্সের সমালোচনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাজায় রাখার পক্ষে বলেন। তিনি বলেন, যেসব দেশ থেকে লোকজন এসে চলে যায় সেসব ‘বহির্গামী দেশের লোকজন থাকা ভালো।’
ইনগ্রাহাম এ সময় বলেন, ‘তারা ফরাসি নয়, তারা চীনা। তারা আমাদের ওপর গুপ্তচর কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমাদের বৌদ্ধিক সম্পত্তি চুরি করে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘তুমি কি মনে করো ফরাসিরা ভালো?’ ইনগ্রাহাম বলেন, ‘হ্যাঁ।’ ট্রাম্প উত্তর দেন, ‘আমি এতটা নিশ্চিত নই।’

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশে প্রচুর পরিমাণে প্রতিভাবান মানুষ নেই। আর তাই তিনি বিদেশি প্রতিভাদের টানতে আগ্রহী। গতকাল মঙ্গলবার সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, দেশটির প্রয়োজনীয় চাকরির শূন্যতা পূরণে পর্যাপ্ত যোগ্য কর্মী নেই। তাই তিনি এইচ১–বি ভিসার মাধ্যমে দক্ষ কর্মী নেওয়ার পক্ষে।
ফক্স নিউজের সাংবাদিক লরা ইনগ্রাহাম ট্রাম্পের কাছে জানতে চান যে, তাঁর প্রশাসন এইচ১–বি ভিসা কমাবে কি না? কারণ, এর ফলে আমেরিকান শ্রমিকদের বেতন কমতে পারে। ট্রাম্প বলেন, বেতন কমার বিষয়ে ‘আমি একমত, তবে প্রতিভাও আনতে হবে।’
এ সময় ইনগ্রাহাম বলেন, ‘এখানে প্রচুর প্রতিভাবান মানুষ আছে।’ ট্রাম্প জবাব দেন, ‘না, নেই, নেই…কিছু নির্দিষ্ট প্রতিভা নেই, মানুষকে শেখাতে হয়। আপনি কাউকে বেকার লাইন থেকে নিয়ে এসে বলতে পারেন না যে, আমি তোমাকে এমন একটি কারখানায় রাখব যেখানে ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হবে।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সেপ্টেম্বরে জর্জিয়ায় হুন্দাই কারখানায় আইসিই-এর রেইডের উদাহরণ দেন। সেখানে কর্তৃপক্ষ শত শত দক্ষিণ কোরিয়ান ঠিকাদারকে তাদের অভিবাসন পরিস্থিতি নিয়ে গ্রেপ্তার ও দেশত্যাগ করেছিল। ট্রাম্প বলেন, ‘জর্জিয়ায় তারা রেইড করেছিল কারণ তারা অবৈধ অভিবাসীদের বের করতে চেয়েছিল—সেখানে এমন মানুষ ছিল যারা সারা জীবন ব্যাটারি তৈরি করেছে। ব্যাটারি তৈরি করা খুব জটিল। সহজ কাজ নয়। বিপজ্জনক, বিস্ফোরণ অনেক। তারা প্রায় ৫০০-৬০০ জন মানুষ নিয়ে ব্যাটারি বানাচ্ছিল এবং অন্যদের শেখাচ্ছিল। তাদের দেশ থেকে বের করতে চেয়েছিল। লরা, তোমার এ ধরনের দক্ষতা লাগবে।’
এর আগে, গত সেপ্টেম্বরেই ট্রাম্প এইচ-১বি ভিসার জন্য ১ লাখ ডলারের আবেদন ফি আরোপের নির্বাহী নির্দেশে স্বাক্ষর করেন। এটি ছিল অভিবাসী দমন এবং বিদেশিদের দেশে প্রবেশে নতুন সীমাবদ্ধতা আরোপের একটি ধারাবাহিক পদক্ষেপ। এইচ১–বি ভিসা একটি কাজের ভিসা, যা তিন বছর বৈধ থাকে এবং আরও তিন বছর নবায়ন করা যায়। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই প্রোগ্রামটি মার্কিন কোম্পানিগুলোকে প্রতিযোগিতায় রাখে এবং ব্যবসা বাড়ায়, ফলে দেশে আরও চাকরি তৈরি হয়।
সাক্ষাৎকারের প্রথম অংশে, ট্রাম্প ফ্রান্সের সমালোচনা করেন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাজায় রাখার পক্ষে বলেন। তিনি বলেন, যেসব দেশ থেকে লোকজন এসে চলে যায় সেসব ‘বহির্গামী দেশের লোকজন থাকা ভালো।’
ইনগ্রাহাম এ সময় বলেন, ‘তারা ফরাসি নয়, তারা চীনা। তারা আমাদের ওপর গুপ্তচর কার্যক্রম পরিচালনা করে। আমাদের বৌদ্ধিক সম্পত্তি চুরি করে।’ ট্রাম্প বলেন, ‘তুমি কি মনে করো ফরাসিরা ভালো?’ ইনগ্রাহাম বলেন, ‘হ্যাঁ।’ ট্রাম্প উত্তর দেন, ‘আমি এতটা নিশ্চিত নই।’

ইউক্রেন সংকট নিরসনে প্যারিস জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে যে বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছে তার জবাব দিয়েছে ক্রেমলিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে সম্মেলন আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে ‘তাড়াহুড়ো’ করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এই মামলা টিকিয়ে রাখতে হলে ট্রাম্পকে প্রথমে প্রমাণ করতে হবে—ফ্লোরিডায় ওই তথ্যচিত্র দেখে কেউ বিভ্রান্ত হয়েছেন কি না। এরপর আদালত ঠিক করবেন, বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের এখতিয়ারের আওতায় পড়ে কি না।
৯ মিনিট আগে
দুই হাতে শক্ত করে জড়িয়ে আছে একটি সাপ। সরীসৃপটির শীতল স্পর্শ যেন এক মুহূর্তের জন্য শান্তি দিল। তবে চোখ বন্ধ করলেই ফিরে আসে যুদ্ধের শব্দ। আতঙ্কে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। গাজায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে সেনাবাহিনী ছাড়ার ১৮ মাস পার হয়ে গেলেও এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না।
২ ঘণ্টা আগে
আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হোটেল সিয়েল দুবাই মেরিনা। আগামী ১৫ নভেম্বর ৩৭৭ মিটার উচ্চতার এই হোটেলটির উদ্বোধন হবে। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হোটেল সিয়েল দুবাই মেরিনা। আগামী ১৫ নভেম্বর ৩৭৭ মিটার উচ্চতার এই হোটেলটির উদ্বোধন হবে। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
উদ্বোধনের পর এটিই হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ হোটেল, যা নতুন রেকর্ড তৈরি করবে। হোটেলটির নির্মাণকাজ পরিচালনা করেছে দ্য ফার্স্ট গ্রুপ এবং এটি পরিচালনা করবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল গ্রুপের ভিগনেট কালেকশন। ৮২ তলা বিশিষ্ট এই টাওয়ারটি আরব আমিরাতেরই শেখ জায়েদ রোডের জেভোরা হোটেলকে ছাড়িয়ে যাবে। হোটেলটি দুবাইয়ের আতিথেয়তা কেন্দ্রগুলোর তালিকায় নতুন সংযোজন এবং শহরের বড় পর্যটন বিনিয়োগকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত করছে।
হোটেলটিতে মোট ১ হাজার ৪টি রুম ও সুইট রয়েছে। প্রতিটি তলা থেকে দুবাইয়ের দৃষ্টিনন্দন পাম জুমেইরা এবং মেরিনার মনোরম দৃশ্য দেখা যাবে। প্রতি রুমের ন্যূনতম ভাড়া রাত প্রতি ১ হাজার ৩১০ দিরহাম বা সাড়ে ৪৫ হাজার টাকা। আর প্রিমিয়াম স্যুইটগুলো প্রায় ২ হাজার ৪০০ দিরহাম মূল্যে ভাড়া পাওয়া যাবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত স্থাপত্য সংস্থা এনওআরআর ৮২ তলা এই ভবনের নকশা করেছে। এই কাচের টাওয়ারটি এমনভাবে তৈরি যেখানে চারপাশ থেকেই আলো ভবনের ভেতরে প্রবেশ করবে। অতিথিরা ওপরের রুফটপ অবজারভেশন ডেকে বসে ৩৬০ ডিগ্রির দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। এখান থেকে দেখা যাবে দুবাইয়ের বিখ্যাত স্থানগুলো, যেমন বুর্জ আল–আরব এবং আইন দুবাই।
হোটেলটি আরও নতুন দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে। একটি হলো—বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিতি ইনফিনিটি পুল এবং সর্বোচ্চ ক্লাব। ৭৬ তলা উচ্চতায় অবস্থিত ট্যাটু স্কাই পুল অ্যাড্রেস বিচ রিসোর্টের ২৯৪ মিটারের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। আর ৮১ তলায় অবস্থিত ট্যাটু স্কাই লাউঞ্জ হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত ক্লাব।
হোটেলের মূল আকর্ষণ হলো ট্যাটু দুবাই, যা পুরস্কারপ্রাপ্ত এশীয় খাবারের রেস্তোরাঁ, যা টাওয়ারের তিনটি ওপরের তলা নিয়ে গঠিত। হোটেলের অন্যান্য আন্তর্জাতিক রেস্তোরাঁর মধ্যে রয়েছে—রাইজেন কফি অ্যান্ড আর্টিসানাল বেকারি, এখানে সারা দিন সেবা দেওয়া হয়। ওয়েস্ট–১৩ রেস্তোরাঁয় ভূমধ্যসাগরের অঞ্চলের খাবার পাওয়া যায়। ইস্ট–১৪ রেস্তোরাঁয় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম এবং ভারতের স্বাদের বুফে খাবার পাওয়া যাবে। এখানে রামেন, সুশি এবং কারি স্টেশনও আছে।
হোটেলটি এরই মধ্যে বুকিং শুরু করে দিয়েছে।

আরব আমিরাতের দুবাইয়ে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু হোটেল সিয়েল দুবাই মেরিনা। আগামী ১৫ নভেম্বর ৩৭৭ মিটার উচ্চতার এই হোটেলটির উদ্বোধন হবে। আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
উদ্বোধনের পর এটিই হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ হোটেল, যা নতুন রেকর্ড তৈরি করবে। হোটেলটির নির্মাণকাজ পরিচালনা করেছে দ্য ফার্স্ট গ্রুপ এবং এটি পরিচালনা করবে ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেল গ্রুপের ভিগনেট কালেকশন। ৮২ তলা বিশিষ্ট এই টাওয়ারটি আরব আমিরাতেরই শেখ জায়েদ রোডের জেভোরা হোটেলকে ছাড়িয়ে যাবে। হোটেলটি দুবাইয়ের আতিথেয়তা কেন্দ্রগুলোর তালিকায় নতুন সংযোজন এবং শহরের বড় পর্যটন বিনিয়োগকে আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত করছে।
হোটেলটিতে মোট ১ হাজার ৪টি রুম ও সুইট রয়েছে। প্রতিটি তলা থেকে দুবাইয়ের দৃষ্টিনন্দন পাম জুমেইরা এবং মেরিনার মনোরম দৃশ্য দেখা যাবে। প্রতি রুমের ন্যূনতম ভাড়া রাত প্রতি ১ হাজার ৩১০ দিরহাম বা সাড়ে ৪৫ হাজার টাকা। আর প্রিমিয়াম স্যুইটগুলো প্রায় ২ হাজার ৪০০ দিরহাম মূল্যে ভাড়া পাওয়া যাবে।
পুরস্কারপ্রাপ্ত স্থাপত্য সংস্থা এনওআরআর ৮২ তলা এই ভবনের নকশা করেছে। এই কাচের টাওয়ারটি এমনভাবে তৈরি যেখানে চারপাশ থেকেই আলো ভবনের ভেতরে প্রবেশ করবে। অতিথিরা ওপরের রুফটপ অবজারভেশন ডেকে বসে ৩৬০ ডিগ্রির দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন। এখান থেকে দেখা যাবে দুবাইয়ের বিখ্যাত স্থানগুলো, যেমন বুর্জ আল–আরব এবং আইন দুবাই।
হোটেলটি আরও নতুন দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়বে। একটি হলো—বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিতি ইনফিনিটি পুল এবং সর্বোচ্চ ক্লাব। ৭৬ তলা উচ্চতায় অবস্থিত ট্যাটু স্কাই পুল অ্যাড্রেস বিচ রিসোর্টের ২৯৪ মিটারের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। আর ৮১ তলায় অবস্থিত ট্যাটু স্কাই লাউঞ্জ হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ উচ্চতায় অবস্থিত ক্লাব।
হোটেলের মূল আকর্ষণ হলো ট্যাটু দুবাই, যা পুরস্কারপ্রাপ্ত এশীয় খাবারের রেস্তোরাঁ, যা টাওয়ারের তিনটি ওপরের তলা নিয়ে গঠিত। হোটেলের অন্যান্য আন্তর্জাতিক রেস্তোরাঁর মধ্যে রয়েছে—রাইজেন কফি অ্যান্ড আর্টিসানাল বেকারি, এখানে সারা দিন সেবা দেওয়া হয়। ওয়েস্ট–১৩ রেস্তোরাঁয় ভূমধ্যসাগরের অঞ্চলের খাবার পাওয়া যায়। ইস্ট–১৪ রেস্তোরাঁয় থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম এবং ভারতের স্বাদের বুফে খাবার পাওয়া যাবে। এখানে রামেন, সুশি এবং কারি স্টেশনও আছে।
হোটেলটি এরই মধ্যে বুকিং শুরু করে দিয়েছে।

ইউক্রেন সংকট নিরসনে প্যারিস জো বাইডেন ও ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে যে বৈঠকের কথা ঘোষণা করেছে তার জবাব দিয়েছে ক্রেমলিন। রুশ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন থেকে বলা হয়েছে, রাশিয়া ও মার্কিন রাষ্ট্রপতিদের মধ্যে সম্মেলন আয়োজনের বিষয়টি নিয়ে ‘তাড়াহুড়ো’ করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২২
এই মামলা টিকিয়ে রাখতে হলে ট্রাম্পকে প্রথমে প্রমাণ করতে হবে—ফ্লোরিডায় ওই তথ্যচিত্র দেখে কেউ বিভ্রান্ত হয়েছেন কি না। এরপর আদালত ঠিক করবেন, বিবিসি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের এখতিয়ারের আওতায় পড়ে কি না।
৯ মিনিট আগে
দুই হাতে শক্ত করে জড়িয়ে আছে একটি সাপ। সরীসৃপটির শীতল স্পর্শ যেন এক মুহূর্তের জন্য শান্তি দিল। তবে চোখ বন্ধ করলেই ফিরে আসে যুদ্ধের শব্দ। আতঙ্কে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে। গাজায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে সেনাবাহিনী ছাড়ার ১৮ মাস পার হয়ে গেলেও এই মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলছে না।
২ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, দেশে প্রচুর পরিমাণে প্রতিভাবান মানুষ নেই। আর তাই তিনি বিদেশি প্রতিভাদের টানতে আগ্রহী। গতকাল মঙ্গলবার সম্প্রচারমাধ্যম ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, দেশটির প্রয়োজনীয় চাকরির শূন্যতা পূরণে পর্যাপ্ত যোগ্য কর্মী নেই। তাই তিনি এইচ১–বি
৫ ঘণ্টা আগে