তুরস্কের দক্ষিণ উপকূলীয় ছোট্ট গ্রাম কাকারলার। গতকাল সোমবার নরকতুল্য আগুনের মুখোমুখি ছিল এই গ্রামের বাসিন্দারা। দাবানলের আগুন দেখে অনেকেই ভাবছিলেন, দুনিয়া হয়তো ধ্বংস হয়ে যেতে বসেছে। গ্রামের এক বাসিন্দা মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের সাংবাদিকদের বলছিলেন, ‘সবকিছুই পুড়ে যাচ্ছে। আমাদের জমি, আমাদের পশুগুলো, আমাদের ঘরবাড়ি। আমাদের আর কী বাকি আছে?’
শুধু এই গ্রামেই নয়। তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে দাবানল এতটাই ভয়াবহ আকার নিয়েছে যে কর্তৃপক্ষ পর্যটনের জন্য জনপ্রিয় বদরাম শহর থেকে সহস্রাধিক পর্যটককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। অবস্থা এতটাই বেগতিক ছিল যে তাদের নৌকায় করে দ্রুততার সঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
গত এক সপ্তাহ দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে দাবানল শুরু হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত শতাধিক এলাকায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। এই প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত তুরস্কের দাবানলে অন্তত আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা বাড়ার ফলে এ ধরনের দাবানল সৃষ্টি হয়েছে বলা হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনই পরিস্থিতিকে মারাত্মক করে তুলেছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনই মারা গেছেন আন্তালিয়া প্রদেশের মানাবগাট এলাকায়। অষ্টম ব্যক্তিটি মারা গেছেন দেশটির রিসোর্ট শহর হিসেবে খ্যাত মারমারিসে।
তুরস্কের কৃষি ও বন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বুধবার থেকে দেশজুড়ে অন্তত ১১১টি স্থানে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল পর্যন্ত তিনটি আলাদা শহরের অন্তত ছয়টি স্থানে ভয়াবহ দাবানল অব্যাহত ছিল।
ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে ইতালিও। ইউরোপের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় দাবদাহের প্রভাবেই ইতালিতে দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে। দাবানলে সেখানে এখন পর্যন্ত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। দেশটির পেসকারা শহরের একটি পাইন বনে দাবানল এতটাই ভয়াবহ আকার নিয়েছে যে সেখানকার জনপ্রিয় বেলাভূমিগুলোতে ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী এক কন্যাশিশু এখন প্রাণসংকটে আছে। দাবানল থেকে বাঁচাতে পেসকারা থেকে অন্তত ৮০০ ব্যক্তিকে তাদের বাড়িঘর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই শহরের মেয়র কার্লো মাশি বলেছেন, ‘প্রচণ্ড ধোঁয়া থেকে রেহাই দিতে আমরা বেশ কিছু বাড়িঘর ও রিসোর্ট খালি করে দিয়েছি। তবে সবচেয়ে ভোগাচ্ছে গরম বাতাস। আমরা যতটুকু সম্ভব ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছি।’
জানা গেছে, সপ্তাহান্তে ইতালির বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত ৮০০ স্থানে দাবানল দেখা গেছে। বিশেষ করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে দাবানলের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে। ইউরোপের মধ্যে শুধু ইতালি নয়, স্পেন ও গ্রিসের বেশ কিছু অঞ্চলেও দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রেও ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। গতকালও দেশটির নতুন সাতটি এলাকায় ভয়াবহ দাবানলের সূত্রপাত হয়। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্রে ৯১টি স্থানে দাবানলের ঘটনা রেকর্ড করেছে দেশটির ন্যাশনাল ইন্টার–এজেন্সি ফায়ার সেন্টার। এই কেন্দ্রের বরাতে জানা গেছে, সাম্প্রতিক দাবানলের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ লাখ একরের বেশি বনভূমি পুড়ে গেছে। আর শুধু চলতি বছরের হিসেবেই এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩৭ হাজার ৮০৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩০ লাখ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
তুরস্কের দক্ষিণ উপকূলীয় ছোট্ট গ্রাম কাকারলার। গতকাল সোমবার নরকতুল্য আগুনের মুখোমুখি ছিল এই গ্রামের বাসিন্দারা। দাবানলের আগুন দেখে অনেকেই ভাবছিলেন, দুনিয়া হয়তো ধ্বংস হয়ে যেতে বসেছে। গ্রামের এক বাসিন্দা মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনের সাংবাদিকদের বলছিলেন, ‘সবকিছুই পুড়ে যাচ্ছে। আমাদের জমি, আমাদের পশুগুলো, আমাদের ঘরবাড়ি। আমাদের আর কী বাকি আছে?’
শুধু এই গ্রামেই নয়। তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে দাবানল এতটাই ভয়াবহ আকার নিয়েছে যে কর্তৃপক্ষ পর্যটনের জন্য জনপ্রিয় বদরাম শহর থেকে সহস্রাধিক পর্যটককে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে। অবস্থা এতটাই বেগতিক ছিল যে তাদের নৌকায় করে দ্রুততার সঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়।
গত এক সপ্তাহ দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে দাবানল শুরু হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত শতাধিক এলাকায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছিল। এই প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত তুরস্কের দাবানলে অন্তত আটজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা বাড়ার ফলে এ ধরনের দাবানল সৃষ্টি হয়েছে বলা হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন জলবায়ু পরিবর্তনই পরিস্থিতিকে মারাত্মক করে তুলেছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে সাতজনই মারা গেছেন আন্তালিয়া প্রদেশের মানাবগাট এলাকায়। অষ্টম ব্যক্তিটি মারা গেছেন দেশটির রিসোর্ট শহর হিসেবে খ্যাত মারমারিসে।
তুরস্কের কৃষি ও বন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত বুধবার থেকে দেশজুড়ে অন্তত ১১১টি স্থানে দাবানল ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল পর্যন্ত তিনটি আলাদা শহরের অন্তত ছয়টি স্থানে ভয়াবহ দাবানল অব্যাহত ছিল।
ভয়াবহ দাবানলে জ্বলছে ইতালিও। ইউরোপের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলীয় দাবদাহের প্রভাবেই ইতালিতে দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে। দাবানলে সেখানে এখন পর্যন্ত পাঁচজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। দেশটির পেসকারা শহরের একটি পাইন বনে দাবানল এতটাই ভয়াবহ আকার নিয়েছে যে সেখানকার জনপ্রিয় বেলাভূমিগুলোতে ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী এক কন্যাশিশু এখন প্রাণসংকটে আছে। দাবানল থেকে বাঁচাতে পেসকারা থেকে অন্তত ৮০০ ব্যক্তিকে তাদের বাড়িঘর থেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই শহরের মেয়র কার্লো মাশি বলেছেন, ‘প্রচণ্ড ধোঁয়া থেকে রেহাই দিতে আমরা বেশ কিছু বাড়িঘর ও রিসোর্ট খালি করে দিয়েছি। তবে সবচেয়ে ভোগাচ্ছে গরম বাতাস। আমরা যতটুকু সম্ভব ক্ষয়ক্ষতি কমানোর চেষ্টা করছি।’
জানা গেছে, সপ্তাহান্তে ইতালির বিভিন্ন অঞ্চলে অন্তত ৮০০ স্থানে দাবানল দেখা গেছে। বিশেষ করে দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে দাবানলের ঘটনা সবচেয়ে বেশি ঘটছে। ইউরোপের মধ্যে শুধু ইতালি নয়, স্পেন ও গ্রিসের বেশ কিছু অঞ্চলেও দাবানলের সূত্রপাত হয়েছে।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রেও ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। গতকালও দেশটির নতুন সাতটি এলাকায় ভয়াবহ দাবানলের সূত্রপাত হয়। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে যুক্তরাষ্ট্রে ৯১টি স্থানে দাবানলের ঘটনা রেকর্ড করেছে দেশটির ন্যাশনাল ইন্টার–এজেন্সি ফায়ার সেন্টার। এই কেন্দ্রের বরাতে জানা গেছে, সাম্প্রতিক দাবানলের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ লাখ একরের বেশি বনভূমি পুড়ে গেছে। আর শুধু চলতি বছরের হিসেবেই এখন পর্যন্ত দেশটিতে ৩৭ হাজার ৮০৩টি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৩০ লাখ একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, এই হামলা জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন এবং মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান উত্তেজনার জন্য ইসরায়েলের ‘অবিরাম যুদ্ধবাজ পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সম্প্রসারণ’ দায়ী।
২৪ মিনিট আগেইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হামলায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে ইরানিদের মধ্যে। ইরান এই হামলার মোক্ষম জবাব দেবে বলে আশা করছেন তারা। গতকাল রোববার হাজার হাজার ক্ষুব্ধ জনতা রাজপথে নেমে আসেন। ইরানের পতাকা ও বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজধানী তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারে জড়ো হন তারা।
১ ঘণ্টা আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও ক্রেমলিন সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি, তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘনের শামিল বলে উল্লেখ করেছে।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন, এমন সময় তিনি তাঁর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন গণমাধ্যমকে জানাতে যে, তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় নেবেন। এই নির্দেশনার পেছনের উদ্দেশ্য ছিল, প্রকৃত পরিকল্পনা গোপন রাখা।
২ ঘণ্টা আগে