‘সড়ক কার, আমাদের’; ‘কট্টর ডানপন্থীদের রুখে দিন’। যুক্তরাজ্যের রাস্তায় রাস্তায় হঠাৎই এসব স্লোগান শোনা গেল। মূলত উগ্র ডানপন্থীদের রুখে দিতেই এসব স্লোগান। আর এই ডানপন্থার বাতাবরণ থামিয়ে দিতে বুধবার যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ শহরে বিক্ষোভ করে সাধারণ মানুষ। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যে গত ২৯ জুলাই লিভারপুলের কাছে সাউথপোর্ট শহরের হার্ট স্ট্রিটে টেলর সুইফট ইয়োগা ও নাচের কর্মশালায় হামলার ঘটনা ঘটে। ৬ থেকে ১০ বছরের শিশুদের জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। এতে তিনজন মারা যায়। এর পরের দিন এ হামলার জের ধরে ওই এলাকায় সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বোতল ছুড়ে মারা হয়। শোক শোভাযাত্রা থেকে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে। উগ্র ডানপন্থী সংগঠন ইংলিশ ডিফেন্স লিগের (ইডিএল) সমর্থকেরা এ সহিংসতার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করে পুলিশ।
জানা যায়, এর পর থেকে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে খেপেছে ডানপন্থীরা। একই সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এর পর থেকে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন মসজিদে এবং অভিবাসীদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এর প্রতিবাদে মূলত বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অভিবাসীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন ব্রিটিশরাও। লন্ডন, বার্মিংহাম, ব্রিস্টল, লিভারপুল, নিউক্যাসেলসহ বড় বড় শহরে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। বিক্ষোভ সামাল দিতে ৬ হাজার পুলিশ সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কারণ ডানপন্থীরাও রাস্তায় নেমে এসেছে। বুধবার তারা ১০০টি স্থানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল।
এদিকে বিক্ষোভ শুরুর পর এ নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, তাঁর দেশে বর্ণবাদের কোনো জায়গা নেই।
লন্ডনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ওয়ালথামস্টো এলাকায় বিক্ষোভে অংশ নেন সারা ট্রেসেলিয়ান। তিনি বলেন, ‘এখানে আমি থাকি এবং বড় হয়েছি। আমরা চাই না কোনো ডানপন্থী এই এলাকায় থাকুক। তারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার বন্ধু ও প্রতিবেশীদের এই বর্ণবাদবিরোধী বার্তা দিতে হবে।’
এদিকে অভিবাসন ও শরণার্থীদের পক্ষেও বুধবার স্লোগান উঠেছে। শেফিল্ডে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘এটা পরিষ্কার ও স্পষ্ট বলে দিন, শরণার্থীরাও এখানে স্বাগত’।
২৯ জুলাই ছুরি হামলায় ওই শিশুদের নিহত হওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ায় যে হামলাকারী একজন মুসলিম অভিবাসনপ্রত্যাশী। পরে জানা যায়, সন্দেহভাজন হামলাকারী ১৭ বছরের কিশোর অ্যাক্সেল রুডাকুবানা। ওয়েলসে তার জন্ম। তার মা-বাবা রুয়ান্ডা থেকে এসেছেন।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লন্ডনের ওয়ালথামস্টোতে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘কাদের সড়ক? আমাদের সড়ক!’ কয়েকজনের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল ‘উগ্র ডানপন্থীদের থামাও’।
পুলিশের তথ্য অনুসারে, বার্মিংহামে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি সহায়তাকেন্দ্রে বর্ণবাদবিরোধী শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন। আর ব্রাইটনে প্রায় ২ হাজার মানুষ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে যোগ দেন। তবে কিছু কিছু শহরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেত্তে কুপার স্থানীয় মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করায় পুলিশ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
‘সড়ক কার, আমাদের’; ‘কট্টর ডানপন্থীদের রুখে দিন’। যুক্তরাজ্যের রাস্তায় রাস্তায় হঠাৎই এসব স্লোগান শোনা গেল। মূলত উগ্র ডানপন্থীদের রুখে দিতেই এসব স্লোগান। আর এই ডানপন্থার বাতাবরণ থামিয়ে দিতে বুধবার যুক্তরাজ্যের অধিকাংশ শহরে বিক্ষোভ করে সাধারণ মানুষ। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
যুক্তরাজ্যে গত ২৯ জুলাই লিভারপুলের কাছে সাউথপোর্ট শহরের হার্ট স্ট্রিটে টেলর সুইফট ইয়োগা ও নাচের কর্মশালায় হামলার ঘটনা ঘটে। ৬ থেকে ১০ বছরের শিশুদের জন্য এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছিল। এতে তিনজন মারা যায়। এর পরের দিন এ হামলার জের ধরে ওই এলাকায় সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বোতল ছুড়ে মারা হয়। শোক শোভাযাত্রা থেকে আটক করা হয় বেশ কয়েকজনকে। উগ্র ডানপন্থী সংগঠন ইংলিশ ডিফেন্স লিগের (ইডিএল) সমর্থকেরা এ সহিংসতার সঙ্গে জড়িত বলে দাবি করে পুলিশ।
জানা যায়, এর পর থেকে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে খেপেছে ডানপন্থীরা। একই সঙ্গে বর্ণবাদী আচরণের অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এর পর থেকে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন মসজিদে এবং অভিবাসীদের বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালানো হয়। এর প্রতিবাদে মূলত বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অভিবাসীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন ব্রিটিশরাও। লন্ডন, বার্মিংহাম, ব্রিস্টল, লিভারপুল, নিউক্যাসেলসহ বড় বড় শহরে বর্ণবাদবিরোধী বিক্ষোভ হচ্ছে। বিক্ষোভ সামাল দিতে ৬ হাজার পুলিশ সদস্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। কারণ ডানপন্থীরাও রাস্তায় নেমে এসেছে। বুধবার তারা ১০০টি স্থানে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল।
এদিকে বিক্ষোভ শুরুর পর এ নিয়ে মুখ খুলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার। তিনি বলেছেন, তাঁর দেশে বর্ণবাদের কোনো জায়গা নেই।
লন্ডনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ওয়ালথামস্টো এলাকায় বিক্ষোভে অংশ নেন সারা ট্রেসেলিয়ান। তিনি বলেন, ‘এখানে আমি থাকি এবং বড় হয়েছি। আমরা চাই না কোনো ডানপন্থী এই এলাকায় থাকুক। তারা আমাদের প্রতিনিধিত্ব করে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার বন্ধু ও প্রতিবেশীদের এই বর্ণবাদবিরোধী বার্তা দিতে হবে।’
এদিকে অভিবাসন ও শরণার্থীদের পক্ষেও বুধবার স্লোগান উঠেছে। শেফিল্ডে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘এটা পরিষ্কার ও স্পষ্ট বলে দিন, শরণার্থীরাও এখানে স্বাগত’।
২৯ জুলাই ছুরি হামলায় ওই শিশুদের নিহত হওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ায় যে হামলাকারী একজন মুসলিম অভিবাসনপ্রত্যাশী। পরে জানা যায়, সন্দেহভাজন হামলাকারী ১৭ বছরের কিশোর অ্যাক্সেল রুডাকুবানা। ওয়েলসে তার জন্ম। তার মা-বাবা রুয়ান্ডা থেকে এসেছেন।
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় লন্ডনের ওয়ালথামস্টোতে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছিলেন, ‘কাদের সড়ক? আমাদের সড়ক!’ কয়েকজনের হাতে থাকা ব্যানারে লেখা ছিল ‘উগ্র ডানপন্থীদের থামাও’।
পুলিশের তথ্য অনুসারে, বার্মিংহামে অভিবাসনপ্রত্যাশীদের একটি সহায়তাকেন্দ্রে বর্ণবাদবিরোধী শত শত বিক্ষোভকারী জড়ো হয়েছিলেন। আর ব্রাইটনে প্রায় ২ হাজার মানুষ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে যোগ দেন। তবে কিছু কিছু শহরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া পোস্টে ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেত্তে কুপার স্থানীয় মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করায় পুলিশ কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশে, বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোতে কোকা-কোলা বয়কটের ঢেউ উঠেছিল। সেই ঢেউয়ের ধাক্কা লেগেছে এবার ইউরোপের দেশ ডেনমার্কেও। দেশটিতে কোকা-কোলা বাজারজাতকারী কোম্পানি কার্লসবার্গ জানিয়েছে, ড্যানিশ ভোক্তারা কোকা-কোলা বয়কট করছেন।
৩৫ মিনিট আগেগাজা যুদ্ধকে কেন্দ্র করে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কয়েকগুণ বেড়েছে ইহুদি ও ইসলামবিদ্বেষ। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গঠিত দুটি টাস্কফোর্সের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এ তথ্য।
১ ঘণ্টা আগেপ্রেমিকের ফোনে অন্য নারীর বার্তা দেখার পর তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছেন এক মার্কিন তরুণী। ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে। ম্যাডিসন রুকার্ট নামে ২৩ বছরের ওই তরুণী ঘুমের মধ্যেই তাঁর প্রেমিক জোনাথন মিলারকে গুলি করে হত্যা করেন। এই ঘটনায় ম্যাডিসনের ৩৫ বছরের সাজা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার বিবদমান কাশ্মীর সীমান্তের (নিয়ন্ত্রণ রেখা—লাইন অব কন্ট্রোল বা এলওসি) কাছে টহল দিচ্ছিল ভারতীয় রাফাল যুদ্ধবিমান। সেই বিমানগুলো ধাওয়া দিয়ে তাড়িয়ে দেওয়ার দাবি করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম পিটিভির এক প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে