অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাজ্যের আকাশে গত সোমবার এক বিশাল ঝলমলে আলোর কুণ্ডলী দেখা যায়। সেটি দেখার পরপরই স্থানীয়দের অনেকের মধ্যে অ্যালিয়েন তথা ভিনগ্রহের প্রাণীদের আগমনের জল্পনা তৈরি হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি সে রকম কিছু নয়। গবেষকেরা মনে করছেন, এটি স্পেসএক্স রকেটের কারণে ঘটেছে।
ব্রিটেনের আকাশে কয়েক মিনিট ধরে দৃশ্যমান এই ঘূর্ণমান কুণ্ডলীকে প্রথমে অনেকে বিমান, এমনকি ভিনগ্রহের কোনো যানের কার্যকলাপ বলেও মনে করেছিলেন। তবে এখন মনে করা হচ্ছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপিত একটি রকেটের কারণে হয়েছে।
মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স স্থানীয় সময় সোমবার বেলা ১টা ৫০ মিনিটের কিছু আগে মার্কিন সরকারের একটি প্রকল্পের জন্য একটি রকেট উৎক্ষেপণ করে। রকেটটি ছিল ফ্যালকন-৯। ধারণা করা হচ্ছে, রকেটের হিমায়িত ধোঁয়ার কারণে এই দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল।
ব্রিটিশ আবহাওয়া বিভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছে, ‘রকেটের হিমায়িত ধোঁয়া বায়ুমণ্ডলে ঘুরতে ঘুরতে সূর্যের আলো প্রতিফলিত করছে, ফলে আকাশে এটিকে একটি ঘূর্ণমান কুণ্ডলীর মতো দেখাচ্ছিল।’
হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেফোর্ডবারি অবজারভেটরির জ্যেষ্ঠ টেকনিক্যাল অফিসার লর্ড ডোভার জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিট থেকে প্রায় ১০ মিনিট ধরে কুণ্ডলীটি দৃশ্যমান ছিল। অদৃশ্য হওয়ার আগে এটি আকাশজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করেছিল। তিনি বলেন, ‘ (স্পেসএক্স) রকেটটি পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে ওজন কমানোর জন্য ঊর্ধ্ব বায়ুমণ্ডলে জ্বালানি ফেলেছিল।’
লর্ড ডোভার আরও বলেন, ‘এই জ্বালানি একটি বিস্তৃত ও ঘূর্ণমান মেঘ তৈরি করে, যা আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে আসার সময় এক বিশাল কুণ্ডলীতে পরিণত হয়। বিশ্বের কিছু অংশে এমন দৃশ্য সাধারণ হলেও যুক্তরাজ্য থেকে রকেট উৎক্ষেপণের পর এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া এখনো অস্বাভাবিক।’
এই মহাজাগতিক দৃশ্য ইউরোপের বেশির ভাগ অংশে দেখা গেছে এবং শত শত মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর ফুটেজ ও ছবি শেয়ার করেছেন। সাফোকের বাসিন্দা স্টিভেন হল বিবিসিকে জানান, তিনি যখন আবর্জনার পাত্র বের করছিলেন, তখন তিনি একটি ‘বিশাল আতশবাজির মতো কিছু একটা’ দেখতে পান। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে একবারের জন্য হলেও প্রশ্ন জেগেছিল, এটা কি কোনো ব্যাখ্যাতীত, অজানা উড়ন্ত বস্তু?’
ব্রিস্টলের ডেভ জানান, প্রথমে তিনি নীল কুণ্ডলীটিকে ‘হেডলাইট জ্বালানো একটি বিমান’ বলে মনে করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে এটি ঝাপসা হয়ে যায় এবং আমি ভেবেছিলাম, ওহ্, এটা মেঘে ঢুকে গেছে। কিন্তু পরে বুঝতে পারি, সেখানে কোনো মেঘ ছিল না।’
ডেভ আরও বলেন, ‘আমি প্রায় এক মিনিট ধরে এই অস্পষ্ট আলো দেখেছিলাম। একপর্যায়ে এটি থেকে একধরনের বাহু বের হতে শুরু করে এবং ঘুরতে থাকে। আমি সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পেরেছিলাম, এটা স্পেসএক্স। কারণ, আমি ইউটিউবে এটা অনেক দেখেছি, কিন্তু পুরোপুরি বুঝতে পারছি, কেন অন্যরা এতে হতবাক হয়ে গিয়েছিল—সত্যিই এটিকে ভিনগ্রহের কিছু বলে মনে হচ্ছিল।’
যুক্তরাজ্যের আকাশে গত সোমবার এক বিশাল ঝলমলে আলোর কুণ্ডলী দেখা যায়। সেটি দেখার পরপরই স্থানীয়দের অনেকের মধ্যে অ্যালিয়েন তথা ভিনগ্রহের প্রাণীদের আগমনের জল্পনা তৈরি হয়। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে বিষয়টি সে রকম কিছু নয়। গবেষকেরা মনে করছেন, এটি স্পেসএক্স রকেটের কারণে ঘটেছে।
ব্রিটেনের আকাশে কয়েক মিনিট ধরে দৃশ্যমান এই ঘূর্ণমান কুণ্ডলীকে প্রথমে অনেকে বিমান, এমনকি ভিনগ্রহের কোনো যানের কার্যকলাপ বলেও মনে করেছিলেন। তবে এখন মনে করা হচ্ছে, এটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে উৎক্ষেপিত একটি রকেটের কারণে হয়েছে।
মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের কোম্পানি স্পেসএক্স স্থানীয় সময় সোমবার বেলা ১টা ৫০ মিনিটের কিছু আগে মার্কিন সরকারের একটি প্রকল্পের জন্য একটি রকেট উৎক্ষেপণ করে। রকেটটি ছিল ফ্যালকন-৯। ধারণা করা হচ্ছে, রকেটের হিমায়িত ধোঁয়ার কারণে এই দৃশ্যের অবতারণা হয়েছিল।
ব্রিটিশ আবহাওয়া বিভাগ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেছে, ‘রকেটের হিমায়িত ধোঁয়া বায়ুমণ্ডলে ঘুরতে ঘুরতে সূর্যের আলো প্রতিফলিত করছে, ফলে আকাশে এটিকে একটি ঘূর্ণমান কুণ্ডলীর মতো দেখাচ্ছিল।’
হার্টফোর্ডশায়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের বেফোর্ডবারি অবজারভেটরির জ্যেষ্ঠ টেকনিক্যাল অফিসার লর্ড ডোভার জানান, সন্ধ্যা ৭টা ৫২ মিনিট থেকে প্রায় ১০ মিনিট ধরে কুণ্ডলীটি দৃশ্যমান ছিল। অদৃশ্য হওয়ার আগে এটি আকাশজুড়ে বিস্তৃতি লাভ করেছিল। তিনি বলেন, ‘ (স্পেসএক্স) রকেটটি পৃথিবীতে ফিরে আসার আগে ওজন কমানোর জন্য ঊর্ধ্ব বায়ুমণ্ডলে জ্বালানি ফেলেছিল।’
লর্ড ডোভার আরও বলেন, ‘এই জ্বালানি একটি বিস্তৃত ও ঘূর্ণমান মেঘ তৈরি করে, যা আটলান্টিক মহাসাগর পেরিয়ে আসার সময় এক বিশাল কুণ্ডলীতে পরিণত হয়। বিশ্বের কিছু অংশে এমন দৃশ্য সাধারণ হলেও যুক্তরাজ্য থেকে রকেট উৎক্ষেপণের পর এমন দৃশ্য দেখতে পাওয়া এখনো অস্বাভাবিক।’
এই মহাজাগতিক দৃশ্য ইউরোপের বেশির ভাগ অংশে দেখা গেছে এবং শত শত মানুষ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর ফুটেজ ও ছবি শেয়ার করেছেন। সাফোকের বাসিন্দা স্টিভেন হল বিবিসিকে জানান, তিনি যখন আবর্জনার পাত্র বের করছিলেন, তখন তিনি একটি ‘বিশাল আতশবাজির মতো কিছু একটা’ দেখতে পান। তিনি আরও বলেন, ‘আমার মনে একবারের জন্য হলেও প্রশ্ন জেগেছিল, এটা কি কোনো ব্যাখ্যাতীত, অজানা উড়ন্ত বস্তু?’
ব্রিস্টলের ডেভ জানান, প্রথমে তিনি নীল কুণ্ডলীটিকে ‘হেডলাইট জ্বালানো একটি বিমান’ বলে মনে করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে এটি ঝাপসা হয়ে যায় এবং আমি ভেবেছিলাম, ওহ্, এটা মেঘে ঢুকে গেছে। কিন্তু পরে বুঝতে পারি, সেখানে কোনো মেঘ ছিল না।’
ডেভ আরও বলেন, ‘আমি প্রায় এক মিনিট ধরে এই অস্পষ্ট আলো দেখেছিলাম। একপর্যায়ে এটি থেকে একধরনের বাহু বের হতে শুরু করে এবং ঘুরতে থাকে। আমি সঙ্গে সঙ্গেই বুঝতে পেরেছিলাম, এটা স্পেসএক্স। কারণ, আমি ইউটিউবে এটা অনেক দেখেছি, কিন্তু পুরোপুরি বুঝতে পারছি, কেন অন্যরা এতে হতবাক হয়ে গিয়েছিল—সত্যিই এটিকে ভিনগ্রহের কিছু বলে মনে হচ্ছিল।’
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৬ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৬ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৬ ঘণ্টা আগে