বাস্তিল দুর্গ ও কারাগারকে বিবেচনা করা হতো ফরাসি রাজাদের নিপীড়নের প্রতীক হিসেবে। রাজতন্ত্রের বিরোধী ব্যক্তিদের এখানে আটকে চালানো হতো অত্যাচার। ১৭৮৯ সালের এই দিনে, অর্থাৎ ১৪ জুলাই প্যারিসের বিপ্লবীরা দুর্গে প্রবেশ করে এবং পতন ঘটে বাস্তিলের। আর এর মাধ্যমেই সূচনা হয় ফরাসি বিপ্লবের।
১৭৮৯ সালের গ্রীষ্মে দ্রুত বিপ্লবের দিকে এগোতে থাকে ফ্রান্স। শত শত বছর ধরে নিপীড়নের শিকার ফরাসি জনগণের ভেতর জমা হওয়া ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এর মাধ্যমে। ফরাসি বিপ্লবের আগ পর্যন্ত দেশটির ৯৫ শতাংশ সম্পত্তির মালিক ছিলেন কেবল ৫ শতাংশ মানুষ। এমনকি এই বিপুল সম্পত্তির জন্য কোনো করও দিতেন না তাঁরা।
প্যারিসে অবস্থিত বাস্তিল দুর্গের সামরিক গভর্নর বের্নাদ রেনে ইয়রদান দে লাউনাই ভয় পাচ্ছিলেন তাঁর দুর্গ বিপ্লবীদের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। তাই দুর্গের শক্তি বাড়ানোর অনুরোধ জানান রাজার কাছে। রাজা ষোড়শ লুইয়ের প্রাসাদ থেকে খুব দূরে ছিল না দুর্গটি। ১২ জুলাই রাজার নির্দেশে ২৫০ ব্যারেল গানপাউডার পাঠানো হয় বাস্তিলে। লাউনাই বাইরে অবস্থান করা তাঁর সেনাদের বিশাল দুর্গের ভেতরে নিয়ে আসেন। এ সময় পরিখার ওপরের দুটি ড্র ব্রিজ তুলে দেওয়া হয়, যেন এই সেতু ধরে দুর্গে প্রবেশ করতে না পারে বিপ্লবীরা।
১৪ জুলাই, ভোর। গাদাবন্দুক, তলোয়ারসহ বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত বিক্ষুব্ধ জনতা বাস্তিলের চারপাশে জড়ো হতে শুরু করে। শুরুতে লাউনইয়ের লোকেরা জনতার স্রোতকে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু পিঁপড়ার মতো পিল পিল করে মানুষ বাস্তিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে লউনই দুর্গের ওপরে আত্মসমর্পণের একটি সাদা পতাকা তুলে দিতে বাধ্য হন। তারপর বিপ্লবীসহ বিক্ষুব্ধ জনতা ভেতরে ঢুকে পড়ে দখল নেয় দুর্গের।
লাউনাই ও তার লোকদের আটক করা হয়। বাস্তিলের গোলাবারুদ ও কামান জব্দ করা হয় এবং ভেতরের সাত বন্দীকে মুক্ত করা হয়। হোটেল দ্যু ভিলে পৌঁছানোর পর, যেখানে লাউনাইকে একটি বিপ্লবী কাউন্সিলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার এবং বিচার করার কথা ছিল। তবে উন্মত্ত জনতা তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে।
বাস্তিল দখলকে প্রাচীন শাসনের সমাপ্তির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। এটি ফরাসি বিপ্লবকে অপ্রতিরোধ্য একটি গতি এনে দেয়। ফলাফল হিসেবে ১৭৯২ সালে ফ্রান্সে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়। সম্রাট ষোড়শ লুই এবং রানি মেরি আতোঁনেতকে ১৭৯৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গিলোটিনে চড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
১৪ জুলাই দিনটি এখন ফ্রান্সের জাতীয় দিবস। বাস্তিল দিবস হিসেবেও এটি পরিচিত।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম, উইকিপিডিয়া
বাস্তিল দুর্গ ও কারাগারকে বিবেচনা করা হতো ফরাসি রাজাদের নিপীড়নের প্রতীক হিসেবে। রাজতন্ত্রের বিরোধী ব্যক্তিদের এখানে আটকে চালানো হতো অত্যাচার। ১৭৮৯ সালের এই দিনে, অর্থাৎ ১৪ জুলাই প্যারিসের বিপ্লবীরা দুর্গে প্রবেশ করে এবং পতন ঘটে বাস্তিলের। আর এর মাধ্যমেই সূচনা হয় ফরাসি বিপ্লবের।
১৭৮৯ সালের গ্রীষ্মে দ্রুত বিপ্লবের দিকে এগোতে থাকে ফ্রান্স। শত শত বছর ধরে নিপীড়নের শিকার ফরাসি জনগণের ভেতর জমা হওয়া ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে এর মাধ্যমে। ফরাসি বিপ্লবের আগ পর্যন্ত দেশটির ৯৫ শতাংশ সম্পত্তির মালিক ছিলেন কেবল ৫ শতাংশ মানুষ। এমনকি এই বিপুল সম্পত্তির জন্য কোনো করও দিতেন না তাঁরা।
প্যারিসে অবস্থিত বাস্তিল দুর্গের সামরিক গভর্নর বের্নাদ রেনে ইয়রদান দে লাউনাই ভয় পাচ্ছিলেন তাঁর দুর্গ বিপ্লবীদের দ্বারা আক্রান্ত হতে পারে। তাই দুর্গের শক্তি বাড়ানোর অনুরোধ জানান রাজার কাছে। রাজা ষোড়শ লুইয়ের প্রাসাদ থেকে খুব দূরে ছিল না দুর্গটি। ১২ জুলাই রাজার নির্দেশে ২৫০ ব্যারেল গানপাউডার পাঠানো হয় বাস্তিলে। লাউনাই বাইরে অবস্থান করা তাঁর সেনাদের বিশাল দুর্গের ভেতরে নিয়ে আসেন। এ সময় পরিখার ওপরের দুটি ড্র ব্রিজ তুলে দেওয়া হয়, যেন এই সেতু ধরে দুর্গে প্রবেশ করতে না পারে বিপ্লবীরা।
১৪ জুলাই, ভোর। গাদাবন্দুক, তলোয়ারসহ বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত বিক্ষুব্ধ জনতা বাস্তিলের চারপাশে জড়ো হতে শুরু করে। শুরুতে লাউনইয়ের লোকেরা জনতার স্রোতকে আটকে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। কিন্তু পিঁপড়ার মতো পিল পিল করে মানুষ বাস্তিলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে লউনই দুর্গের ওপরে আত্মসমর্পণের একটি সাদা পতাকা তুলে দিতে বাধ্য হন। তারপর বিপ্লবীসহ বিক্ষুব্ধ জনতা ভেতরে ঢুকে পড়ে দখল নেয় দুর্গের।
লাউনাই ও তার লোকদের আটক করা হয়। বাস্তিলের গোলাবারুদ ও কামান জব্দ করা হয় এবং ভেতরের সাত বন্দীকে মুক্ত করা হয়। হোটেল দ্যু ভিলে পৌঁছানোর পর, যেখানে লাউনাইকে একটি বিপ্লবী কাউন্সিলের মাধ্যমে গ্রেপ্তার এবং বিচার করার কথা ছিল। তবে উন্মত্ত জনতা তাঁকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং হত্যা করে।
বাস্তিল দখলকে প্রাচীন শাসনের সমাপ্তির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। এটি ফরাসি বিপ্লবকে অপ্রতিরোধ্য একটি গতি এনে দেয়। ফলাফল হিসেবে ১৭৯২ সালে ফ্রান্সে রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হয়। সম্রাট ষোড়শ লুই এবং রানি মেরি আতোঁনেতকে ১৭৯৩ সালে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে গিলোটিনে চড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।
১৪ জুলাই দিনটি এখন ফ্রান্সের জাতীয় দিবস। বাস্তিল দিবস হিসেবেও এটি পরিচিত।
সূত্র: হিস্ট্রি ডট কম, উইকিপিডিয়া
যুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
১১ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
১ ঘণ্টা আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
২ ঘণ্টা আগে