Ajker Patrika

ইরানের সঙ্গে সংঘাত: জাতীয় নিরাপত্তা পর্যালোচনা করবে পাকিস্তান

আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১৮: ০২
ইরানের সঙ্গে সংঘাত: জাতীয় নিরাপত্তা পর্যালোচনা করবে পাকিস্তান

একে অপরের ভূখণ্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে প্রতিবেশী দুই দেশ ইরান ও পাকিস্তান। গত মঙ্গলবার পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালায় ইরান। পাল্টা জবাব হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার ইরানের দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে হামলা চালায় পাকিস্তান। বর্তমান অচলাবস্থায় জাতীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক নেতারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে। পাকিস্তানের তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার আজ শুক্রবার পাকিস্তানের শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক নেতাদের নিয়ে এই বৈঠক ডেকেছেন।

একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এবং গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বৈঠকে যোগ দেবেন।

পাকিস্তানে ইরানের হামলার পর আনোয়ার-উল-হক কাকার সুইজারল্যান্ডের দাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে তাঁর সফর সংক্ষিপ্ত করে পাকিস্তানে ফেরেন। হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যের চলমান সহিংসতা আরও বিস্তৃত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে ইরান ও পাকিস্তান দুই দেশই উত্তেজনা কমানোর ইচ্ছার ইঙ্গিত দিয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছে যে, তারা প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রক্ষার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ইসলামাবাদের মাটিতে যেন সন্ত্রাসীরা ঘাঁটি স্থাপন করতে না পারে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একই ধরনের বিবৃতি দিয়ে বলেছে যে, ইরানে তাদের প্রতিশোধমূলক হামলার একমাত্র কারণ ছিল পাকিস্তানের নিজস্ব নিরাপত্তা এবং জাতীয় স্বার্থ। নিরাপত্তা ও জাতীয় স্বার্থকে পাকিস্তান সবার ওপরে স্থান দেয় এবং এর সঙ্গে আপস করা হবে না।

পাকিস্তান ও ইরান উভয়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র চীন বলেছে যে, তারা দুই দেশের মধ্যস্থতা করতে ইচ্ছুক। 

জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস দুই দেশকে উত্তেজনা বৃদ্ধি এড়াতে সর্বোচ্চ সংযম চর্চা করার আহ্বান জানিয়েছেন। জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে নিরাপত্তা উদ্বেগকে সার্বভৌমত্ব, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং প্রতিবেশীর প্রতি সম্পর্কের নীতি অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণ আলোচনা ও সহযোগিতার মাধ্যমে সমাধান করতে বলেছেন গুতেরেস।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত