রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় একটি সেমিনারে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকার এবং বিভিন্ন জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীসহ জান্তাবিরোধী শক্তিগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের একটি বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্সের’ আয়োজনে ওই ইভেন্ট নভেম্বরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হবে। আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে ২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা নেওয়া জান্তা বাহিনীর বিরোধিতা করা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ভারতের প্রথম আনুষ্ঠানিক যোগসূত্র চিহ্নিত হয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে ভারতের এমন উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহযুদ্ধরত মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে ভারত এমন এক সময়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, যখন দেশটিতে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ একটি পূর্ণমাত্রার বিদ্রোহে পরিণত হয়েছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকার তার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে। ফলে তাদের সঙ্গে যেকোনো ধরনের আলোচনাকেও অস্বীকার করে এই বাহিনী।
মিয়ানমারের শিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির মতো বিদ্রোহী দলগুলোর নেতারা ইতিমধ্যে ভারতের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন। সেমিনারে অংশ নেবেন বলে তাঁরা নিশ্চিত করেছেন। ভারতের দিক থেকে এই তৎপরতা সীমান্তের স্থিতিশীলতা নিয়ে দেশটির ক্রমবর্ধমান উদ্বেগকে প্রকাশ করে। বিশেষ করে, মিয়ানমারের সঙ্গে দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এবং এই অঞ্চলে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বিনিয়োগও রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরও ভারত এই বাহিনীর সঙ্গেও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। কারণ, ভারত আশঙ্কা করে, সম্পর্ক ধরে না রাখলে জান্তা বাহিনী চীনের দিকে আরও বেশি মাত্রায় ঝুঁকে যেতে পারে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইতিপূর্বে ভারতের সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব স্টেকহোল্ডারকে জড়িত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
নভেম্বরের সেমিনারে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না কিংবা সেমিনারের পেছনের উদ্দেশ্য এখনো অস্পষ্ট। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই উদ্যোগ দেশটির নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো মোকাবিলার অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দিতে পারে। সেদিক থেকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকেও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংলাপের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে ভারত।
আরও খবর পড়ুন:
রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় একটি সেমিনারে মিয়ানমারের জাতীয় ঐক্য সরকার এবং বিভিন্ন জাতিগত বিদ্রোহী গোষ্ঠীসহ জান্তাবিরোধী শক্তিগুলোকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারত। সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্সের একটি বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্সের’ আয়োজনে ওই ইভেন্ট নভেম্বরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হবে। আমন্ত্রণ জানানোর মধ্য দিয়ে ২০২১ সালে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতা নেওয়া জান্তা বাহিনীর বিরোধিতা করা বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ভারতের প্রথম আনুষ্ঠানিক যোগসূত্র চিহ্নিত হয়েছে। রয়টার্সের প্রতিবেদনে ভারতের এমন উদ্যোগকে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবেও আখ্যা দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহযুদ্ধরত মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে ভারত এমন এক সময়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, যখন দেশটিতে জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ একটি পূর্ণমাত্রার বিদ্রোহে পরিণত হয়েছে। মিয়ানমারের জান্তা সরকার তার বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করে আসছে। ফলে তাদের সঙ্গে যেকোনো ধরনের আলোচনাকেও অস্বীকার করে এই বাহিনী।
মিয়ানমারের শিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট এবং কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মির মতো বিদ্রোহী দলগুলোর নেতারা ইতিমধ্যে ভারতের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়েছেন। সেমিনারে অংশ নেবেন বলে তাঁরা নিশ্চিত করেছেন। ভারতের দিক থেকে এই তৎপরতা সীমান্তের স্থিতিশীলতা নিয়ে দেশটির ক্রমবর্ধমান উদ্বেগকে প্রকাশ করে। বিশেষ করে, মিয়ানমারের সঙ্গে দেশটির দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে এবং এই অঞ্চলে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো বিনিয়োগও রয়েছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরও ভারত এই বাহিনীর সঙ্গেও সম্পর্ক বজায় রেখেছে। কারণ, ভারত আশঙ্কা করে, সম্পর্ক ধরে না রাখলে জান্তা বাহিনী চীনের দিকে আরও বেশি মাত্রায় ঝুঁকে যেতে পারে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইতিপূর্বে ভারতের সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব স্টেকহোল্ডারকে জড়িত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছিলেন।
নভেম্বরের সেমিনারে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে কি না কিংবা সেমিনারের পেছনের উদ্দেশ্য এখনো অস্পষ্ট। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের এই উদ্যোগ দেশটির নিরাপত্তা উদ্বেগগুলো মোকাবিলার অভিপ্রায়ের ইঙ্গিত দিতে পারে। সেদিক থেকে মিয়ানমারের জান্তা সরকারকেও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সংলাপের দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে ভারত।
আরও খবর পড়ুন:
পারস্য উপসাগরের উপকূলে ইরানের বুশেহর শহরে অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যদি কোনো হামলার শিকার হয়, তবে তার পরিণতি হতে পারে ভয়াবহ। শুধু ইরান নয়, পুরো উপসাগরীয় অঞ্চল পড়বে বিপদের মুখে।
৬ ঘণ্টা আগেবি-২ বিমানের সঙ্গে ছিল চারটি বোয়িং কেসি-৪৬ পেগাসাস ফুয়েল ট্যাংকার। এর মধ্যে দুটি ইতিমধ্যে প্রশান্ত মহাসাগরের আকাশে বি-২ বোমারুতে জ্বালানি সরবরাহ করেছে। বাকি দুটি প্রায় ৭৫ কিলোমিটার পেছনে অবস্থান করছে।
৬ ঘণ্টা আগেসামরিক শক্তিতে বরাবরই নিজেকে অপরাজেয় হিসেবে জাহির করা ইসরায়েলকে সত্যিই কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে ইরান। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইসরায়েলকে ইতিমধ্যেই ব্যতিব্যস্ত করার পর গতকাল শনিবার দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ভেদ করে সফল ড্রোন হামলা চালায় ইরান। ইরানের দুটি ড্রোন ইসরায়েলের উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলে...
৬ ঘণ্টা আগেইরান-ইসরায়েল চলমান সংঘাত নবম দিনে গড়িয়েছে। এই উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্র যদি ইসরায়েলের পক্ষে সরাসরি ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে লোহিতসাগরে মার্কিন জাহাজগুলোতে হামলা চালানো হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা। হুতি বিদ্রোহীদের এক মুখপাত্রের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে
৬ ঘণ্টা আগে