অনলাইন ডেস্ক
বাড়িতে বসে লালা বা থুতু পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যাবে কারও প্রোস্টেট ক্যানসার বা মূত্রথলির গ্রন্থির ক্যানসার আছে কিনা। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে যেসব পরীক্ষা প্রচলিত তার চেয়েও নিখুঁতভাবে এই পরীক্ষা প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকির পূর্বাভাস দিতে পারবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, এই পরীক্ষায় প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি আছে এমন ১৩০টি জিনের ওপর মূল্যায়ন চালানো হয়। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে পুরুষদের মধ্যে ক্যানসারজনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হলো এই রোগ।
গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানের প্রচলিত পলিজেনিক রিস্ক স্কোর (বহু জিনগত ঝুঁকির আশঙ্কা) নামে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে (এনএইচএস) ব্যবহৃত প্রচলিত রক্ত পরীক্ষার চেয়েও বেশি কার্যকরভাবে মারাত্মক প্রোস্টেট ক্যানসারের শক্তিশালী পূর্বাভাস দিতে সক্ষম এই নতুন পদ্ধতি।
এই গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের অধ্যাপক রস ইলিস বলেন, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রোস্টেট ক্যানসারের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব। আমরা দেখিয়েছি যে, ইউরোপীয় পুরুষদের মধ্যে জিনগত গঠনের কারণে যাদের ঝুঁকি বেশি, তাদের চিহ্নিত করার জন্য একটি তুলনামূলকভাবে সহজ, সস্তা লালা পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে প্রোস্টেট ক্যানসার শনাক্ত করার একটি কার্যকর হাতিয়ার।’
বারকোড-১ নামে এই ট্রায়াল চালানোর পর গবেষকেরা সম্প্রতি এশীয় এবং আফ্রিকান পুরুষদের জন্য প্রোস্টেট ঝুঁকি সৃষ্টিকারী জিনগত প্রকারভেদের ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষার একটি উন্নত সংস্করণ তৈরি করেছে এবং একটি নতুন গবেষণায় এটি মূল্যায়ন করছে।
বর্তমানে এনএইচএস-এ রুটিন পিএসএ বা পলিজেনিক রিস্ক স্কোর পরীক্ষা করানো হয় না। তবে কোনো চিকিৎসক যদি মনে করেন যে, কোনো রোগীর প্রোস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা আছে, তবে তিনি পিএসএ পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন। ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষেরা কোনো উপসর্গ না থাকলেও তাদের নির্ধারিত চিকিৎসকের কাছে পিএসএ পরীক্ষার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। যাদের পিএসএ-এর মাত্রা বেশি, তাদের ক্যানসার শনাক্ত করার জন্য এমআরআই স্ক্যান এবং বায়োপসির মতো আরও পরীক্ষা করানো হবে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত সর্বশেষ গবেষণাটিতে ৫৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ৬ হাজারের বেশি শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত পুরুষের পলিজেনিক রিস্ক স্কোর (পিআরএস) গণনা করা হয়েছে। প্রোস্টেট ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত ১৩০টি জিনগত প্রকারভেদের ওপর ভিত্তি করে তাদের ক্যানসার ঝুঁকি আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এমআরআই এবং প্রোস্টেট বায়োপসির পর, এই পুরুষদের মধ্যে ৪০ শতাংশের প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে।
রস ইলিস আরও বলেছেন, ‘আমরা আক্রমণাত্মক ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকা পুরুষদের শনাক্ত করতে পারি যাদের আরও পরীক্ষার প্রয়োজন এবং যারা কম ঝুঁকিতে আছেন তাদের অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বাঁচাতে পারি।’
লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান হেলিন বলেছেন, ‘বর্তমান পিএসএ পরীক্ষা প্রায়শই অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসার দিকে ধাবিত করে এবং আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, এটি কিছু ক্যানসার শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। একটি উন্নত স্ক্রিনিং পরীক্ষার জরুরি প্রয়োজন। এই গবেষণা সেই লক্ষ্যের দিকে একটি আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি এবং জেনেটিক পরীক্ষার জীবন রক্ষাকারী সম্ভাবনাকে তুলে ধরে।’
বাড়িতে বসে লালা বা থুতু পরীক্ষার মাধ্যমেই জানা যাবে কারও প্রোস্টেট ক্যানসার বা মূত্রথলির গ্রন্থির ক্যানসার আছে কিনা। সাম্প্রতিক এক গবেষণার বরাত দিয়ে এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বর্তমানে যেসব পরীক্ষা প্রচলিত তার চেয়েও নিখুঁতভাবে এই পরীক্ষা প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকির পূর্বাভাস দিতে পারবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, এই পরীক্ষায় প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি আছে এমন ১৩০টি জিনের ওপর মূল্যায়ন চালানো হয়। উল্লেখ্য, যুক্তরাজ্যে পুরুষদের মধ্যে ক্যানসারজনিত মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ হলো এই রোগ।
গবেষণায় দেখা গেছে, বর্তমানের প্রচলিত পলিজেনিক রিস্ক স্কোর (বহু জিনগত ঝুঁকির আশঙ্কা) নামে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসে (এনএইচএস) ব্যবহৃত প্রচলিত রক্ত পরীক্ষার চেয়েও বেশি কার্যকরভাবে মারাত্মক প্রোস্টেট ক্যানসারের শক্তিশালী পূর্বাভাস দিতে সক্ষম এই নতুন পদ্ধতি।
এই গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের অধ্যাপক রস ইলিস বলেন, ‘এই পরীক্ষার মাধ্যমে প্রোস্টেট ক্যানসারের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া সম্ভব। আমরা দেখিয়েছি যে, ইউরোপীয় পুরুষদের মধ্যে জিনগত গঠনের কারণে যাদের ঝুঁকি বেশি, তাদের চিহ্নিত করার জন্য একটি তুলনামূলকভাবে সহজ, সস্তা লালা পরীক্ষা প্রাথমিক পর্যায়ে প্রোস্টেট ক্যানসার শনাক্ত করার একটি কার্যকর হাতিয়ার।’
বারকোড-১ নামে এই ট্রায়াল চালানোর পর গবেষকেরা সম্প্রতি এশীয় এবং আফ্রিকান পুরুষদের জন্য প্রোস্টেট ঝুঁকি সৃষ্টিকারী জিনগত প্রকারভেদের ওপর ভিত্তি করে পরীক্ষার একটি উন্নত সংস্করণ তৈরি করেছে এবং একটি নতুন গবেষণায় এটি মূল্যায়ন করছে।
বর্তমানে এনএইচএস-এ রুটিন পিএসএ বা পলিজেনিক রিস্ক স্কোর পরীক্ষা করানো হয় না। তবে কোনো চিকিৎসক যদি মনে করেন যে, কোনো রোগীর প্রোস্টেট ক্যানসারের আশঙ্কা আছে, তবে তিনি পিএসএ পরীক্ষা করার পরামর্শ দিতে পারেন। ৫০ বছরের বেশি বয়সী পুরুষেরা কোনো উপসর্গ না থাকলেও তাদের নির্ধারিত চিকিৎসকের কাছে পিএসএ পরীক্ষার জন্য অনুরোধ করতে পারেন। যাদের পিএসএ-এর মাত্রা বেশি, তাদের ক্যানসার শনাক্ত করার জন্য এমআরআই স্ক্যান এবং বায়োপসির মতো আরও পরীক্ষা করানো হবে।
নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে প্রকাশিত সর্বশেষ গবেষণাটিতে ৫৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সী ৬ হাজারের বেশি শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত পুরুষের পলিজেনিক রিস্ক স্কোর (পিআরএস) গণনা করা হয়েছে। প্রোস্টেট ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত ১৩০টি জিনগত প্রকারভেদের ওপর ভিত্তি করে তাদের ক্যানসার ঝুঁকি আছে কিনা তা পরীক্ষার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। এমআরআই এবং প্রোস্টেট বায়োপসির পর, এই পুরুষদের মধ্যে ৪০ শতাংশের প্রোস্টেট ক্যানসার ধরা পড়ে।
রস ইলিস আরও বলেছেন, ‘আমরা আক্রমণাত্মক ক্যানসারের ঝুঁকিতে থাকা পুরুষদের শনাক্ত করতে পারি যাদের আরও পরীক্ষার প্রয়োজন এবং যারা কম ঝুঁকিতে আছেন তাদের অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসা থেকে বাঁচাতে পারি।’
লন্ডনের ইনস্টিটিউট অব ক্যানসার রিসার্চের প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক ক্রিশ্চিয়ান হেলিন বলেছেন, ‘বর্তমান পিএসএ পরীক্ষা প্রায়শই অপ্রয়োজনীয় চিকিৎসার দিকে ধাবিত করে এবং আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, এটি কিছু ক্যানসার শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। একটি উন্নত স্ক্রিনিং পরীক্ষার জরুরি প্রয়োজন। এই গবেষণা সেই লক্ষ্যের দিকে একটি আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি এবং জেনেটিক পরীক্ষার জীবন রক্ষাকারী সম্ভাবনাকে তুলে ধরে।’
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। একই সময়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেদেশে এক দিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫২ রোগী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এ সময়ে ডেঙ্গুতে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় (গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) এই হিসাব পাওয়া গেছে।
৮ ঘণ্টা আগেবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সম্প্রতি তাদের ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং বা ভিইউএম তালিকায় এনবি ১.৮.১ যুক্ত করেছে। এটি মূলত ওমিক্রন উপধরন, যা ইউরোপ, আমেরিকা, এশিয়া এবং বাংলাদেশেও শনাক্ত হয়েছে। এনবি ১.৮.১ বেশ দ্রুত সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তবে এই ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণে গুরুতর অসুস্থতা, হাসপাতালে ভর্তি বৃদ্ধির...
২০ ঘণ্টা আগেদেখা দিয়েছে নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট। এই সময়ে ওষুধের পাশাপাশি সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারই পারে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে।
২০ ঘণ্টা আগে