অনলাইন ডেস্ক
হৃদয় ভাঙার মানসিক কষ্টের কথা আমরা সবাই জানি। এ নিয়ে অসংখ্য বই, গান ও সিনেমা তৈরি হয়েছে। তবে এর বৈজ্ঞানিক প্রমাণও রয়েছে যে, ভগ্ন হৃদয় প্রাণঘাতীও হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই প্রাণঘাতী পরিস্থিতির নাম তাকোতসুবো কার্ডিওমায়োপ্যাথি বা টিসি। শারীরিক বা মানসিক চাপের কারণে হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে গেলে এমনটি হয়।
জার্নাল অব দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার একদল গবেষক ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২ লাখ রোগীর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
গবেষণাকালে পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যেই টিসি আক্রান্ত হওয়ার হার সামান্য বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে নারীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। এই অবস্থা থেকে মৃত্যু এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যগত জটিলতা বৃদ্ধির হার তুলনামূলক বেশি ছিল। পূর্বের গবেষণাগুলোও একই ইঙ্গিত দেয় যে ‘ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম’ অর্থাৎ, হৃদয় ভাঙার কারণে হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত জটিলতা যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমশ বাড়ছে।
তবে এই সিনড্রোম নারীদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও এর কারণে পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল নারীদের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। টিসিতে আক্রান্ত হওয়া পুরুষদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ১১ দশমিক ২ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে যা সাড়ে ৫ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে মৃত্যুর হার ছিল সাড়ে ৬ শতাংশ।
ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট এম. রেজা মোভাহেদ বলেন, ‘আমরা এটা দেখে অবাক হয়েছি যে, তাকোতসুবো কার্ডিওমায়োপ্যাথিতে মৃত্যুর হার গত ৫ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছাড়াই তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর জটিলতার হারও বেশি ছিল।’
গবেষকেরা নারী ও পুরুষের মধ্যে এই পার্থক্যের একটি কারণ হিসেবে একটি ‘হাইপোথিসিস’ বা পূর্বানুমান দিয়েছেন। মনে করা হয়, টিসি হয় মানসিক বা শারীরিক চাপের কারণে নিঃসৃত অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোনের কারণে। শারীরিক চাপের মধ্যে থাকতে পারে সার্জারি বা সংক্রমণ, আর মানসিক চাপের মধ্যে বিচ্ছেদ বা প্রিয়জনের মৃত্যু। শারীরিক চাপের কারণে টিসি পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, এবং এটিই হয়তো পুরুষদের উচ্চ মৃত্যুহারের একটি কারণ। গবেষকেরা মনে করেন, নারী ও পুরুষের হরমোনের ভারসাম্যের ভিন্নতাও এখানে একটি ভূমিকা রাখতে পারে।
টিসি থেকে সৃষ্ট জটিলতাগুলোর মধ্যে ছিল—কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিওর (যখন হৃৎপিণ্ড শরীর ও ফুসফুসের রক্তের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়) (৩৫ দশমিক ৯ শতাংশ রোগীর), অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন বা হৃৎপিণ্ডের অনিয়মিত স্পন্দন (২০ দশমিক ৭ শতাংশ), কার্ডিওজেনিক শক বা যখন শরীরে হৃৎপিণ্ডের ব্যর্থতার কারণে রক্ত প্রবাহ অনেক বেশি কমে যায় (৬ দশমিক ৬ শতাংশ), স্ট্রোক (৫ দশমিক ৩ শতাংশ) এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (৩ দশমিক ৪ শতাংশ)।
লক্ষণগুলো হার্ট অ্যাটাক বা বুকে ব্যথার মতো হওয়ায় অনেক সময় টিসি শনাক্ত করা কঠিন হয়। কিন্তু নতুন গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষকেরা এই অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে চান, যাতে এটি ভালোভাবে নির্ণয় করা যায় এবং আরও কার্যকরভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।
মোভাহেদ বলেন, ‘কিছু জটিলতা—যেমন এম্বোলিক স্ট্রোক (যখন রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তপ্রবাহে বাধা তৈরি করে)—হয়তো প্রাথমিক পর্যায়ে রক্ত জমাট প্রতিরোধী ওষুধ দিয়ে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। যাদের হৃৎপিণ্ডের পেশি দুর্বল বা অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশনের মতো অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন আছে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।’
টিসি চিকিৎসকদের কাছে বেশ কিছুদিন ধরে পরিচিত, তবে এই অবস্থাটি কীভাবে নির্ণয় করা যেতে পারে এবং এর জটিলতার ঝুঁকি কীভাবে কমানো যায়, সে সম্পর্কে এখনো অনেক অজানা প্রশ্ন রয়ে গেছে। তবে সব টিসির কারণ সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া নয়। তবে এটা স্পষ্ট যে, প্রিয় কাউকে হারানোর বিষয়টি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বহুবিধ প্রভাব ফেলে এবং হৃৎপিণ্ড কখনো কখনো এই চাপের প্রধান শিকার হয়। মোভাহেদ বলেন, ‘মৃত্যুর হার বেশি হওয়া উদ্বেগজনক। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, এই রোগের উন্নত চিকিৎসা এবং নতুন থেরাপিউটিক পদ্ধতির সন্ধানের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।’
হৃদয় ভাঙার মানসিক কষ্টের কথা আমরা সবাই জানি। এ নিয়ে অসংখ্য বই, গান ও সিনেমা তৈরি হয়েছে। তবে এর বৈজ্ঞানিক প্রমাণও রয়েছে যে, ভগ্ন হৃদয় প্রাণঘাতীও হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই প্রাণঘাতী পরিস্থিতির নাম তাকোতসুবো কার্ডিওমায়োপ্যাথি বা টিসি। শারীরিক বা মানসিক চাপের কারণে হৃৎপিণ্ড দুর্বল হয়ে গেলে এমনটি হয়।
জার্নাল অব দ্য আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার একদল গবেষক ২০১৬ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ২ লাখ রোগীর তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।
গবেষণাকালে পুরুষ ও নারী উভয়ের মধ্যেই টিসি আক্রান্ত হওয়ার হার সামান্য বেড়েছে। তবে সামগ্রিকভাবে নারীদের মধ্যে এই প্রবণতা বেশি দেখা গেছে। এই অবস্থা থেকে মৃত্যু এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যগত জটিলতা বৃদ্ধির হার তুলনামূলক বেশি ছিল। পূর্বের গবেষণাগুলোও একই ইঙ্গিত দেয় যে ‘ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম’ অর্থাৎ, হৃদয় ভাঙার কারণে হৃৎপিণ্ড সংক্রান্ত জটিলতা যুক্তরাষ্ট্রে ক্রমশ বাড়ছে।
তবে এই সিনড্রোম নারীদের মধ্যে বেশি দেখা গেলেও এর কারণে পুরুষদের মধ্যে মৃত্যুর হার ছিল নারীদের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি। টিসিতে আক্রান্ত হওয়া পুরুষদের ক্ষেত্রে মৃত্যুর হার ১১ দশমিক ২ শতাংশ এবং নারীদের ক্ষেত্রে যা সাড়ে ৫ শতাংশ। সামগ্রিকভাবে মৃত্যুর হার ছিল সাড়ে ৬ শতাংশ।
ইউনিভার্সিটি অব অ্যারিজোনার ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজিস্ট এম. রেজা মোভাহেদ বলেন, ‘আমরা এটা দেখে অবাক হয়েছি যে, তাকোতসুবো কার্ডিওমায়োপ্যাথিতে মৃত্যুর হার গত ৫ বছরে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ছাড়াই তুলনামূলকভাবে বেশি ছিল। হাসপাতালে ভর্তির পর জটিলতার হারও বেশি ছিল।’
গবেষকেরা নারী ও পুরুষের মধ্যে এই পার্থক্যের একটি কারণ হিসেবে একটি ‘হাইপোথিসিস’ বা পূর্বানুমান দিয়েছেন। মনে করা হয়, টিসি হয় মানসিক বা শারীরিক চাপের কারণে নিঃসৃত অতিরিক্ত স্ট্রেস হরমোনের কারণে। শারীরিক চাপের মধ্যে থাকতে পারে সার্জারি বা সংক্রমণ, আর মানসিক চাপের মধ্যে বিচ্ছেদ বা প্রিয়জনের মৃত্যু। শারীরিক চাপের কারণে টিসি পুরুষদের মধ্যে বেশি দেখা যায়, এবং এটিই হয়তো পুরুষদের উচ্চ মৃত্যুহারের একটি কারণ। গবেষকেরা মনে করেন, নারী ও পুরুষের হরমোনের ভারসাম্যের ভিন্নতাও এখানে একটি ভূমিকা রাখতে পারে।
টিসি থেকে সৃষ্ট জটিলতাগুলোর মধ্যে ছিল—কনজেস্টিভ হার্ট ফেইলিওর (যখন হৃৎপিণ্ড শরীর ও ফুসফুসের রক্তের চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়) (৩৫ দশমিক ৯ শতাংশ রোগীর), অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশন বা হৃৎপিণ্ডের অনিয়মিত স্পন্দন (২০ দশমিক ৭ শতাংশ), কার্ডিওজেনিক শক বা যখন শরীরে হৃৎপিণ্ডের ব্যর্থতার কারণে রক্ত প্রবাহ অনেক বেশি কমে যায় (৬ দশমিক ৬ শতাংশ), স্ট্রোক (৫ দশমিক ৩ শতাংশ) এবং কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (৩ দশমিক ৪ শতাংশ)।
লক্ষণগুলো হার্ট অ্যাটাক বা বুকে ব্যথার মতো হওয়ায় অনেক সময় টিসি শনাক্ত করা কঠিন হয়। কিন্তু নতুন গবেষণার সঙ্গে যুক্ত গবেষকেরা এই অবস্থা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে চান, যাতে এটি ভালোভাবে নির্ণয় করা যায় এবং আরও কার্যকরভাবে চিকিৎসা করা সম্ভব হয়।
মোভাহেদ বলেন, ‘কিছু জটিলতা—যেমন এম্বোলিক স্ট্রোক (যখন রক্তনালিতে রক্ত জমাট বেঁধে রক্তপ্রবাহে বাধা তৈরি করে)—হয়তো প্রাথমিক পর্যায়ে রক্ত জমাট প্রতিরোধী ওষুধ দিয়ে প্রতিরোধ করা যেতে পারে। যাদের হৃৎপিণ্ডের পেশি দুর্বল বা অ্যাট্রিয়াল ফাইব্রিলেশনের মতো অনিয়মিত হৃৎস্পন্দন আছে, যা স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য।’
টিসি চিকিৎসকদের কাছে বেশ কিছুদিন ধরে পরিচিত, তবে এই অবস্থাটি কীভাবে নির্ণয় করা যেতে পারে এবং এর জটিলতার ঝুঁকি কীভাবে কমানো যায়, সে সম্পর্কে এখনো অনেক অজানা প্রশ্ন রয়ে গেছে। তবে সব টিসির কারণ সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া নয়। তবে এটা স্পষ্ট যে, প্রিয় কাউকে হারানোর বিষয়টি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বহুবিধ প্রভাব ফেলে এবং হৃৎপিণ্ড কখনো কখনো এই চাপের প্রধান শিকার হয়। মোভাহেদ বলেন, ‘মৃত্যুর হার বেশি হওয়া উদ্বেগজনক। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, এই রোগের উন্নত চিকিৎসা এবং নতুন থেরাপিউটিক পদ্ধতির সন্ধানের জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।’
ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ) নামের সমস্যায় ভোগেন বিশ্বের বহু মানুষ। তবে নিয়মিত শঙ্খ বাজালে এ সমস্যা কমে যেতে পারে বলে দাবি করছেন গবেষকেরা।
১ ঘণ্টা আগেবিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিলে সভাপতি, মহাসচিবসহ পূর্ণ প্যানেলে জয় পেয়েছেন হারুন-শাকিল প্যানেল। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে মধ্যরাতে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেচিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। অস্ত্রোপচারের পর ক্ষত সারাতে সেলাই বা স্ট্যাপলারের ব্যবহারের বদলে এবার আলোর মাধ্যমে সক্রিয় হওয়া বডি গ্লু বা শরীরবান্ধব আঠা ব্যবহার করার পথে এগোচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
১ দিন আগেশরীরের ব্যথায় কখনো ভোগেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শরীরে ব্যথার সমস্যায় ভুগছে। তাদের কারও গিরায় ব্যথা, কারও পেশিতে, আবার কেউ হাড়ের ব্যথায় আক্রান্ত। বাংলাদেশে ব্যথার সমস্যায় ভোগা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি।
২ দিন আগে