অনলাইন ডেস্ক
ডায়াবেটিস ও ওজন কমানোর চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ওষুধ ওজেম্পিক ও ওয়েগোভির মূল উপাদান সেমাগ্লুটাইড। তবে এই ওষুধের ভিন্ন ব্যবহারও আবিষ্কার করেছেন একদল আন্তর্জাতিক গবেষক। তাঁরা বলেছেন, যারা লিভার তথা যকৃতের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তাদের চিকিৎসার জন্যও এই ওষুধ বেশ কার্যকর হতে পারে। বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে এ বিষয়ে গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে পিয়ার রিভিউড জার্নাল দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে। এতে বলা হয়েছে, সেমাগ্লুটাইড হলো ওজন কমানো ও ডায়াবেটিসের ওষুধ যেমন—ওজেম্পিক ও ওয়েগোভির প্রধান উপাদান। একদল আন্তর্জাতিক গবেষক আবিষ্কার করেছেন যে, যারা লিভারের রোগে আক্রান্ত, তাদের জন্যও এই সেমাগ্লুটাইড ওষুধ দারুণ কার্যকর হতে পারে।
সম্প্রতি একটি তৃতীয় পর্যায়ের (থার্ড ফেজ) ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রায় ৮০০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই ওষুধের পরীক্ষা করা হয়। ৭২ সপ্তাহ ধরে চলা এই পরীক্ষায় দেখা গেছে, সাপ্তাহিক সেমাগ্লুটাইড ডোজে মেটাবলিক ডিসফাংশন-অ্যাসোসিয়েটেড স্টেফোহেপাটাইটিস (এমএএসএইচ) নামে পরিচিত ফ্যাটি লিভারের একটি গুরুতর ধরনের চিকিৎসায় প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির মেডিসিনের অধ্যাপক অরুণ সান্যাল বলেছেন, ‘৩৭টি দেশে পরিচালিত এই যুগান্তকারী অধ্যয়নের ফলাফল শক্তিশালী প্রমাণ দেয় যে, সেমাগ্লুটাইড এমএএসএইচ আক্রান্ত রোগীদের যকৃতের স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি রোগের অন্তর্নিহিত বিপাকীয় সমস্যাগুলো সমাধানেও সাহায্য করতে পারে।’
অংশগ্রহণকারীদের দুটি দলে ভাগ করা হয়েছিল। যারা সেমাগ্লুটাইড চিকিৎসা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৯ শতাংশের ক্ষেত্রে এমএএসএইচের উন্নতি দেখা গেছে। বিপরীতে, যারা প্লেসেবো (অন্য আরেকটি ওষুধ) নিয়েছেন, তাদের মধ্যে মাত্র ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশের উন্নতি হয়েছে।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই গবেষণায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে যাদের লিভার ফাইব্রোসিস (স্কারিং) আছে—যা যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিজেকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করে—সেমাগ্লুটাইড গ্রহণ করার ফলে তাদের ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে এই রোগ কমেছে। বিপরীতে প্লেসেবো গ্রহণকারী রোগীদের মধ্যে এই হার ছিল ২২ দশমিক ৪ শতাংশ।
সেমাগ্লুটাইড গ্রহণকারী অংশগ্রহণকারীদের ৩২ দশমিক ৭ শতাংশের এমএএসএইচ ও ফাইব্রোসিস উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতি দেখা গেছে। প্লেসেবো গ্রুপের ক্ষেত্রে এই হার ছিল মাত্র ১৬ দশমিক ১ শতাংশ। ওষুধটির জন্য এটি একটি সার্বিক সাফল্য, যা স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এ ধরনের ট্রায়ালে প্লেসেবো প্রভাব বেশ স্বাভাবিক। ধারণা করা হয়, এটি চিকিৎসার অধীনে থাকার মানসিক তৃপ্তি এবং গবেষণার অংশ জানার কারণে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও অধিক সতর্ক থাকার প্রবণতার সম্মিলিত ফল। সান্যাল বলেন, ‘যদি এটি (সেমাগ্লুটাইড) অনুমোদিত হয়, তবে তা এমএএসএইচ ও ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি একটি অতিরিক্ত চিকিৎসার বিকল্প দিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এমএএসএইচের সঙ্গে হৃদ্রোগ, বিপাকীয় এবং কিডনি রোগের শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, যেখানে সেমাগ্লুটাইডের ইতিমধ্যেই প্রমাণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।’
সেমাগ্লুটাইড একটি জিএলপি-১ (গ্লুকাগন-লাইক পেপটাইড-১) রিসেপ্টর অ্যাগোনিস্ট (রিসেপ্টর অ্যাগোনিস্ট হলো এমন একটি অণু, যা রিসেপ্টরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে এবং একটি জৈবিক প্রতিক্রিয়া উদ্দীপিত করতে পারে)। এটি মূলত প্রাকৃতিক জিএলপি-১ হরমোনের মতো কাজ করে। এটি ক্ষুধা কমানো ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোসহ মূল বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ কারণেই এটি স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় কার্যকর। তবে মনে হচ্ছে, এই জৈবিক নিয়ন্ত্রণের উন্নতি আরও অনেক সুবিধা দিতে পারে।
এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনো চলছে। প্রাথমিক উন্নতিগুলো অব্যাহত থাকে কি না, তা দেখার জন্য এটি একটি বৃহত্তর গোষ্ঠীর ওপর পাঁচ বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে। এমএএসএইচের জন্য বর্তমানে শুধু একটি অনুমোদিত চিকিৎসা উপলব্ধ থাকায় নতুন বিকল্পের জরুরি প্রয়োজন।
সান্যাল বলেন, ‘যকৃতের রোগ এবং এর বিপাকীয় কারণ উভয়ের চিকিৎসা করে সেমাগ্লুটাইড লাখ লাখ রোগীর জন্য একটি আশাব্যঞ্জক নতুন পদ্ধতি প্রদান করতে পারে।’
ডায়াবেটিস ও ওজন কমানোর চিকিৎসায় বহুল ব্যবহৃত ওষুধ ওজেম্পিক ও ওয়েগোভির মূল উপাদান সেমাগ্লুটাইড। তবে এই ওষুধের ভিন্ন ব্যবহারও আবিষ্কার করেছেন একদল আন্তর্জাতিক গবেষক। তাঁরা বলেছেন, যারা লিভার তথা যকৃতের বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত, তাদের চিকিৎসার জন্যও এই ওষুধ বেশ কার্যকর হতে পারে। বিজ্ঞানবিষয়ক সংবাদমাধ্যম সায়েন্স অ্যালার্ট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে এ বিষয়ে গবেষণা নিবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে পিয়ার রিভিউড জার্নাল দ্য নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে। এতে বলা হয়েছে, সেমাগ্লুটাইড হলো ওজন কমানো ও ডায়াবেটিসের ওষুধ যেমন—ওজেম্পিক ও ওয়েগোভির প্রধান উপাদান। একদল আন্তর্জাতিক গবেষক আবিষ্কার করেছেন যে, যারা লিভারের রোগে আক্রান্ত, তাদের জন্যও এই সেমাগ্লুটাইড ওষুধ দারুণ কার্যকর হতে পারে।
সম্প্রতি একটি তৃতীয় পর্যায়ের (থার্ড ফেজ) ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রায় ৮০০ জন অংশগ্রহণকারীর ওপর এই ওষুধের পরীক্ষা করা হয়। ৭২ সপ্তাহ ধরে চলা এই পরীক্ষায় দেখা গেছে, সাপ্তাহিক সেমাগ্লুটাইড ডোজে মেটাবলিক ডিসফাংশন-অ্যাসোসিয়েটেড স্টেফোহেপাটাইটিস (এমএএসএইচ) নামে পরিচিত ফ্যাটি লিভারের একটি গুরুতর ধরনের চিকিৎসায় প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ রোগীর ক্ষেত্রে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটির মেডিসিনের অধ্যাপক অরুণ সান্যাল বলেছেন, ‘৩৭টি দেশে পরিচালিত এই যুগান্তকারী অধ্যয়নের ফলাফল শক্তিশালী প্রমাণ দেয় যে, সেমাগ্লুটাইড এমএএসএইচ আক্রান্ত রোগীদের যকৃতের স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি রোগের অন্তর্নিহিত বিপাকীয় সমস্যাগুলো সমাধানেও সাহায্য করতে পারে।’
অংশগ্রহণকারীদের দুটি দলে ভাগ করা হয়েছিল। যারা সেমাগ্লুটাইড চিকিৎসা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে ৬২ দশমিক ৯ শতাংশের ক্ষেত্রে এমএএসএইচের উন্নতি দেখা গেছে। বিপরীতে, যারা প্লেসেবো (অন্য আরেকটি ওষুধ) নিয়েছেন, তাদের মধ্যে মাত্র ৩৪ দশমিক ৩ শতাংশের উন্নতি হয়েছে।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, এই গবেষণায় অংশ নেওয়াদের মধ্যে যাদের লিভার ফাইব্রোসিস (স্কারিং) আছে—যা যকৃৎ ক্ষতিগ্রস্ত হলে নিজেকে সারিয়ে তোলার চেষ্টা করে—সেমাগ্লুটাইড গ্রহণ করার ফলে তাদের ৩৬ দশমিক ৮ শতাংশের মধ্যে এই রোগ কমেছে। বিপরীতে প্লেসেবো গ্রহণকারী রোগীদের মধ্যে এই হার ছিল ২২ দশমিক ৪ শতাংশ।
সেমাগ্লুটাইড গ্রহণকারী অংশগ্রহণকারীদের ৩২ দশমিক ৭ শতাংশের এমএএসএইচ ও ফাইব্রোসিস উভয় ক্ষেত্রেই উন্নতি দেখা গেছে। প্লেসেবো গ্রুপের ক্ষেত্রে এই হার ছিল মাত্র ১৬ দশমিক ১ শতাংশ। ওষুধটির জন্য এটি একটি সার্বিক সাফল্য, যা স্বাস্থ্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে সম্ভাবনাময় বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, এ ধরনের ট্রায়ালে প্লেসেবো প্রভাব বেশ স্বাভাবিক। ধারণা করা হয়, এটি চিকিৎসার অধীনে থাকার মানসিক তৃপ্তি এবং গবেষণার অংশ জানার কারণে স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ও অধিক সতর্ক থাকার প্রবণতার সম্মিলিত ফল। সান্যাল বলেন, ‘যদি এটি (সেমাগ্লুটাইড) অনুমোদিত হয়, তবে তা এমএএসএইচ ও ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত রোগীদের জন্য এটি একটি অতিরিক্ত চিকিৎসার বিকল্প দিতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এমএএসএইচের সঙ্গে হৃদ্রোগ, বিপাকীয় এবং কিডনি রোগের শক্তিশালী সম্পর্ক রয়েছে, যেখানে সেমাগ্লুটাইডের ইতিমধ্যেই প্রমাণিত স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে।’
সেমাগ্লুটাইড একটি জিএলপি-১ (গ্লুকাগন-লাইক পেপটাইড-১) রিসেপ্টর অ্যাগোনিস্ট (রিসেপ্টর অ্যাগোনিস্ট হলো এমন একটি অণু, যা রিসেপ্টরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে এবং একটি জৈবিক প্রতিক্রিয়া উদ্দীপিত করতে পারে)। এটি মূলত প্রাকৃতিক জিএলপি-১ হরমোনের মতো কাজ করে। এটি ক্ষুধা কমানো ও রক্তে শর্করার মাত্রা কমানোসহ মূল বিপাকীয় প্রক্রিয়াগুলো নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ কারণেই এটি স্থূলতা ও ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় কার্যকর। তবে মনে হচ্ছে, এই জৈবিক নিয়ন্ত্রণের উন্নতি আরও অনেক সুবিধা দিতে পারে।
এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনো চলছে। প্রাথমিক উন্নতিগুলো অব্যাহত থাকে কি না, তা দেখার জন্য এটি একটি বৃহত্তর গোষ্ঠীর ওপর পাঁচ বছর ধরে পরিচালিত হচ্ছে। এমএএসএইচের জন্য বর্তমানে শুধু একটি অনুমোদিত চিকিৎসা উপলব্ধ থাকায় নতুন বিকল্পের জরুরি প্রয়োজন।
সান্যাল বলেন, ‘যকৃতের রোগ এবং এর বিপাকীয় কারণ উভয়ের চিকিৎসা করে সেমাগ্লুটাইড লাখ লাখ রোগীর জন্য একটি আশাব্যঞ্জক নতুন পদ্ধতি প্রদান করতে পারে।’
গর্ভধারণের আগে দক্ষিণ এশিয়ার বিবাহিত নারীদের মধ্যে অপুষ্টির সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। এই পরিস্থিতির আশানুরূপ উন্নতি হয়নি। এ-সংক্রান্ত একটি বিশ্লেষণে আরও দেখা গেছে, এই অঞ্চলে নারীদের স্বাভাবিকের চেয়ে কম ওজন থাকাটা বড় সমস্যা ছিল। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ওজন একটি সমস্যা হিসেবে আবির্ভূত
১৪ ঘণ্টা আগে‘ডিজিটাল অন্তরঙ্গতা বাস্তব জীবনের প্রতি আগ্রহ নষ্ট করে। তাই শিশুরা যখন গেম খেলে অথবা জীবনসঙ্গীরা যখন গেমে মগ্ন হয়, তারা প্রকৃত ঘনিষ্ঠতার প্রতি আগ্রহ হারায়। শিশুরা পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা, গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা ও সংযুক্তির প্রয়োজন মেটানোর আগ্রহ হারিয়ে ফেলে; যা তাদের ও মা-বাবার মধ্যকার...
১ দিন আগেকখনো কখনো তীব্র মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, আলো ও শব্দে অসহ্য যন্ত্রণা; এসবের কারণে কাজের জায়গা তো বটেই, ব্যক্তিগত জীবনও প্রভাবিত হতে পারে। এসবই মাইগ্রেন নামের এক নীরব শত্রুর কাজ। অনেকে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর মাইগ্রেনকে সাধারণ মাথাব্যথা ভেবে অবহেলা করেন। অথচ সময়মতো চিকিৎসা নিলে...
১ দিন আগেআঁচিল ভাইরাসজনিত একটি সাধারণ চর্মরোগ। এর সঙ্গে সবাই কমবেশি পরিচিত। আঁচিল এমনিতে কোনো সমস্যা করে না। তবে খোঁটাখুঁটি করলে রক্ত বের হতে পারে এবং জীবাণুতে সংক্রমিত এবং ব্যথা হতে পারে। এটা অনেক ক্ষেত্রে ছোঁয়াচে।
১ দিন আগে