অনলাইন ডেস্ক
অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আলট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদ্রোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এ ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘আমেরিকান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ মেডিসিন’-এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। আটটি দেশের প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করেন গবেষকেরা। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষকেরা দেখেন যে, খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণ যত বাড়ছে, মৃত্যুঝুঁকিও তত বাড়ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যতালিকায় অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণ প্রতি ১০ শতাংশ বাড়লে, যেকোনো কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি আনুমানিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এমনকি অল্প পরিমাণে খাওয়ার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব স্পষ্ট।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। কারণ দিনে দিনে এ ধরনের খাবারের মানবস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে নতুন প্রমাণ সামনে আসছে।
অতি-প্রক্রিয়াজাত খাদ্য হলো এমন ধরনের খাবার, যা প্রাকৃতিক উপাদানের চেয়ে বেশি পরিমাণে কৃত্রিম উপাদান ও কসমেটিক অ্যাডিটিভ (যেমন: রং, স্বাদ, সংরক্ষণকারী পদার্থ) দিয়ে তৈরি। এ ধরনের খাবারের সাধারণ উদাহরণ হলো—প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, কারখানায় তৈরি পাউরুটি ও পেস্ট্রি, প্রক্রিয়াজাত মাংস, প্রস্তুত খাবার মিষ্টি দুধজাত পণ্য, সফট ড্রিংকস, জেলি।
ব্রাজিলের অসওয়ালডো ক্রুজ ফাউন্ডেশনের গবেষক ডা. এদুয়ার্দো অগুস্তো ফেরনান্দেস নিলসন বলেন, ‘এই খাবারগুলোতে সোডিয়াম, ট্রান্স ফ্যাট, ও চিনি ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন কৃত্রিম রঙ, সুগন্ধি, ইমালসিফায়ার ও সংরক্ষণকারী রাসায়নিক উপাদান, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এটি কেবল ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য নয়, সামগ্রিক জনস্বাস্থ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিলি, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার কারণে জনসংখ্যার ওপর অকালমৃত্যুর সামগ্রিক প্রভাবও মূল্যায়ন করেন গবেষকেরা। এখানে অকালমৃত্যু বলতে ৩০ থেকে ৬৯ বছর বয়সে ঘটে যাওয়া মৃত্যুকে বোঝানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশে এ ধরনের খাবার খাওয়ার মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ফলাফলে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা গেছে। গবেষকেরা বলেন, যেসব দেশে খাদ্যতালিকায় ইউপিএফের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম (২০ শতাংশের নিচে), যেমন ব্রাজিল ও কলম্বিয়া, সেখানে অকালমৃত্যুর হারও তুলনামূলকভাবে কম (প্রায় ৪ শতাংশ)।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে যেখানে অর্ধেকের বেশি খাদ্যই ইউপিএফ, সেখানে অকালমৃত্যুর হার ১৪ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার পরিমাণ গত এক দশক ধরে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও তা এখনো অনেক বেশি। এদিকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে দিনে দিনে বাড়ছে এই প্রবণতা।
ডা. নিলসন বলেন, ‘সাম্প্রতিক এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, বৈশ্বিকভাবে এখনই কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ করে মানুষের মধ্যে কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।’
তথ্যসূত্র: লনজেটিভি টেক
আরও খবর পড়ুন:
অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আলট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদ্রোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এ ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিজ্ঞান সাময়িকী ‘আমেরিকান জার্নাল অব প্রিভেন্টিভ মেডিসিন’-এ গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। আটটি দেশের প্রায় ২ লাখ ৪০ হাজার মানুষের তথ্য বিশ্লেষণ করেন গবেষকেরা। এই বিশ্লেষণের মাধ্যমে গবেষকেরা দেখেন যে, খাদ্যতালিকায় অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণ যত বাড়ছে, মৃত্যুঝুঁকিও তত বাড়ছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, খাদ্যতালিকায় অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবারের পরিমাণ প্রতি ১০ শতাংশ বাড়লে, যেকোনো কারণে মৃত্যুর ঝুঁকি আনুমানিক ৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে যায়। এমনকি অল্প পরিমাণে খাওয়ার ক্ষেত্রেও এর প্রভাব স্পষ্ট।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। কারণ দিনে দিনে এ ধরনের খাবারের মানবস্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে নতুন প্রমাণ সামনে আসছে।
অতি-প্রক্রিয়াজাত খাদ্য হলো এমন ধরনের খাবার, যা প্রাকৃতিক উপাদানের চেয়ে বেশি পরিমাণে কৃত্রিম উপাদান ও কসমেটিক অ্যাডিটিভ (যেমন: রং, স্বাদ, সংরক্ষণকারী পদার্থ) দিয়ে তৈরি। এ ধরনের খাবারের সাধারণ উদাহরণ হলো—প্যাকেটজাত স্ন্যাকস, কারখানায় তৈরি পাউরুটি ও পেস্ট্রি, প্রক্রিয়াজাত মাংস, প্রস্তুত খাবার মিষ্টি দুধজাত পণ্য, সফট ড্রিংকস, জেলি।
ব্রাজিলের অসওয়ালডো ক্রুজ ফাউন্ডেশনের গবেষক ডা. এদুয়ার্দো অগুস্তো ফেরনান্দেস নিলসন বলেন, ‘এই খাবারগুলোতে সোডিয়াম, ট্রান্স ফ্যাট, ও চিনি ছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন কৃত্রিম রঙ, সুগন্ধি, ইমালসিফায়ার ও সংরক্ষণকারী রাসায়নিক উপাদান, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। এটি কেবল ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য নয়, সামগ্রিক জনস্বাস্থ্যের ওপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিলি, কলম্বিয়া, মেক্সিকো, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য বিশ্লেষণ করে অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার কারণে জনসংখ্যার ওপর অকালমৃত্যুর সামগ্রিক প্রভাবও মূল্যায়ন করেন গবেষকেরা। এখানে অকালমৃত্যু বলতে ৩০ থেকে ৬৯ বছর বয়সে ঘটে যাওয়া মৃত্যুকে বোঝানো হয়েছে। বিভিন্ন দেশে এ ধরনের খাবার খাওয়ার মাত্রার ওপর ভিত্তি করে ফলাফলে উল্লেখযোগ্য পার্থক্য দেখা গেছে। গবেষকেরা বলেন, যেসব দেশে খাদ্যতালিকায় ইউপিএফের পরিমাণ তুলনামূলকভাবে কম (২০ শতাংশের নিচে), যেমন ব্রাজিল ও কলম্বিয়া, সেখানে অকালমৃত্যুর হারও তুলনামূলকভাবে কম (প্রায় ৪ শতাংশ)।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে যেখানে অর্ধেকের বেশি খাদ্যই ইউপিএফ, সেখানে অকালমৃত্যুর হার ১৪ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে অতিপ্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার পরিমাণ গত এক দশক ধরে তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকলেও তা এখনো অনেক বেশি। এদিকে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশে দিনে দিনে বাড়ছে এই প্রবণতা।
ডা. নিলসন বলেন, ‘সাম্প্রতিক এই পরিসংখ্যান থেকে বোঝা যায়, বৈশ্বিকভাবে এখনই কার্যকর নীতিমালা গ্রহণ করে মানুষের মধ্যে কম প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি।’
তথ্যসূত্র: লনজেটিভি টেক
আরও খবর পড়ুন:
আশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
২১ ঘণ্টা আগেভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে; বিশেষ করে হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, বিষণ্নতাজনিত রোগ, রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া, হাড় ক্ষয়, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, কম ওজনে জন্ম নেওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব
১ দিন আগেএই অবস্থায় প্রস্রাব পান করার অর্থ হলো—এর থেকে যতটা পানি পাওয়া যায় তার চেয়ে বেশি পানি শরীর থেকে বের হয়ে যায়, যা ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা দ্রুত বাড়ায়। প্রস্রাব পান অনেকটা সমুদ্রের পানি পানের মতো। পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক বা হৃদ্রোগের ওষুধের মতো কিছু ওষুধও প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
১ দিন আগে