আফ্রিকা থেকে উদ্ভূত এমপক্সে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে এই রোগ আমলে নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ নিয়ে মাত্র দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারির ঘটনা ঘটল।
জরুরি জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ বা পিএইচইআইসি হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জারি করা সর্বোচ্চ সতর্কতা। যখন কোনো রোগ নতুন ও অস্বাভাবিক উপায়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং তহবিল প্রয়োজন পড়ে তখন এ ধরনে সতর্কতা জারি করা হয়।
দুই বছর আগে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে প্রথমবার এ বিষয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সে সময় যেসব পুরুষ সমকামিতায় লিপ্ত ছিল, তাদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার হার বেশি ছিল। সে সময় আচরণগত পরিবর্তন, নিরাপদ যৌন অভ্যাস ও ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে সেই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল।
বিশ্বের অন্যান্য স্থানে এই এমপক্স নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও আফ্রিকার কিছু অংশে বিগত কয়েক দশক ধরেই এই রোগ বিশাল জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭০ সালে কঙ্গোতে প্রথমবার এই বসন্তে আক্রান্ত মানুষ পাওয়া যায়। এরপর থেকেই চলছে এর ছড়িয়ে পড়া।
সর্বশেষ আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে আবারও এমপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি মাস পর্যন্ত অন্তত এই রোগে ২৭ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন এবং এর মধ্যে ১ হাজার ১০০ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরে পুঁজ ভর্তি ক্ষত তৈরি হতে পারে। দেখতে খুবই সাদামাটা মনে হলেও মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে এই ভাইরাস। বিশেষ করে নারী, শিশু ও যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল, তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা ও মৃত্যুর হার খুব বেশি। বর্তমানে কঙ্গোতে দুই ধরনের এমপক্স ছড়াচ্ছে। এক. স্থানীয় প্রকরণ ও দুই. নতুন একটি প্রকরণ, যেটি সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
এমপক্স ভাইরাসের নতুন প্রকরণটি বেশ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আগে যেমন ভাবা হতো যে, হয়তো সমকামী পুরুষদের মধ্যেই এটি বেশি ছড়ায়, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এটি যৌন সম্পর্ক বা যোগাযোগ ছাড়াও ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে শিশুদের মধ্যে এটি ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে। কঙ্গো ছাড়িয়ে এই ভাইরাসের নতুন প্রকরণটি রুয়ান্ডা, উগান্ডা, বুরুন্ডি ও কেনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমপক্স একটি বৈশ্বিক উদ্বেগ। আফ্রিকায় মানুষকে মেরে ফেলার পাশাপাশি এটি নিত্যনতুন উপায়ে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আশার আলো হলো—এটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের মতো নয়। এমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি যে এটি বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। বিষয়টি স্বস্তিদায়ক হলেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সরকারগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
আফ্রিকা থেকে উদ্ভূত এমপক্সে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এরই মধ্যে এই রোগ আমলে নিয়ে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এ নিয়ে মাত্র দুই বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা জারির ঘটনা ঘটল।
জরুরি জনস্বাস্থ্য উদ্বেগ বা পিএইচইআইসি হলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জারি করা সর্বোচ্চ সতর্কতা। যখন কোনো রোগ নতুন ও অস্বাভাবিক উপায়ে ছড়িয়ে পড়ে এবং এর প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং তহবিল প্রয়োজন পড়ে তখন এ ধরনে সতর্কতা জারি করা হয়।
দুই বছর আগে মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স ছড়িয়ে পড়তে শুরু করলে প্রথমবার এ বিষয়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সে সময় যেসব পুরুষ সমকামিতায় লিপ্ত ছিল, তাদের মধ্যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার হার বেশি ছিল। সে সময় আচরণগত পরিবর্তন, নিরাপদ যৌন অভ্যাস ও ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে সেই প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছিল।
বিশ্বের অন্যান্য স্থানে এই এমপক্স নিয়ন্ত্রণে আনা গেলেও আফ্রিকার কিছু অংশে বিগত কয়েক দশক ধরেই এই রোগ বিশাল জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৭০ সালে কঙ্গোতে প্রথমবার এই বসন্তে আক্রান্ত মানুষ পাওয়া যায়। এরপর থেকেই চলছে এর ছড়িয়ে পড়া।
সর্বশেষ আফ্রিকার দেশ কঙ্গোতে আবারও এমপক্সের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাস থেকে চলতি মাস পর্যন্ত অন্তত এই রোগে ২৭ হাজার লোক আক্রান্ত হয়েছেন এবং এর মধ্যে ১ হাজার ১০০ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে বেশির ভাগই শিশু।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মানুষের শরীরে পুঁজ ভর্তি ক্ষত তৈরি হতে পারে। দেখতে খুবই সাদামাটা মনে হলেও মানুষের মৃত্যুর কারণ হতে পারে এই ভাইরাস। বিশেষ করে নারী, শিশু ও যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল, তাদের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কা ও মৃত্যুর হার খুব বেশি। বর্তমানে কঙ্গোতে দুই ধরনের এমপক্স ছড়াচ্ছে। এক. স্থানীয় প্রকরণ ও দুই. নতুন একটি প্রকরণ, যেটি সম্পর্কে এখনো জানা যায়নি।
এমপক্স ভাইরাসের নতুন প্রকরণটি বেশ উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। আগে যেমন ভাবা হতো যে, হয়তো সমকামী পুরুষদের মধ্যেই এটি বেশি ছড়ায়, কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে এটি যৌন সম্পর্ক বা যোগাযোগ ছাড়াও ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে শিশুদের মধ্যে এটি ব্যাপক হারে ছড়াচ্ছে। কঙ্গো ছাড়িয়ে এই ভাইরাসের নতুন প্রকরণটি রুয়ান্ডা, উগান্ডা, বুরুন্ডি ও কেনিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমপক্স একটি বৈশ্বিক উদ্বেগ। আফ্রিকায় মানুষকে মেরে ফেলার পাশাপাশি এটি নিত্যনতুন উপায়ে বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। তবে আশার আলো হলো—এটি কোভিড-১৯ ভাইরাসের মতো নয়। এমন কোনো প্রমাণ এখনো পাওয়া যায়নি যে এটি বাতাসের মাধ্যমে ছড়াতে পারে। বিষয়টি স্বস্তিদায়ক হলেও এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সরকারগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
ঘুমের সময় শ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়া বা অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া (ওএসএ) নামের সমস্যায় ভোগেন বিশ্বের বহু মানুষ। তবে নিয়মিত শঙ্খ বাজালে এ সমস্যা কমে যেতে পারে বলে দাবি করছেন গবেষকেরা।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপিপন্থী চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ড্যাব) কাউন্সিলে সভাপতি, মহাসচিবসহ পূর্ণ প্যানেলে জয় পেয়েছেন হারুন-শাকিল প্যানেল। গতকাল শনিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শেষে মধ্যরাতে নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
১৮ ঘণ্টা আগেচিকিৎসাবিজ্ঞানে নতুন এক দিগন্তের সূচনা হতে চলেছে। অস্ত্রোপচারের পর ক্ষত সারাতে সেলাই বা স্ট্যাপলারের ব্যবহারের বদলে এবার আলোর মাধ্যমে সক্রিয় হওয়া বডি গ্লু বা শরীরবান্ধব আঠা ব্যবহার করার পথে এগোচ্ছেন চিকিৎসকেরা।
১ দিন আগেশরীরের ব্যথায় কখনো ভোগেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজের এক গবেষণা বলছে, বিশ্বে প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শরীরে ব্যথার সমস্যায় ভুগছে। তাদের কারও গিরায় ব্যথা, কারও পেশিতে, আবার কেউ হাড়ের ব্যথায় আক্রান্ত। বাংলাদেশে ব্যথার সমস্যায় ভোগা রোগীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি।
২ দিন আগে