লিনা আকতার
শেষ হলো আনন্দের উৎসব। প্রচুর খাওয়াদাওয়া হলো। খেয়াল করলে দেখবেন, সেসব খাবারের বেশির ভাগই ছিল গুরুপাক, মিষ্টিজাতীয়, ভাজাপোড়া কিংবা রোস্ট করা খাবার। উৎসবের দিনে সেসব খাবার এক দিনের জন্য খেলে ঠিক আছে। কিন্তু সেই অভ্যাস প্রতিদিনের জন্য করা যাবে না। মসলাদার, ভারী খাবার শরীরের ওজন, কোলেস্টেরল বাড়ানোসহ বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। ঈদের পর খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক বদল আসবে। এ সময় সুস্থ থাকতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরি করতে হবে।
যেমন খাবার খাবেন
সহজপাচ্য খাবার
পুরো রমজান মাস ও ঈদে যেহেতু গুরুপাক ও মসলাদার খাবার খাওয়া হয় বেশি, তাই ঈদের পরে কম মসলায় রান্না করা খাবার খেতে হবে। সুস্থ থাকতে এ ধরনের খাবার আসলে সারা বছর খাওয়া উচিত। এ ছাড়া পানিযুক্ত সবজি ও ফল খেতে হবে বেশি করে। বিরিয়ানি বা পোলাওয়ের পরিবর্তে পরিমিত সাদা ভাত বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
ফাইবারযুক্ত খাবার
ঈদের পরে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে বেশি বেশি। এতে শরীরে মেদ বা চর্বি জমবে না, কোলেস্টেরল ও প্রেশার ঠিক থাকবে। এ জন্য খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন গোটা শস্য, লাল চাল, ওটস, কুইনোয়া, কাউন ইত্যাদি।
লিন প্রোটিন
ঈদে মাংস দিয়ে তৈরি খাবার বেশি খাওয়া হয়। তাই পরবর্তী সময়ে মাংসের তুলনায় মাছ বা মুরগিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। তবে শিশু-কিশোরেরা চর্বিযুক্ত প্রোটিন খেতে পারে।
প্রোবায়োটিকস
আমাদের শরীরে সঠিক পুষ্টি শোষণ ও পরিপাকতন্ত্র ঠিক রাখতে প্রোবায়োটিকস-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। খাওয়ার পরে প্রোবায়োটিকস-সমৃদ্ধ খাবার; যেমন টক দই বা টক দইয়ের লাচ্ছি খেতে পারেন।
ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার
আমাদের সবার জানা, দিনে দুই প্রকারের ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এসব ফলের মধ্যে ভিটামিন সি-যুক্ত ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমাদের ঋতুভেদে আমলকী, লেবু, পেয়ারা, আমড়া, জলপাই ইত্যাদি ভিটামিন সি-জাতীয় ফলগুলো খেতে হবে।
কম ক্যালরিযুক্ত খাবার
কম ক্যালরিযুক্ত খাবার নিয়মিত খেলে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। সে কারণে ঈদ-পরবর্তী খাবারের জন্য এ ধরনের খাবার; যেমন লাউ, পেঁপে, চিচিঙ্গা, ঝিঙে ইত্যাদি বেছে নেওয়া জরুরি।
মৌসুমি ফলমূল
মৌসুমি সব ফলেই থাকে নানা ধরনের পুষ্টি। এখন বাজারে তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস, বরই, কাঁচা আম ইত্যাদি ফলমূল পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জোগায়।
পানি
পানি আমাদের শরীরে টক্সিন দূর করতে সহায়ক। এটি হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে। তাই খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এ ছাড়া খেতে পারেন ডাবের পানি, আখের রস এবং বিভিন্ন ফলের জুস। এগুলো পানির চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিরও জোগান দেবে শরীরে।
লিনা আকতার, পুষ্টিবিদ রাইয়ান হেলথ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার
শেষ হলো আনন্দের উৎসব। প্রচুর খাওয়াদাওয়া হলো। খেয়াল করলে দেখবেন, সেসব খাবারের বেশির ভাগই ছিল গুরুপাক, মিষ্টিজাতীয়, ভাজাপোড়া কিংবা রোস্ট করা খাবার। উৎসবের দিনে সেসব খাবার এক দিনের জন্য খেলে ঠিক আছে। কিন্তু সেই অভ্যাস প্রতিদিনের জন্য করা যাবে না। মসলাদার, ভারী খাবার শরীরের ওজন, কোলেস্টেরল বাড়ানোসহ বিভিন্ন সমস্যা তৈরি করতে পারে। ঈদের পর খাওয়াদাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাপক বদল আসবে। এ সময় সুস্থ থাকতে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তৈরি করতে হবে।
যেমন খাবার খাবেন
সহজপাচ্য খাবার
পুরো রমজান মাস ও ঈদে যেহেতু গুরুপাক ও মসলাদার খাবার খাওয়া হয় বেশি, তাই ঈদের পরে কম মসলায় রান্না করা খাবার খেতে হবে। সুস্থ থাকতে এ ধরনের খাবার আসলে সারা বছর খাওয়া উচিত। এ ছাড়া পানিযুক্ত সবজি ও ফল খেতে হবে বেশি করে। বিরিয়ানি বা পোলাওয়ের পরিবর্তে পরিমিত সাদা ভাত বেছে নেওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ।
ফাইবারযুক্ত খাবার
ঈদের পরে আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে বেশি বেশি। এতে শরীরে মেদ বা চর্বি জমবে না, কোলেস্টেরল ও প্রেশার ঠিক থাকবে। এ জন্য খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন গোটা শস্য, লাল চাল, ওটস, কুইনোয়া, কাউন ইত্যাদি।
লিন প্রোটিন
ঈদে মাংস দিয়ে তৈরি খাবার বেশি খাওয়া হয়। তাই পরবর্তী সময়ে মাংসের তুলনায় মাছ বা মুরগিকে বেশি প্রাধান্য দিতে হবে। তবে শিশু-কিশোরেরা চর্বিযুক্ত প্রোটিন খেতে পারে।
প্রোবায়োটিকস
আমাদের শরীরে সঠিক পুষ্টি শোষণ ও পরিপাকতন্ত্র ঠিক রাখতে প্রোবায়োটিকস-সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। খাওয়ার পরে প্রোবায়োটিকস-সমৃদ্ধ খাবার; যেমন টক দই বা টক দইয়ের লাচ্ছি খেতে পারেন।
ভিটামিন সি-সমৃদ্ধ খাবার
আমাদের সবার জানা, দিনে দুই প্রকারের ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। এসব ফলের মধ্যে ভিটামিন সি-যুক্ত ফল খাওয়া অত্যন্ত জরুরি। আমাদের ঋতুভেদে আমলকী, লেবু, পেয়ারা, আমড়া, জলপাই ইত্যাদি ভিটামিন সি-জাতীয় ফলগুলো খেতে হবে।
কম ক্যালরিযুক্ত খাবার
কম ক্যালরিযুক্ত খাবার নিয়মিত খেলে হঠাৎ ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা কম থাকে। সে কারণে ঈদ-পরবর্তী খাবারের জন্য এ ধরনের খাবার; যেমন লাউ, পেঁপে, চিচিঙ্গা, ঝিঙে ইত্যাদি বেছে নেওয়া জরুরি।
মৌসুমি ফলমূল
মৌসুমি সব ফলেই থাকে নানা ধরনের পুষ্টি। এখন বাজারে তরমুজ, বাঙ্গি, আনারস, বরই, কাঁচা আম ইত্যাদি ফলমূল পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো শরীরকে আর্দ্র রাখে এবং শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট জোগায়।
পানি
পানি আমাদের শরীরে টক্সিন দূর করতে সহায়ক। এটি হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে। তাই খাবারের ফাঁকে ফাঁকে পর্যাপ্ত পানি পান করুন। এ ছাড়া খেতে পারেন ডাবের পানি, আখের রস এবং বিভিন্ন ফলের জুস। এগুলো পানির চাহিদা পূরণের সঙ্গে সঙ্গে পুষ্টিরও জোগান দেবে শরীরে।
লিনা আকতার, পুষ্টিবিদ রাইয়ান হেলথ কেয়ার হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার
আশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
১০ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
২১ ঘণ্টা আগেভিটামিন ‘ডি’-এর অভাবে অসংক্রামক রোগের ঝুঁকি বাড়ছে; বিশেষ করে হৃদ্রোগ, কিডনি রোগ, বিষণ্নতাজনিত রোগ, রক্তে চর্বি বেড়ে যাওয়া, হাড় ক্ষয়, দীর্ঘমেয়াদি শ্বাসতন্ত্রের রোগ, গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, কম ওজনে জন্ম নেওয়া, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে আয়োজিত এক সেমিনারে এসব
১ দিন আগে