অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী
স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সবচেয়ে ভালো একটি কাজ সঠিক সময়ে, সঠিক স্ক্রিনিং টেস্ট। উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে রোগের আশঙ্কা ধরে ফেলতে করতে হয় স্ক্রিনিং টেস্ট। যেমন বয়স বেশি, শরীর স্থূল, শুয়ে-বসে থাকা জীবন, অনেক মানসিক চাপ—এসবের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে স্ক্রিনিং টেস্ট করা আবশ্যক।
যে ১০টি স্ক্রিনিং টেস্ট জরুরি
ফুসফুসের ক্যানসার
আমেরিকায় এই ক্যানসার বেশ প্রবল। আমাদের দেশেও এর বিস্তার কম নয়। ধূমপান হলো এর প্রধান কারণ। যারা অন্যের ধূমপানের ধোঁয়া দীর্ঘদিন গ্রহণ করে, তারাও এই ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। ধূমপান ও পেসিভ স্মোক থেকে দূরে থাকা এই ক্যানসার থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম উপায়।
ফুসফুসে ক্যানসার আছে কি নেই, সে জন্য স্ক্রিনিং টেস্ট হলো লো ডোজ সিটি স্ক্যান। বয়স ৫৫ থেকে ৮০ হলে আর খুব বেশি ধূমপানের ইতিহাস থাকলে এই স্ক্রিনিং টেস্ট করতে হয়।
প্রোস্টেট ক্যানসার
পুরুষের অন্যতম প্রধান ক্যানসার এটি। এই ক্যানসার ধীরে ছড়ালেও অনেক সময় তা হতে পারে আগ্রাসী। এর স্ক্রিনিং টেস্ট হলো ডিজিটাল রেক্টাল এবং রক্তের পিএসএ টেস্ট। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির পরামর্শ, পিএসএ ৫০ হলে গড়পড়তা ঝুঁকি আর ৪৫ হলে আছে উচ্চ ঝুঁকি। আফ্রিকান-আমেরিকানদের ৪০ হলে জোরালো ঝুঁকি।
টেস্টিকুলার ক্যানসার
এই ক্যানসার খুব কম। হলে ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে হতে পারে। আগে নির্ণয় করা গেলে এর চিকিৎসা সহজ। আর তাই শুক্রথলি টিপে এতে কোনো গুটি, স্ফীতি বা শুক্রাশয়ের আকার-আয়তনে পরিবর্তন হলো কি না, নিজেকেই পরীক্ষা করতে হবে।
কলোরেক্টাল ক্যানসার
কোলনের ভেতরের আস্তরণে ছোট গ্রোথ বেড়ে একসময় হয় ক্যানসার। তাই এটি হওয়ার আগে পলিপ খুঁজে একে অপসারণ করা হলো এ ধরনের ক্যানসার থেকে বাঁচার উপায়। ৫০ বছরে শুরু হয় স্ক্রিনিং। ঝুঁকি থাকলে আরও আগে করা যেতে পারে। মলে সুপ্ত রক্তের উপস্থিতি নির্ণয় করতে হবে এ জন্য। আর আসল পরীক্ষা হলো কলোনস্কপি। নমনীয় একটি নল, যার অগ্রভাগে থাকে একটি ক্যামেরা, তা মলদ্বার দিয়ে ঢুকিয়ে ডাক্তার পুরো কোলন দেখে নেন। এর পলিপ পেলে তা সরিয়ে ফেলতে পারেন।
ত্বকের ক্যানসার
অনেক রকমের স্কিন ক্যানসার আছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো মেলানমা। রোদের আলোয় শরীর বাদামি করা কিংবা খররোদে বেশি সময় থাকা এর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। প্রতিদিন ত্বক পরীক্ষা করুন। কোনো দাগ, ছোপ, তিল, আঁচিলে পরিবর্তন হয় কি না, এর আকার, আয়তন বা রঙের বদল কী হলো, তা খেয়াল রাখুন।
উচ্চ রক্তচাপ
বয়স, ওজন আর জীবনযাপনের সঙ্গে এটি জড়িত। অনেকের উচ্চ রক্তচাপ আছে, কিন্তু জানে না। স্ক্রিনিং করলে পাওয়া যাবে দুটি সংখ্যা, সিস্টলিক আর ডায়াস্টলিক। রক্তচাপ ১২০ বাই ৮০-এর নিচে থাকলে ভালো আছে বোঝা যাবে।
কোলেস্টেরল
রক্তে খুব বেশি মন্দ কোলেস্টেরল এলডিএল থাকলে হৃদ্রোগ আর স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে লিপিড প্রোফাইল করা আর ঝুঁকি বেশি হলে কম বয়সে স্ক্রিন টেস্ট করা দরকার। কোলেস্টেরল এলডিএল, এইচডিএল ট্রাইগ্লিসারিয়াইড মান খেয়াল করে চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলতে হবে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস
অধিকাংশ মানুষ জানে না তাদের ডায়াবেটিস আছে। এই রোগ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে হতে পারে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ কিংবা অন্ধত্ব। হতে পারে স্নায়ুর ক্ষতি। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে সেই সব জটিলতা হবে না। এ জন্য করা উচিত খালি পেটে রক্তের গ্লুকোজ আর এআইসি টেস্ট।
এইচআইভি
এইচআইভি স্ক্রিনিং করা ভালো। কেউ জানে না কার সংক্রমণ আছে। এ জন্য করতে হবে এলাইজা আর ইআইএ টেস্ট।
গ্লুকোমা
স্ক্রিনিং টেস্ট হলো চোখের ভেতর উচ্চ চাপ আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করা। ৪০ বছর বয়স থেকে স্ক্রিনিং করা উচিত গ্লুকোমা নির্ণয়ে।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ ,চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সবচেয়ে ভালো একটি কাজ সঠিক সময়ে, সঠিক স্ক্রিনিং টেস্ট। উপসর্গ দেখা দেওয়ার আগে রোগের আশঙ্কা ধরে ফেলতে করতে হয় স্ক্রিনিং টেস্ট। যেমন বয়স বেশি, শরীর স্থূল, শুয়ে-বসে থাকা জীবন, অনেক মানসিক চাপ—এসবের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে স্ক্রিনিং টেস্ট করা আবশ্যক।
যে ১০টি স্ক্রিনিং টেস্ট জরুরি
ফুসফুসের ক্যানসার
আমেরিকায় এই ক্যানসার বেশ প্রবল। আমাদের দেশেও এর বিস্তার কম নয়। ধূমপান হলো এর প্রধান কারণ। যারা অন্যের ধূমপানের ধোঁয়া দীর্ঘদিন গ্রহণ করে, তারাও এই ক্যানসারের ঝুঁকির মধ্যে থাকে। ধূমপান ও পেসিভ স্মোক থেকে দূরে থাকা এই ক্যানসার থেকে রক্ষা পাওয়ার অন্যতম উপায়।
ফুসফুসে ক্যানসার আছে কি নেই, সে জন্য স্ক্রিনিং টেস্ট হলো লো ডোজ সিটি স্ক্যান। বয়স ৫৫ থেকে ৮০ হলে আর খুব বেশি ধূমপানের ইতিহাস থাকলে এই স্ক্রিনিং টেস্ট করতে হয়।
প্রোস্টেট ক্যানসার
পুরুষের অন্যতম প্রধান ক্যানসার এটি। এই ক্যানসার ধীরে ছড়ালেও অনেক সময় তা হতে পারে আগ্রাসী। এর স্ক্রিনিং টেস্ট হলো ডিজিটাল রেক্টাল এবং রক্তের পিএসএ টেস্ট। আমেরিকান ক্যানসার সোসাইটির পরামর্শ, পিএসএ ৫০ হলে গড়পড়তা ঝুঁকি আর ৪৫ হলে আছে উচ্চ ঝুঁকি। আফ্রিকান-আমেরিকানদের ৪০ হলে জোরালো ঝুঁকি।
টেস্টিকুলার ক্যানসার
এই ক্যানসার খুব কম। হলে ২৫ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে হতে পারে। আগে নির্ণয় করা গেলে এর চিকিৎসা সহজ। আর তাই শুক্রথলি টিপে এতে কোনো গুটি, স্ফীতি বা শুক্রাশয়ের আকার-আয়তনে পরিবর্তন হলো কি না, নিজেকেই পরীক্ষা করতে হবে।
কলোরেক্টাল ক্যানসার
কোলনের ভেতরের আস্তরণে ছোট গ্রোথ বেড়ে একসময় হয় ক্যানসার। তাই এটি হওয়ার আগে পলিপ খুঁজে একে অপসারণ করা হলো এ ধরনের ক্যানসার থেকে বাঁচার উপায়। ৫০ বছরে শুরু হয় স্ক্রিনিং। ঝুঁকি থাকলে আরও আগে করা যেতে পারে। মলে সুপ্ত রক্তের উপস্থিতি নির্ণয় করতে হবে এ জন্য। আর আসল পরীক্ষা হলো কলোনস্কপি। নমনীয় একটি নল, যার অগ্রভাগে থাকে একটি ক্যামেরা, তা মলদ্বার দিয়ে ঢুকিয়ে ডাক্তার পুরো কোলন দেখে নেন। এর পলিপ পেলে তা সরিয়ে ফেলতে পারেন।
ত্বকের ক্যানসার
অনেক রকমের স্কিন ক্যানসার আছে। সবচেয়ে বিপজ্জনক হলো মেলানমা। রোদের আলোয় শরীর বাদামি করা কিংবা খররোদে বেশি সময় থাকা এর ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। প্রতিদিন ত্বক পরীক্ষা করুন। কোনো দাগ, ছোপ, তিল, আঁচিলে পরিবর্তন হয় কি না, এর আকার, আয়তন বা রঙের বদল কী হলো, তা খেয়াল রাখুন।
উচ্চ রক্তচাপ
বয়স, ওজন আর জীবনযাপনের সঙ্গে এটি জড়িত। অনেকের উচ্চ রক্তচাপ আছে, কিন্তু জানে না। স্ক্রিনিং করলে পাওয়া যাবে দুটি সংখ্যা, সিস্টলিক আর ডায়াস্টলিক। রক্তচাপ ১২০ বাই ৮০-এর নিচে থাকলে ভালো আছে বোঝা যাবে।
কোলেস্টেরল
রক্তে খুব বেশি মন্দ কোলেস্টেরল এলডিএল থাকলে হৃদ্রোগ আর স্ট্রোকের আশঙ্কা বাড়ে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শে লিপিড প্রোফাইল করা আর ঝুঁকি বেশি হলে কম বয়সে স্ক্রিন টেস্ট করা দরকার। কোলেস্টেরল এলডিএল, এইচডিএল ট্রাইগ্লিসারিয়াইড মান খেয়াল করে চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলতে হবে।
টাইপ ২ ডায়াবেটিস
অধিকাংশ মানুষ জানে না তাদের ডায়াবেটিস আছে। এই রোগ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে হতে পারে হৃদ্রোগ, স্ট্রোক, কিডনি রোগ কিংবা অন্ধত্ব। হতে পারে স্নায়ুর ক্ষতি। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে সেই সব জটিলতা হবে না। এ জন্য করা উচিত খালি পেটে রক্তের গ্লুকোজ আর এআইসি টেস্ট।
এইচআইভি
এইচআইভি স্ক্রিনিং করা ভালো। কেউ জানে না কার সংক্রমণ আছে। এ জন্য করতে হবে এলাইজা আর ইআইএ টেস্ট।
গ্লুকোমা
স্ক্রিনিং টেস্ট হলো চোখের ভেতর উচ্চ চাপ আছে কি না, সেটা পরীক্ষা করা। ৪০ বছর বয়স থেকে স্ক্রিনিং করা উচিত গ্লুকোমা নির্ণয়ে।
পরামর্শ দিয়েছেন: অধ্যাপক ডা. শুভাগত চৌধুরী, সাবেক অধ্যক্ষ ,চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল
পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের রেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগের সিটি স্ক্যান মেশিনের ফিল্মসংকট দেখা দিয়েছে। এতে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন এমন রোগী ও তাঁদের স্বজনদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। বিশেষ করে যাঁদের জরুরি ভিত্তিতে সিটি স্ক্যান করা প্রয়োজন, তাঁরা পড়ছেন সবচেয়ে বেশি...
১০ ঘণ্টা আগেআশার কথা হলো, পরিবর্তন আসছে। সম্প্রতি প্রকাশিত এক যুগান্তকারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, তীব্রভাবে চিনাবাদামের অ্যালার্জিতে আক্রান্ত দুই-তৃতীয়াংশ প্রাপ্তবয়স্ককে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে প্রতিদিন অল্প পরিমাণে চিনাবাদাম খাইয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় আনা সম্ভব হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেঅতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বা ‘আল্ট্রা প্রসেসড ফুড’ (ইউপিএফ) বেশি খাওয়ার কারণে শুধু স্থূলতা, হতাশা, ডায়াবেটিস কিংবা হৃদরোগই নয়, বাড়ছে অকালমৃত্যুর ঝুঁকিও। নতুন এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ধরনের খাবার খাওয়ার কারণে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই প্রতিবছর প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার মানুষের অকালমৃত্যু ঘটছে।
২১ ঘণ্টা আগেদেশের প্রায় পাঁচ লাখ শিশু সময়মতো টিকার সব ডোজ পাচ্ছে না। তাদের মধ্যে ৭০ হাজার শিশু কোনো টিকাই পায় না। টিকা না পাওয়ার হার শহরাঞ্চলে বেশি। টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করলেও এসব তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ), বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)...
১ দিন আগে