ফ্যাক্টচেক ডেস্ক
সৌদি আরবে ‘আগুন লেগে ২০ বাংলাদেশির নিহত’ হওয়ার একটি তথ্য ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হচ্ছে। রাহিন আহমেদ রহিম নামের এক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ৫১মিনিটে এমন এক পোস্ট দেওয়া হয়। এতে আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার রিয়েকশন পড়েছে। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে দেড়শ বারের বেশি। ইসলামিক জ্ঞান নামের প্রায় ৮ লাখ সদস্যের ফেসবুক গ্রুপ থেকেও একই অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্যটি শেয়ার হতে দেখা যায়। এতে এক হাজারের বেশি রিয়েকশন পড়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সৌদি আরবে আগুনে ২০ বাংলাদেশি মৃত্যুর তথ্যটি পুরোনো। চলতি বছরের গত মার্চে সৌদি আরবে ঘটা সড়ক দুর্ঘটনার তথ্যকে সাম্প্রতিক বলে প্রচার করা হচ্ছে।
তথ্যে সত্যতা নিয়ে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টগুলো অনুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য তথ্য বা সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। দেশীয় ও সৌদি গণমাধ্যমেও আগুনে ২০ জনের বেশি বাংলাদেশি হতাহতের কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ফেসবুকে প্রচারিত কিছু কিছু পোস্টে সৌদি আরবে আগুনে ২০ বাংলাদেশি নিহতের কথিত ঘটনাটির স্থান এবং কিছু ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। এসব পোস্টে দাবি করা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবের খামিস মুশাইদ এলাকায়।
পোস্টগুলোতে উল্লিখিত এ স্থান ও ছবিগুলোর সূত্রে অনুসন্ধানে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া নিউজে চলতি বছরের গত ২৮ মার্চ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মক্কায় ওমরাহ করতে যাওয়ার সময় বাস দুর্ঘটনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই বাসের ২০ আরোহী নিহত এবং আরও ২৯ জন আহত হন। হতাহতের মধ্যে সৌদি আরবের নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছে। খামিস মুশাইদ থেকে আভা যাওয়ার সময় আশির প্রদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদনটিতে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে সম্প্রতি ফেসবুকে প্রচারিত ছবিটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
সৌদি আরবের আরেকটি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজও একইদিনে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল আখবারিয়ার সূত্রে একই তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন টি দেখুন এখানে।
২৮ মার্চ ফেসবুকে প্রায় একই তথ্য ও ছবি সংবলিত পোস্টও খুঁজে পাওয়া যায়। এমন একটি পোস্ট দেখুন এখানে।
এই ঘটনা নিয়ে ওই সময় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও সংবাদ প্রকাশ করে। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ২৯ মার্চ সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সেলর (শ্রম শাখা) কাজী এমদাদের বরাত দিয়ে জানায়, মক্কায় ওমরাহ করতে যাওয়ার সময় বাস দুর্ঘটনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি নিহত হন। মক্কাগামী ওই বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন বাংলাদেশি ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় ২৯ মার্চ পর্যন্ত ২৪ জন মারা যান।
এ ছাড়া ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এইচ এম মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, সৌদি আরবে সাম্প্রতিক সময়ে এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে তার জানা নেই।
সিদ্ধান্ত
চলতি বছরের গত ২৮ মার্চ ওমরাহ করতে মক্কা যাওয়ার পথে ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনায় ১৮ জন বাংলাদেশি নিহত হন। প্রায় ৮ মাসের এই ঘটনাটিকেই সাম্প্রতিক দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে।
সৌদি আরবে ‘আগুন লেগে ২০ বাংলাদেশির নিহত’ হওয়ার একটি তথ্য ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ ও অ্যাকাউন্ট থেকে শেয়ার করা হচ্ছে। রাহিন আহমেদ রহিম নামের এক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে গত বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত ১১টা ৫১মিনিটে এমন এক পোস্ট দেওয়া হয়। এতে আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ১টা পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার রিয়েকশন পড়েছে। পোস্টটি শেয়ার হয়েছে দেড়শ বারের বেশি। ইসলামিক জ্ঞান নামের প্রায় ৮ লাখ সদস্যের ফেসবুক গ্রুপ থেকেও একই অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্যটি শেয়ার হতে দেখা যায়। এতে এক হাজারের বেশি রিয়েকশন পড়েছে।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, সৌদি আরবে আগুনে ২০ বাংলাদেশি মৃত্যুর তথ্যটি পুরোনো। চলতি বছরের গত মার্চে সৌদি আরবে ঘটা সড়ক দুর্ঘটনার তথ্যকে সাম্প্রতিক বলে প্রচার করা হচ্ছে।
তথ্যে সত্যতা নিয়ে ফেসবুকে প্রচারিত পোস্টগুলো অনুসন্ধানে নির্ভরযোগ্য তথ্য বা সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। দেশীয় ও সৌদি গণমাধ্যমেও আগুনে ২০ জনের বেশি বাংলাদেশি হতাহতের কোনো তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ফেসবুকে প্রচারিত কিছু কিছু পোস্টে সৌদি আরবে আগুনে ২০ বাংলাদেশি নিহতের কথিত ঘটনাটির স্থান এবং কিছু ছবি খুঁজে পাওয়া যায়। এসব পোস্টে দাবি করা হয়, ঘটনাটি ঘটেছে সৌদি আরবের খামিস মুশাইদ এলাকায়।
পোস্টগুলোতে উল্লিখিত এ স্থান ও ছবিগুলোর সূত্রে অনুসন্ধানে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল আরাবিয়া নিউজে চলতি বছরের গত ২৮ মার্চ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন খুঁজে পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মক্কায় ওমরাহ করতে যাওয়ার সময় বাস দুর্ঘটনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে ওই বাসের ২০ আরোহী নিহত এবং আরও ২৯ জন আহত হন। হতাহতের মধ্যে সৌদি আরবের নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছে। খামিস মুশাইদ থেকে আভা যাওয়ার সময় আশির প্রদেশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদনটিতে ব্যবহৃত ছবির সঙ্গে সম্প্রতি ফেসবুকে প্রচারিত ছবিটির মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
সৌদি আরবের আরেকটি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজও একইদিনে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন আল আখবারিয়ার সূত্রে একই তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। প্রতিবেদন টি দেখুন এখানে।
২৮ মার্চ ফেসবুকে প্রায় একই তথ্য ও ছবি সংবলিত পোস্টও খুঁজে পাওয়া যায়। এমন একটি পোস্ট দেখুন এখানে।
এই ঘটনা নিয়ে ওই সময় বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোও সংবাদ প্রকাশ করে। ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ২৯ মার্চ সৌদি আরবের জেদ্দায় অবস্থিত বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সেলর (শ্রম শাখা) কাজী এমদাদের বরাত দিয়ে জানায়, মক্কায় ওমরাহ করতে যাওয়ার সময় বাস দুর্ঘটনায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১৮ বাংলাদেশি নিহত হন। মক্কাগামী ওই বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন বাংলাদেশি ছিলেন। এ দুর্ঘটনায় ২৯ মার্চ পর্যন্ত ২৪ জন মারা যান।
এ ছাড়া ফেসবুকে প্রচারিত তথ্যটির সত্যতা যাচাইয়ে আজকের পত্রিকা ফ্যাক্টচেক বিভাগ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এইচ এম মাসুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, সৌদি আরবে সাম্প্রতিক সময়ে এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে বলে তার জানা নেই।
সিদ্ধান্ত
চলতি বছরের গত ২৮ মার্চ ওমরাহ করতে মক্কা যাওয়ার পথে ৪৭ জন যাত্রী নিয়ে একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ে আগুন ধরে যায়। এই ঘটনায় ১৮ জন বাংলাদেশি নিহত হন। প্রায় ৮ মাসের এই ঘটনাটিকেই সাম্প্রতিক দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করা হচ্ছে।
একটি মেরিন পার্কে এক নারী প্রশিক্ষককে চুবিয়ে হত্যা করেছে অরকা বা কিলার তিমি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। মর্মান্তিক ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দাবি করা হয়, প্যাসিফিক ব্লু মেরিন পার্কে ‘জেসিকা র্যাডক্লিফ’ নামে একজন প্রশিক্ষককে একটি অরকা আ
৫ দিন আগেগোপালগঞ্জের সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের একটি সংঘবদ্ধ চক্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পুরোনো ও ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কহীন ছবি পোস্ট করে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
১৭ জুলাই ২০২৫রাজধানী ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল তথা মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে হত্যাকাণ্ডের শিকার সোহাগকে হিন্দু বলে প্রচার করেছে ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যম। এই বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগকে হিন্দু হিসেবে চিহ্নিত করে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো...
১৪ জুলাই ২০২৫বিএনপি-জামায়াতের নেতা-কর্মীরা একটি মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করে রেখে গেছে—এমন দাবিতে একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো হয়েছে। এটি বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, পেজ ও গ্রুপ থেকে একই ক্যাপশনে ছড়ানো হচ্ছে।
৩০ জুন ২০২৫