নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই নির্বাচনকালে মাঠপর্যায়ের অফিসগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে ব্যালট পেপার ছাড়া অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী আগে আগে জেলা পর্যায়ের কার্যালয়গুলোতে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই সময় বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনের মধ্যে ২০১৪ সালের নির্বাচনকালে ইসির মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ে আগুন লাগানো ও ভাঙচুরের প্রসঙ্গটি নজরে আনা হয়। এ ছাড়া অন্তত ইসির অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিও উঠেছে। ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গতকাল শনিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে কমিশনের মতবিনিময় সভায় এসব দাবি ও পরামর্শ উঠে আসে। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান ও বেগম রাশেদা সুলতানা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সভায় সূচনা বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর হয়, সে জন্য আমাদের প্রয়াসের কোনো ঘাটতি থাকবে না। আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জনপ্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সঙ্গে সমন্বয়ে কীভাবে সুদৃঢ় এবং সহজ হবে, সেটা বের করে নির্বাচনের যে উদ্দেশ্য—অর্থাৎ অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনের ফলাফল উঠে আসবে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’
ইসি সূত্রে জানা যায়, মতবিনিময় সভায় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির আপগ্রেডেশন, যেসব জেলায় গাড়ি নেই এবং যেসব উপজেলায় মোটরসাইকেল নেই, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনকালীন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠপর্যায়ে ভাতা দেওয়ার বিষয়টি ইসির নজরে আনা হয়।
সূত্রমতে, কর্মকর্তারা নির্বাচনের সময় কেন্দ্রে ভোট পর্যবেক্ষণ করতে যান কি না, জানতে চাওয়া হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। তখন কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনে তাঁরা দাপ্তরিক কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। ভোট পর্যবেক্ষণের বিষয়টি আইনে উল্লেখ না থাকায় এ ক্ষেত্রে তাঁদের তেমন কিছু করার থাকে না।
সভাশেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, এটি মূলত প্রাথমিক সভা। মূলত ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্রসহ প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্ট সমস্যা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, একেক অঞ্চলে একেক সমস্যা থাকতে পারে। যেমন পার্বত্য অঞ্চলে কিছু কেন্দ্র আছে, এ রকম সব জায়গায় কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা আছে, কমিশন তা অবহিত হয়েছে। তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের চাওয়ার মধ্যে এটা ছিল সবাই (প্রার্থী ও সমর্থক) যাতে আচরণবিধিটা মেনে চলেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ বা সংকটের কথা কেউ বলেননি। মাঠের পরিবেশ এখনো ভালো আছে। মূলত তাঁরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতার কথা বলেছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সকলের সহযোগিতা নিয়ে তাদের কাজ করতে হবে। তারা সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ডিসি-এসপিদের সঙ্গে আমাদের প্রশিক্ষণ আছে। সে সময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।’ কর্মকর্তারা কী ধরনের সমস্যা কথা বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্যা প্রশাসনিক। কোনো রাজনৈতিক সমস্যার কথা তাঁরা বলেননি। সভায় তফসিল নিয়ে কথা হয়নি বলেও তিনি জানান।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তাই নির্বাচনকালে মাঠপর্যায়ের অফিসগুলোতে বাড়তি নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। সেই সঙ্গে ব্যালট পেপার ছাড়া অন্যান্য নির্বাচনী সামগ্রী আগে আগে জেলা পর্যায়ের কার্যালয়গুলোতে পাঠানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ওই সময় বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনের মধ্যে ২০১৪ সালের নির্বাচনকালে ইসির মাঠপর্যায়ের কার্যালয়ে আগুন লাগানো ও ভাঙচুরের প্রসঙ্গটি নজরে আনা হয়। এ ছাড়া অন্তত ইসির অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের রিটার্নিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিও উঠেছে। ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, গতকাল শনিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সব আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, সিনিয়র ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার সঙ্গে কমিশনের মতবিনিময় সভায় এসব দাবি ও পরামর্শ উঠে আসে। সভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি), চার নির্বাচন কমিশনার, ইসি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এতে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান ও বেগম রাশেদা সুলতানা দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন।
সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সভায় সূচনা বক্তব্যে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর হয়, সে জন্য আমাদের প্রয়াসের কোনো ঘাটতি থাকবে না। আমাদের সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের সহায়তার ওপর নির্ভর করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘জনপ্রশাসন, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের সঙ্গে সমন্বয়ে কীভাবে সুদৃঢ় এবং সহজ হবে, সেটা বের করে নির্বাচনের যে উদ্দেশ্য—অর্থাৎ অবাধে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নির্বাচনের ফলাফল উঠে আসবে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করব।’
ইসি সূত্রে জানা যায়, মতবিনিময় সভায় কর্মকর্তাদের পদোন্নতির আপগ্রেডেশন, যেসব জেলায় গাড়ি নেই এবং যেসব উপজেলায় মোটরসাইকেল নেই, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া নির্বাচনকালীন অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনের জন্য মাঠপর্যায়ে ভাতা দেওয়ার বিষয়টি ইসির নজরে আনা হয়।
সূত্রমতে, কর্মকর্তারা নির্বাচনের সময় কেন্দ্রে ভোট পর্যবেক্ষণ করতে যান কি না, জানতে চাওয়া হয় কমিশনের পক্ষ থেকে। তখন কর্মকর্তারা জানান, নির্বাচনে তাঁরা দাপ্তরিক কাজে সহযোগিতা করে থাকেন। ভোট পর্যবেক্ষণের বিষয়টি আইনে উল্লেখ না থাকায় এ ক্ষেত্রে তাঁদের তেমন কিছু করার থাকে না।
সভাশেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের বলেন, এটি মূলত প্রাথমিক সভা। মূলত ভোটার তালিকা, ভোটকেন্দ্রসহ প্রস্তুতি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কিছু নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। কর্মকর্তাদের সুনির্দিষ্ট সমস্যা আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, একেক অঞ্চলে একেক সমস্যা থাকতে পারে। যেমন পার্বত্য অঞ্চলে কিছু কেন্দ্র আছে, এ রকম সব জায়গায় কিছু নির্দিষ্ট সমস্যা আছে, কমিশন তা অবহিত হয়েছে। তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের চাওয়ার মধ্যে এটা ছিল সবাই (প্রার্থী ও সমর্থক) যাতে আচরণবিধিটা মেনে চলেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, ‘তেমন কোনো চ্যালেঞ্জ বা সংকটের কথা কেউ বলেননি। মাঠের পরিবেশ এখনো ভালো আছে। মূলত তাঁরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহযোগিতার কথা বলেছেন। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার সকলের সহযোগিতা নিয়ে তাদের কাজ করতে হবে। তারা সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন এবং এই সহযোগিতা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। ডিসি-এসপিদের সঙ্গে আমাদের প্রশিক্ষণ আছে। সে সময় প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবে।’ কর্মকর্তারা কী ধরনের সমস্যা কথা বলেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমস্যা প্রশাসনিক। কোনো রাজনৈতিক সমস্যার কথা তাঁরা বলেননি। সভায় তফসিল নিয়ে কথা হয়নি বলেও তিনি জানান।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪