ফরিদ খান মিন্টু, শরণখোলা (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা খালের সেতুটি এক মাসের বেশি সময় ধরে ভেঙে পড়ে আছে। সেতুটি অপসারণ না করায় বন্ধ রয়েছে খালটির বেশির ভাগ অংশের যোগাযোগ। খালটি দিয়ে পণ্যবাহী কোনো নৌযান চলাচল করতে পারছে না। এতে এই খালের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠা ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট মধ্যরাতে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ রায়েন্দা খালের ওপরের সেতুটি ভেঙে পড়ে। লোহার পিলার ও আরসিসি ঢালাইয়ের সেতুটি এলজিইডি কর্তৃক ১৯৯৬ সালে নির্মিত। লোহার পিলারগুলো নিচ থেকে আস্তে আস্তে ক্ষয়ে যাওয়ায় এক বছর আগেই সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে শরণখোলা এলজিইডি দপ্তর।
পরে পাশে বিকল্প একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। এরপরও রায়েন্দা ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এই পরিত্যক্ত সেতু দিয়েই চলাচল করে আসছিল। কাঠের সেতু দিয়ে বেশি মানুষের চলাচলের কারণে সেটিরও এখন নড়বড়ে অবস্থা। যেকোনো সময় ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই শিগগিরই এই স্থানে একটি পূর্ণাঙ্গ সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালের পশ্চিমাংশে (ভেতর পাশে) নদীনির্ভর অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এই অংশে রয়েছে সরকারি খাদ্যগুদাম, দুটি বরফ কল, কমপক্ষে ২০-২৫টি নির্মাণসামগ্রীর দোকান এবং অর্ধশতাধিক ইট, বালুর গোলা। সেতুটি দীর্ঘদিন ভেঙে পড়ে থাকায় খালের গুরুত্বপূর্ণ অংশটি একেবারেই অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ফলে এসব পণ্য ঠিকমতো আনা-নেওয়া করতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মেসার্স মেঘা বরফ কলের মালিক মো. গোলাম মোস্তফা তালুকদার জানান, বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। সেতুটি ভেঙে পড়ে থাকায় পুরো খাল বন্ধ। তাঁর বরফ কলটিও ভেতরে আটকা পড়েছে। ছোটখাটো দু-একটি মাছ ধরা নৌকা ছাড়া বড় কোনো ট্রলার ঢুকতে পারছে না। এতে বরফ উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে। এক মাসে তাঁকে কয়েক লাখ টাকা লোকসানে পড়তে হয়েছে।
নির্মাণসামগ্রী ব্যবসায়ী মেসার্স মাহিম সোয়াইব এন্টারপ্রাইজের মালিক মামুন তালুকদার, নির্মাণ ট্রেডার্সের মালিক মওদুদ আকন, মো. মোস্তফা তালুকদার ও ইমারত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান মুন্সী জানান, তাঁরা মোকাম থেকে ইট, বালু, সিমেন্ট নৌপথেই আনা-নেওয়া করেন। সেতুর কারণে এসব পণ্যবোঝাই কার্গো ঢুকতে পারছে না। ভাঙা সেতুটি দ্রুত অপসারণ করা না হলে তাঁদের ব্যবসাই বন্ধ হয়ে যাবে।
রায়েন্দা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বিশ্বাস জানান, সেতুটি ভেঙে খালটি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে খাদ্যগুদামের ঘাটে বড় কোনো বার্জ আসতে পারছে না।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত বলেন, সেতুটি অপসারণের দায়িত্ব এলজিইডি দপ্তরের। মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে কয়েকবার মিটিং করে তাদের এটি সরাতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, প্রথম দিকে এলজিইডির নিজস্ব খরচে স্থানীয়দের মাধ্যমে সেতুটি ভেঙে সরানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে অতিরিক্ত খরচ পড়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তা বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি দ্রুত অপসারণের চেষ্টা চলছে।
বাগেরহাটের শরণখোলার রায়েন্দা খালের সেতুটি এক মাসের বেশি সময় ধরে ভেঙে পড়ে আছে। সেতুটি অপসারণ না করায় বন্ধ রয়েছে খালটির বেশির ভাগ অংশের যোগাযোগ। খালটি দিয়ে পণ্যবাহী কোনো নৌযান চলাচল করতে পারছে না। এতে এই খালের ওপর নির্ভর করে গড়ে ওঠা ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট মধ্যরাতে উপজেলা সদরের গুরুত্বপূর্ণ রায়েন্দা খালের ওপরের সেতুটি ভেঙে পড়ে। লোহার পিলার ও আরসিসি ঢালাইয়ের সেতুটি এলজিইডি কর্তৃক ১৯৯৬ সালে নির্মিত। লোহার পিলারগুলো নিচ থেকে আস্তে আস্তে ক্ষয়ে যাওয়ায় এক বছর আগেই সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করে শরণখোলা এলজিইডি দপ্তর।
পরে পাশে বিকল্প একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করা হয়। এরপরও রায়েন্দা ও খোন্তাকাটা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এই পরিত্যক্ত সেতু দিয়েই চলাচল করে আসছিল। কাঠের সেতু দিয়ে বেশি মানুষের চলাচলের কারণে সেটিরও এখন নড়বড়ে অবস্থা। যেকোনো সময় ভেঙে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে। তাই শিগগিরই এই স্থানে একটি পূর্ণাঙ্গ সেতু নির্মাণের দাবি এলাকাবাসীর।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খালের পশ্চিমাংশে (ভেতর পাশে) নদীনির্ভর অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এই অংশে রয়েছে সরকারি খাদ্যগুদাম, দুটি বরফ কল, কমপক্ষে ২০-২৫টি নির্মাণসামগ্রীর দোকান এবং অর্ধশতাধিক ইট, বালুর গোলা। সেতুটি দীর্ঘদিন ভেঙে পড়ে থাকায় খালের গুরুত্বপূর্ণ অংশটি একেবারেই অবরুদ্ধ হয়ে আছে। ফলে এসব পণ্য ঠিকমতো আনা-নেওয়া করতে না পারায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
মেসার্স মেঘা বরফ কলের মালিক মো. গোলাম মোস্তফা তালুকদার জানান, বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম চলছে। সেতুটি ভেঙে পড়ে থাকায় পুরো খাল বন্ধ। তাঁর বরফ কলটিও ভেতরে আটকা পড়েছে। ছোটখাটো দু-একটি মাছ ধরা নৌকা ছাড়া বড় কোনো ট্রলার ঢুকতে পারছে না। এতে বরফ উৎপাদনও বন্ধ হয়ে গেছে। এক মাসে তাঁকে কয়েক লাখ টাকা লোকসানে পড়তে হয়েছে।
নির্মাণসামগ্রী ব্যবসায়ী মেসার্স মাহিম সোয়াইব এন্টারপ্রাইজের মালিক মামুন তালুকদার, নির্মাণ ট্রেডার্সের মালিক মওদুদ আকন, মো. মোস্তফা তালুকদার ও ইমারত ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাবিবুর রহমান মুন্সী জানান, তাঁরা মোকাম থেকে ইট, বালু, সিমেন্ট নৌপথেই আনা-নেওয়া করেন। সেতুর কারণে এসব পণ্যবোঝাই কার্গো ঢুকতে পারছে না। ভাঙা সেতুটি দ্রুত অপসারণ করা না হলে তাঁদের ব্যবসাই বন্ধ হয়ে যাবে।
রায়েন্দা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বিশ্বাস জানান, সেতুটি ভেঙে খালটি বন্ধ হয়ে গেছে। এতে খাদ্যগুদামের ঘাটে বড় কোনো বার্জ আসতে পারছে না।
শরণখোলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খাতুনে জান্নাত বলেন, সেতুটি অপসারণের দায়িত্ব এলজিইডি দপ্তরের। মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে ইতিমধ্যে কয়েকবার মিটিং করে তাদের এটি সরাতে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা কোনো গুরুত্ব দিচ্ছে না।
উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুল মতিন বলেন, প্রথম দিকে এলজিইডির নিজস্ব খরচে স্থানীয়দের মাধ্যমে সেতুটি ভেঙে সরানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তাতে অতিরিক্ত খরচ পড়ায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তা বন্ধ রাখা হয়েছে। এখন টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি দ্রুত অপসারণের চেষ্টা চলছে।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫