ইলিয়াস আহমেদ, ময়মনসিংহ
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ১৮ লাখ ৫০ হাজার শিশুর মধ্যে ঝরে পড়া ও পথশিশু রয়েছে প্রায় দেড় লাখ। তাদের টিকার আওতায় আনা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে সুশীল সমাজ বলছে, টিকায় শিশুদের বৈষম্যে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবে না।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের চার জেলার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু রয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার। যাদের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ শিশু ঝরে পড়েছে। এদের অনেকে রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও ফুটপাতে বসবাস করে। এ ছাড়া আরও কিছু শিশু রয়েছে, যারা জন্মের পর বিদ্যালয়ে যায়নি।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এসব শিশুকে চিহ্নিত করে টিকার আওতায় আনা তাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ। তবে টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মপরিকল্পনা।
নাগরিক নেতারা বলছেন, স্কুলগামী শিশুদের টিকা সম্পন্ন হওয়ার পরপরই ঝরে পড়া এবং পথশিশুদের টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় বৈষম্য সৃষ্টি হলে সরকারের কর্মসূচি ভেস্তে যাবে।
সাব্বির রহমান। বয়স ১০-১১ বছর। তার রাত-দিন কাটে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে। তার বাড়ি নেত্রকোনায়। মা-বাবার বিবাদের সংসার থেকে পাঁচ বছর আগে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি সে। করোনা অথবা টিকা কী, সে সম্পর্কে তার খুব একটা ধারণা নেই। তবে জানলে টিকা দেওয়ার ইচ্ছা ছিল সাব্বিরের।
সাব্বির রহমান বলে, করোনা টিকা দিতে হবে, কেউ কোনো দিন বলেনি।
সাব্বিরের মতো রেলওয়ে স্টেশনে থাকে চম্পা নামের আরেক শিশু। সে বলে, ‘টিকা দিতে হবে কেন? আমার তো কোনো অসুখ হয়নি। মা-বাবাও তো কিছু বলেনি।’
থানার ঘাট বস্তি এলাকার অনেক শিশু করোনার টিকা দিয়েছে স্কুলে। অনেকে আবার পড়াশোনা করেনি। তাদের জন্মনিবন্ধনও নেই।
আবু সাঈদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘টিকা দিতে জন্মনিবন্ধন লাগে। এখানে যারা বসবাস করে, তাদের অনেকের জন্মনিবন্ধন নেই। তাই টিকা দেওয়ার ইচ্ছা নেই। কাগজপত্র ছাড়া টিকা দেওয়া গেলে পোলাপান নিয়ে টিকা দিতে যাইতাম।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ছয়টি ওয়ার্ডে শিশুদের নিয়ে কাজ করে আলোকিত শিশু প্রকল্প নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই সংগঠনের মাঠ কর্মকর্তা বিপাশা মানকিন বলেন, তাঁরা পাঁচ শতাধিক শিশুকে নিয়ে কাজ করছেন। ৫০০ জনের মধ্যে ২১৩ জন শিশু স্কুলে যাচ্ছে না। এদের ১৭৭ জন শিশুর জন্মসনদ নেই। এই সনদ না থাকায় তাদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি একটু শিথিল করা হলে হয়তো তাদের টিকার আওতায় আনা যাবে।
ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল হক বলেন, ‘জেলায় প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯৬ জন। এদের মধ্যে ঝরে পড়া ৮ শতাংশ, অর্থাৎ ৬২ হাজার ৭৭৬ জন শিশু বিদ্যালয়ে আসছে না। সিটি এরিয়ায় বিদ্যালয়মুখী শিশুদের টিকা কার্যক্রম মোটামুটি শেষ হয়েছে। তবে ঝরে পড়াদের বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।’
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় ১৮ লাখ ৫০ হাজার শিশুর মধ্যে ঝরে পড়া ও পথশিশু রয়েছে প্রায় দেড় লাখ। তাদের টিকার আওতায় আনা বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে সুশীল সমাজ বলছে, টিকায় শিশুদের বৈষম্যে সরকারের উদ্দেশ্য বাস্তবায়িত হবে না।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের তথ্য অনুযায়ী, বিভাগের চার জেলার ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশু রয়েছে ১৮ লাখ ৫০ হাজার। যাদের মধ্যে প্রায় দেড় লাখ শিশু ঝরে পড়েছে। এদের অনেকে রেলস্টেশন, বাসস্ট্যান্ড ও ফুটপাতে বসবাস করে। এ ছাড়া আরও কিছু শিশু রয়েছে, যারা জন্মের পর বিদ্যালয়ে যায়নি।
স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, এসব শিশুকে চিহ্নিত করে টিকার আওতায় আনা তাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ। তবে টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে নেওয়া হয়েছে নানা কর্মপরিকল্পনা।
নাগরিক নেতারা বলছেন, স্কুলগামী শিশুদের টিকা সম্পন্ন হওয়ার পরপরই ঝরে পড়া এবং পথশিশুদের টিকা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। অন্যথায় বৈষম্য সৃষ্টি হলে সরকারের কর্মসূচি ভেস্তে যাবে।
সাব্বির রহমান। বয়স ১০-১১ বছর। তার রাত-দিন কাটে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে। তার বাড়ি নেত্রকোনায়। মা-বাবার বিবাদের সংসার থেকে পাঁচ বছর আগে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি সে। করোনা অথবা টিকা কী, সে সম্পর্কে তার খুব একটা ধারণা নেই। তবে জানলে টিকা দেওয়ার ইচ্ছা ছিল সাব্বিরের।
সাব্বির রহমান বলে, করোনা টিকা দিতে হবে, কেউ কোনো দিন বলেনি।
সাব্বিরের মতো রেলওয়ে স্টেশনে থাকে চম্পা নামের আরেক শিশু। সে বলে, ‘টিকা দিতে হবে কেন? আমার তো কোনো অসুখ হয়নি। মা-বাবাও তো কিছু বলেনি।’
থানার ঘাট বস্তি এলাকার অনেক শিশু করোনার টিকা দিয়েছে স্কুলে। অনেকে আবার পড়াশোনা করেনি। তাদের জন্মনিবন্ধনও নেই।
আবু সাঈদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘টিকা দিতে জন্মনিবন্ধন লাগে। এখানে যারা বসবাস করে, তাদের অনেকের জন্মনিবন্ধন নেই। তাই টিকা দেওয়ার ইচ্ছা নেই। কাগজপত্র ছাড়া টিকা দেওয়া গেলে পোলাপান নিয়ে টিকা দিতে যাইতাম।’
ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ছয়টি ওয়ার্ডে শিশুদের নিয়ে কাজ করে আলোকিত শিশু প্রকল্প নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এই সংগঠনের মাঠ কর্মকর্তা বিপাশা মানকিন বলেন, তাঁরা পাঁচ শতাধিক শিশুকে নিয়ে কাজ করছেন। ৫০০ জনের মধ্যে ২১৩ জন শিশু স্কুলে যাচ্ছে না। এদের ১৭৭ জন শিশুর জন্মসনদ নেই। এই সনদ না থাকায় তাদের টিকা কার্যক্রমের আওতায় আনা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সিভিল সার্জনের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি একটু শিথিল করা হলে হয়তো তাদের টিকার আওতায় আনা যাবে।
ময়মনসিংহ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল হক বলেন, ‘জেলায় প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী রয়েছে ৭ লাখ ৮৪ হাজার ৬৯৬ জন। এদের মধ্যে ঝরে পড়া ৮ শতাংশ, অর্থাৎ ৬২ হাজার ৭৭৬ জন শিশু বিদ্যালয়ে আসছে না। সিটি এরিয়ায় বিদ্যালয়মুখী শিশুদের টিকা কার্যক্রম মোটামুটি শেষ হয়েছে। তবে ঝরে পড়াদের বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারব না।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪