Ajker Patrika

তাওহিদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

মুনীরুল ইসলাম
তাওহিদের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

আল্লাহ তাআলার একত্ববাদে বিশ্বাসের নাম তাওহিদ। যখনই তাওহিদের সীমা লঙ্ঘন করা হয়, তখনই শিরক বা অংশীবাদ সৃষ্টি হয়। হজরত আদম (আ.) থেকে হজরত মুহাম্মদ (সা.) পর্যন্ত সকল নবী-রাসুলের আগমনের লক্ষ্যই ছিল দুনিয়ার বুকে তাওহিদ প্রতিষ্ঠা করা। তাওহিদ মানে—অন্তরে এই বিশ্বাস বদ্ধমূল রাখা যে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের একচ্ছত্র মালিক, প্রতিপালনকারী, সৃষ্টিকর্তা এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী। জীবন ও ধন-সম্পদের মালিক একমাত্র আল্লাহ তাআলা।

তিনি এই সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টি করে আমাদের ব্যবহারের জন্য দান করেছেন এবং তিনিই দুনিয়াটা পরিচালনা করছেন।’ আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যিনি (আল্লাহ) অনন্ত করুণাময় পরম দয়ালু। যিনি বিচার দিনের মালিক।’ (সুরা ফাতিহা: ৩-৪)

একজন তাওহিদে বিশ্বাসী মানুষের চব্বিশ ঘণ্টার কাজই হবে ইবাদত। আল্লাহ বলেন, ‘আমি জিন ও মানুষ একমাত্র আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা জারিয়াত: ৫৬) ইসলামে ইবাদত শব্দটির অর্থ ব্যাপক। ইবাদত বলতে বোঝায় উপাসনা ও দাসত্ব করা। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ, তোমাদের পালনকর্তার ইবাদত করো, যিনি তোমাদের এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদের সৃষ্টি করেছেন। এতে আশা করা যায়, তোমরা আল্লাহওয়ালা হতে পারবে।’ (সুরা বাকারা: ২১) আল্লাহ আরও বলেন, ‘আপনি বলুন, আমার নামাজ, আমার কোরবানি এবং আমার জীবন ও মরণ বিশ্ব প্রতিপালক আল্লাহরই জন্য। তাঁর কোনো অংশীদার নেই, আমি তাই আদিষ্ট হয়েছি এবং আমি প্রথম আনুগত্যশীল।’ (সুরা আনআম: ১৬২-১৬৩)

শিরকের গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। মহানবী (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক না করে মারা যাবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যক্তি আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা অবস্থায় মারা যাবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (মুসলিম) 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত