তাসনীম হাসান, কক্সবাজার
পর্যটন মৌসুম হওয়ায় এই মুহূর্তে কক্সবাজার শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে হাজারো মানুষের ভিড়। করোনার সংক্রমণ কমে আসায় কেউ কেউ মাস্ক পরছেন। অধিকাংশের সে বালা-ই নেই। তবে তাঁরা মুখে হাত কিংবা কাপড় দিয়ে হাঁটছেন। কারণ, করোনাকে অগ্রাহ্য করা গেলেও ধুলোবালির সঙ্গে পেরে ওঠা অসম্ভব। তাই যেভাবে হোক ধুলা থেকে বাঁচো!
সব মিলিয়ে উন্নয়নের ‘প্রসববেদনায়’ প্রায় রুদ্ধ দেশের প্রধান পর্যটন শহর। দেড় বছর আগে স্থানীয় সরকার বিভাগের মিউনিসিপ্যাল গভর্নর সার্ভিসেস প্রকল্প (এমডিএসপি) ও ইউজিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় শহরের ২৯টি সড়কে প্রায় দেড় শ কিলোমিটারে সংস্কারকাজ করছে কক্সবাজার পৌরসভা। আবার মূল শহরের প্রধান সড়কের জিরো পয়েন্ট হলিডে মোড় থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত প্রশস্ত করে চার লেনে উন্নীত করছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পুরো শহরের প্রায় সব সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চলায় এখন হাঁটাচলা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাতে দীর্ঘ যানজট আর ধুলোবালির অত্যাচারে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকেরা আছেন ভোগান্তিতে।
পর্যটকদের দুঃখের এখানেই শেষ নয়। অবশ্য বাসস্টেশনে নামার পরই শুরু হয়ে যায় তাঁদের ভোগান্তি, যেটি লেগে থাকে শহর ছাড়া পর্যন্ত। দেশের ব্যস্ততম এই শহরে নেই কোনো গণপরিবহন। শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো প্রায় আট হাজার টমটম আর কয়েক হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা এখানে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। এর বেশির ভাগ চলে চুক্তিতে। সড়ক ভাঙা ও পর্যটনের মৌসুমের অজুহাত দেখিয়ে ভাড়া নিচ্ছে বেশি।
হোটেল-মোটেলে ওঠার পরও ভোগান্তি শেষ নেই। অভিযোগ উঠেছে, পর্যটকদের চাপ বাড়লে হোটেল-মোটেলে থাকা আর খাবারের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরও বাড়তি দাম দিয়ে চাহিদামতো সেবা মিলছে না। ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন শরিফুল ইসলাম ও রফিক উদ্দিন। শহরের ঝাউতলা এলাকায় একটি টমটমে যানজটে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত। এক বাক্যের প্রতিক্রিয়া: ‘দেশের প্রধান পর্যটন শহরে যেন প্রতি পদে পদে পর্যটকদের বাধা-বিপত্তি।’ ভোগান্তি কেমন এমন– প্রশ্ন করা হলে পরিবার নিয়ে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আহসানুল ইসলাম উল্টো প্রশ্ন ছোড়েন: ‘কোথায় ভোগান্তি নেই বলুন তো?’
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিরাপত্তাহীনতা। ১৬ ডিসেম্বর এক দিনেই তিন লাখ পর্যটকের ভিড় হয় এই শহরে। কিন্তু বেড়াতে এসে এক নারী পর্যটকের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে হোটেল-গেস্ট হাউসের মালিকদের। পর্যটকেরা যে আসলেই আতঙ্কে, তা ফুটে ওঠে চট্টগ্রাম থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা গৃহবধূ হালিমা বেগমের কথায়। গতকাল সৈকতের কলাতলি মোড় এলাকায় বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ঘটনার পর তো এখানে প্রতিটা সময় আতঙ্কে কাটছে। চলে যেতে পারলেই বাঁচি।’
এর রেশ পাওয়া গেল হোটেল অফিসার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহর কথায়ও। বললেন, ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি ব্যাপক প্রচার পাওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে কিছুটা ভয় কাজ করছে। বছরের এই সময়ে তিন তারকা মানের হোটেল-মোটেলগুলোয় শতভাগ বুকিং থাকে। কিন্তু এখন আছে ৬০ শতাংশ।’
কক্সবাজারে বেড়াতে আসা লাখো পর্যটকের নিরাপত্তা দিতে হয় টুরিস্ট পুলিশের ২১১ জন সদস্যকে। কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের লোকবলের সীমাবদ্ধতা আছে। অল্প জনবল দিয়ে রাতদিন লাখ লাখ পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়।’
স্থানীয় নাগরিক সংগঠন সিভিল সোসাইটিজ ফোরাম কক্সবাজারের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজারে এখনকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে গেলে আমি বলব, ভয়াবহ অবস্থা। সড়কের অবস্থা তো তথৈবচ। গাড়িগুলোও ভাড়া নেয় ইচ্ছেমতো। আর তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি তো বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কক্সবাজারে পর্যটকদের হয়রানি নিয়ে যেসব অভিযোগ আসছে, সেসব যেন আর না হয়, সে জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা পর্যটকদের আরও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
পর্যটন মৌসুম হওয়ায় এই মুহূর্তে কক্সবাজার শহরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ সড়কে হাজারো মানুষের ভিড়। করোনার সংক্রমণ কমে আসায় কেউ কেউ মাস্ক পরছেন। অধিকাংশের সে বালা-ই নেই। তবে তাঁরা মুখে হাত কিংবা কাপড় দিয়ে হাঁটছেন। কারণ, করোনাকে অগ্রাহ্য করা গেলেও ধুলোবালির সঙ্গে পেরে ওঠা অসম্ভব। তাই যেভাবে হোক ধুলা থেকে বাঁচো!
সব মিলিয়ে উন্নয়নের ‘প্রসববেদনায়’ প্রায় রুদ্ধ দেশের প্রধান পর্যটন শহর। দেড় বছর আগে স্থানীয় সরকার বিভাগের মিউনিসিপ্যাল গভর্নর সার্ভিসেস প্রকল্প (এমডিএসপি) ও ইউজিপি-৩ প্রকল্পের আওতায় শহরের ২৯টি সড়কে প্রায় দেড় শ কিলোমিটারে সংস্কারকাজ করছে কক্সবাজার পৌরসভা। আবার মূল শহরের প্রধান সড়কের জিরো পয়েন্ট হলিডে মোড় থেকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল পর্যন্ত প্রশস্ত করে চার লেনে উন্নীত করছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পুরো শহরের প্রায় সব সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি চলায় এখন হাঁটাচলা করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তাতে দীর্ঘ যানজট আর ধুলোবালির অত্যাচারে স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পর্যটকেরা আছেন ভোগান্তিতে।
পর্যটকদের দুঃখের এখানেই শেষ নয়। অবশ্য বাসস্টেশনে নামার পরই শুরু হয়ে যায় তাঁদের ভোগান্তি, যেটি লেগে থাকে শহর ছাড়া পর্যন্ত। দেশের ব্যস্ততম এই শহরে নেই কোনো গণপরিবহন। শহরজুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো প্রায় আট হাজার টমটম আর কয়েক হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশা এখানে যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম। এর বেশির ভাগ চলে চুক্তিতে। সড়ক ভাঙা ও পর্যটনের মৌসুমের অজুহাত দেখিয়ে ভাড়া নিচ্ছে বেশি।
হোটেল-মোটেলে ওঠার পরও ভোগান্তি শেষ নেই। অভিযোগ উঠেছে, পর্যটকদের চাপ বাড়লে হোটেল-মোটেলে থাকা আর খাবারের দাম বাড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপরও বাড়তি দাম দিয়ে চাহিদামতো সেবা মিলছে না। ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে কক্সবাজারে বেড়াতে এসেছেন শরিফুল ইসলাম ও রফিক উদ্দিন। শহরের ঝাউতলা এলাকায় একটি টমটমে যানজটে বসে থাকতে থাকতে বিরক্ত। এক বাক্যের প্রতিক্রিয়া: ‘দেশের প্রধান পর্যটন শহরে যেন প্রতি পদে পদে পর্যটকদের বাধা-বিপত্তি।’ ভোগান্তি কেমন এমন– প্রশ্ন করা হলে পরিবার নিয়ে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা আহসানুল ইসলাম উল্টো প্রশ্ন ছোড়েন: ‘কোথায় ভোগান্তি নেই বলুন তো?’
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নিরাপত্তাহীনতা। ১৬ ডিসেম্বর এক দিনেই তিন লাখ পর্যটকের ভিড় হয় এই শহরে। কিন্তু বেড়াতে এসে এক নারী পর্যটকের দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হওয়ায় দুশ্চিন্তা বেড়েছে হোটেল-গেস্ট হাউসের মালিকদের। পর্যটকেরা যে আসলেই আতঙ্কে, তা ফুটে ওঠে চট্টগ্রাম থেকে পরিবার নিয়ে বেড়াতে আসা গৃহবধূ হালিমা বেগমের কথায়। গতকাল সৈকতের কলাতলি মোড় এলাকায় বলেন, ‘এমন ভয়াবহ ঘটনার পর তো এখানে প্রতিটা সময় আতঙ্কে কাটছে। চলে যেতে পারলেই বাঁচি।’
এর রেশ পাওয়া গেল হোটেল অফিসার্স সমিতির সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহর কথায়ও। বললেন, ‘দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি ব্যাপক প্রচার পাওয়ায় পর্যটকদের মধ্যে কিছুটা ভয় কাজ করছে। বছরের এই সময়ে তিন তারকা মানের হোটেল-মোটেলগুলোয় শতভাগ বুকিং থাকে। কিন্তু এখন আছে ৬০ শতাংশ।’
কক্সবাজারে বেড়াতে আসা লাখো পর্যটকের নিরাপত্তা দিতে হয় টুরিস্ট পুলিশের ২১১ জন সদস্যকে। কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের লোকবলের সীমাবদ্ধতা আছে। অল্প জনবল দিয়ে রাতদিন লাখ লাখ পর্যটকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয়।’
স্থানীয় নাগরিক সংগঠন সিভিল সোসাইটিজ ফোরাম কক্সবাজারের সভাপতি ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজারে এখনকার পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে গেলে আমি বলব, ভয়াবহ অবস্থা। সড়কের অবস্থা তো তথৈবচ। গাড়িগুলোও ভাড়া নেয় ইচ্ছেমতো। আর তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনাটি তো বড় নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।’
জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, ‘কক্সবাজারে পর্যটকদের হয়রানি নিয়ে যেসব অভিযোগ আসছে, সেসব যেন আর না হয়, সে জন্য আমরা কাজ করছি। আমরা পর্যটকদের আরও নিরাপত্তা নিশ্চিতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসব বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৯ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৯ ঘণ্টা আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
১২ ঘণ্টা আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫