Ajker Patrika

ধৈর্য ও ক্ষমা মুমিনের বৈশিষ্ট্য

মুহাম্মাদ ইমরান মুস্তফা
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২২, ১৬: ১১
ধৈর্য ও ক্ষমা মুমিনের বৈশিষ্ট্য

মানুষ সামাজিক জীব। একক অমুখাপেক্ষী কোনো মানুষ হতে পারে না। মানুষমাত্রই কোনো না কোনোভাবে অন্যের মুখাপেক্ষী হতে হয়। আর এ মুখাপেক্ষিতা হয়ে থাকে বিভিন্ন প্রকার সম্পর্কের মোড়কে। যেমন পিতা-পুত্র, ভাই-ভাই, মালিক-শ্রমিক, ছাত্র-শিক্ষক, স্বামী-স্ত্রী প্রভৃতি। সামাজিক ও পারিবারিক জীবনে এসব সম্পর্কের বন্ধন অটুট রেখে চলতে গিয়ে মানুষকে বিভিন্ন রকম জটিলতার মুখোমুখি হতে হয়। মনোমালিন্য, ঝগড়াবিবাদ, হিংসাবিদ্বেষসহ আরও অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রতিটি মানুষই নিজেদের সহজাত প্রকৃতির কারণেই নিজের চারপাশের সবার সব রকম আচরণ মেনে নিতে পারে না। আবার সময় সময় নিজেও অন্যের প্রতি কোনো অসদাচরণ করে বসে। সব মিলিয়ে মানবসমাজে দুজন ব্যক্তি পাশাপাশি চলতে গেলেই, পাশাপাশি দুটি পাত্রের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো চোট লেগে যায়। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনে এ ধরনের অসংগতিগুলোর সমাধানে উত্তম পদ্ধতি অনুসরণের তাগিদ দিয়ে বলেন, ‘ভালো ও মন্দ সমান হতে পারে না। মন্দকে প্রতিহত করো উত্তম পন্থায়। দেখবে, যার সাথে তোমার শত্রুতা আছে, সহসাই সে হয়ে যাবে তোমার অন্তরঙ্গ বন্ধু।’ (সুরা হামিম সিজদা)

আর সেই উত্তম পন্থা হলো যথাসাধ্য ধৈর্যের আচরণ করা। সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে উদার মনে ক্ষমা করে দেওয়া। ইসলাম সমান সমান প্রতিশোধের অনুমতি দিলেও ক্ষমা করে দেওয়াকে উৎসাহিত করেছে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন: ‘যারা ক্রোধ হজম করতে ও মানুষকে ক্ষমা করতে অভ্যস্ত। আল্লাহ এরূপ পুণ্যবানদের ভালোবাসেন।’ (সুরা আলে ইমরান)

রাসুলুল্লাহ (সা.) রাগ হজম করে নিজেকে নিয়ন্ত্রিত আচরণে অবিচল রাখতে উৎসাহিত করেছেন। তিনি এরশাদ করেন, ‘ওই ব্যক্তি প্রকৃত বীর নয়, যে (মল্লযুদ্ধে) অন্যকে ধরাশায়ী করে দেয়; বরং প্রকৃত বীর সেই ব্যক্তি, যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।’ (বুখারি ও মুসলিম)

মুহাম্মাদ ইমরান মুস্তফা, ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত