Ajker Patrika

জামালপুরে মির্জা আজমের কথাই ছিল আইন

জাহাঙ্গীর আলম, জামালপুর
জামালপুরে মির্জা আজমের কথাই ছিল আইন

জামালপুর শহরে সুরপাড়া দেউরপাড় চন্দ্রায় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি মির্জা আজমের বিলাসবহুল রিসোর্ট ‘আলেয়া গার্ডেন’। সেই রিসোর্টের ভেতরে আছে দৃষ্টিনন্দন দুটি ভবনসহ পুকুর, গরুর খামার ও বিশাল বাগান। প্রায় ১০ একর জমির ওপর স্ত্রী দেওয়ান আলেয়ার নামে গড়া এই রিসোর্টের জন্য অন্যের জমি জবরদখল করেছেন তিনি।

আলেয়া গার্ডেন মির্জা আজমের বিপুল সম্পদের একটি নমুনামাত্র। পুরো জামালপুরে তাঁদের সম্পদ ও ক্ষমতা এতটাই বেশি যে গাড়ি-বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালিকায় জেলার শীর্ষে আজম পরিবার। তাঁর স্ত্রী, সন্তান, পাঁচ ভাইসহ পরিবারের প্রত্যেকের নামে-বেনামে রয়েছে অঢেল সম্পদ। শুধু জামালপুর শহরেই মির্জা আজম, তাঁর স্ত্রী ও মেয়ের নামে রয়েছে প্রায় ১ হাজার ১২৮ শতাংশ জমি। শহরের প্রাণকেন্দ্র বকুলতলা এলাকায় কেউ ঘুরতে গেলে মির্জা আজমের দৃষ্টিনন্দন বাড়িটি দেখে চোখ এড়ানোর সুযোগ নেই।

জামালপুরের বাইরে রাজধানীর ধানমন্ডি ১৫ নম্বর সড়কের (পুরাতন ২৮ নম্বর) ১২ নম্বর প্লটটি প্রভাব খাটিয়ে দখল এবং পরে তা বহুতল ভবনে রূপান্তরের অভিযোগ রয়েছে মির্জা আজমের বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনে এই তথ্যের উল্লেখ আছে। দুদকের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ১৯৯৬ সালে এমপি থাকাকালীন নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকায় ৫ কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ নেন তিনি। পরে প্রভাব খাটিয়ে শ্রেণি পরিবর্তন করে বারিধারায় ১০ নম্বর সড়কে নতুন প্লটও বরাদ্দ নেন। আলোচিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তমা কনস্ট্রাকশনে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ আছে মির্জা আজমের। কক্সবাজারের পাঁচ তারকা হোটেল সিগালেও তাঁর বিপুল বিনিয়োগ ও অংশীদারত্ব রয়েছে।

মির্জা আজমের বিপুল সম্পদের বিষয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুদক এই বিষয়ে গোয়েন্দা অনুসন্ধানে তাঁর নামে-বেনামে সম্পদ থাকার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে। তাঁর, এবং তাঁর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজন জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। কমিশন এই বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে।

মির্জা আজমের স্ত্রীর নামে গড়ে তোলা বিলাসবহুল রিসোর্ট ‘আলেয়া গার্ডেন’। সম্প্রতি জামালপুর সদরের দেউরপাড় এলাকায়

মির্জা আজম ও তাঁর পরিবারের এত সম্পদের পেছনে মূল শক্তি তাঁর রাজনৈতিক প্রভাব। পুরো জামালপুরের রাজনীতিতে মির্জা আজমের অবস্থান ছিল অনেকটা রাজার মতো। এখানে তাঁর কথাই ছিল আইন। অন্যান্য এমপি, দলীয় নেতা-কর্মী ও প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তারা তাঁর কথায় ওঠবস করতেন। রাজনীতি, সরকারি দপ্তরের ঠিকাদারি, জমি দখল—সবই নিয়ন্ত্রণ করতেন তিনি।

খাদ্য বিভাগের পরিবহন ঠিকাদার থেকে রাজনীতিতে আসা মির্জা আজম সবচেয়ে বেশি অর্থ-সম্পদ গড়েছেন গত ১৬ বছরে। তাঁর ভয়ে দেড় দশকে ‘বোবা’ হয়ে থাকা মানুষগুলো এখন মুখ খুলতে শুরু করেছেন। একের পর বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে আজম পরিবারের নানা অন্যায়, অত্যাচার ও অবিচারের তথ্য।

এলাকাবাসীর অনেকের অভিযোগ, মির্জা আজম ক্ষমতায় থাকাকালে তাঁর স্ত্রী আলেয়ার নামে যে বিশাল বাগানবাড়ি গড়ে তুলেছেন, সেটির জমি ছিল জবরদখল করা। তাঁর বন্ধু ও আওয়ামী লীগ নেতা সোহরাব হোসেন বাবুলের মাধ্যমে এসব জমি দখল করেছেন। জমি হারানো অনেকে জমির মূল্য পেতে মির্জা আজম এবং স্ত্রী আলেয়ার সঙ্গে দেখা করতে চাইতেন। তখন দেখা তো দূরের কথা, উল্টো তাঁদের ওপর চলত নির্যাতন।

দেউরপাড় চন্দ্রা এলাকায় আওয়ামী লীগের সাবেক ওয়ার্ড সভাপতি মনিরুল হক ফজলু বলেছেন, ‘দীর্ঘদিন আমি এই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলাম। এরা আমার পদ খেয়েছে। এই আলেয়া গার্ডেনের জন্য আমার জমি নিয়েছে। মোট ২৬ শতাংশ জমির মধ্যে ১৩ শতাংশের দাম দিয়ে বাকি ১৩ শতাংশ দখল করে দেয়াল নির্মাণ করেছে।’

মির্জা আজমের দাপটে জমি হারিয়েছেন দেউড়পাড় চন্দ্রা এলাকার বিধবা নারী রেজিয়া বেগমও। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী নাই। ঘর নাই, বাড়ি নাই। মির্জা আজম আমার শেষ সম্বলটুকু কেড়ে নিয়েছে। কত ঘুরেছি। মির্জা আজমের বন্ধু সোহরাব হোসেন বাবুলের কাছে গেছি। কেউ জমির টাকা দেয়নি। মির্জা আজম ও তাঁর বউ আলেয়া জামালপুরে এলে খবর পেয়ে গেছি। ওর বউ গালিগালাজ করে তাড়িয়ে দিত। আমার জমিটা ফেরত চাই।’

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরপরই এলাকার শত শত বিক্ষুব্ধ মানুষ আলেয়া গার্ডেন ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে জামালপুর-৩ আসনের সাবেক এই এমপিকে ফোন করা হলেও তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপে ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি। 

জামালপুরের ‘রানিমা’ আলেয়া
মির্জা আজমের রাজনৈতিক প্রভাব সবচেয়ে বেশি কাজে লাগিয়েছেন তাঁর স্ত্রী দেওয়ান আলেয়া। অসীম ক্ষমতার কারণে তাঁকে বলা হতো ‘রানিমা’। তাঁর আশীর্বাদ থাকলেই জামালপুরে রাজনীতির পদপদবি মিলত সহজে। রানিমার আশীর্বাদেই ছাত্রনেতা থেকে জামালপুর পৌরসভার মেয়র, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হন ছানোয়ার হোসেন ছানু। জানা গেছে, আলেয়ার রোষানলে পড়ে ২০২২ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ হারিয়েছেন ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী। এ ছাড়া বিভিন্ন দপ্তরের কাজ ও কর্মকর্তাদের বদলির তদবিরও করতেন আলেয়া।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নারায়ণ পাল রানা রানিমার খুবই বিশ্বস্ত ছিলেন। তাঁর মাধ্যমেই রানিমা জমি দখল, থানার ওসিসহ বিভিন্ন কর্মকর্তার বদলি, বিভিন্ন দপ্তরের ঠিকাদারি কাজের কমিশন-বাণিজ্য করতেন।

এসব তদবির ও কমিশন-বাণিজ্য করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন তিনি। জামালপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জামালপুর শহরের চারটি মৌজায় ১ হাজার ২৬ শতাংশ জমির খোঁজ পাওয়া গেছে আলেয়ার নামে। এগুলোর মধ্যে দেউরপাড় চন্দ্রা ও পলাশগড় মৌজায় রয়েছে ৮৮৩ শতাংশ জমি। 

পিছিয়ে নেই অন্য আত্মীয়রাও
২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট দেশের ৬৩ জেলায় জেএমবির সিরিজ বোমা হামলার প্রধান অভিযুক্ত শায়খ আবদুর রহমান ছিলেন মির্জা আজমের ভগ্নিপতি। জামালপুর শহরে মির্জা আজমের ছোট ভাই মির্জা রিপনের একক দাপট ছিল গণপূর্ত অধিদপ্তর, শিক্ষা প্রকৌশল এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগে। জেলার বড় বড় উন্নয়নকাজ হয়েছে তাঁর হাত দিয়ে। ছোট ভাই মির্জা জিল্লুর রহমান শিপন নিয়ন্ত্রণ করেছেন ক্রীড়া সংস্থা। মির্জা আজমের আরেক ছোট ভাই মির্জা গোলাম কিবরিয়া কবীর দুইবারের মাদারগঞ্জ পৌরসভার মেয়র। আরেক ছোট ভাই মির্জা সোহেল ছিলেন মাদারগঞ্জ প্রশাসনের ত্রাস। উপজেলার কাবিখা, টাবিখা, গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প, বেড়িবাঁধ থেকে শুরু করে সব উন্নয়নকাজ ছিল তাঁর কবজায়। 

ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়
২০১৩ সালের জামালপুর শহরের নয়াপাড়া পাঁচরাস্তা মোড় এলাকার একটি ভবনে বেসরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। মির্জা আজম ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের জন্য শতাধিক দরিদ্র মানুষের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়েছিলেন মির্জা আজম এবং তাঁর অনুসারীরা। ওই ক্যাম্পাসের জন্য বালু দিয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ ভরাট করেন তাঁরা। মানচিত্র থেকে বিলুপ্ত করে দেন নাওভাঙ্গা গ্রাম। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই জমির মালিকেরা জমি ফেরতের দাবিতে জমিতে মালিকানা সাইনবোর্ড টাঙিয়ে দিয়েছেন। 

পৌরসভার টাকায় ভিআইপি বিনোদন ক্লাব
জামালপুর শহরের পলাশগড় এলাকায় সাড়ে ৪ একর জমির ওপর ছিল পৌরসভার একমাত্র ভাগাড় বা ডাম্পিং স্টেশন। সেই ভাগাড়ে জামালপুর রিক্রিয়েশন ক্লাব নামের একটি ভিআইপি বিনোদন ক্লাব গড়ে তোলেন মির্জা আজম। ২০২১ সালে পুরো ডাম্পিং স্টেশন বন্ধ করে দিয়ে ওই জমি নামমাত্র মূল্যে ২০ বছরের জন্য ইজারা দেওয়া হয় রিক্রিয়েশন ক্লাবকে। মির্জা আজমকে খুশি করতে ওই ক্লাবের উন্নয়নকাজের জন্য জামালপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু কোটি কোটি টাকার প্রকল্প দেন। প্রকল্প দিয়েছে জেলা পরিষদও। রিক্রিয়েশন ক্লাবের সদস্য হওয়ার জন্য গুনতে হতো ৫ লাখ টাকা। মির্জা আজমকে খুশি করতেও দলের প্রভাবশালী অনেক নেতা-কর্মী ৫ লাখ টাকা দিয়ে সেখানে সদস্যপদ নেন। বর্তমানে ওই ক্লাবের সদস্য ৪৬৯ জন।

অভিযোগ রয়েছে, ক্লাবটিতে চলত অনৈতিক কাজ। আর ক্লাব নির্মাণের ফলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ৬টি গ্রামের ২০ হাজার মানুষের চলাচলের রাস্তা। এ ছাড়া দখল করা হয়েছে কয়েকজনের জমি। এর প্রতিবাদ করতে গেলে হামলার শিকার হয়েছেন অনেকে।

পলাশগড় গ্রামের হারুন বলেন, ‘সে সময় রাস্তা বন্ধের প্রতিবাদ করায় পৌরসভার মেয়র ছানোয়ার হোসেন ছানু আমাকে পৌরসভায় নিয়ে মারধর করে। যদি রাস্তা নিয়ে বাড়াবাড়ি করি, তাহলে পুলিশ দিয়ে গ্রেপ্তার করার হুমকি দিয়েছিল।’

একই এলাকার আপেল বলেন, ‘এই রাস্তা দিয়ে পলাশগড় গ্রামসহ ৮টি গ্রামের মানুষ চলাচল করত। রিক্রিয়েশন ক্লাব করার সময় সেই রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে প্রাচীর দিয়ে। সরকারের কাছে দাবি করছি, আমাদের চলাচলের রাস্তাটি যেন খুলে দেওয়া হয়।’ 

রাজনীতিতে মির্জা আজমের উত্থান
ছাত্রজীবনে পড়াশোনার পাশাপাশি খাদ্য পরিবহনের কাজ করতেন মির্জা আজম। আশির দশকে নিজেই ট্রাক চালিয়ে খাদ্য পরিবহন করতেন। ১৯৮৬ সালে এরশাদ সরকারের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নিয়ে পরাজিত হন। নব্বইয়ের আন্দোলনে এরশাদের পতনের পর ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৩ (মেলান্দহ-মাদারগঞ্জ) আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে প্রথম এমপি নির্বাচিত হন তিনি। এরপর মির্জা আজমকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। টানা সাতবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এই আসন থেকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার সাহস করেননি আওয়ামী লীগের কোনো নেতা। আর যাঁরা প্রার্থী হওয়ার সামান্য চিন্তাও করেছেন, তাঁদেরকে রাজনৈতিক বলি দেওয়া হয়েছে। যার দৃষ্টান্ত তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হাজি দিদার পাশা। শেষমেশ তাঁকে বিএনপির রাজনীতি করতে হয়েছিল। ২০১৪ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে মির্জা আজমকে দেওয়া হয় সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব।

স্থানীয় নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, মির্জা আজম ১৯৯১ সালে এমপি হওয়ার পর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি কবজা করার পরিকল্পনা আঁটেন। সে সময় জেলা আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও জেলা কমিটিতে থাকা আইনজীবী মতিউর রহমান তালুকদারকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে নিজের হাতে রাখার চিন্তায় মরিয়া হয়ে ওঠেন। শুরু করেন নিজ দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। দফায় দফায় মতিউর রহমান তালুকদারের ওপর দফায় দফায় হামলা হয়। শেষমেশ রাজনীতির পদ ছাড়তে হয় মতিউর রহমান তালুকদারকে। সে সময় মির্জা আজমের কারণে অনেক প্রবীণ রাজনীতিবিদকে আওয়ামী লীগ ছাড়তে হয়েছিল।

মির্জা আজমের হাতে সম্পদের চাবিকাঠি তুলে দেন মূলত আওয়ামী লীগ সরকারের দীর্ঘমেয়াদি আমলা জামালপুরের আরেক সন্তান আবুল কালাম আজাদ। তিনি ছিলেন সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব। তাঁর হাত দিয়েই গত ১৫ বছরে জামালপুর ও মেলান্দহ, মাদারগঞ্জে ৫০ হাজার কোটি টাকার উন্নয়নকাজ হয়েছে। সেই কাজ করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল, গণপূর্ত, সড়ক ও জনপথ, এলজিইডি, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরসহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নকাজ নিয়ন্ত্রণ করতেন মির্জা আজম, তাঁর স্বজন ও অনুসারীরা।

বিষয়:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত