Ajker Patrika

আলোর ভুবন পাঠাগার গ্রামে আলো ছড়াচ্ছে

শরিফুল আলম রাসেল, তারাকান্দা
আপডেট : ১৪ মার্চ ২০২২, ১০: ৫৭
আলোর ভুবন পাঠাগার গ্রামে আলো ছড়াচ্ছে

‘জ্ঞানের জানালা হোক উন্মুক্ত’ স্লোগানে তারাকান্দা উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে আলোর ভুবন নামে একটি পাঠাগার। এই পাঠাগারে স্থান পেয়েছে অনেক দুষ্প্রাপ্য বই। আর এ বই পড়ার সুযোগ পাচ্ছেন স্থানীয় পাঠকেরা।

উপজেলার আশ্বিয়া গ্রামে কামারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ভেতরে এ পাঠাগার তৈরি করা হয়েছে। ২০২০ সালের নভেম্বরে এটি উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের পর থেকে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে পাঠাগারটি। জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে স্থানীয় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

আলোর ভুবন পাঠাগারে গিয়ে দেখা গেছে, আলমারিতে স্তরে স্তরে সাজানো রয়েছে অসংখ্য বই। স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এখানে বসে বই পড়ছেন। পাশাপাশি অনেকে খবরের কাগজ পড়ছেন। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, গ্রামের অনেক শিক্ষিত তরুণ, যুবক ও বয়স্ক মানুষ বই পড়তে এসেছেন। প্রতিদিন ১০-১৫ জন মানুষ আসেন পাঠাগারে। এখানে বর্তমানে ৩০০টি বই রয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বেশ কিছু বই সংরক্ষিত রয়েছে। ধর্মীয়, সাহিত্য, বিজ্ঞানমনস্ক, ইতিহাসমূলক, সংবাদপত্র, কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স শিশু সাহিত্য ছাড়াও একাডেমিক বই রয়েছে।

বই পড়তে আসা তরুণেরা বলেন, প্রত্যন্ত অঞ্চলে এত সুন্দর পাঠাগার হবে এবং তাতে দুষ্প্রাপ্য বই পাওয়া যাবে, এটা আমরা ভাবিনি। কিছুদিন আগেও গ্রামের ছেলে-মেয়েরা মোবাইল গেমস ও বিভিন্ন সময় অপচয়মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ত। কিন্তু পাঠাগার হওয়ায় ছেলে-মেয়েরা এখন এখানে বই পড়তে আসছে। বই পড়ে জ্ঞান লাভ করছে, বিকশিত হচ্ছে। অনেক বই আছে যেগুলোর নাম কখনো শোনাই হয়নি।

স্থানীয় শিক্ষক খোকন মিয়া বলেন, আলোর ভুবন পাঠাগার মানুষকে আলোকিত করার যে স্বপ্ন দেখছে, সেটি সবার আদর্শ হওয়া উচিত। তার স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখতে হলে তাকে সবার সহযোগিতা করা দরকার। নিজস্ব ভবন না থাকায় আপাতত ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে পাঠাগারের কার্যক্রম চলছে।

স্থানীয় বাসিন্দা কাইয়ূম তালুকদার বলেন, ‘বই পড়ার মাধ্যমে আমাদের গ্রামের তরুণদের মধ্যে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। আজেবাজে আড্ডা না দিয়ে এই গ্রন্থাগারে সময় দিচ্ছে, যা তাঁদের বিভিন্ন আসক্তি থেকে দূরে রাখছে।’

কামারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান উজ্জ্বল বলেন, ‘এ রকম একটি উদ্যোগ নেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে সাধুবাদ জানিয়েছি এবং একটি কক্ষ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত