খান রফিক, বরিশাল
পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে আগামী ২৫ জুন। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের শিল্প খাতে বিনিয়োগ বাড়ার আশা দেখছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যায় জর্জরিত বরিশাল বিসিক শিল্পনগরী ও এর প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে অন্যতম ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ না থাকা, ট্রেড লাইসেন্স না পাওয়া, গ্যাস সরবরাহ না হওয়া, জনবল-সংকটসহ নানা সমস্যার কথা বলছেন উদ্যোক্তারা।
বিশেষ করে ২০২০ সালে বিসিকের একটি বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের বিরোধের পর আগ্রহ হারাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। বিসিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে শিল্পনগরে সচল থাকা শিল্প ইউনিটকেই নানা ধরনের সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যে কারণে পদ্মা সেতু ঘিরে এর পরিধি বাড়ার সুযোগ সৃষ্টি চ্যালেঞ্জে পড়েছে।
১৯৬০-৬১ সালে ১৩০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে বরিশাল বিসিক। বিসিকের ১৭৩টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে উৎপাদনে আছে ১১৭টি। এর মধ্যে আপাতত বন্ধ রয়েছে ৮টি।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্য আক্তারুজ্জামান খান বলেন, পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের মাধ্যমে এ অঞ্চলে শিল্প খাতে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। আসবে অনেক বিনিয়োগকারী। তবে এ জন্য বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ দরকার। পাইপলাইনে ভোলার গ্যাস বরিশালে না আনা গেলেও শিল্পে সংকট থেকেই যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল বিসিক শিল্পনগর ঘুরে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান মালিকের হতাশার কথা শোনা গেল। বিসিক এলাকার একটি ক্ষুদ্র কারখানায় এক সপ্তাহ আগে অভিযান চালায় বিএসটিআই। কারখানা মালিকের অভিযোগ, বিএসটিআই অনুমোদনের আবেদন করতে ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি দিতে হবে। বিসিকের শিল্প মালিকদের বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না এক বছর ধরে। যে কারণে বিএসটিআইয়ে পণ্য উৎপাদনের অনুমোদন আবেদনও করতে পারেননি তিনি। বিসিকের বেশির ভাগ শিল্পমালিক একই সমস্যায় আছেন।
সেখানকার একাধিক ব্যবসায়ী জানান, নিচু জমি ভরাট করে প্লট তৈরি এবং সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে ২০২০ সালের অক্টোবরে বিসিকে ৭৪ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি ও ফরচুন সুজ ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মিজানুর রহমানের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের দ্বন্দ্ব সংঘাত পর্যন্ত গড়ায়। ওই ঘটনার পর থেকে বিসিকের ব্যবসায়ীদের সিটি করপোরেশন নতুন ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না এবং আগের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন নেওয়া হচ্ছে না। প্রায়ই রাতের আঁধারে কারখানার বিদ্যুতের তার চুরি হয়ে যায়।
নতুন উদ্যোক্তারা প্লট নিলেও উৎপাদনে যাচ্ছেন না।
বিসিকের ফাস্ট ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট কারখানার মালিক কাজী আল মামুন বলেন, বিসিকে ২০২০ সালের ঝামেলার পর এমন ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, গত দেড় বছরে একজন উদ্যোক্তা সেখানে প্রতিষ্ঠান করেননি। বিসিসিও ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না।
বিসিসির ট্রেড লাইসেন্স শাখার সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা বিসিকের কাছে ট্যাক্স বাবদ কয়েক লাখ টাকা পাব। তারা টাকা দিচ্ছে না। তাই আমরাও সেখানকার কোনো ব্যবসায়ীকে ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছি না এবং পুরোনোদের লাইসেন্স নবায়ন করছি না।’
বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া একজন ব্যবসায়ীর নাগরিক অধিকার। বরিশাল বিসিকের ব্যবসায়ীদের সিটি করপোরেশন কেন ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না তা জানা নেই। সিটি করপোরেশনের এ আচরণ প্রধানমন্ত্রীর উন্নত বাংলাদেশের ভিশনকে বাধাগ্রস্ত করছে।’ তিনি স্বীকার করেন, বরিশাল বিসিকে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ না থাকায় গত এক বছরের মধ্যে তিনি ৪টি নতুন কারখানা করেছেন ঢাকা ও গাজীপুরে।
এ ব্যাপারে বিসিকের বরিশালের উপমহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জালিস মাহমুদ বলেন, বিসিক নগরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানই নানা সংকটে রয়েছে। বিশেষ করে জনবল-সংকট, গ্যাস নেই, নাজুক নিরাপত্তাব্যবস্থা। তা ছাড়া ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে না পারায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে পদ্মা সেতু ঘিরে তাঁরা ৩৭ একর জমিতে ১১০টি নতুন প্লট করছেন। তিনি বিসিক শিল্পনগরীর উন্নয়নে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দেন।
পদ্মা সেতু চালু হচ্ছে আগামী ২৫ জুন। এর মাধ্যমে এ অঞ্চলের শিল্প খাতে বিনিয়োগ বাড়ার আশা দেখছেন ব্যবসায়ী ও অর্থনীতিবিদেরা। কিন্তু নানা প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যায় জর্জরিত বরিশাল বিসিক শিল্পনগরী ও এর প্রতিষ্ঠানগুলো। এর মধ্যে অন্যতম ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ না থাকা, ট্রেড লাইসেন্স না পাওয়া, গ্যাস সরবরাহ না হওয়া, জনবল-সংকটসহ নানা সমস্যার কথা বলছেন উদ্যোক্তারা।
বিশেষ করে ২০২০ সালে বিসিকের একটি বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের বিরোধের পর আগ্রহ হারাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। বিসিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বর্তমানে শিল্পনগরে সচল থাকা শিল্প ইউনিটকেই নানা ধরনের সেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। যে কারণে পদ্মা সেতু ঘিরে এর পরিধি বাড়ার সুযোগ সৃষ্টি চ্যালেঞ্জে পড়েছে।
১৯৬০-৬১ সালে ১৩০ একর জমির ওপর গড়ে ওঠে বরিশাল বিসিক। বিসিকের ১৭৩টি শিল্প ইউনিটের মধ্যে উৎপাদনে আছে ১১৭টি। এর মধ্যে আপাতত বন্ধ রয়েছে ৮টি।
বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সদস্য আক্তারুজ্জামান খান বলেন, পদ্মা সেতুতে যান চলাচলের মাধ্যমে এ অঞ্চলে শিল্প খাতে অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে। আসবে অনেক বিনিয়োগকারী। তবে এ জন্য বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ দরকার। পাইপলাইনে ভোলার গ্যাস বরিশালে না আনা গেলেও শিল্পে সংকট থেকেই যাবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল বিসিক শিল্পনগর ঘুরে অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান মালিকের হতাশার কথা শোনা গেল। বিসিক এলাকার একটি ক্ষুদ্র কারখানায় এক সপ্তাহ আগে অভিযান চালায় বিএসটিআই। কারখানা মালিকের অভিযোগ, বিএসটিআই অনুমোদনের আবেদন করতে ট্রেড লাইসেন্সের ফটোকপি দিতে হবে। বিসিকের শিল্প মালিকদের বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না এক বছর ধরে। যে কারণে বিএসটিআইয়ে পণ্য উৎপাদনের অনুমোদন আবেদনও করতে পারেননি তিনি। বিসিকের বেশির ভাগ শিল্পমালিক একই সমস্যায় আছেন।
সেখানকার একাধিক ব্যবসায়ী জানান, নিচু জমি ভরাট করে প্লট তৈরি এবং সড়ক ও ড্রেন নির্মাণে ২০২০ সালের অক্টোবরে বিসিকে ৭৪ কোটি টাকার একটি উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি ও ফরচুন সুজ ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক মিজানুর রহমানের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের দ্বন্দ্ব সংঘাত পর্যন্ত গড়ায়। ওই ঘটনার পর থেকে বিসিকের ব্যবসায়ীদের সিটি করপোরেশন নতুন ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না এবং আগের ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন নেওয়া হচ্ছে না। প্রায়ই রাতের আঁধারে কারখানার বিদ্যুতের তার চুরি হয়ে যায়।
নতুন উদ্যোক্তারা প্লট নিলেও উৎপাদনে যাচ্ছেন না।
বিসিকের ফাস্ট ব্রেড অ্যান্ড বিস্কুট কারখানার মালিক কাজী আল মামুন বলেন, বিসিকে ২০২০ সালের ঝামেলার পর এমন ভীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, গত দেড় বছরে একজন উদ্যোক্তা সেখানে প্রতিষ্ঠান করেননি। বিসিসিও ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না।
বিসিসির ট্রেড লাইসেন্স শাখার সুপারিনটেনডেন্ট মো. শহীদুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা বিসিকের কাছে ট্যাক্স বাবদ কয়েক লাখ টাকা পাব। তারা টাকা দিচ্ছে না। তাই আমরাও সেখানকার কোনো ব্যবসায়ীকে ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছি না এবং পুরোনোদের লাইসেন্স নবায়ন করছি না।’
বিসিক শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স পাওয়া একজন ব্যবসায়ীর নাগরিক অধিকার। বরিশাল বিসিকের ব্যবসায়ীদের সিটি করপোরেশন কেন ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না তা জানা নেই। সিটি করপোরেশনের এ আচরণ প্রধানমন্ত্রীর উন্নত বাংলাদেশের ভিশনকে বাধাগ্রস্ত করছে।’ তিনি স্বীকার করেন, বরিশাল বিসিকে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ না থাকায় গত এক বছরের মধ্যে তিনি ৪টি নতুন কারখানা করেছেন ঢাকা ও গাজীপুরে।
এ ব্যাপারে বিসিকের বরিশালের উপমহাব্যবস্থাপক (ভারপ্রাপ্ত) মো. জালিস মাহমুদ বলেন, বিসিক নগরের শিল্পপ্রতিষ্ঠানই নানা সংকটে রয়েছে। বিশেষ করে জনবল-সংকট, গ্যাস নেই, নাজুক নিরাপত্তাব্যবস্থা। তা ছাড়া ব্যবসায়ীরা ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে না পারায় জটিলতা দেখা দিয়েছে। তবে পদ্মা সেতু ঘিরে তাঁরা ৩৭ একর জমিতে ১১০টি নতুন প্লট করছেন। তিনি বিসিক শিল্পনগরীর উন্নয়নে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির ওপর গুরুত্ব দেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪