অর্চি হক, ঢাকা
স্কুলে ভর্তি হতে গেলে বাবার নাম লাগে। তাই নিমসানা আক্তারের বাবার নামের জায়গায় লেখা হয়েছিল লাল খান। যে লোকটাকে নিমসানা কখনো দেখেনি, যাকে নিয়ে কিছু জানতও না, সে-ই হয়ে গিয়েছিল তার বাবা। বাবাকে নিয়ে কিছু জানতে চাইলেই তাকে বলা হতো—বাবা মারা গেছে। আর পাড়াপড়শিরা বলত, ‘তুই বেজন্মা’। আজকের পত্রিকাকে নিমসানা বলেন, ‘মাইর কাচে কিচু জানতি চাইলিই শুধু কান্দত। কতু দিন গ্যাছত শুদু দুইজন গলা দইরা কন্দছিত।’
একটু বড় হওয়ার পর নিমসানা জানতে পারে একাত্তরে তাঁর মায়ের ওপরে ছয় মাস ধরে নির্যাতন চালানো চারজনের মধ্যে যে ছিল সবচেয়ে বর্বর সে-ই লাল খান। তীব্র ঘৃণা নিয়েও এই লোককেই বাবা হিসেবে পরিচয় দিতে হয়েছে নিমসানাকে। কারণ, বাবার নাম তো লাগবে।
বিজয় দিবসের দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় নিমসানার মা জয়গুন্নাহার খানমের। করোনা পজিটিভ হওয়ায় ফোনেই জানালেন, একাত্তরে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার কথা। পাকিস্তানি সেনারা জয়গুনের বাবা-মা ও ভাইদের মারতে মারতে অচেতন করে যখন তাকে তুলে নিয়ে যায়, তখন তার বয়স দশ কি বারো। সিলেটের মৌলভীবাজারের শমসেরনগর ডাকবাংলো সেনা ক্যাম্পে এপ্রিল থেকে শুরু করে ছয় মাস পর্যন্ত তার ওপর চালানো হয় নৃশংস নির্যাতন।
জয়গুন্নাহার জানান, খুপরি মতো একটা গুদাম ঘরে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সুবেদার লাল খান, মেজর আজিজ, ক্যাপ্টেন রফিক, ক্যাপ্টেন দাউদ—এই চারজন মিলে চালাত নির্যাতন। সারা শরীরে ক্ষত হয়ে গিয়েছিল তাঁর। পায়খানা-প্রস্রাবের জন্য দেওয়া হয়েছিল একটা বালতি। প্রতি রাতে তাঁকে দিয়েই সেটা পরিষ্কার করানো হতো। যুদ্ধ শেষ হওয়ার এক-দু মাস আগে জয়গুন সুযোগ বুঝে পালিয়ে বের হয়ে আসেন সেই ‘দোজখ’ থেকে। বাহাত্তরের ফাল্গুনে জন্ম হয় তাঁর সন্তান নিমসানার।
এর পর পেরিয়ে গেছে ৫০ বছর। সেদিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। বদলে গেছে সবকিছুই। এই দেশটাকে জন্ম দিতে যে জয়গুনকে ছয় মাস পৈশাচিক নির্যাতন সইতে হয়েছিল, বদলায়নি শুধু তাঁর ভাগ্য। রাষ্ট্রীয় সাহায্য, সম্মানী, ভাতা তো অনেক দূরের বিষয়, মেলেনি কোনো স্বীকৃতিও।
এ তো গেল জয়গুনের গল্প। নিপীড়ন ও নির্যাতনের এক দগদগে ক্ষত তাঁকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। সেই ‘দোজখ’ থেকে বেরিয়ে আসার পর এই একলা লড়াইয়ের জন্য তাঁর মন হয়তো কিছুটা প্রস্তুতও হয়ে থাকবে। কিন্তু নিমসানা? শুধু যুদ্ধশিশু হওয়ার কারণে তাঁকে বেড়ে উঠতে হয়েছে এক বৈরী পরিবেশে। ছোট থেকেই তাঁকে শুনতে হয়েছে একটি শব্দ বারবার—‘বেজন্মা’। নিমসানা বলেন, ‘আমি যদি বেজন্মা হই। এই দেশটা তাইলে কী? এই দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য আমার মায়ের অবদান আছে। তাইলে আমরা কেন স্বীকৃতি পাব না?’
নিমসানার মা জয়গুন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন। গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুর রহমান, আব্দুল হাই, আবু বকর বীরাঙ্গনা হিসেবে জয়গুন্নাহারের নাম অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেছেন। তাঁরা স্থানীয় উপজেলা পরিষদে গিয়ে এর পক্ষে সাক্ষ্যও দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ফল মেলেনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুর রহমান বলেন, ‘জয়গুন যে বীরাঙ্গনা, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। একাত্তরে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে তাঁর ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে স্বীকৃতি পাওয়াটা তাঁর অধিকার।’
জয়গুনকে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আরও সুপারিশ করেছেন শমসেরনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ বাহার আলীসহ আরও কয়েকজন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি।
জয়গুনের এলাকা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক বলেন, ‘জয়গুনের বীরাঙ্গনা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। দু-এক মাস আগে জয়গুন এবং স্থানীয়দের ডেকে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর পর সরেজমিনে তদন্ত হবে। তদন্ত প্রতিবেদন জেলা পরিষদের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারপরই জয়গুন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত আসবে।’
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না মিললেও বীরাঙ্গনা হিসেবে জয়গুনকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল। এ হাসপাতাল থেকে বিজয় দিবসে তাঁকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়ার কথা থাকলেও জয়গুন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যেসব রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বীকৃতি এবং সহায়তা পান, জয়গুনেরও সেটা প্রাপ্য। শুধু জয়গুন নন, দেশের সমস্ত বীরাঙ্গনারই তা প্রাপ্য।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪১৬ জনকে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘যুদ্ধের সময় ১ লাখ মুক্তিযোদ্ধা থেকে এখন ৩ লাখ মুক্তিযোদ্ধা হইতে পারল। আর ২ লাখ বীরাঙ্গনার কথা বলা হয়। সেটা কেন ৫০ বছরে মাত্র ৪১৬ জন?’
২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের একটি আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপরই বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। কিন্তু এর পর পাঁচ বছরেও করা যায়নি পূর্ণাঙ্গ তালিকা। এ কারণে এখনো একাত্তরের নির্যাতিতা জয়গুনকে বলতে হচ্ছে, ‘দুবেলা দুটু খাওয়ার জন্য যে টাকা লাগে, তাও আমার নাই। আর কয়দিনই বা বাঁচুম? আমার কিছু চাওয়ার নাই।’
স্কুলে ভর্তি হতে গেলে বাবার নাম লাগে। তাই নিমসানা আক্তারের বাবার নামের জায়গায় লেখা হয়েছিল লাল খান। যে লোকটাকে নিমসানা কখনো দেখেনি, যাকে নিয়ে কিছু জানতও না, সে-ই হয়ে গিয়েছিল তার বাবা। বাবাকে নিয়ে কিছু জানতে চাইলেই তাকে বলা হতো—বাবা মারা গেছে। আর পাড়াপড়শিরা বলত, ‘তুই বেজন্মা’। আজকের পত্রিকাকে নিমসানা বলেন, ‘মাইর কাচে কিচু জানতি চাইলিই শুধু কান্দত। কতু দিন গ্যাছত শুদু দুইজন গলা দইরা কন্দছিত।’
একটু বড় হওয়ার পর নিমসানা জানতে পারে একাত্তরে তাঁর মায়ের ওপরে ছয় মাস ধরে নির্যাতন চালানো চারজনের মধ্যে যে ছিল সবচেয়ে বর্বর সে-ই লাল খান। তীব্র ঘৃণা নিয়েও এই লোককেই বাবা হিসেবে পরিচয় দিতে হয়েছে নিমসানাকে। কারণ, বাবার নাম তো লাগবে।
বিজয় দিবসের দুদিন আগে ১৪ ডিসেম্বর আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় নিমসানার মা জয়গুন্নাহার খানমের। করোনা পজিটিভ হওয়ায় ফোনেই জানালেন, একাত্তরে তাঁর সঙ্গে ঘটে যাওয়া নৃশংসতার কথা। পাকিস্তানি সেনারা জয়গুনের বাবা-মা ও ভাইদের মারতে মারতে অচেতন করে যখন তাকে তুলে নিয়ে যায়, তখন তার বয়স দশ কি বারো। সিলেটের মৌলভীবাজারের শমসেরনগর ডাকবাংলো সেনা ক্যাম্পে এপ্রিল থেকে শুরু করে ছয় মাস পর্যন্ত তার ওপর চালানো হয় নৃশংস নির্যাতন।
জয়গুন্নাহার জানান, খুপরি মতো একটা গুদাম ঘরে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সুবেদার লাল খান, মেজর আজিজ, ক্যাপ্টেন রফিক, ক্যাপ্টেন দাউদ—এই চারজন মিলে চালাত নির্যাতন। সারা শরীরে ক্ষত হয়ে গিয়েছিল তাঁর। পায়খানা-প্রস্রাবের জন্য দেওয়া হয়েছিল একটা বালতি। প্রতি রাতে তাঁকে দিয়েই সেটা পরিষ্কার করানো হতো। যুদ্ধ শেষ হওয়ার এক-দু মাস আগে জয়গুন সুযোগ বুঝে পালিয়ে বের হয়ে আসেন সেই ‘দোজখ’ থেকে। বাহাত্তরের ফাল্গুনে জন্ম হয় তাঁর সন্তান নিমসানার।
এর পর পেরিয়ে গেছে ৫০ বছর। সেদিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। বদলে গেছে সবকিছুই। এই দেশটাকে জন্ম দিতে যে জয়গুনকে ছয় মাস পৈশাচিক নির্যাতন সইতে হয়েছিল, বদলায়নি শুধু তাঁর ভাগ্য। রাষ্ট্রীয় সাহায্য, সম্মানী, ভাতা তো অনেক দূরের বিষয়, মেলেনি কোনো স্বীকৃতিও।
এ তো গেল জয়গুনের গল্প। নিপীড়ন ও নির্যাতনের এক দগদগে ক্ষত তাঁকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। সেই ‘দোজখ’ থেকে বেরিয়ে আসার পর এই একলা লড়াইয়ের জন্য তাঁর মন হয়তো কিছুটা প্রস্তুতও হয়ে থাকবে। কিন্তু নিমসানা? শুধু যুদ্ধশিশু হওয়ার কারণে তাঁকে বেড়ে উঠতে হয়েছে এক বৈরী পরিবেশে। ছোট থেকেই তাঁকে শুনতে হয়েছে একটি শব্দ বারবার—‘বেজন্মা’। নিমসানা বলেন, ‘আমি যদি বেজন্মা হই। এই দেশটা তাইলে কী? এই দেশ স্বাধীন হওয়ার জন্য আমার মায়ের অবদান আছে। তাইলে আমরা কেন স্বীকৃতি পাব না?’
নিমসানার মা জয়গুন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজের নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করেছেন। গেজেটভুক্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুর রহমান, আব্দুল হাই, আবু বকর বীরাঙ্গনা হিসেবে জয়গুন্নাহারের নাম অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করেছেন। তাঁরা স্থানীয় উপজেলা পরিষদে গিয়ে এর পক্ষে সাক্ষ্যও দিয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ফল মেলেনি।
বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুর রহমান বলেন, ‘জয়গুন যে বীরাঙ্গনা, এটা নিয়ে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। একাত্তরে পাকিস্তানি সেনা ক্যাম্পে তাঁর ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছিল। স্বাধীন বাংলাদেশে স্বীকৃতি পাওয়াটা তাঁর অধিকার।’
জয়গুনকে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আরও সুপারিশ করেছেন শমসেরনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর, স্থানীয় বাসিন্দা মোহাম্মদ বাহার আলীসহ আরও কয়েকজন। কিন্তু কিছুতেই কিছু হয়নি।
জয়গুনের এলাকা মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশেকুল হক বলেন, ‘জয়গুনের বীরাঙ্গনা হিসেবে অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। দু-এক মাস আগে জয়গুন এবং স্থানীয়দের ডেকে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। এর পর সরেজমিনে তদন্ত হবে। তদন্ত প্রতিবেদন জেলা পরিষদের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। তারপরই জয়গুন বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন কিনা, সেই সিদ্ধান্ত আসবে।’
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি না মিললেও বীরাঙ্গনা হিসেবে জয়গুনকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল। এ হাসপাতাল থেকে বিজয় দিবসে তাঁকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়ার কথা থাকলেও জয়গুন করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তা পিছিয়ে দেওয়া হয়। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা যেসব রাষ্ট্রীয় সম্মান স্বীকৃতি এবং সহায়তা পান, জয়গুনেরও সেটা প্রাপ্য। শুধু জয়গুন নন, দেশের সমস্ত বীরাঙ্গনারই তা প্রাপ্য।
জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৪১৬ জনকে বীরাঙ্গনা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘যুদ্ধের সময় ১ লাখ মুক্তিযোদ্ধা থেকে এখন ৩ লাখ মুক্তিযোদ্ধা হইতে পারল। আর ২ লাখ বীরাঙ্গনার কথা বলা হয়। সেটা কেন ৫০ বছরে মাত্র ৪১৬ জন?’
২০১৪ সালের ২৭ জানুয়ারি উচ্চ আদালতের একটি আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এরপরই বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল। কিন্তু এর পর পাঁচ বছরেও করা যায়নি পূর্ণাঙ্গ তালিকা। এ কারণে এখনো একাত্তরের নির্যাতিতা জয়গুনকে বলতে হচ্ছে, ‘দুবেলা দুটু খাওয়ার জন্য যে টাকা লাগে, তাও আমার নাই। আর কয়দিনই বা বাঁচুম? আমার কিছু চাওয়ার নাই।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫