এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে ২০১৯ সালে কিছু নির্দেশনা জারি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট, যা বিচারবিভাগীয় সব কর্মকর্তাকে আবশ্যিকভাবে পালন করতে বলা হয়। কিন্তু ওই নির্দেশনা মানছেন না সবাই। সম্প্রতি কয়েকজন বিচারকের বিরুদ্ধে নির্দেশনা অমান্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে এরই মধ্যে একজন অতিরিক্ত জেলা জজকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে আরও দুই বিচারককে।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় বিষয়ে স্পর্শকাতর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ইমান আলী শেখের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে গত রোববার তাঁকে আইন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। এ ছাড়া কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে মানিকগঞ্জে কর্মরত সিনিয়র সহকারী জজ নাজমুল হক এবং বগুড়ার সহকারী জজ রাহুল দেকে। নাজমুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অফিস সহকারীকে কাজে লাগিয়ে নাচের ভিডিও তৈরি করে তা নিজের ফেসবুকে প্রচার করেছেন তিনি। এ ছাড়া নাচের ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে রাহুল দের বিরুদ্ধেও। এ ঘটনায় তাঁদের দুজনকে ৩ এপ্রিল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আগে জারি হওয়া নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রতি নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, কতিপয় বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোর্টের ২০১৯ সালের নির্দেশনাগুলো প্রতিপালন করছেন না। কোনো কোনো বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তা বিচারিক কর্মঘণ্টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের চেম্বার অথবা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বরত অবস্থায় ছবি তোলা বা ভিডিও আপলোড করাসহ নিজের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গকারী ছবি পাবলিক পোস্ট হিসেবে আপলোড করছেন। কতিপয় বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তার এরূপ কর্মকাণ্ডের ফলে বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হচ্ছে, যা অপ্রত্যাশিত।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৯ সালের পরও অনেক বিচারক নিয়োগ হয়েছে, যাঁদের ওই সার্কুলার সম্পর্কে জানা নেই। তাই বিচারকেরা যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আরও সতর্ক এবং সচেতন হন, এজন্যই নতুন করে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
কী আছে ২০১৯ সালের নির্দেশনায়?
সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমানের স্বাক্ষর করা ওই নির্দেশনায় বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রকাশিতব্য লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি নির্বাচন ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য আদান-প্রদান, প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং বিচারকসুলভ মনোভাব অবলম্বন করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বা গুরুত্বহীন বিষয়ে পোস্ট দেওয়া যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ও বিচারকসুলভ আচরণ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো তথ্য আদান-প্রদান এবং বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিজ কর্মক্ষেত্রে মামলার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বা মামলা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। বাস্তব ও স্বাভাবিক অবস্থায় সহকর্মীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়াসংক্রান্ত নিয়মনীতি, করণীয় ও বর্জনীয় দিকগুলোর প্রতিফলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিশ্চিত করতে হবে।
আর এই নির্দেশনা অমান্য করলে তা অসদাচরণ বলে গণ্য হবে এবং এর জন্য বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭-এর পাশাপাশি প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে ২০১৯ সালে কিছু নির্দেশনা জারি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্ট, যা বিচারবিভাগীয় সব কর্মকর্তাকে আবশ্যিকভাবে পালন করতে বলা হয়। কিন্তু ওই নির্দেশনা মানছেন না সবাই। সম্প্রতি কয়েকজন বিচারকের বিরুদ্ধে নির্দেশনা অমান্য করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। এ কারণে এরই মধ্যে একজন অতিরিক্ত জেলা জজকে আইন মন্ত্রণালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে আরও দুই বিচারককে।
জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় বিষয়ে স্পর্শকাতর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা জজ) ইমান আলী শেখের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে সমালোচনার মুখে গত রোববার তাঁকে আইন মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। এ ছাড়া কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে মানিকগঞ্জে কর্মরত সিনিয়র সহকারী জজ নাজমুল হক এবং বগুড়ার সহকারী জজ রাহুল দেকে। নাজমুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, অফিস সহকারীকে কাজে লাগিয়ে নাচের ভিডিও তৈরি করে তা নিজের ফেসবুকে প্রচার করেছেন তিনি। এ ছাড়া নাচের ভিডিও ফেসবুকে প্রচার করার অভিযোগ উঠেছে রাহুল দের বিরুদ্ধেও। এ ঘটনায় তাঁদের দুজনকে ৩ এপ্রিল কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে আগে জারি হওয়া নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রতি নতুন করে নির্দেশনা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। এতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, কতিপয় বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোর্টের ২০১৯ সালের নির্দেশনাগুলো প্রতিপালন করছেন না। কোনো কোনো বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তা বিচারিক কর্মঘণ্টায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁদের চেম্বার অথবা কর্মক্ষেত্রে দায়িত্বরত অবস্থায় ছবি তোলা বা ভিডিও আপলোড করাসহ নিজের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা ভঙ্গকারী ছবি পাবলিক পোস্ট হিসেবে আপলোড করছেন। কতিপয় বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তার এরূপ কর্মকাণ্ডের ফলে বিচার বিভাগ সম্পর্কে জনমনে নেতিবাচক ভাবমূর্তি সৃষ্টি হচ্ছে, যা অপ্রত্যাশিত।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ২০১৯ সালের পরও অনেক বিচারক নিয়োগ হয়েছে, যাঁদের ওই সার্কুলার সম্পর্কে জানা নেই। তাই বিচারকেরা যাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারে আরও সতর্ক এবং সচেতন হন, এজন্যই নতুন করে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
কী আছে ২০১৯ সালের নির্দেশনায়?
সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন সহকারী রেজিস্ট্রার মো. মিজানুর রহমানের স্বাক্ষর করা ওই নির্দেশনায় বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের প্রকাশিতব্য লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও ইত্যাদি নির্বাচন ও বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। প্রকাশিত তথ্য-উপাত্তের যথার্থতা ও নির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে হবে। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক তথ্য আদান-প্রদান, প্রকাশ ও প্রচারের ক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং বিচারকসুলভ মনোভাব অবলম্বন করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় বা গুরুত্বহীন বিষয়ে পোস্ট দেওয়া যাবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ও বিচারকসুলভ আচরণ করতে হবে এবং রাষ্ট্রীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো তথ্য আদান-প্রদান এবং বন্ধু নির্বাচনের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। নিজ কর্মক্ষেত্রে মামলার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বা মামলা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করা যাবে না। বাস্তব ও স্বাভাবিক অবস্থায় সহকর্মীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়াসংক্রান্ত নিয়মনীতি, করণীয় ও বর্জনীয় দিকগুলোর প্রতিফলন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নিশ্চিত করতে হবে।
আর এই নির্দেশনা অমান্য করলে তা অসদাচরণ বলে গণ্য হবে এবং এর জন্য বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস (শৃঙ্খলা) বিধিমালা, ২০১৭-এর পাশাপাশি প্রচলিত অন্যান্য আইন ও বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫