লঞ্চ বন্ধ, বিকল্প নৌযানে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা

চাঁদপুরে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছে। গতকাল রোববার সকাল থেকে সব রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছে চাঁদপুরের লঞ্চ মালিক সমিতি। লঞ্চ না পেয়ে যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে বিকল্প নৌযানে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন। সেই সঙ্গে বাস চলাচলও বন্ধ থাকায় অচল হয়ে পড়ে পুরো যাতায়াত ব্যবস্থা।

সরেজমিনে জানা যায়, চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে গত শনিবার রাতে কয়েকটি লঞ্চ সদর ঘাটে ভিড়েছে। তবে সকাল থেকে কোনো লঞ্চ ঘাট থেকে ছেড়ে যায়নি।

এ ছাড়া ঘাট এলাকা থেকে লঞ্চগুলো অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সকাল থেকে লঞ্চ না পেয়ে যাত্রীরা বিকল্প বাহনে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন।

চাঁদপুর লঞ্চঘাটে যাত্রী বিলকিস বেগম বলেন, ‘আমার অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে ভোরে লঞ্চঘাটে এসেছি। কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করেও কোনো লঞ্চ ছাড়েনি। লঞ্চের জন্য সারা দিন অপেক্ষা করবো। দেখি লঞ্চ কখন ছাড়ে।’

ইব্রাহীম নামের আরেক যাত্রী বলেন, ‘বাস-লঞ্চ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এতে মূলত সাধারণ মানুষের ক্ষতি হচ্ছে। তাঁদের দ্বিধা-দ্বন্দ্বে আমরা সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়ি। শেষমেশ ভাড়া বৃদ্ধিই করা হবে। যত দুর্ভোগ সব সাধারণ মানুষের। লঞ্চ তো পাচ্ছি না। এখন কয়েকজন এক হয়ে গাড়ি নিয়ে ঢাকায় যাব।’

লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার বলেন, ‘ভাড়া সমন্বয় করার দাবিতে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিকেরা। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আমাদের পক্ষে লঞ্চ চালিয়ে পোষাবে না। চাঁদপুর থেকে শনিবার রাত ১২টা ১৫ মিনিটের দিকে সর্বশেষ লঞ্চ চাঁদপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এরপর সকাল থেকে সব লঞ্চ বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।’

চাঁদপুরের বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) উপপরিচালক কায়সারুল ইসলাম বলেন, সকাল থেকে চাঁদপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছেন মালিক কর্তৃপক্ষ। ঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ছাড়ার সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১৫ টাকা বাড়ানোর পর শুক্রবার থেকে ধর্মঘটের ঘোষণা দেয় পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সংগঠনগুলো। এর একদিন পরই লঞ্চ চলাচল বন্ধের নির্দেশনা আসে মালিক সমিতির পক্ষ থেকে।