Ajker Patrika

সালাম দেওয়ার সঠিক নিয়ম

মুনীরুল ইসলাম
সালাম দেওয়ার সঠিক নিয়ম

প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছোট-বড় সবাইকে সালাম দিতেন। তাঁর আগে কখনো কেউ সালাম দিতে পারেনি। তাঁর সঙ্গে দেখা হলে সাহাবায়ে কেরাম (রা.) আগে সালাম দেওয়ার অনেক চেষ্টা করতেন, তারপরও দেখা যেত তিনিই আগে সালাম দিয়ে ফেলেছেন। সাহাবায়ে কেরাম পরস্পরের সঙ্গে দেখা হলেই সালাম দিতেন। তাঁরা সওদাপাতির জন্য নয়, শুধু সালাম বিনিময়ের জন্যও বাজারে যেতেন। তাই একজন মুসলমানের সঙ্গে অন্য মুসলমানের সাক্ষাৎ হলে সালাম বিনিময় করা উচিত।

মহানবী (সা.) বলেন, ‘কথাবার্তার আগেই সালাম করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যখন তোমাদের কারও কোনো মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়, তখন সে যেন তাকে সালাম করে। এরপর যদি তাদের উভয়ের মাঝে কোনো গাছ, দেয়াল বা পাথরের আড়াল পড়ে, এরপর আবার সাক্ষাৎ হয়, তখনো যেন তারা সালাম করে।’

সালামের সবচেয়ে ছোট বাক্য হচ্ছে, ‘আসসালামু আলাইকুম’। বর্ধিত করে বলা যায়, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু’। সালামের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। সালামের উত্তরে সালামদাতার বাক্যের চেয়ে বাড়িয়ে বলা উত্তম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন তোমাদের অভিবাদন জানানো হয় (সালাম দেওয়া হয়), তখন তোমরাও তার চেয়ে উত্তম অভিবাদন জানাও বা একই ধরনের জানাও।’ (সুরা নিসা: ৮৬)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ছোটরা বড়দের সালাম দেবে, পথচারী বসা ব্যক্তিকে এবং কমসংখ্যক লোক বেশিসংখ্যক লোককে সালাম দেবে।’ (মিশকাত)।

আরোহী পদচারীকে সালাম দেবে। মুসলমানদের জন্য অন্য ধর্মাবলম্বীদের সালাম দেওয়ার বিধান নেই। তবে তারা সালাম দিলে তাদের উত্তরে শুধু ‘ওয়া আলাইকা’ বলার বিধান রয়েছে।

সালাম আল্লাহ প্রদত্ত দোয়া এবং প্রিয় নবীজির সুন্নত। তাই সহি-শুদ্ধ করে সালাম দিতে হবে। অনেকে বিকৃত উচ্চারণে সালাম দেয়। এমনটি করা মারাত্মক গুনাহ। 

লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মধ্যপ্রাচ্যের চার দেশে পরবর্তী ঘোষণার আগপর্যন্ত বাংলাদেশি সব ফ্লাইট বাতিল

চ্যাটজিপিটিকে যেভাবে প্রশ্ন করবেন

ব্যবসায়ীর দাড়ি ধরে টানাটানি, ভিডিও শেয়ার দিয়ে যা বললেন সারজিস

মার্কিন ঘাঁটির ক্ষয়ক্ষতি কমাতে হামলার আগে কাতারকে জানায় ইরান: সিএনএন

নূরুল হুদাকে হেনস্তার অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত