সম্পাদকীয়
গত শতকের তিরিশের দশকে একদল তরুণ বিপ্লবী ভারতবর্ষ স্বাধীন করতে মৃত্যুকে উপেক্ষা করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মরণপণ লড়াইয়ে। তাঁদেরই একজন ছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেন। তাঁর প্রকৃত নাম সূর্য কুমার সেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে।
কলেজজীবনেই তিনি বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন। স্নাতক পাসের পর তিনি শিক্ষক হিসেবে এক বিদ্যালয়ে যোগ দেন। তিনি মূলত এই পেশা গ্রহণ করেছিলেন তরুণ শিক্ষার্থীদের বিপ্লবী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে। তিনি বিপ্লবী দল ‘যুগান্তর’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল রাত ৮টায় বিদ্রোহের দিন ঠিক করা হলেও সেটা পিছিয়ে ১০টা করা হয়। চারটা বাড়ি থেকে চারটা দল আক্রমণের জন্য বের হয়। একটি দল আগে থেকেই রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে নেয়। ফলে সমগ্র বাংলা থেকে চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অন্য একটি দল চট্টগ্রামের টেলিগ্রাফ অফিস আক্রমণ করে পেট্রল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আরেকটি দল রেলওয়ের অস্ত্রাগার দখল করে নেয়। সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিপ্লবীরা পুলিশের রিজার্ভ ব্যারাক দখল করে নেয় এবং সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। চট্টগ্রাম সম্পূর্ণরূপে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত ছিল চার দিন।
সূর্য সেনসহ ছয়জন শীর্ষস্থানীয় বিপ্লবীকে ধরার জন্য ইংরেজ সরকার ৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। ২২ এপ্রিল তাঁদের বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র ইংরেজ সৈন্যদের দুই ঘণ্টা প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এতে ব্রিটিশ বাহিনীর প্রায় ১০০ জন নিহত এবং বিপ্লবী বাহিনীর ১২ জন শহীদ হন।
এ ঘটনায় ব্রিটিশ পুলিশ অবশেষে সূর্য সেনসহ কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাঁদের কারাগারে বন্দী রেখে বিচারকাজ চলে। রায়ে সূর্য সেনকে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলখানায় তাঁকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি এই রায় কার্যকর করা হয়। ফাঁসির পর তাঁর মৃতদেহ বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
গত শতকের তিরিশের দশকে একদল তরুণ বিপ্লবী ভারতবর্ষ স্বাধীন করতে মৃত্যুকে উপেক্ষা করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মরণপণ লড়াইয়ে। তাঁদেরই একজন ছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেন। তাঁর প্রকৃত নাম সূর্য কুমার সেন। তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামে।
কলেজজীবনেই তিনি বিপ্লবীদের সংস্পর্শে আসেন। স্নাতক পাসের পর তিনি শিক্ষক হিসেবে এক বিদ্যালয়ে যোগ দেন। তিনি মূলত এই পেশা গ্রহণ করেছিলেন তরুণ শিক্ষার্থীদের বিপ্লবী চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে। তিনি বিপ্লবী দল ‘যুগান্তর’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
১৯৩০ সালের ১৮ এপ্রিল রাত ৮টায় বিদ্রোহের দিন ঠিক করা হলেও সেটা পিছিয়ে ১০টা করা হয়। চারটা বাড়ি থেকে চারটা দল আক্রমণের জন্য বের হয়। একটি দল আগে থেকেই রেললাইনের ফিশপ্লেট খুলে নেয়। ফলে সমগ্র বাংলা থেকে চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। অন্য একটি দল চট্টগ্রামের টেলিগ্রাফ অফিস আক্রমণ করে পেট্রল দিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। আরেকটি দল রেলওয়ের অস্ত্রাগার দখল করে নেয়। সর্বশেষ পরিকল্পনা অনুযায়ী, বিপ্লবীরা পুলিশের রিজার্ভ ব্যারাক দখল করে নেয় এবং সেখানে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে। চট্টগ্রাম সম্পূর্ণরূপে ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্ত ছিল চার দিন।
সূর্য সেনসহ ছয়জন শীর্ষস্থানীয় বিপ্লবীকে ধরার জন্য ইংরেজ সরকার ৫ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে। ২২ এপ্রিল তাঁদের বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র ইংরেজ সৈন্যদের দুই ঘণ্টা প্রচণ্ড যুদ্ধ হয়। এতে ব্রিটিশ বাহিনীর প্রায় ১০০ জন নিহত এবং বিপ্লবী বাহিনীর ১২ জন শহীদ হন।
এ ঘটনায় ব্রিটিশ পুলিশ অবশেষে সূর্য সেনসহ কয়েকজন সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। তাঁদের কারাগারে বন্দী রেখে বিচারকাজ চলে। রায়ে সূর্য সেনকে ফাঁসির নির্দেশ দেওয়া হয়। জেলখানায় তাঁকে নির্মম নির্যাতন করা হয়। ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি এই রায় কার্যকর করা হয়। ফাঁসির পর তাঁর মৃতদেহ বঙ্গোপসাগরে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫