Ajker Patrika

আপেল কুলে বাড়তি মুনাফা

নাগরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০১ মার্চ ২০২২, ১৬: ১৯
আপেল কুলে বাড়তি মুনাফা

নাগরপুরে কাশ্মীরি আপেল কুল চাষে লাভবান হয়েছেন মো. আকরাম হোসেন। প্রথম বছরেই খরচের টাকা উঠে আসায় আগ্রহ বেড়ে যায় তাঁর। ১২ বছর ধরে আপেল কুল চাষ করছেন আকরাম হোসেন।

জানা গেছে, আকরাম হোসেন উপজেলার ভাড়রা ইউনিয়নের পাঁচতারা গ্রামের বাসিন্দা। পেশায় ছিলেন একজন কাঠ ব্যবসায়ী। পাঁচতারা গ্রামে ধলেশ্বরী নদীর তীর ঘেঁষে রয়েছে তাঁর কয়েক বিঘা পতিত জমি। অনাবাদি জমিকে কাজে লাগানোর জন্য কয়েকজনের সঙ্গে পরামর্শ করে একপ্রকার শখের বশেই শুরু করেন কাশ্মীরি আপেল কুলের চাষ। রোপণ করেন ১ হাজার ৪০০ চারা। প্রথম বছরেই খরচের টাকা উঠে আসায় আগ্রহ বেড়ে যায় তাঁর। ১২ বছর ধরে আপেল কুল চাষ করছেন আকরাম হোসেন। তাঁর বাগানের উৎপাদিত কুল মিষ্টি ও সুস্বাদু হওয়ায় দেশের বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে বেশ চাহিদা।

সরেজমিনে দেখা গেছে, সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে লুকিয়ে থাকা আপেল কুল দেখতে যেমন সুন্দর, খেতেও তেমন সুস্বাদু। এখন আকরাম হোসেনের বাগানে রয়েছে প্রায় ১ হাজার চারা। গাছের বয়স বেশি হওয়ায় ফলন কমছে, তবু লাভের আশা করছেন তিনি। প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকার মানুষ দেখতে আসেন এই আপেল কুলের বাগান। এ বাগান নিয়মিত পরিচর্যার জন্য রয়েছেন কয়েকজন কর্মী।

আকরাম হোসেন জানান, কাঠ ব্যবসা বাদ দিয়ে শখের বসে ১২ বছর আগে অনাবাদি জমিতে শুরু করেন আপেল কুলের চাষ। প্রথম বছরই খরচ উঠে আসে তাঁর। লাভজনক হওয়ায় বর্তমানে তাঁর দুটি আপেল কুল ও দুটি লেবু বাগান রয়েছে। এসব কুল ও লেবু জেলাসহ বিভিন্ন বাজারে পাইকারি বিক্রি করেন তিনি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল মতিন বিশ্বাস বলেন, দেশের অন্যান্য স্থানের মতোই এ উপজেলায় কাশ্মীরি আপেল কুলের চাষ শুরু হয়েছে। ভাড়রা ইউনিয়নের পাঁচতারা গ্রামের চর এলাকাসহ নাগরপুরে প্রায় ২০ বিঘা জমিতে আপেল কুলের চাষ হচ্ছে। কৃষি অফিস থেকে তাঁদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হয়। আকরাম হোসেনকে দেখে আরও অনেক যুবক আগ্রহী হবেন বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত