Ajker Patrika

রেলিং ভেঙে সেতু মরণফাঁদ

শরিফুল আলম রাসেল, তারাকান্দা
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ৫৫
রেলিং ভেঙে সেতু মরণফাঁদ

ঢাকা-হালুয়াঘাট ও ঢাকা-নেত্রকোনা মহাসড়কের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে কোদালধর বাজার-কাশিগঞ্জ বাজার সড়ক। আর এই সড়কের কামারিয়া খালের ওপর নির্মিত হয়েছে কাঠালী সেতু। কিন্তু সেতুটির উভয় পাশের রেলিং দীর্ঘদিন যাবৎ ভেঙে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে আছে। রেলিং ছাড়া ওই সেতুতে চলাচল করতে গিয়ে প্রায়ই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এরপরও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। এলাকার প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষের চলাচলের মাধ্যম এই সেতুটি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কোদালধর বাজার-কাশিগঞ্জ সড়কে কামারিয়া খালের ওপর কাঠালী সেতুর উভয় পাশে রেলিং না থাকায় মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। রেলিং ছাড়া সেতুটি যেন এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। শত শত যানবাহন অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে চলাচল করছে। এতে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।

পশ্চিম কামারিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন আশপাশের প্রায় ১০-১৫টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ ও শত শত যানবাহন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যেকোনো সময় সেতুটি ভেঙে খালে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, ওই খালের ওপর কাঠালী সেতুটি প্রায় ৩০ বছর আগে নির্মাণ করা হয়েছে। এরপর গত তিন দশক ধরেন মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে সেতুটি দিয়ে। এরই মধ্যে সেতুর দুপাশের রেলিং ভেঙে যাওয়ায় দুর্ঘটনায় অনেকেই আহত হয়েছে।

একই এলাকার আসাদ নামে দশম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানায়, সেতুর দুই পাশে রেলিং না থাকায় সেতু পার হওয়ার সময় তারা অনেক ভয়ে থাকে।

স্থানীয় বাসিন্দা স্বপন মিয়া বলেন, ‘রেলিং না থাকায় ভ্যান, রিকশা, ইজিবাইক সেতুর ওপর উঠে প্রায়ই খালে পড়ে যায়। কয়েক দিন আগে ইট বহনকারী একটি ট্রলি সেতুর ওপরে উঠে নিচে পড়ে গিয়ে চালক আহত হয়েছেন।’

ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক জামাল বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ সেতু দিয়ে চলাচল করি। যখন সেতুতে গাড়ি নিয়ে উঠি, তখন ভয় করে। কখন জানি খালে পড়ে যায়। সেতুর ওপর একটা ভ্যান থাকলে অপর পাশ দিয়ে আরেকটি ভ্যান যেতে চায় না। অথচ রেলিং থাকলে ভ্যানগাড়ি ও মানুষ পাশাপাশি যাওয়া সম্ভব হতো।’

কামারিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক কামরুল ইসলাম বলেন, ‘এ এলাকার প্রায় ১৫টি গ্রামের লোকজন এ সেতু দিয়ে যাতায়াত করে। সেতুটির রেলিং না থাকায় আমরা অনেক বিপদে আছি। বড় কোনো দুর্ঘটনার আগেই যেন সংস্কার বা নতুন একটি সেতু নির্মাণ করা হয়।’

কামারিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান রনু বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভায় একাধিকবার বলেছি।’

তারাকান্দা উপজেলা প্রকৌশলী শফিউল্লাহ খন্দকার বলেন, ওই একটি সেতু নির্মাণের জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত