রকিব হাসান নয়ন, মেলান্দহ (জামালপুর)
চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ায় দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো জামালপুরের মেলান্দহেও নিত্যপণ্যের দাম চড়া।
নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়লেও এর বিরুদ্ধ প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায় না। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, বাজার সহনীয় করার লক্ষ্যে তদারকি শুরু করা হবে।
মেলান্দহ বাজারের ঘুরে দেখা যায়, চালের কেজি প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মসুর ডালের কেজি ১২০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজি। বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়।
রিকশাচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দিনে ৩০০-৪০০ টাকা ইনকাম হয়। এ টাকা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর। ২ কেজি চাল কিনতে গেলে ১২০ টাকা লাগে, আর কাঁচা বাজার বা শাক সবজি কিনতে গেলে দিনের টাকা দিনেই শেষ। আমার সংসারে পাঁচজন মানুষ, দিনে দুই কেজি চালে ঠিক মতে হয় না। সপ্তাহে একদিন মাছ কেনা হয়। মাসেও একদিন গোশত কেনা হয় না। এখন তরিতরকারির যে দাম! সংসার চালাতে খুবই কষ্টে হচ্ছে ভাই।’
সাজ্জাদ হোসেন নামে ক্রেতা বলেন, ‘দিনে যে কয় টাকা ইনকাম হয়, তা দিয়ে চাল, তেল, ডাল কিনতেই শেষ। সয়াবিন তেলের দাম ১৭০ টাকা। এক কেজি তেল কিনলে দেখা যাই অন্য বাজার করতে গেলে টাকা প্রায় শেষ হয়ে যায়। এখন সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে তেলের। আমরা যারা খেটে খাওয়া মানুষ, দিনে আর কই টাকা ইনকাম হয়।’
শাহনাজ বেগম নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘সব কিছুরই দাম বেড়েছে, এখন তো গরিবের মরণ। আমাদের মতো গরিবের মানুষের করার কিছুই নেই। কইদিন আগে তেলের দাম একটু কম ছিল। এখন বাজারে এসে দেখি সয়াবিন তেলের দাম আগের চেয়ে আবারও বেড়েছে। দাম বাড়লে সরকারের কিছুই হয় না, যত মরণ গরিবের।
হাজরাবাড়ী পৌরসভার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ‘মৌসুমেও অনেক সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকায়, পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
কাঁচাবাজারে আসা ক্রেতা বাদল মিয়া বলেন, ‘শীতকালীন শাক-সবজির দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে। গরিব মানুষের কেনার ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মুরগি কিনতে গেলাম ১৫৬ টাকা কেজি, সেখানেও দেখি চড়া দাম। এখন ডিম আর কিছু সবজি কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
হাজরাবাড়ী কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন বাড়ছে শাকসবজির দাম। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। এ কারণে ক্রেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।
মেলান্দহ বাজারের ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘তেলের দাম বেড়েছে। আমরা পাইকারি ভাবে ১৬৫ টাকা কেজি ধরে সয়াবিন তেল বিক্রি করছি। সীমিত লাভে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি। মসুর ডালও দুদিনে ১০ টাকা বেড়েছে।’
মেলান্দহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার সহনশীল করার লক্ষ্যে আমরা বাজার তদারকি শুরু করব। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি করা যাবে না। প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা টানাতে হবে।
চাল-ডাল-তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েই চলছে। প্রায় সব ধরনের পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ায় দুশ্চিন্তায় সাধারণ মানুষ। দেশের অন্যান্য এলাকার মতো জামালপুরের মেলান্দহেও নিত্যপণ্যের দাম চড়া।
নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বাড়লেও এর বিরুদ্ধ প্রশাসনের তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায় না। তবে উপজেলা প্রশাসন বলছে, বাজার সহনীয় করার লক্ষ্যে তদারকি শুরু করা হবে।
মেলান্দহ বাজারের ঘুরে দেখা যায়, চালের কেজি প্রকারভেদে ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মসুর ডালের কেজি ১২০ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা কেজি। বোতলজাত তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকায়।
রিকশাচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমার দিনে ৩০০-৪০০ টাকা ইনকাম হয়। এ টাকা দিয়ে সংসার চালানো খুবই কষ্টকর। ২ কেজি চাল কিনতে গেলে ১২০ টাকা লাগে, আর কাঁচা বাজার বা শাক সবজি কিনতে গেলে দিনের টাকা দিনেই শেষ। আমার সংসারে পাঁচজন মানুষ, দিনে দুই কেজি চালে ঠিক মতে হয় না। সপ্তাহে একদিন মাছ কেনা হয়। মাসেও একদিন গোশত কেনা হয় না। এখন তরিতরকারির যে দাম! সংসার চালাতে খুবই কষ্টে হচ্ছে ভাই।’
সাজ্জাদ হোসেন নামে ক্রেতা বলেন, ‘দিনে যে কয় টাকা ইনকাম হয়, তা দিয়ে চাল, তেল, ডাল কিনতেই শেষ। সয়াবিন তেলের দাম ১৭০ টাকা। এক কেজি তেল কিনলে দেখা যাই অন্য বাজার করতে গেলে টাকা প্রায় শেষ হয়ে যায়। এখন সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে তেলের। আমরা যারা খেটে খাওয়া মানুষ, দিনে আর কই টাকা ইনকাম হয়।’
শাহনাজ বেগম নামের এক গৃহিণী বলেন, ‘সব কিছুরই দাম বেড়েছে, এখন তো গরিবের মরণ। আমাদের মতো গরিবের মানুষের করার কিছুই নেই। কইদিন আগে তেলের দাম একটু কম ছিল। এখন বাজারে এসে দেখি সয়াবিন তেলের দাম আগের চেয়ে আবারও বেড়েছে। দাম বাড়লে সরকারের কিছুই হয় না, যত মরণ গরিবের।
হাজরাবাড়ী পৌরসভার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, ‘মৌসুমেও অনেক সবজি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি ৬০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকায়, পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন আলুর দাম স্থিতিশীল রয়েছে।
কাঁচাবাজারে আসা ক্রেতা বাদল মিয়া বলেন, ‘শীতকালীন শাক-সবজির দাম ১০-২০ টাকা বেড়েছে। গরিব মানুষের কেনার ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। মুরগি কিনতে গেলাম ১৫৬ টাকা কেজি, সেখানেও দেখি চড়া দাম। এখন ডিম আর কিছু সবজি কিনে নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি।
হাজরাবাড়ী কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিদিন বাড়ছে শাকসবজির দাম। আমরা বেশি দামে কিনে বেশি দামে বিক্রি করছি। এ কারণে ক্রেতাদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়।
মেলান্দহ বাজারের ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘তেলের দাম বেড়েছে। আমরা পাইকারি ভাবে ১৬৫ টাকা কেজি ধরে সয়াবিন তেল বিক্রি করছি। সীমিত লাভে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করছি। মসুর ডালও দুদিনে ১০ টাকা বেড়েছে।’
মেলান্দহ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বাজার সহনশীল করার লক্ষ্যে আমরা বাজার তদারকি শুরু করব। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে। বাজার মূল্যের চেয়ে বেশি দামে তেল বিক্রি করা যাবে না। প্রতিটি দোকানে মূল্যতালিকা টানাতে হবে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪