সম্পাদকীয়
নগরায়ণ ও শিল্পায়নের চাপে দেশে বন ও জলাশয়ের পরিমাণ দ্রুত কমে যাচ্ছে। বন ধ্বংস করা হলে সামগ্রিক প্রভাব পড়ে প্রকৃতির ওপর। শুধু প্রকৃতি না, বাস্তুসংস্থানও সংকটের মধ্যে পড়ে। গাজীপুর জেলা হলো গজারি বাগানের জন্য বিখ্যাত। আর এসব গজারির বাগান সংরক্ষিত বনের আওতাভুক্ত। ব্যক্তিগত মালিকানা সেসব বনে থাকার কথা না। কিন্তু গাজীপুরে গত দুই যুগে বনভূমি ও জলাশয় কমে দাঁড়িয়েছে দুই-তৃতীয়াংশে, মানে ৬৬ শতাংশ বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে। ‘রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)’-এর গবেষণায় এ ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় গত বুধবার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
২০০০ সালে গাজীপুরে বনভূমি ছিল ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে। ২০০০ সালে শিল্প এলাকা বিস্তৃত ছিল ৯ হাজার ৭৩৬ হেক্টর জমিতে। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৭ হেক্টরে। ২০০০ সালে জেলায় মোট জলাভূমি ছিল ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশে। এ ছাড়া এ জেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া তুরাগ, বালু, বংশী, শীতলক্ষ্যা, চিলাইসহ নদ-নদীগুলো শিল্পবর্জ্যসহ নানামুখী দূষণের শিকার।
এসব তথ্য থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী গজারি বন কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার পথে। সরকারি সংরক্ষিত গজারি বন দেখভালের দায়িত্ব বন বিভাগের। এসব বন কারও ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে পারার কথা নয়। বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ছাড়া এসব বন কোনোভাবেই বেদখল হতে পারত না। মূলত শিল্পমালিকেরা বনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বন দখলের অপকর্মটি করেছেন বলে অভিযোগ আছে। গাজীপুরে তৈরি পোশাকশিল্পসহ নানা ধরনের শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। এর বাইরে সেখানে সরকারি অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠানও আছে। বন দখল করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কারণে সেখানকার বনভূমি কমে যাচ্ছে। আর সেখানে জলাভূমি কমার অন্যতম কারণ হলো আবাসনশিল্পের ব্যাপক বিস্তৃতি।
আমাদের জীববৈচিত্র্যের আধার হলো বনজঙ্গল, যা ধ্বংস হলে ইকোসিস্টেম ধ্বংস হয়। বন বিনষ্টের ফলে বিভিন্ন পশু-পাখি-প্রাণীও বিলুপ্ত হচ্ছে। অপরিকল্পিত শিল্পদূষণের ফলে ইকোসিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪’ নামে নতুন একটি আইনের খসড়া প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়েছিল গত বছর। এ আইনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে-‘...কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড়, নদী, খালবিল ও জলাশয় সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত জোনিংয়ের মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহারে রাষ্ট্রীয় অনুশাসন নিশ্চিত করা।’ আইনটি সম্ভবত এখনো বলবৎ হয়নি।
ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য বন ও জলাধার রক্ষা করার জন্য এই আইনটি বলবৎ করা জরুরি। যাদের কারণে বন ও জলাভূমি ধ্বংস হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
নগরায়ণ ও শিল্পায়নের চাপে দেশে বন ও জলাশয়ের পরিমাণ দ্রুত কমে যাচ্ছে। বন ধ্বংস করা হলে সামগ্রিক প্রভাব পড়ে প্রকৃতির ওপর। শুধু প্রকৃতি না, বাস্তুসংস্থানও সংকটের মধ্যে পড়ে। গাজীপুর জেলা হলো গজারি বাগানের জন্য বিখ্যাত। আর এসব গজারির বাগান সংরক্ষিত বনের আওতাভুক্ত। ব্যক্তিগত মালিকানা সেসব বনে থাকার কথা না। কিন্তু গাজীপুরে গত দুই যুগে বনভূমি ও জলাশয় কমে দাঁড়িয়েছে দুই-তৃতীয়াংশে, মানে ৬৬ শতাংশ বনভূমি ধ্বংস করা হয়েছে। ‘রিভার অ্যান্ড ডেলটা রিসার্চ সেন্টার (আরডিআরসি)’-এর গবেষণায় এ ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। এ নিয়ে আজকের পত্রিকায় গত বুধবার একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
২০০০ সালে গাজীপুরে বনভূমি ছিল ২৩ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে। ২০০০ সালে শিল্প এলাকা বিস্তৃত ছিল ৯ হাজার ৭৩৬ হেক্টর জমিতে। ২০২৩ সালে তা বেড়ে হয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৭ হেক্টরে। ২০০০ সালে জেলায় মোট জলাভূমি ছিল ৬ দশমিক ৭৩ শতাংশ। ২০২৩ সালে এসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ২৭ শতাংশে। এ ছাড়া এ জেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া তুরাগ, বালু, বংশী, শীতলক্ষ্যা, চিলাইসহ নদ-নদীগুলো শিল্পবর্জ্যসহ নানামুখী দূষণের শিকার।
এসব তথ্য থেকে স্পষ্ট হচ্ছে, গাজীপুরের ঐতিহ্যবাহী গজারি বন কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়ার পথে। সরকারি সংরক্ষিত গজারি বন দেখভালের দায়িত্ব বন বিভাগের। এসব বন কারও ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহার করতে পারার কথা নয়। বন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সহযোগিতা ছাড়া এসব বন কোনোভাবেই বেদখল হতে পারত না। মূলত শিল্পমালিকেরা বনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগসাজশ করে বন দখলের অপকর্মটি করেছেন বলে অভিযোগ আছে। গাজীপুরে তৈরি পোশাকশিল্পসহ নানা ধরনের শিল্পকারখানা গড়ে উঠেছে। এর বাইরে সেখানে সরকারি অনেক ধরনের প্রতিষ্ঠানও আছে। বন দখল করে শিল্পপ্রতিষ্ঠান, সরকারি অফিস ও প্রতিষ্ঠান নির্মাণের কারণে সেখানকার বনভূমি কমে যাচ্ছে। আর সেখানে জলাভূমি কমার অন্যতম কারণ হলো আবাসনশিল্পের ব্যাপক বিস্তৃতি।
আমাদের জীববৈচিত্র্যের আধার হলো বনজঙ্গল, যা ধ্বংস হলে ইকোসিস্টেম ধ্বংস হয়। বন বিনষ্টের ফলে বিভিন্ন পশু-পাখি-প্রাণীও বিলুপ্ত হচ্ছে। অপরিকল্পিত শিল্পদূষণের ফলে ইকোসিস্টেম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘ভূমি জোনিং ও সুরক্ষা আইন, ২০২৪’ নামে নতুন একটি আইনের খসড়া প্রস্তাব প্রণয়ন করা হয়েছিল গত বছর। এ আইনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে-‘...কৃষিজমি, বনভূমি, টিলা, পাহাড়, নদী, খালবিল ও জলাশয় সুরক্ষাসহ ভূমির পরিকল্পিত ও সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং ভূমির ব্যবহার নিশ্চিত করে পরিকল্পিত জোনিংয়ের মাধ্যমে ভূমির সর্বোত্তম ব্যবহারে রাষ্ট্রীয় অনুশাসন নিশ্চিত করা।’ আইনটি সম্ভবত এখনো বলবৎ হয়নি।
ভারসাম্যপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতের জন্য বন ও জলাধার রক্ষা করার জন্য এই আইনটি বলবৎ করা জরুরি। যাদের কারণে বন ও জলাভূমি ধ্বংস হচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো বিকল্প নেই।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫