Ajker Patrika

৩ মাসে ৩২২ স্বাভাবিক প্রসব, পুরস্কৃত নার্সরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জানুয়ারি ২০২২, ১০: ৫৭
৩ মাসে ৩২২ স্বাভাবিক প্রসব, পুরস্কৃত নার্সরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গত ৩ মাসে ৩২২ জন নারীর স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব হয়েছে। এর মধ্যে গত ডিসেম্বরে ১০৯ জন, নভেম্বরে ১০৫ এবং অক্টোবর মাসে ১০৮ জন প্রসূতির স্বাভাবিকভাবে সন্তান প্রসব হয়েছে। এর মধ্যে গত মাসে ১০৯ জন প্রসূতিকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসব করায় ১১ জন নার্সকে হাসপাতালের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়েছে।

শুভেচ্ছা উপহার পাওয়া ১১ জন সিনিয়র নার্স হলেন—আয়েশা আক্তার, নেহেরা আক্তার, মর্জিনা খাতুন, মর্জিনা বেগম, স্মৃতি রানী রায়, ববিতা রানী পাল, কোহিনুর বেগম, শিরিন আক্তার, সবিতা রানী দাস, শাহনাজ বেগম ও সোনিয়া বেগম। তাঁদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন সিনিয়র স্টাফ নার্স আয়েশা আক্তার, দ্বিতীয় হয়েছেন নেহেরা আক্তার ও মর্জিনা খাতুন এবং তৃতীয় হয়েছেন মর্জিনা বেগম ও স্মৃতি রানী রায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. ওয়াহীদুজ্জামান জানান, গাইনি ও স্ত্রী রোগবিষয়ক সিনিয়র চিকিৎসক (সিনিয়র কনসালট্যান্ট) ফৌজিয়া আখতারের নেতৃত্বে ছয়জন নারী চিকিৎসক দলের তত্ত্বাবধানে হাসপাতালে কর্মরত ১১ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স প্রসূতি নারীদের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় (নরমাল ডেলিভারি) সন্তান প্রসবের কাজটি করেন। ওই ১১ জন সিনিয়র স্টাফ নার্স গত ডিসেম্বর মাসে ১০৯ জন, নভেম্বরে ১০৫ এবং অক্টোবরে ১০৮ জন প্রসূতির স্বাভাবিকভাবে তাঁদের সন্তান প্রসব করান।

শুভেচ্ছা উপহার পাওয়া সিনিয়র স্টাফ আয়েশা আক্তার বলেন, ‘যেকোনো কাজের স্বীকৃতি পেলে উৎসাহ বাড়ে। ‘নভেম্বর ও অক্টোবর মাসেও আমি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসব করিয়ে প্রথম হয়েছি।’

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ফৌজিয়া আখতার বলেন, স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসবে সেবিকাদের উদ্বুদ্ধ করতেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁদের শুভেচ্ছা উপহার দিয়ে অনুপ্রাণিত করে। গত দুই মাসে শুধু তিনজন সিনিয়র নার্সকে শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়। কিন্তু ডিসেম্বরে ১১ জন সিনিয়র নার্সকে শুভেচ্ছা উপহার দেওয়া হয়েছে।

ফৌজিয়া আখতার বলেন, ‘আমরা চাই প্রতিটি প্রসূতি তাঁদের সন্তান প্রসবের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চলে আসুক। বাড়িতে ডেলিভারি করা একেবারেই ঠিক না। এতে মা ও শিশুর যেকোনো সমস্যা হতে পারে, এমনি মৃত্যুও হতে পারে। আমাদের হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টা নরমাল ডেলিভারির ব্যবস্থা আছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত