Ajker Patrika

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

শেরপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৩ মার্চ ২০২২, ১৩: ৪১
বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০

শেরপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম মাসুদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে শহরের ডিসিগেইট মোড়ে এই সংঘর্ষ হয়। এতে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হাসান আনন্দসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিএনপির নেতা-কর্মী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শফিকুল ইসলাম মাসুদ পক্ষের মধ্যে দলীয় কোন্দল চলে আসছিল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক চত্বরে জমায়েত হতে থাকেন। ওইসময় একই দলের আরেকটি পক্ষের লোকজন প্রবেশ করার চেষ্টা করলে দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। পরে সিনিয়র নেতাদের সহযোগিতায় হাতাহাতি বন্ধের পর জেলা প্রশাসক মো. মোমিনুর রশীদের হাতে স্মারকলিপি দেন নেতারা। স্মারকলিপি দিয়ে ফিরে যাওয়ার পথে হযরত আলী ও শফিকুল ইসলাম মাসুদের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হাসান আনন্দ, মো. রনি ও মো. আশরাফসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আহতদের মধ্যে কয়েকজন জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. খাইরুল কবীর সুমন বলেন, ‘বিএনপির কয়েকজন আহত নেতা-কর্মী প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে এসেছিলেন। পরে তাঁরা হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে চলে গেছেন।’

আহতদের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নিয়ামুল হাসান আনন্দ বলেন, ‘স্মারকলিপি দিতে গিয়ে সিনিয়র-জুনিয়রদের দাঁড়ানো নিয়ে কয়েকজন হট্টগোল শুরু করে। ওইসময় মাথায় আঘাত পাই আমি। জেলা সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে এসেছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সবাই একই দলের লোক। কাদের বিরুদ্ধে মামলা করব?’

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. হযরত আলী বলেন, ‘ইতিপূর্বে মাসুদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। এর ফলে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার নেতা-কর্মীর ওপর অতর্কিত হামলা চলানো হয়েছে।’ এ বিষয়ে জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ‘সামনের সারিতে দাঁড়ানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। আমার কোনো সমর্থক এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়।’

এ ঘটনায় শেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল বলেন, ‘আমরা এ বিষয়টি কেন্দ্রীয় কমিটিকে জানাবো। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুর আহমেদ বলেন, ‘ঘটনার পরপরই সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এ ঘটনায় এখনো কোনপক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তেহরান ওপর থেকে সুন্দর, একদিন যেতে চাই: ইরানে বোমা ফেলা ইসরায়েলি পাইলট

যুদ্ধের পর এ যেন এক নতুন ইরান, জনগণের মতো বদলে গেছে সরকারও

ইরানের পরমাণু কর্মসূচিতে ৩০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের কথা ভাবছেন ট্রাম্প

সাইপ্রাসে বিপুল জমি কিনছে ইসরায়েলিরা, দেশ বেদখলের শঙ্কা রাজনীতিবিদদের

বংশরক্ষায় মৃত ছেলের শুক্রাণু চান মা, সংরক্ষণের নির্দেশ মুম্বাই হাইকোর্টের

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত